× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Chaos across the road
google_news print-icon

সড়কজুড়ে বিশৃঙ্খলা

সড়কজুড়ে-বিশৃঙ্খলা
রাজধানীতে বাসগুলোর বেশিরভাগই বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলাচল করে। ফাইল ছবি
রাজধানীতে চলা বাস-মিনিবাসের ৮৭ শতাংশ নানা ধরনের নৈরাজ্যে শামিল। বাস স্টপেজের বালাই নেই। মাঝরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দেয়া হয়। সারা দেশে ৭০ লাখ চালকের মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ১৬ লাখের। বাকিরা অদক্ষ। এদের সড়ক আইন বা ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই।

রাজধানীর প্রগতি সরণির বসুন্ধরা গেট থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ পথে বাস স্টপেজের সংখ্যা তিনটি। অথচ এ পথে চলাচলকারী বাসগুলো যাত্রী ওঠানামা করছে আট থেকে ১১টি স্থানে। এর বাইরে ইচ্ছামতো যেকোনো জায়গায় থামিয়ে যাত্রী তুলতে দেখা যায় এসব গণপরিবহনকে।

মাঝরাস্তায় গতি কমিয়ে চলন্ত অবস্থায় যাত্রী ওঠানামা করছে বাসগুলো। সেই সঙ্গে কার আগে কে যাবে, চলছে তার প্রতিযোগিতা।

যাত্রী ওঠানামার নাম করে স্টপেজে বাসগুলো থামানো হয় বাঁকাভাবে, যাতে পেছনের অন্য বাস পেরিয়ে যেতে না পারে। ফলে পুরো সড়কে যান চলাচল আটকে যায়।

অন্যদিকে একই সড়কে ‘ওয়ে বিলের’ নামেও চলেছে স্টপেজের বাইরে বাস থামানো। প্রগতি সরণিতে এ তালিকায় আছে রাইদা, আলিফ, ইকবাল, ইউনিক, ভিক্টর, আকাশসহ আরও কয়েকটি পরিবহন।

এই দৃশ্য শুধু প্রগতি সরণির নয়; রাজধানীর গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরা, এয়ারপোর্ট রোড থেকে মহাখালী-মগবাজার-মৌচাকসহ ২৯১টি রুটে এ চিত্র নিত্যদিনের।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে চলা বাস-মিনিবাসের ৮৭ শতাংশ এ ধরনের নৈরাজ্যে শামিল।

সারা দেশে ৭০ লাখ চালকের মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) লাইসেন্স আছে মাত্র ১৬ লাখ চালকের। বাকিরা অদক্ষ। এদের সড়ক আইন বা ট্রাফিকব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই।

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩১ লাখ।

বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির তথ্য বলছে, শুধু রাজধানী ছাড়া সারা দেশে এক লাখের বেশি বাস চলাচল করে। আর রাজধানীতে চলাচল করে আড়াই হাজার কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার বাস।

রাজধানীর গণপরিবহনের বিশৃঙ্খল চলাচলের কারণে দেশকে বিরাট মূল্যও দিতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদন বলছে, রাজধানীতে যানজটে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং এতে বছরে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার।

কী বলছেন সংশ্লিষ্টরা

রাজধানীর বাস সার্ভিস সিস্টেমে বিশৃঙ্খলার জন্য দুটি বিষয়কে দায়ী করেন বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি হচ্ছে রাজধানীর বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের কাজটি এখনও সম্পন্ন না হওয়া। অন্যটি দক্ষ চালকের অভাব।’

এসব বিষয়ে তারা কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের কাজটি শেষ হলে সড়কে সৃষ্ট এ ধরনের বিশৃঙ্খলা আর থাকবে না।’

তিনি বলেন, রাজধানীতে যেসব চালক গাড়ি চালান, তারা বেশির ভাগই দক্ষ না। সমিতির পক্ষ থেকে তাদের বিআরটিএর মাধ্যমে একটা সময় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বছরখানেক এই ব্যবস্থা ছিল। এখন সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। এটি আবার চালু করতে তারা আবার উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন এবং বাস মালিক সংগঠনের, তবে সড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে তাদের কারোরই তেমন কোনো এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে সড়কে প্রায়ই যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয় বা ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত মামলা-জরিমানার যে উদ্যোগ আছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক সিস্টেমকে নিয়মের মধ্যে রাখতে যেখানে-যেখানে আইন প্রয়োগ করা উচিত, যেখানে আইন ভাঙা হয়, সেখানে আমরা আইন প্রয়োগ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মাসে ঢাকার পুলিশ কত টাকার মামলা দেয়, কতগুলো মামলা হয়, তার সংখ্যা ও পরিমাণ দেখলেই বুঝবেন, সেখানে আমাদের তৎপরতা কতটুকু। আমাদের সার্বিক তৎপরতা ও বিবেচনার লক্ষ্যই থাকে রাজধানীর ট্রাফিকব্যবস্থাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা।

‘এ লক্ষ্যে প্রতিটি জায়গাতেই আমাদের লোক থাকে; আমরা মাঠে আছি, কিন্তু আইন প্রয়োগ, মামলা, জরিমানাই সড়কে শৃঙ্খলার জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য চালক ও মালিকদের সচেতনতাও জরুরি।’

শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ

রাজধানীর গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশ ও বাস মালিকদের সংগঠনের একটি সমন্বিত উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

এর আওতায় বাস রুট নতুন করে বিন্যাস করা হচ্ছে। এতে ২৯১টি রুটের পরিবর্তে ৪২টি রুট করা হবে। এ ছাড়া বর্তমানে চলাচলরত আড়াই হাজার কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার বাসকে কমিয়ে কোম্পানির সংখ্যা ২২টিতে এবং বাসের সংখ্যা ৯ হাজার ২৭টিতে নামিয়ে আনা হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) মো. মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সড়কে বাস চলাচলের প্রক্রিয়াটি র‌্যাশনালাইজেশনের চেষ্টা চলছে। এটা অনেক দূর এগিয়েছে, তবে বাস্তবায়ন পর্যায়ে যেতে আরও কিছু সময় লাগবে। এখানে অনেক কিছু সমন্বয়ের বিষয় আছে।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নগরীর গণপরিবহনকে শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব নয়। কারণ রাজধানীতে প্রতিদিন লাখ লাখ লোক চলাচল করে; হাজার হাজার গাড়ি নামে। তাই ট্রাফিক প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত জনবলেরও বিষয় আছে। এর পাশাপাশি সর্বস্তরেই সচেতনতার বিষয় আছে।

‘তা ছাড়া দায়িত্ব যে শুধু ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ বা ডিএনসিসি কিংবা ডিএসসিসির, তা-ই নয়। এখানে চালকদের দায়িত্ব আছে; মালিকদের দায়িত্ব আছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোকেও এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে। সব মিলিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া আসলে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না।’

আরও পড়ুন:
মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে বন্ধ বৈশাখীর বাস
সিটিং সার্ভিস চালুর দাবি, বাস কমল ঢাকায়
কত টাকা ভর্তুকি দেব, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী
এবার বাড়ল জাহাজের ভাড়া
‘ম্যাজিস্ট্রেট আছে, সাবধানে আহিস’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে