৫৮০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম মেয়াদে চন্দ্রগ্রহণ শুক্রবার দেখেছে বিশ্ববাসী।
চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে, সেটাই হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ। এটি পূর্ণ কিংবা আংশিক হতে পারে। সাধারণত বছরে তিনবার চন্দ্রগ্রহণ ঘটে থাকে।
এবারের চন্দ্রগ্রহণটি অনেক দিক থেকে ছিল অনন্য। এটি প্রায় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (৯৯.১%), সেই সঙ্গে ছিল অনেকটা রক্তিম।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যখন সূর্যের আলো প্রবেশ করে, তখন সব ডিরেকশনেই স্ক্যাটারিং ঘটে। তবে অন্যান্য রঙের তুলনায় নীল রং বেশি স্ক্যাটারিং হয়। এর কারণ এর ওয়েভলেংথ ছোট এবং স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে। তাই বেশির ভাগ সময়ই আমরা আকাশ নীল দেখি।
তবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের দূরত্ব বেশি থাকায় আলো আমাদের চোখে আসার আগে বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, তাই ছোট ওয়েভলেংথের (নীল রং) চেয়ে বড় ওয়েভলেংথের (লাল, হলুদ) আলো আমরা বেশি দেখি। এ কারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আকাশে লাল ও হলুদের মাত্রা বেশি দেখা যায়।
ঠিক এভাবেই চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সূর্যের যে আলো চাঁদে পৌঁছায়, তাতে লালের প্রাধান্য থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত বেশি ধূলিকণা অথবা মেঘ থাকবে, চাঁদে লাল আলো তত বেশি প্রতিফলিত হবে।
এবারের প্রায় সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। এর আগে ১৪৪০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের চন্দ্রগ্রহণ দেখেছিল বিশ্ব। এরপর ২৬৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ ধরনেরই দীর্ঘ একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, সেটির স্থায়িত্ব হবে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ২ সেকেন্ড।
এবারের গ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ টেক্সাসের শেরম্যান থেকে রক্তিম চাঁদের ছবিটি তুলেছেন মুনীম হোসেন রানা। পদার্থবিদ মুনীম হোসেন নিজেকে অ্যামেচার রেডিও হবিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। অবসরে পৃথিবী ও এর বাইরের রেডিও সিগন্যাল নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লিগের (বিএলআরএল) মহাসচিব ছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বসবাসরত মুনীম হোসেন ফেস রিকগনিশন-এর লেজার নিয়ে কাজ করছেন।
উদ্ভাবনী স্মার্টফোনের জন্য সুপরিচিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশে তাদের জনপ্রিয় এ সিরিজের স্মার্টফোনে ছাড় ঘোষণা করেছে। অপো এ৫ প্রো (৮ জিবি + ২৫৬ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৪,৯৯০ টাকায়, এর আগের দাম ছিল ২৬,৯৯০ টাকা; অপো এ৩ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) এখন মাত্র ১৮,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, এর আগের দাম ছিল ১৯,৯৯০ টাকা; আর অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি) এখন ১২,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, আগে এর দাম ছিল ১৩,৯৯০ টাকা। এই অফারগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য অপো’র পারফরম্যান্স, ডিউরেবিলিটি ও ডিজাইন আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
যারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও টেকসই ডিজাইন চান, তাদের জন্য অপো এ৫ প্রো এক দারুণ বিকল্প। কঠিন পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে এই ফোনের। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আইপি৬৯ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স, মিলিটারি গ্রেড শক রেজিজট্যান্স এবং সর্বাধুনিক এআই ক্যামেরা সিস্টেম। এর ইন্টেলিজেন্ট ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে রয়েছে এআই সিন রিকগনিশন, এআই পোর্ট্রেট রিটাচিং ও এইচডিআর ইমেজিং; যা আলো কম বা বেশি যাই থাক না কেন, নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলা নিশ্চিত করে।
যারা প্রতিদিনের ব্যবহারে নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর স্মার্টফোন চান, তাদের জন্যই এই অপো এ৩ নিয়ে আসা হয়েছে। মিলিটারি গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, মাল্টিপল লিকুইড রেজিজট্যান্স এবং ১,০০০ নিটস আল্ট্রা ব্রাইট ডিসপ্লের কারণে এটি টাফনেস ও ক্ল্যারিটি নিশ্চিত করতে পারে। এর শক্তিশালী ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ ও ৫১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এর ৬.৬৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ও অপ্টিমাজড প্রসেসিং পাওয়ার কাজ ও বিনোদন উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
এদিকে, অপো এ৩এক্স সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও ডিউরেবিলিটি নিশ্চিত করে। এর নির্ভরযোগ্য ফিচার ও কমপ্যাক্ট ডিজাইন কাজ ও খেলার মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য নিশ্চিত করে; যার প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করতে চান, তাদের জন্য এটি একদম যথার্থ হবে।
এ সম্পর্কে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, “অপোতে আমরা সর্বাধুনিক স্মার্টফোন প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপো এ৩, এ৫ প্রো ও এ৩এক্স-এর ওপর এই ছাড়গুলো আমাদের এই প্রতিশ্রুতি পূরণেরই প্রতিফলন; যেখানে আমরা বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে মানসম্মত ও ডিউরেবল স্মার্টফোন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
দেশজুড়ে সকল অনুমোদিত অপো স্টোরে এখন নতুন দামে এই ডিভাইসগুলো পাওয়া যাবে। আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন
সামাজিকমাধ্যম টিকটকের মালিকানা পেতে চলতি সপ্তাহেই চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি চুক্তি অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি তার।
শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘সোমবার বা মঙ্গলবার সম্ভবত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বা তার কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। তবে, আমাদের চুক্তি অনেকটাই চূড়ান্ত।-খবর দ্য গার্ডিয়ানের
তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি নিজে চীন সফর করতে পারেন কিংবা শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন। গত মাসে দুই নেতা পরস্পরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
গত মাসে, ট্রাম্প টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদগুলো বিক্রির জন্য তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এ চুক্তির জন্য চীনের সম্মতি নিতে হবে।
চুক্তি নিয়ে বেইজিংয়ের ওপর কতটা আস্থা রয়েছে—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নই, তবে মনে করি হবে। প্রেসিডেন্ট শি এবং আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। এ চুক্তি চীনের জন্যও ভালো, আমাদের জন্যও ভালো।’
গত জুনে ট্রাম্প তৃতীয় দফায় নির্বাহী আদেশ দিয়ে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময় বাড়ান। এর ফলে বাইটড্যান্সের হাতে আরও ৯০ দিন সময় আছে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ বিক্রি করার জন্য, অন্যথায় টিকটক মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ হবে।
চলতি বসন্তে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি নতুন মার্কিন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার আলোচনা চলছিল। সেখানে নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে বেইজিং এ পরিকল্পনায় আপত্তি জানায় এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর সুপ্রিম কোর্ট টিকটক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায় দিলে তিনি প্রথম নির্বাহী আদেশে সময়সীমা বাড়ান। দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশ আসে এপ্রিল মাসে। তখন বিক্রি বা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ১৯ জুন। এখন তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেষ্টায় বড় ধাক্কা খেয়েছে বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও গবেষণা মহল। তেল ও গ্যাস খাতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করতে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা প্রায় ১০৩৬ কোটি টাকা মূল্যের (৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) উপগ্রহ মিথেনস্যাট এখন আর কক্ষপথে সাড়া দিচ্ছে না। এই ঘটনায় পরিবেশবিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল উপগ্রহটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করে গুগল, জেফ বেজোস এবং আরও কয়েকটি প্রভাবশালী সংস্থা ও ব্যক্তি। পাঁচ বছরব্যাপী এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমন উৎস শনাক্ত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।
উপগ্রহটির তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ) জানিয়েছে, দশ দিন আগে মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, উপগ্রহটি শক্তি হারিয়েছে এবং পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। তবে এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন।
ইডিএফ জানিয়েছে, কিছু সফটওয়্যার ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন করে আরেকটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি।
মিথেন একটি অতি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস, যা ১০০ বছরের ব্যবধানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের চেয়ে প্রায় ২৮ গুণ বেশি প্রভাব ফেলে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমানোর আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তারপরও প্রতি বছর এর মাত্রা বাড়ছেই।
মিথেন নির্গমনের প্রধান উৎসগুলো হলো তেল ও গ্যাস উৎপাদন, কৃষি এবং ল্যান্ডফিলে (ভাগাড়) উচ্ছিষ্ট খাবারের পচন। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী অনেক উপগ্রহ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়, যার ফলে মিথেন নির্গমনের জন্য দায়ী প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।
মিথেনস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা ছিল। যাতে সরকার ও গবেষকরা দূষণকারীদের শনাক্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি দিয়ে এ তথ্য ব্যবহার করে বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরিরও পরিকল্পনা করেছিল।
উপগ্রহটিতে যুক্ত ছিল বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল যন্ত্র, যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের মিথেন নির্গমন শনাক্ত করতে সক্ষম। বিশেষভাবে কৃষিভিত্তিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নির্গমন উৎস শনাক্তে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।
বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণে অন্যতম উৎস হলো কার্বনম্যাপার (CarbonMapper) এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহের TROPOMI যন্ত্র। তবে সেন্টিনেল-৫পি-এর সাত বছর মেয়াদি মিশন চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা। এরপর গ্রিনহাউস গ্যাস নিরীক্ষণের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
ইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ ও ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। মিথেনস্যাট ছিল সেই সাহসী উদ্যোগের একটি প্রতীক।’
পৃথিবীর মতোই অনুরূপ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও মঙ্গল গ্রহে কেন প্রাণের অস্তিত্ব নেই, যেখানে পৃথিবীতে প্রাণ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে? নাসার এক রোভার সম্প্রতি এমন একটি সূত্র খুঁজে পেয়েছে, যা এই প্রশ্নের জবাবের একটি সম্ভাব্য দিক উন্মোচন করেছে।
প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, নতুন গবেষণা বলছে, মঙ্গলে এক সময় অল্প সময়ের জন্য নদী ও হ্রদ প্রবাহিত হলেও পুরো গ্রহটি মূলত মরুভূমিতেই পরিণত হয়েছিল। ফলে প্রাণ বিকাশের সম্ভাবনা স্থায়ী হয়নি।
মঙ্গল গ্রহে প্রাণ সৃষ্টির উপাদানগুলোর অনেকটাই থাকলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তরল পানি সম্ভবত দীর্ঘসময় ছিল না। অথচ প্রাচীন নদী ও হ্রদের নিদর্শনে বোঝা যায়, এক সময় এখানে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
চলতি বছরের শুরুতে, নাসার কিউরিওসিটি রোভার এমন কিছু শিলা আবিষ্কার করে, যেগুলোতে কার্বনেট খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। পৃথিবীতে এরকম খনিজ, যেমন লাইমস্টোন, বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে শিলায় আটকে রাখে।
বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই কার্বনেট শিলার প্রভাব মডেল করে দেখিয়েছেন যে, কীভাবে এটি মঙ্গলের আবহাওয়া ও জলবায়ুর গতিপথকে বদলে দিতে পারে।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিজ্ঞানী এডউইন কাইট বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে কিছু নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ ছিল।’ তবে এই ‘ওএসিস’গুলো ছিল ব্যতিক্রম, নিয়ম নয়।
পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইড আবহাওয়া উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, যা পরে শিলায় জমা হয় এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির গ্যাস নিঃসরণের হার তুলনামূলকভাবে খুবই কম, ফলে এই প্রাকৃতিক চক্রটি ব্যাহত হয়েছে।
মডেল অনুযায়ী, মঙ্গলে তরল পানির সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির পর প্রায় ১০ কোটি বছরব্যাপী তা মরুভূমিতে রূপ নেয়, যা প্রাণ টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত দীর্ঘ ও কঠিন সময়।
কাইট বলেন, এখনও মঙ্গলের গভীরে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে, যা আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার ২০২১ সালে মঙ্গলের একটি প্রাচীন ডেল্টায় অবতরণ করে এবং সেখানে কার্বনেটের চিহ্ন খুঁজে পায়।
বিজ্ঞানীরা এখন আরো বেশি কার্বনেট খুঁজে পেতে চান, যার সেরা উপায় হলো মঙ্গলের শিলা পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগামী এক দশকের মধ্যেই এ লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।
এই অনুসন্ধানের মূল প্রশ্ন- পৃথিবীর মতো প্রাণ বহনকারী গ্রহ কি বিরল? ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রায় ৬ হাজার গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। তবে কেবল পৃথিবী ও মঙ্গলেই এমন শিলা পাওয়া যায়, যা দিয়ে তাদের অতীত বোঝা সম্ভব।
কাইট বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে মঙ্গলের পানিপূর্ণ যুগেও কোনো প্রাণ জন্ম নেয়নি, তাহলে বোঝা যাবে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। আর যদি প্রাচীন প্রাণের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়, তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট বার্তা: ‘গ্রহ পর্যায়ে প্রাণ সৃষ্টি অনেক সহজ’।
রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের একটি পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচারের গুজব শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’।
বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান টিম জানায়, রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের পুরোনো ভিডিওটি সাম্প্রতিক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এর সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছি এটি পুরোনো ঘটনা।
প্রতিষ্ঠানটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় এসব ঘটনার প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অথচ সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিও বর্তমান সময়ের হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
বাংলাফ্যাক্ট বলছে, বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে যাচাইকৃত সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই ডিজিটাল লাইফস্টাইলের নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা চান। সেরা পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা চান। এসব ব্যবহারকারীদের জন্য পাওয়ারহাউজ’ স্মার্টফোন ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’এনেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এই স্মার্টফোনটি গ্রাহকদের দেবে ‘আল্টিমেট’ স্পিড ও ইফিশিয়েন্সি। এই ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকরা পাবেন নির্বিঘ্ন ডাউনলোড, ‘ল্যাগ-ফ্রি’ গেমিং নিশ্চয়তা। রয়েছে স্মুথ স্ট্রিমিং, ব্লেজিং-ফাস্ট ৫জি কানেক্টিভিটি। আরো আছে উভয় সিম স্লটে ‘ডুয়েল-মুড ৫জি’ ফিচারসহ সবকিছুতেই দ্রুতগতির ‘নেক্সট-জেনারেশন’ এক্সপেরিয়েন্স। জেনে নেয়া যাক এই স্মার্টফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো।
শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট: রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনের শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ৪ ৫জি চিপসেট ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ প্রসেসিং পাওয়ার প্রদান করে। এতে করে চাহিদা অনুযায়ী নিত্যদিনের রুটিনমাফিক কাজসহ গ্রাফিক্স-ইনটেনসিভ গেমস দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলা যায়। একইসঙ্গে সম্ভব হয় নির্বিঘ্ন মাল্টিটাস্কিং ও রেসপন্সিভ পারফরম্যান্স।
ব্যাটারি: রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে- ৪৫ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ও ৬০০০এমএএইচ টাইটান ব্যাটারি যা দ্রুতই স্মার্টফোনকে পূর্ণ চার্জ হতে সাহায্য করে। এতে ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাবার ভাবনা ছাড়াই নিশ্চিন্তে গ্রাহকরা ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে: স্মার্টফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এর ৬.৬৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড ই-স্পোর্টস ডিসপ্লে গ্রাহকদের আল্ট্রা-স্মুথ স্ক্রলিং এবং প্রাণবন্ত ভিজুয়্যাল এর অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারীরা আরো উপভোগ করতে পারবেন- ফ্লুইড এনিমেশন, রেসপন্সিভ টাচ এক্সপেরিয়েন্স, আইডিয়াল মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড গেমিং।
ক্যামেরা: নান্দনিক সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেও সিদ্ধহস্ত ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’। এই ডিভাইসের ‘ভার্সেটাইল’ ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা স্পষ্ট ও নিখুঁত ছবি উপহার দেয় এবং বাড়তি লেন্স ও ইন্টেলিজেন্ট এআই ফিচার স্মার্টফোনপ্রেমীদের সৃজনশীলতা প্রকাশে সহায়তা করে।
স্থায়িত্ব: ডিভাইসটিতে রয়েছে- অ্যান্ডয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৬.০, যা ব্যবহারকারীদের স্মুথ ও কাস্টমাইজেবল এক্সপেরিয়েন্স দেয়। এছাড়া ডিভাইসটিতে আরো রয়েছে- সেরা মানের আইপি৬৯, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৬ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স, যা কি না স্মার্টফোনকে অভাবনীয় স্থায়িত্ব প্রদান করে।
দাম: ডাইনামিক র্যাম এক্সপ্যানশনের মাধ্যমে গ্রাহকের মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতা প্রদানে সক্ষম ‘রিয়েলমি ১৪ ৫জি’বাজারমূল্য ৪১,৯৯৯ টাকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েল বেঙ্গল এআই। প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যামিক বা কলেজ শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ দিচ্ছে। কোডিং না জানলেও শুধু মাত্র এআইয়ের উপর আগ্রহী এমন কর্মীই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি ৩ জনকে শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করত, পাশাপাশি মাসে ১০০ ডলার সম্মানি।
কোডিং জানার প্রয়োজন নেই, কোনও পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতাও দরকার নেই। সাবলীল ইংরেজির প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র এআই সম্পর্কে কৌতূহলী এবং শিখতে, গবেষণা করতে এবং ধারণা সংগঠিত করতে আগ্রহী এমন প্রার্থীকেই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঘরে বসেই এআইয়ের উপর অভিজ্ঞ মানুষদের সাথে কাজ পাশাপাশি থাকবে সার্টিফিকেট, এআইয়ের উপর বাস্তব-বিশ্বের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।
আবেদনের শেষ তারিখ ৪ জুলাই ২০২৫। আবেদন করতে https://shorturl.at/2o8Uc লিংকে প্রবেশ করুণ।
মন্তব্য