× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The mother died after being hit by her sons stick
google_news print-icon

মায়ের মরদেহ উদ্ধার, ছেলে আটক

মায়ের-মরদেহ-উদ্ধার-ছেলে-আটক
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা
ওসি লুৎফুল কবীর জানান, সকালে গোসলের পানির পাইপ টানাকে কেন্দ্র করে মা কদবানুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইদ্রীস আলী। এক পর্যায়ে ইদ্রীস উত্তেজিত হয়ে কদবানুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ছেলের বিরুদ্ধে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামে রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পর পরই ছেলে ইদ্রীসকে আটক করে প্রতিবেশিরা। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।

মৃত কদবানু নেছা ওরফে খোদে বানুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর।

তিনি জানান, সকালে গোসলের পানির পাইপ টানাকে কেন্দ্র করে মা কদবানুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইদ্রীস আলী। এক পর্যায়ে ইদ্রীস উত্তেজিত হয়ে কদবানুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কদবানুর ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে ইদ্রীস সবার ছোট।

এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান ওসি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sales of winter clothes have accumulated in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বিক্রি

নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বিক্রি নারায়ণগঞ্জের একটি ফুটপাতে শীতের কাপড় দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: ইউএনবি
চাষাড়া হকার্স মার্কেট, সলিমুল্লাহ রোড, বঙ্গবন্ধু রোড, শায়েস্তা খাঁ রোডসহ নগরের বিভিন্ন প্রান্তে সড়কের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পোশাকের পসরা বসিয়েছেন। 

নারায়ণগঞ্জে শীতের আমেজ বাড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে গেছে গ্রামাঞ্চলের পথঘাট।

জেলার শহরাঞ্চলে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যায়, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বিলীন হয়ে যায়। রোদের দেখা মিললেও তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। বাতাস শুষ্ক হয়ে উঠছে।

পরিবেশ ঠান্ডা হয়ে আসায় মানুষের পোশাক-আশাকেও আসছে পরিবর্তন। কানটুপি, হাত মোজা, সোয়েটার, জ্যাকেটসহ নানা রকম গা গরম রাখার কাপড় পরতে শুরু করেছেন অনেকেই। বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতের পোশাকের চাহিদা।

নারায়ণগঞ্জে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিপণি বিতানে ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক বিক্রি শুরু করেছেন।

চাষাড়া হকার্স মার্কেট, সলিমুল্লাহ রোড, বঙ্গবন্ধু রোড, শায়েস্তা খাঁ রোডসহ নগরের বিভিন্ন প্রান্তে সড়কের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পোশাকের পসরা বসিয়েছেন।

শিশু, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধসহ প্রায় সব বয়সীদের জন্য মিলছে গা গরমের কাপড়। নতুন, পুরাতন উভয় ধরনের পোশাক মিলছে এখানে।

রঙিন সোয়েটার, ডেনিম-লেদার জ্যাকেট, উলের হাত মোজা, পায়ের মোজা, কানটুপি, শালসহ নানান পোশাক কিনছেন ক্রেতারা।

চাষাড়ায় হকার্স মার্কেটের সামনে বেশ কয়েকটি দোকানে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। দোকানগুলোতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। বাছাই করে পছন্দের পোশাক কিনছেন তারা।

কেউ নিজের জন্য, কেউ সন্তানের জন্য অথবা কেউ বাবা-মায়ের জন্য পোশাক কিনছেন।

সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হয়। তবে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের ভিড় জমে যায় বলে জানান বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, শীতের মৌসুম উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের পোশাক সংগ্রহ করা হয়েছে। ঠান্ডা পড়ায় মানুষের শীতের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করেন দোকানগুলোতে।

দেশের নানা পোশাক কারখানা, চীন, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের পোশাক রয়েছে বিক্রেতাদের কাছে। মার্কেট, ফুটপাত উভয় জায়গাতেই শীতের গরম কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে।

মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি থাকে। ফুটপাতে নতুন, পুরাতন বিভিন্ন রকমের কাপড় পাওয়া যায়। এসব দোকানে সাশ্রয়ী দামে বাছাই করে ভালো কাপড় নেওয়া যায়।

চাষাড়ায় দীপ হোসাইন ফাহিম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘শীতের প্রথম থেকেই বেচাকেনার ধুম পড়ে। এ সময়টাতে ভালো বিক্রি হয়, শীতের শেষের দিকে পোশাক বিক্রি কম হতে থাকে। এবার চায়না, ফিলিপাইন থেকে ফুল স্লিভ ভেলভেট টি-শার্ট এনেছি। তরুণদের মধ্যে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই বিভিন্ন ডিজাইনের ভারী কাপড়ের টি-শার্ট সংগ্রহ করেছি। বেচাকেনা ইদানীং ভালো হচ্ছে।’

মো. সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক বিক্রেতা বলেন, ‘শীত আসছে বলে সোয়েটার, জ্যাকেট, মোটা কাপড়ের ফুল স্লিভ টি-শার্টসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক বিক্রি করছি। বিকাল চারটা থেকে এইখানে বসি রাত ১০টা পর্যন্ত। ‘আমাদের কাছে ছোট, বড় সব ধরনের সাইজের কাপড় আছে। বাচ্চা, নারী, পুরুষ সব বয়সের ও সব সাইজের কাপড় আছে। নিজের মতো করে ক্রেতাদের বেছে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মার্কেট থেকে যে মোটা কাপড়ের গেঞ্জি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রাখবে, সেটা আপনারা এইখানে ১০০ টাকায় পাবেন। বাইরের থেকে কাপড় এলে বেশির ভাগ কাপড় পাইকারিতে বিক্রি হয়। এ ছাড়াও আরেকটি অংশ ফুটপাতে বিক্রি হয়।’

মা ও মেয়েকে নিয়ে ফুটপাতে গরম কাপড় দেখছেন শিমু আক্তার। কাপড় দেখার মাঝে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অফিস থেকে বলেছে, এবার নাকি শীত বেশি পড়বে। তাই আমার মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনব। সন্ধ্যায় আমার মা ও মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছি। শীতের কাপড় ফুটপাত থেকে কেনা হয়। রিভারভিউ মার্কেট থেকেও কেনা হয়।

‘বড় বড় শপিং মলের চাইতে ফুটপাতেই কাপড় বেশি কেনা হয়। এখন চাষাড়ায় দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছি। এইখানে কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায়। দুটো দোকানে কাপড় দেখেছি। সামনে কয়েকটা দোকান দেখা বাকি।’

ফুটপাতের একটি স্টলে লেদার জ্যাকেট বাছাই করতে করতে জাহাঙ্গীর নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে আমি বহুদিন ধরে ইউরোপে বসবাস করছি। দেশে এসেছি কিছু দিন আগে। বিদেশে আবার ফিরতে হবে। সেখানে অনেক ঠান্ডা, তাই এখান থেকেই শীতের পোশাক নিয়ে নিচ্ছি।

‘আমি নিজ দেশের পোশাক পছন্দ করি, বিদেশি পোশাক খুব কম পরি। মূলত, আমাদের দেশের তৈরি পোশাকই বিদেশে যাচ্ছে। ব্র্যান্ডিং, সিল দিয়ে শুধু দাম বেড়ে যায়।’

লতা দেবনাথ নামে এক তরুণী বলেন, ‘শীত নেমেছে। তাই শীতের জন্য গরম কাপড়ের পোশাক কিনতে হবেই। বাবা-মায়ের জন্য পোশাক কেনাকাটা করতে হবে। তাই মাকে সঙ্গে নিয়ে কাপড় কিনতে এসেছি।

‘ফুটপাতে দামের তুলনায় ভালো শীতের কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি কালেকশনও আছে। সময় নিয়ে বাছাই করে কাপড় নিতে হয়।’

তাসমিয়া আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘শীত এসে পড়েছে, তাই বাচ্চাদের ও স্বজনদের জন্য গরম কাপড় কিনতে বেরিয়েছি। ফুটপাত ও শপিং মল দুই জায়গাতেই পোশাকের কেনাকাটা হয়। পছন্দমতো স্বল্প দামে ভালো কাপড় নেয়ার চেষ্টা করি। চাষাড়ায় ফুটপাতে দোকানগুলো দেখছি। ভালো কাপড় পেলে নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ৩৫ কারখানায় ছুটি
রোববার নারায়ণগঞ্জের যেসব জায়গায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ গ্যাস 
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাককর্মীদের ফের অবরোধ, যানজট
মিরপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
রূপগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A case of embezzlement of Tk 29 crore by a woman businessman against S Alam

এস আলমের বিরুদ্ধে এক নারী ব্যবসায়ীর ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

এস আলমের বিরুদ্ধে এক নারী ব্যবসায়ীর ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা সাইফুল আলম মাসুদ। ফাইল ছবি
বাদীর অভিযোগ, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে তার সই করা বেশ কয়েক পাতা খালি চেক দিতে হয়েছিল। সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন এসব খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে তার কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তাকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী ব্যবসায়ী। মামলায় মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর আসকারদিঘির পাড়ে ফিউশন ইটস্ নামে এক রেস্তোরাঁ মালিক নাজমে নওরোজ ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

ফিউশন ইটস্ নামের এই রেস্তোরাঁ প্রথমে ‘এরিস্টোক্র্যাট’ ও পরে ‘লা এরিস্টোক্রেসি’ নামে চালাতেন নাজমে নওরোজ।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সুবাদে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম) মাসুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে তাকে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আসামি তার মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউড়ি মহিলা শাখা থেকে প্রথমে দুই কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর কয়েক দফায় তাকে মোট ৩০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই ঋণগুলো নেয়া হয়।

বাদী অভিযোগ করেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে তার সই করা বেশ কয়েক পাতা খালি চেক দিতে হয়েছিল। সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন এসব খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে তার কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। গত ২২ জুলাই টাকাগুলো ফেরত চাইলে বাদীকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়।

বাদীর আইনজীবী শুভঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুমকি
এস আলম-সংশ্লিষ্টতা: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে
এস আলম পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এস আলম গ্রুপের সব সম্পত্তির তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
SSC exam start 10th April routine published

এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ

এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ এসএসসির কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। ১০ মে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৮ মে’র মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ১০ এপ্রিল।

প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মে। ১০ মে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ১৮ মে’র মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর ধরে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। তবে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণ সিলেবাস এবং পূর্ণমান ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five more people died of dengue in the country

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রতীকী ছবি।
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ‌ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী।

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২০৫ জন ডেঙ্গু রোগী।

দেশে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ‌ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৭ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫৩
ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৭৮
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৯৬
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও পাঁচ প্রাণ, হাসপাতালে ৫৬২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cold flow is expected from Saturday

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলায়, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ শাহানা সুলতানা বলেন, ‘১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলায়, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন:
পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দুদিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
ফের ১০ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rajbari DC Zahidul Islam next to the affected 4 thousand onion farmers

ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজচাষির পাশে রাজবাড়ীর ডিসি জাহিদুল ইসলাম

ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার পেঁয়াজচাষির পাশে রাজবাড়ীর ডিসি জাহিদুল ইসলাম গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক  সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

এবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার হাজার প্রান্তিক পেঁয়াজচাষির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী বিভিন্ন উপজেলার প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৫ জন প্রান্তিক কৃষক। তাতে এ বছর পেঁয়াজ চাষ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তারা।

রাজবাড়ী জেলা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়। এই বছর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৫১ টন পেঁয়াজ।

গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পেঁয়াজ বীজের অংকুরোদগম না হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তার পরের দিনই ২ ডিসেম্বর জেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা পেঁয়াজ বীজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে দ্রুত সমাধান কী হতে পারে সেটাও জানতে চান জেলা প্রশাসক।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে লাল তীর কোম্পানির তাহেরপুরি বীজ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। সভায় আরও জানানো হয়, এই বীজের গুণগত মান ভালো।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমি ৩ ডিসেম্বর একটি ৫ সদস্যের টিম গঠন করি। কমিটির প্রতিবেদনে নিয়ে সেই দিনই সচিব স্যার বরাবর এ বিষয়ে পত্র প্রেরণ করি। ৩ ডিসেম্বর প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে সচিব এবং উপদেষ্টা মহোদয় ৪ তারিখ বিকেলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং পাবনা জেলা প্রশাসনের সাথে জরুরি ভার্চুয়াল সভা করেন।’

এ বিষয়ে মিজানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের চার হাজার প্রান্তিক কৃষককে উন্নত জাতের প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করেছিল উপজেলা কৃষি বিভাগ।

চলতি নভেম্বরে সরকারিভাবে বিনা মূল্যে এক কেজি করে ৪ হাজার জন প্রান্তিক কৃষককে পেঁয়াজ বীজ দেয়া হয়। এই বীজ বপন, সেচ, সার, কীটনাশক ও জমি প্রস্তুত বাবদ প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে প্রতিটি কৃষকদের, কিন্তু বীজ থেকে চারা গজায়নি। এখন নতুন করে বীজ বপন করার বেশি সময়ও বেশি নেই।

‘সব মিলিয়ে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে আমাদের কৃষককে এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসক নিজে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততার সাথে নতুন পেঁয়াজের বীজ না দিলে অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পড়তাম।’

জেলার হোসনাবাদ পৌরসভার প্রান্তিক কৃষক সমশের শেখ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এমন কৃষকবান্ধব জেলা প্রশাসক পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে যেতে পারব বলেও তিনি আজ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাজবাড়ী জেলায় ৪ হাজার জন কৃষকের মাঝে বিএডিসি থেকে প্রাপ্ত বারি পেঁয়াজ-১ জাতের বীজ ৫০০ জন, বারি পেঁয়াজ-৪ জাতের বীজ ১ হাজার জন এবং তাহেরপুরী জাতের বীজ ২ হাজার ৫০০ জনকে বিতরণ করা হয়েছিল। ওই বীজ না গজানোর কারণে তদন্তপুর্বক ৩ হাজার ৭২৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে পুনরায় লালতীর কোম্পানির তাহেরপুরী জাতের বীজ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২০০ জন, কালুখালী উপজেলায় ৩০০ জন এবং পাংশা উপজেলায় ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে পুনরায় এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

বাকি পেঁয়াজ বীজ দ্রুত বিতরণ করার কথা জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গত রোববার বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

তিনি ওই সময় পেঁয়াজচাষিদের দ্রুত পেঁয়াজ রোপণ করার অনুরোধ করেন, যাতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট দেখা না দেয়।

ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজবাড়ীর উপপরিচালক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হকসহ সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
হিলি দিয়ে ৬ দিনে সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকল ১২৩ টন পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আলুতে কমানো হলো শুল্ক
পেঁয়াজু শিঙাড়ায় বাজিমাত আবদুস সালামের
ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narcotics Control Directorate case against Jamaat leader in Coxs Bazar

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা

টেকনাফে জামায়াত নেতার নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মামলা কক্সবাজারের টেকনাফের জামায়াত নেতা মো. ইসমাইল। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, `ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

মামলায় সরকারি কাজে বাধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

টেকনাফ মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলাটি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি আলমগীরের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এ ঘটনায় আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এ অভিযানের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ পৌরসভার সহসভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইলের বাড়িতে আরও কিছু ইয়াবা মজুত আছে–এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ইসমাইল অভিযানে বাধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডিএনসির তিন সদস্য আহত হন। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাঙচুর চালায়।

এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চারজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

‘ওই কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে তারা দ্রুত চলে যান। কারা অফিস ভাঙচুর করছে, আমার জানা নেই।’

মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন বলেও জানান।

জানতে চাইলে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ‘ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের শনাক্ত করা হবে।

‘এ ঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ: সেই কিশোরের জামিন
অস্ত্রের মুখে টেকনাফের পাহাড় থেকে দুই কৃষককে অপহরণ
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন পূরণে জামায়াত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: শফিকুর
স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 
মিয়ানমারে যুদ্ধবিমানের গোলা, বিকট শব্দে এপারে আতঙ্ক

মন্তব্য

p
উপরে