লেনদেনের প্রায় অর্ধেক ব্যাংকের। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত দুটি বাদ দিলে কেবল ব্যাংক আর ব্যাংক। সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, এমন ১০টি কোম্পানির ৭টিও এই খাতের।
এ অবস্থাতেও সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সূচক কমে গেছে। তবে লেনদেনে দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। বিগত ২৬ কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এদিন।
গত ১৩ অক্টোবর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২৬তম কর্মদিবসে আজ হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৭৮৬ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
এই লেনদেনের মধ্যে কেবল ব্যাংক খাতে হাতবদল হয়েছে ৭৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৫ পয়েন্ট। তবে দিনের একপর্যায়ে সূচক উঠেছিল ৭ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে।
ব্যাংকময় পুঁজিবাজারে প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ভালো দিন গেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আর্থিক খাতে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, সিমেন্ট, খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, বিমা, বস্ত্র, টেলিকমিউনিকেশনস খাতে ঘটেছে দরপতন।
ব্যাংকের পাশাপাশি একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে ঘুমিয়ে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে। তবে দর বৃদ্ধির হার আর লেনদেন খুব একটা বেশি নয়। বেশির ভাগ ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ পয়সা। অল্প কিছু ইউনিটের দর বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ পয়সার মধ্যে।
আর্থিক খাতেও বেড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই এই খাতেও দর বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি নয়।
সব মিলিয়ে যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণ। বেড়েছে ১১৪টি কোম্পানির দর, কমেছে ২২৯টির।
২০১০ সালের মহাধসের পর হতাশার ব্যাংক খাত করোনার মধ্যে শক্তি দেখিয়েছে। এ সময়ে প্রায় সব কোম্পানির আয় বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লভ্যাংশ। চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি আয় করতে পেরেছে ব্যাংকগুলো। তাই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের প্রত্যাশাও বাড়ছে।
তবে এর মধ্যেও গত বছরের জুন থেকে শুরু হওয়া উত্থানে অন্য অনেক খাতের তুলনায় ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে কমই। যদিও গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনের মধ্যে অন্যান্য খাতের তুলনায় এই খাতের কোম্পানিগুলো দর ধরে রাখতে পারে অনেকটা।
যেসব ব্যাংক গত দুই মাসে দর হারিয়েছিল, তারা এক দিনের উত্থানেই তা পুষিয়ে নিয়েছে।
গত সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার থেকেই ব্যাংকের এই উত্থান দেখা যাচ্ছে। আর বেশির ভাগ ব্যাংকের দরই গত কয়েক বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানকে ছাড়িয়ে গেছে।
ব্যাংকের দিকে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকতে থাকায় অন্যান্য খাতে আগ্রহ কমছে। আর বাজার সংশোধনে লোকসানে পড়া বিনিয়োগকারীরা বাড়তে থাকা ব্যাংকে বিনিয়োগ করে তাদের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
সব মিলিয়ে এই খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৭টির দর। সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দরে উত্থান ঘটা এনআরবিসি ও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর পড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অন্য দুটির দর কমেছে সামান্য। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
তবে সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা কোম্পানিটি ব্যাংক খাতের নয়। এটি হলো খাদ্য খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি।
তবে সূচকে পয়েন্ট যোগ করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির ৮টিই ছিল ব্যাংক খাতের। বাকি একটি কোম্পানি হলো ইউনাইটেড পাওয়ার।
আর ব্যাংক, বিএটিবিসির উত্থানের দিনও সূচক কমেছে ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ালটন, লাফার্জ, এসিআই, বিএসআরএম লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ, এনআরবিসি, আইসিবি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও মবিল যমুনার দরপতনের কারণে।
তবে এসব কোম্পানির মধ্যে এসিআই, বিএসআরএম লিমিটেড ও অলিম্পিকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে লভ্যাংশসংক্রান্ত সমন্বয়ের কারণে। গত বৃহস্পতিবার এসব কোম্পানির রেকর্ড ডেট ছিল। এর মধ্যে এসিআই নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও দিয়েছে। সে হিসেবে বোনাস শেয়ারের সমন্বয় হয়েছে। বাকিগুলো কেবল নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। নগদ লভ্যাংশের সমন্বয় না হওয়ার কথা থাকলেও দেশের পুঁজিবাজারে এটি হয়ে থাকে।
আবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া কোম্পানিটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ার প্রতি সাড়ে ৩ টাকা লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদের জন্য আজই শেয়ার কেনার শেষ সুযোগ ছিল। আর এদিন কোম্পানিটির ১২৭ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতবদল হয়েছে। দিনভর ওঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে ৭০ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানির ৭টিই ছিল ব্যাংক খাতের আর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির ১৩টি ছিল এই খাতের।
ব্যাংক খাতে যেসব কোম্পানির দর বাড়ল সবচেয়ে বেশি
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের ৯.৬৩ শতাংশ। প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। ব্যাংকটির ৫ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার ৬৫টি শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে ৮৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
তারপরই ছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, যার শেয়ারদর ৯.৬২ শতাংশ বেড়ে ১০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ১১ টাকা ৪০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ৯.৪৬ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দর ৭.৫৮ শতাংশ আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৭.৩৬ শতাংশ বেড়েছে। এক্সিম ব্যাংকের দর বেড়েছে ৬.৭৭ শতাংশ।
দর পতনে থাকা চারটি ব্যাংকের মধ্যে এনআরবিসি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬০ পয়সা, ব্র্যাক ২ টাকা ২০ পয়সা, ইসলামী ২০ পয়সা ও আইএফআইসি ১০ পয়সা দর হারিয়েছে। দর অপরিবর্তিত ছিল আইএফআইসি ব্যাংকের।
দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ দশ কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানিই নতুন তালিকাভুক্ত, যেগুলোর দর প্রতিদিনই বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ, কিন্তু লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল একমি পেস্ট্রিসাইডস। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর প্রতিদিনই ১০ শতাংশ বা আশেপাশে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। তবে লেনদেনে ছিল না গতি। ৫০ বাড়ে হাতবদল হয়েছে ১৫ হাজার ১৭৩টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্রতিদিনই প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সা। তবে লেনদেন হয়েছে নগণ্য পরিমাণে। ৭৫ বারে হাতবদল হয়েছে ৪ হাজার ৭৭১টি শেয়ার।
ব্যাংক খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
বস্ত্র খাতের তুং হাই নিটিংয়ের শেয়ার দর টানা তিন তিন বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে। আগের দিন ৬ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির দর বাড়ার সুযোগ ছিল ৬০ পয়সা। ততটাই বেড়ে দর হয়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা।
৫ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এমন সংখ্যা ছিল নয়টি। চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটির। তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১৬টি কোম্পানির। দুই শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে ২০টি কোম্পানির।
দর পতনে শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষ তালিকার প্রথমেই এসিআই লিমিটেডকে দেখা গেলেও আসলে দর অতটা কমেনি। আগের কর্মদিবসে দর ছিল ৩৩৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ২৯৭ টাকা ৪০ পয়সা।
আপাতদৃষ্টিতে দর কমেছে ১১.৪৩ শতাংশ। তবে আসলে কমেনি অতটা। কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৫০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে, যার রেকর্ড ডেট ছিল গত বৃহস্পতিবার।
বোনাস শেয়ারের বিষয়টি হিসাব করলে কোম্পানিটির শেয়ারদর সমন্বয় হয়ে দাঁড়ায় ২৯২ টাকায়। তবে দিন শেষে সেখান থেকে ৫ টাকা ৪০ পয়সা বেড়েছে। সেই সঙ্গে শেয়ার প্রতি সাড়ে ৬ টাকা করে নগদ লভ্যাংশও যোগ হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিটি আসলে মুনস্পুল পেপার, যার দর কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ। আরামিট সিমেন্টের শেয়ার দরও কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ।
কোম্পানি বিক্রি হয়ে যাওয়ার তথ্য অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার পর মিথুন নিটিংয়ের দর কমে যায় ৯.৩৭ শতাংশ। দারুণ লভ্যাংশ দেয়ার পরও প্রথম প্রান্তিকে লোকসান হওয়া আরগন ডেনিমের শেয়ার দর কমেছে ৯.২৬ শতাংশ।
ওটিসি ফেরত পেপোর প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৮.৯২ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ৮ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৭.৬৬ শতাংশ, গোল্ডেনসনের দর ৭.৬২ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে শীর্ষ ১০
এই তালিকা বছরের বেশিরভাগ দিনের মতোই আবার বেক্সিমকো লিমিটেডের দখলে। সারা ৩৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি সাড়ে ৩ টাকার লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের শেয়ার কেনার শেষ সুযোগ কাজে লাগানোর দিন লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ২টি শেয়ার মোট হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিল ওয়ান ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির মোট ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৮ টি শেয়ার।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের মোট লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার ৬৫ টি শেয়ার।
এনআরবিসিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ১১৫ টি শেয়ার।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮১ টি শেয়ার।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৫টি।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৪১২ টি শেয়ার।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শেয়ার দর ৮৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য