বিনিয়োগকারীর মূলধনের বিপরীতে ঋণকে সূচকের সীমায় বেঁধে না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরদিন দেশের পুঁজিবাজারে লাফ দিয়েছে মূল্যসূচক। সূচক এক দিনেই বাড়ল ১১৫ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে ১২ কর্মদিবস পর সূচক আবার ৭ হাজার পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করল।
এই উত্থানে প্রধান ভূমিকায় ছিল বছরের পর বছর ধরে ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক খাত। এই খাতের প্রায় সব কটি কোম্পানির শেয়ার দর কেবল বেড়েছে এমন নয়, দর বৃদ্ধির শতকরা হারও ছিল উল্লেখযোগ্য।
ব্যাংক খাতের মতোই ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত ও বিমার শেয়ার দর বৃদ্ধি, পাশাপাশি ওষুধ খাতের স্কয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা, আইসিবি, গ্রামীণফোন, পাওয়ার গ্রিড ও লাফার্জ হোলসিমের মতো বড় মূলধনি কোম্পানির দর বৃদ্ধিও সূচক বৃদ্ধিতে রেখেছে ভূমিকা।
লেনদেনে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্যাংক খাত। এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি। মোট লেনদেনের প্রায় ৩০ শতাংশই এই একটি খাতে হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে এর ৪০ শতাংশ লেনদেনও হয়নি।
দারুণ দিন গেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতের তিন কোম্পানিরও। দিন ভালো গেছে তথ্যপ্রযুক্তি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও। মিশ্র প্রবণতায় ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাত।
অন্যদিকে উত্থানের পুঁজিবাজারে প্রকৌশল এবং বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা অনেকটাই হতাশার মধ্য দিয়ে দিনটি পার করেছেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও দিনটি খুব ভালো গেছে এমন নয়।
দিন শেষে বেড়েছে ২১৯টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৩০টির। দর ধরে রাখতে পেরেছে ২৭টি।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৬ পয়েন্ট, যা গত ১৮ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচকের অবস্থান ছিল ৭ হাজার ৯৭ পয়েন্ট।
মৌলভিত্তির কোম্পানির দর বৃদ্ধির দিন শেয়ার দর কমেছে দুর্বল আর্থিক ভিত্তির কোম্পানিগুলোর। যেগুলোর লভ্যাংশ বা প্রান্তিক প্রতিবেদন হতাশ করেছে, সেসব কোম্পানিকেই দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দেখা গেছে।
গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত মূল্য সংশোধনের মধ্যে সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মার্জিন ঋণ নিয়ে একটি আদেশ জারি করে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, মার্জিন ঋণ আর সূচকের সীমায় আবদ্ধ থাকবে না। যেকোনো শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪০-এর মধ্যে থাকলেই সেই শেয়ারে বিনিয়োগে ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক ৪ হাজার ১ থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ দেয়া যাবে। আর সূচক এর ওপরে উঠলে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
এই নির্দেশনার কারণে সূচক একটি নির্দিষ্ট সীমা পার হলে ক্রয়চাপ আসতে থাকে। আর বিএসইসিও ধারাবাহিকভাবে তাদের নির্দেশনা সংশোধন করতে থাকে।
গত ১৮ আগস্ট বিএসইসি জানায়, সূচক ৮ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা ঋণ নেয়া যাবে। সে সময় এই নির্দেশনায় বাজার চাঙা হলেও ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্রমাগত সংশোধনের মধ্যে নতুন একটি উদ্যোগের যে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, তাতে আপাতত কাজ হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির চারটি ছিল ব্যাংক খাতের, দুটি ওষুধ ও রসায়ন খাতের, জ্বালানি, সিমেন্ট, টেলিকমিউনিকেশন ও আর্থিক খাতের আছে একটি করে কোম্পানি।
সূচক বাড়নোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল স্কয়ার ফার্মা, এর পরের অবস্থানগুলো ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, আইসিবি, আইএফআইসি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, পাওয়ারগ্রিড ও পূবালী ব্যাংক।
এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭৪.৩৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটির বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, আরও পাঁচটির বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, একটির বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি, আটটি ৬ শতাংশের বেশি, ১৩টির ৫ শতাংশের বেশি, ১৭টির বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি, ২৬টির বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
বিপরীতে যেসব কোম্পানি দর হারিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৬ শতাংশের ২টি, ৫ শতাংশের বেশি ৩টি, ৪ শতাংশের বেশি ৫টি, ৩ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে ১০টি কোম্পানি।
তবে উত্থানের এই দিনে এতদিন ক্রমাগতভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতন হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রান্তিক প্রতিবেদনে প্রায় ৩০ গুণ আয় বৃদ্ধির তথ্য জানানোর পর এই বিষয়টি কিছুটা বিস্মিত করেছে বিনিয়োগকারীদের। অবশ্য এটাও ঠিক, কোম্পানিটির শেয়ার দর গত দেড় বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ১৩ টাকা থেকে ১৮৭ টাকা পর্যন্ত ওঠে এই সময়ে। আর সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ১০ টাকার মতো কমেছে।
উত্থানের দিন সূচক টেনে ধরায় প্রধান ভূমিকায় রেনাটাকে দেখালেও আসলে এমনটি হয়নি। এই কোম্পানিটির শেয়ার দর কমলেও সেটি লভ্যাংশ সমন্বয়ের কারণে হয়েছে। কোম্পানিটি এবার শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১৪ টাকা নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে। এই হিসাবে শেয়ার দর যতটা সমন্বয় হতে পারত, হয়েছে তার চেয়ে কম।
রেকর্ড ডেটে সোমবার শেয়ার দর ছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা ১০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় করলে দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৩১১ টাকা। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৫ টাকা।
এই কোম্পানিটি বাদ দিলে সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো, সাইফ পাওয়ারটেক, ফরচুন সুজ, ইউনিক হোটেল, রেকিট বেনকিনজার, এনভয় টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ ও জেএমআই সিরিঞ্জ সূচক টেনে ধরায় ভূমিকা রেখেছে।
এই ৯টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০.৬ পয়েন্ট।
ব্যাংক, আর্থিক ও বিমায় আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা
অনেকটা ঝিমিয়ে থাকা ব্যাংক খাতের এবি ব্যাংক মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি শেয়ারে যোগ হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। ৯.৯৩ শতাংশ শেয়ার দর বৃদ্ধির মধ্যে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে পৌঁছেছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সায়।
ইসলামী ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৮.৯১ শতাংশ। আইএফআইসি ব্যাংকের বেড়েছে ৭.৬৯ শতাংশ।
জাপানি প্রতিষ্ঠান সফট ব্যাংকের কাছে বিকাশের শেয়ার বিক্রির ঘোষণায় ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ল টাকা চার কর্মদিবস। ৪৩ টাকা থেকে পৌঁছে গেছে ৬০ টাকার ঘরে। আজ বেড়েছে ৬.৩৭ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের শেয়ার প্রতি এক টাকার কম যোগ হয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ১৯টি। আর ১ টাকা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত যোগ হয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ১০টি।
মঙ্গলবার দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি ছিল এনআরবিসি ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৪১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা আগের দিনও ছিল তিনশ কোটি টাকারও কম।
ব্যাংকের মতোই শেয়ারদর বেড়েছে আর্থিক খাতে। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত। বেড়েছে বাকি সবগুলোর দর।
এই খাতের কোম্পানির সথ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বে লিজিংয়ের ৬.৯৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম শেয়ার দর বেড়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ১.৪৪ শতাংশ।
খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৯৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪০ কোটি টাকারও কম।
ব্যাংকের মতো বিমা খাতের শেয়ারের উত্থানে এতটা চমক ছিল না। তবে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর। তবে শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৬০ শতাংশ। সবচেয়ে কম বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর. দশমিক ১১ শতাংশ।
দর পতনের দিক দিয়ে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর কমেছে ৩.১০ শতাংশ।
এই খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ১১টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের দিন খাতটিতে লেনদেন ছিল ৪৮ কোটি টাকার কম।
লেনদেনে এগিয়ে যে ১০ কোম্পানি
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৮৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংক, যার মোট লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। হাত বদল হয়েছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার ৬৮৮টি শেয়ার।
লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, যার মোট লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
স্কয়ার গ্রুপের স্কয়ারফার্মা ছিলও লেনদেনে শীর্ষ দশে। ৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে চতুর্থ স্থানে ছিল কোম্পানিটি।
এছাড়া ওরিয়ান ফার্মা, জেনেক্সিল ইনফোসিস, এনআরবিসি ব্যাংক, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স ছিল লেনদেনের এই তালিকায়। যার লেনদেন ছিল ৪১ কোটি টাকা থেকে ৩৩ কোটি টাকা পর্যন্ত।
শীর্ষ ১০ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৬২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেন ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ৪১.৯৪ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এবি ব্যাংকের। আগের দিন শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা। একদিনে বাড়া সম্ভব ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। বেড়েছেও এই পরিমাণ।
তারপরই ছিল সদ্য লেনদেনে আসা একমি পেস্ট্রিসাইডসের শেয়ার। শেয়ার বিক্রিতে শেয়ারধারীদের আগ্রহ না থাকায় এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওরিয়ান ফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে ছিল নতুন আরেক কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স। এই কোম্পানিটিরও দর বেড়েছে ৯.৮৪ শতাংশ। তবে এই দরে শেয়ার বিক্রিতে আগ্রহ ছিল না বললেই চলে।
শী্ষ দর বৃদ্ধির তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, যার দর বেড়েছে ৮.৯২ শতাংশ।
এছাড়া এ তালিকায় ছিল ইসলামী ব্যাংক, ওরিয়ান ইনফিউশন, ডেফোডিল কম্পিউটার, জাহিন স্পিনিং মিল ও আইএফআইসি ব্যাংক।
অর্থাৎ শীর্ষ দশে ব্যাংক খাতের কোম্পানিই সবচেয়ে বেশি তিনটি।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা ওটিসি ফেরত মনোস্পোল পেপারের দর কমেছে ৬.৩২ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৫৪ টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল গত অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে অবিশ্বাস্য রকমের লোকসান দেয়া আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ পয়সা মুনাফা দেখানো ন্যাশনাল ফিড মিলস। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬.২২ শতাংশ। এছাড়া বেঙ্গল উইন্ডসরের দর কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ।
এছাড়া প্যাসিফিক ডেনিমের দর ৫.৭৩ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর ৫.১০ শতাংশ, ফাইন ফুডসের দর ৪.২৬ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের দর কমেছে ৪.১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য