শ্লীলতাহানির মামলায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন বাতিলের আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
জামিন বাতিলের আবেদন করলেও বৃহস্পতিবার শুনানিতে মামলার বাদী বা তার পক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে ছিলেন না।
যার ফলে শুনানি নাই মর্মে আদালত আবেদনটি নাকচ করে দেয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সবুজবাগ থানার (নারী ও শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য আতিয়ার রহমান।
এ সময় চিত্তরঞ্জন দাসের পক্ষে শুনানি করার জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন শেখ জসিম উদ্দিন।
জামিন বাতিলের আবেদনে বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর আসামি চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চিত্তরঞ্জন দাসের লোকজন মামলার বাদীর ননদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ হুমকিধমকি দেন। এ বিষয়ে ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, ২১ অক্টোবর চিত্তরঞ্জন দাস জামিন পান। এরপর আসামিপক্ষের লোকজন বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকিধমকি প্রদান করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বাদী থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ জিডি বা মামলা গ্রহণ করেনি। এ জন্য আসামিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো আবশ্যক।
এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল, কিন্তু সবুজবাগ থানা পুলিশ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে পারেনি। এ জন্য আদালত আগামী ৬ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেন। এজাহারে তিনি নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী বলে উল্লেখ করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তাসংলগ্ন একটি দোকান ওই নারীর শ্বশুরের। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।
চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দু-চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পর চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন।
এ সময় মানসম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে চলাচল করা এক গণপরিবহনের হেলপারের বিরুদ্ধে যাত্রীকে মারধর ও ছুরি হাতে তাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইসিবি চত্বর থেকে কারওয়ানবাজারের দিকে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে।
আক্রান্ত বাসযাত্রী নুরুন্নবী দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘ইসিবি চত্বর থেকে কারওয়ান বাজারে আসার জন্য ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাসে উঠি। হেলপার ভাড়া চাইলে এই পথের জন্য ২৫ টাকা দেই। কিন্তু সহকারী আরও ৫ টাকা দাবি করেন।
‘ভাড়া নিয়ে বচসার এক পর্যায়ে বাসের সহকারী আমাকে মারধর শুরু করলে অন্য যাত্রীরা তাকে থামান। ইতোমধ্যে বাসের হেলপার আমার জামা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ফার্মগেট পার হয়ে তেজতুরি বাজার ফুটওভার ব্রিজের কাছে আমি নেমে যাই। সেখানে ছেঁড়া জামা খুলে ফুটপাত থেকে একটি গেঞ্জি কিনে পরে নেই।’
নুরুন্নবী জানান, ওই বাসটি কারওয়ান বাজার ঘুরে আবার ফার্মগেটের দিকে আসতে থাকে। তখন তিনি আবার সেই হেলপারকে তার দিকে আসতে দেখে ভয়ে একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়েন। এ সময় হেলপার ওই দোকান থেকে একটি ছুরি নিয়ে তাড়া করলে আশপাশের লোকজন তাকে থামান। এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান নুরুন্নবী।
বেলা ২টার পর একজন পুলিশ সদস্য ফার্মগেটে এসে নুরুন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে ফার্মগেটে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের কাউন্টারে যান। সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বিষয়টি খুলে বললে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার তোড়জোড় চলে।
এ ব্যাপারে ট্রাস্ট পরিবহনের চিফ সুপারভাইজার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের পরিবহনের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে। আমরা চেষ্টা করছি হেলপারকে চিহ্নিত করতে। অনেক চালক ও হেলপারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা দ্রুতই দোষীকে শনাক্ত করব।’
তেজগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ ও বাস মালিক পক্ষ দোষীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। দোষী হেলপারকে চিহ্নিত করার পর তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র্যাব মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে র্যাব মহাপরিচালকের দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের দরবারে বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ র্যাব মহাপরিচালক পদক পেয়েছেন ৮৫ সদস্য।
বিশেষ সম্মাননা (সাহসিকতা) ৩৫ জন ও বিশেষ সম্মাননা (সেবা) পুরস্কার পেয়েছেন ৫০ র্যাব সদস্য।
উত্তরা কুর্মিটোলাস্থ র্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে সোমবার আভিযানিক কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের পদক পরিয়ে দেন মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
এর আগে তিনি শহীদ র্যাব সদস্যদের স্মৃতি স্মরণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও শহীদ র্যাব সদস্যদের পরিবারের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।
এবারের দরবারে রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন মরদেহ উদ্ধার করায় র্যাব ডগ স্কোয়াডের এক কুকুরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এবারই প্রথম র্যাবের ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর র্যাব মহাপরিচালক পদক পেল।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও পুলিশের কাজে বাধাসহ তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন এ নির্বাচনের বিএনপিপন্থি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আর একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন আরও ১১ জন।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার তাদেরকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন সভাপতি প্রার্থী মাহববু উদ্দিন খোকন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলস।
আরেক মামলায় জামিন পাওয়া আইনজীবীরা হলেন মঞ্জুরুল আলম সুজন, মাহফুজ বিন ইউসুফ, নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মাহদিন চৌধুরী, গোলাম আক্তার জাকির, কামরুল ইসলাম সজল, কামরুল ইসলাম, মোক্তার কবির খান, আশরাফ উজ জামান খান, কাজী জয়নাল আবেদীন ও মাহবুবুর রহমান খান।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল।
রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, আদালত তাদের আট সপ্তাহের অথবা পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছে।
গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই ও হট্টগোলের ঘটনায় বিএনপির শতাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. মনিরুজ্জামান। একই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান আরেকটি মামলা করেন।
এরপর ১৬ মার্চ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থি আইনজীবী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ হয়। ভোট নেয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ সময় পুলিশের হামলায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হন।
বিএনপি ভোটে না যাওয়ায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ১৪ পদে জয় লাভ করেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর লালবাগের আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে এক গাড়ির ধাক্কায় বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন।
লালবাগের আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ২৬ বছর বয়সী সানোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশিয়ায়।
সানোয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার সহকর্মী জাহিদ হাসান বলেন, ‘সানোয়ার ও আমি দেওয়ান পরিবহনে হেলপার হিসাবে কাজ করি। সোমবার সকালে আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে কাজে যোগ দিতে এসে গাড়ি ধাক্কায় সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে আসলে সোমবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে জানান।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, কোন গাড়ির ধাক্কায় সানোয়ার নিহত হয়েছেন তা জানা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি লালবাগ থানাকে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর রুপনগর থানা এলাকায় নির্মাণাধীন দশ তলা ভবনের সাত তলার লিফটের ফাঁকা দিয়ে পড়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
মিরপুরের রূপনগরে নির্মাণাধীন ভবনে সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ওই শ্রমিক ২০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাবু মিয়া।
বাবু মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মনির হোসেন জানান, সোমবার সকালের দিকে রূপনগরে দশ তলা ভবনের সাত তলায় প্লাস্টারের কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত লিফটের ফাঁকা দিয়ে পা পিছলে সে নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাকে মৃত বলে জানান।
তিনি আরও জানান, বাবু মিয়ার বাবা, গ্রামের নাম, ঠিকানা কোনো কিছুই বলতে পারি না। সে গতকালই কাজে যোগ দিয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রূপনগর থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দেশের কয়েক শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশের দায়িত্ব পরিচালনায় ছিলেন। এই অল্প সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসহ স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সূচনা করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদেরকে এখন আর কী কী কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের স্বস্তিতে থাকার জন্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন করে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলায় বেড সংখ্যা দ্বিগুন করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসাখাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনী, লিভার-চিৎিসাখাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।’
শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক দোকানে, কল-কারখানায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিশুদের বয়সে শিশুরা খেলাধূলা করবে, আনন্দ করবে। সেখানে শিশুদেরকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা অমানবিক। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সরকার নানারকম প্রচারণা ও উদ্যোগ নিলেও বাল্যবিয়ে অহরহ ঘটছে।
‘বাল্যবিয়ে মানে একজন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেমেয়ের বিয়ে। এই বয়সে বিয়ে হলে তারা যেখানে নিজেরাই শিশু থাকে, সেই শিশুদের মধ্যে আরেক শিশুর জন্ম হয়। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুকি অনেকখানি বেড়ে যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ-সবল বুদ্ধিমান শিশু হতে হবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবার কাজ করছি। এখন শিশুশ্রম ও বাল্য বিয়ে সব জায়গাতেই বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:কোনো চোরের কাছ থেকে নয়, ইউটিউব দেখে চুরি শিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী রেজা মো. সাইমুন। সঙ্গে আছেন আরও একজন। এই কর্ম করতে গিয়ে ধরাও পড়েছেন তারা।
শনিবার রাতে মিরপুর মডেল থানা এলাকার রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে চুরির সময় এ দুই শিক্ষার্থীকে ধরেছে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৫ বছর বয়সী সাইমুন ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন ২৯ বছরের সাদমান সাকিব। তিনিও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ঢাবির রেজা বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে ৭টি।
ওসি জানান, রেজা ওরফে তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। কিন্তু স্নাতক শেষ করতে পারেননি। ২০১৫ সালে চতুর্থ বর্ষে থাকাকালীন সময়ে বহিষ্কার হওয়ার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন।
তিনি জানান, এরপর কিছুদিন একটি গানের দলে ছিলেন, বিভিন্ন স্টেজ শো করতেন রেজা। কিন্তু পরে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পরেন। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করেন। বিভিন্ন থানার সাত মামলার মধ্যে দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজাও হয়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার সাকিব আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন বিষয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভারসিটি অধীনে পিআইপিটিআই থেকে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত মোটরসাইকেল চুরি অন্যরা কোনো চোরর কাছে শিখলেও রেজা শেখেন নিজে নিজে! আর এ ক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা নেন ইউটিউব থেকে! মোটরসাইকেলের তালা কীভাবে ভাঙে সেটা শিখে প্রথমে নিজের মোটরসাইকেলে প্রয়োগ করেন। এরপর শুরু করেন চুরি।
ওসি বলেন, প্রথম প্রথম ধরা না পড়লেও পরে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন রেজা। সর্বশেষ ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ মাস জেল খেটে দুই মাস আগে জামিন পান। জামিনে বেরিয়ে শনিবার রাতে আবারও মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য