বছরের পর বছর ধরে অবমূল্যায়িত ব্যাংক খাতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট হয়ে ওঠার বিষয়টি আবার স্পষ্ট হলো। টানা তিন দিন লেনদেনে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে এই খাতটি। প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে দুই বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে গেছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে দাম প্রায় ধরে রাখার মধ্যেই এই খাতটি শক্তি দেখিয়েছিল। অল্প কিছু কোম্পানির দর কিছুটা কমলেও এক বা দুই কর্মদিবসের উত্থানেই সেই হারানো দর ফিরে পাওয়া ছাড়াও আরও অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছে।
টানা দুই মাস ধরে সংশোধন শেষে চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানো শুরু ব্যাংকের হাত ধরেই। মঙ্গলবার ১১৫ পয়েন্ট সূচক বাড়ার দিন একটি ছাড়া সব কটি ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধি হলেও বুধবার ১৬টি কোম্পানি দর হারায়।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকের শেয়ার দর শুরুতে উত্থান-পতনের মধ্যে থাকলেও শেষ এক ঘণ্টায় টানা বেড়েছে। আর এ কারণেই টানা তৃতীয় দিন সূচক বাড়ে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা উড়ে যায়। বেলা সোয়া একটার সময়ও আগের দিনের তুলনায় সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ৩১ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয়।
কেবল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২০ পয়সা। বেড়েছে বাকি ৩১টির দর। এর মধ্যে একটির দর ছুঁয়েছে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির সীমা। প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে একটি, ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে দুটির দর, ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে চারটির দর, ১০টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
মোট লেনদেনের ৩০ শতাংশ হয়েছে এই একটি খাতেই। তিন কর্মদিবসের মধ্যে দুই দিন লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ব্যাংকের এই উত্থানের দিন বেশির ভাগ শেয়ারের দর অবশ্য কমেছে। ১৫২টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমে গেছে ১৫৯টির দর।
লেনদেন আগের দিনের দেড় হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে গেলেও আবার তা নেমে একেছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৩ লাখ টাকায়।
ব্যাংক ছাড়া ভালো দিন গেছে কেবল বিবিধ খাতে। মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও অল্পবিস্তর দর বাড়তে দেখা গেছে।
দিনটি খারাপ যায়নি ওষুধ ও রসায়ন খাতেও। এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৯টির।
প্রকৌশল খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। এই খাতের ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১৭টির।
তবে বাজার সংশোধন শুরুর আগে চাঙা হয়ে ওঠা বস্ত্র খাত এখনও নিম্নমুখী। ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৮টির লেনদেন হয়নি। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২৯টি কোম্পানির।
আর সবচেয়ে বাজে দিন গেছে আগের দিন দল বেঁধে দর বৃদ্ধি পাওয়া বিমা খাত। এই খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র সাতটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এর বিপরীতে কমেছে ৪৪টির দর। অথচ আগের দিন কেবল তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর অল্প কমেছিল, বেড়েছিল বাকি সব কটির দর।
এদিন সূচক উত্থানে যে কোম্পানিগুলোর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে পাঁচটি ছিল ব্যাংক খাতের।
তবে সূচক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবিসি), যার শেয়ার দর ২.৭২ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচকের উত্থান হয়েছে ১১.৪৬ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের ডাচ বাংলা ব্যাংকের দর ৬.৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪.৪৭ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের দর ১.৭৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১.৭৬ শতাংশ।
ওয়ান ব্যাংকের দর ৯.৭ শতাংশ শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে সূচক বেড়েছে ১.৫৩ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬.৫৪ শতাংশ শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে সূচক বেড়েছে ১.৩২ শতাংশ।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার দর ৪.১৯ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে সূচক বেড়েছে ১.১৩ শতাংশ।
অন্যদিকে ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকোফার্মা, এমজেএল বাংলাদেশ, স্কয়ারফার্মা, আইসিবি, রবি, শাহজিবাজার পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ফরচুন সুজ ও মতিন স্পিনিং মিলসের দরপতন সূচক পেছনে টেনেছে।
দর বৃদ্ধিতে সেরা যে দশ
দর বৃদ্ধি পাওয়া সেরা দশ কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে ছিল জেড বা দুর্বল খাতের তুং হাই নিটিং। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পেয়ে কোম্পানিটির ৬ টাকা শেয়ার পৌছেছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।
১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে কোম্পানিটির। মোট লেনদেন হয়েছে ৮২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে মোট ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭ টি শেয়ার।
দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯.৮৭ শতাংশ। ২৩ টাকা ৩০ পয়সার শেয়ার বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা ৬০ পয়সা।
তবে মাত্র ৬ হাজার ৫৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজর টাকা।
ব্যাংক খাতের ঢালাও দর বৃদ্ধি হলেও এ খাতের কেবল একটি কোম্পানি ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায়। ওয়ান ব্যাংকের দর ৯.৭০ শতাংশ বেড়ে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা।
৪৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কোটি ১৫ রাখ ২২ হাজার ৫৪৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া এএফসি এগ্রোর শেয়ার দর ৯.৫৮ শতাংশ বেড়ে শীর্ষ দশের চার নম্বরে ছিল। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৫ রাখ ১৮ হাজার ৬৭৭টি শেয়ার।
নতুন তালিকাভুক্ত একমি পেস্ট্রিসাইডসের কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৮ শতাংশ। তবে এই নামে বিক্রিতে আগ্রহ ছিল না মাত্র ২৯ হাজার টাকা লেনদেন হয় এতে।
রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে ছিল ছয় নম্বরে। দর বেড়েছে ৯.৩৪ শতাংশ। লেনদেনে হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৮টি।
এছাড়া পেনিনসুলার হোটেলের দর ৮.৭৭ শতাংশ, রহিমা ফুডের দর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৮.১০ শতাংশ, স্ট্যাইলক্রাফটের দর বেড়েছে ৭.৮৭ শতাংশ।
এদিন ৬ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানি। পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে ৬টি কোম্পানির। চার শতাংশের বেশি দর বেড়েছে ৮টি কোম্পানির।
দর পতনের শীর্ষে দশ কোম্পানি
শেয়ার দর পতনের শীর্ষ তালিকায় ছিল কাট্টালি টেক্সটাইল। ২ শতাংশ নগদ আর ৮ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৯.৭৩ শতাংশ। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী সোমবার ২২ নভেম্বর।
কোম্পানিটির শেয়ার এদিন ৩৮ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।
মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ৬.৭৯ শতাংশ কমে ৬৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে হয়েছে ৬৩ টাকা ১০ পয়সা।
সায়হাম কটনের শেয়ার দর কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ। কোম্পানিটির ৫৩৭টি হাওলায় ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লেনদনে হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১০ লাখ ১৮ হাজার ৬৪টি শেয়ার।
১ কোটি ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৩২টি শেয়ার হাতবদল হওয়া আলিফ ম্যানুফেকচারিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৫.২৬ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। শেয়ার দর ১৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৬ টাকা ২০ পয়সা।
এছাড়া আফতাব অটো, এমজেএল বিডি, সেলভো ক্যামিকেল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিসের শেয়ার দর কমেছে।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
একদিন বিরতি শেষে আবার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটিতে লেনদনে হয়েছে ১৫৫ কোটি ২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭০টি শেয়ার।
শেয়ারদর ১ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে ১৭৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৭৪ টাকা ৯০ পয়সা। এই দর বৃদ্ধিতে সূচকের উত্থান হয়েছে ১.৫ পয়েন্ট।
ফরচুর সুজের শেয়ারদর ১ টাকা ৫০ পয়সা কমলেও লেনদেনের দিক দিয়ে ছিল দ্বিতীয় স্থানে। ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোট ২৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার। শেয়ারদর ২২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩২ টাকা ৯০ পয়সা।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান থেকে দশম পর্যন্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে ৫টি ছিল ব্যাংকের।
এরমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। শেয়ার দর ২১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা।
এনআরবিসির লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ওয়ান ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। মাঝে ওরিয়ান ফার্মা আর লাফার্জ হোলসিম বাদে ব্যাংক খাতের ব্র্যাক ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক ছিল এ তালিকায়।
ব্র্যাক ব্যাংকের একক লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য