পুঁজিবাজারে আবার এক দিনে দুই শতাধিক শেয়ারের দরপতন হলো। বিপরীতে বেড়েছে অর্ধেক সংখ্যক শেয়ারের দর। তবু সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন।
১১৫টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২২৭টির পতনের দিন সূচক বেড়েছে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির কারণে।
এই পরিসংখ্যানেই এটা স্পষ্ট যে, সোমবারের লেনদেন বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীদেরকে আরও একটু হতাশ করেছে, যদিও খাত হিসেবে ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা ছিল ফুরফুরে মেজাজে।
সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের শেয়ার জাপানি বিনিয়োগ কোম্পানি কেনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েই চলেছে। ব্র্যাকের মতো না বাড়লেও একই খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়ল।
পাশাপাশি স্কয়ার গ্রুপের দুই কোম্পানি, সঙ্গে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, আইসিবির দর বৃদ্ধিতে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হলো সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন।
আগের সপ্তাহে টানা তিন কর্মদিবস সূচক বাড়ার পর রোববার প্রথম দিন ৬৫ পয়েন্ট সূচক পতনের পরদিন সোমবার আরও ১০ পয়েন্ট পড়ে যায় লেনদেন শুরু হতে না হতেই। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বড় হয়ে উঠার মধ্যেই ব্র্যাকসহ বেশ কিছু কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে বেলা ১২টা ৩৭ পয়েন্টে সূচকে যোগ হয় ৬২ পয়েন্ট।
তবে এরপর সেখান থেকে ৫১ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয়েছে লেনদেন।
দিন শেষ সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ৬ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে। লেনদেন হয় ১ হাজার ৪২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত এক ঝাঁক কোম্পানি তাদের সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেগুলোর আয় ভালো হয়নি বা যেগুলো লোকসানে আছে, সেগুলোর দরপতন হচ্ছে। তবে দারুণ আয় করার পরেও বিশেষ করে বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার দরপতন কিছুটা বিস্ময় জাগাচ্ছে।
এটাও ঠিক যে, বেক্সিমকো লিমেটেড গত কয়েক মাস ধরে টানা বাড়ছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনেও এই একটি কোম্পানিই তার দরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে পেরেছে।
তবে সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ গুণেরও বেশি আয় করার তথ্য দেয়ার পর রোববার কোম্পানিটি ৫ টাকার মতো এবং দ্বিতীয় দিন আরও তিন টাকার মতো দর হারিয়েছে।
এর ভিড়ে ব্যাংক খাতের উজ্জ্বল হয়ে উঠা সব খাতের মধ্যেই ব্যতিক্রম বলা চলে। এই খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে একমাত্র কোম্পানি হিসেবে ইস্টার্ন ব্যাংকের দর ৩০ পয়সা কমেছে। তিনটি ব্যাংকের শেয়ারদর পাল্টায়নি, বেড়েছে বাকি ২৮টিরই দর। গত কয়েক মাসে এই ঘটনাটি পুঁজিবাজারে দেখা যায়নি।
এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বেড়েছে ৫.২৬ শতাংশ। এছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দর ৪.২৯ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের দর ৩.৩৯ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের দর ২.০৮ শতাংশ করে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে ২ শতাংশ।
পাশাপাশি শেয়ার প্রতি ৬ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পরও দর পড়ে যাওয়া স্কয়ার ফার্মায় বিনিয়াগকারীরা আকৃষ্ট হয়েছেন রোববার প্রান্তিক ঘোষণার পর। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটি ২৭ শতাংশেরও বেশি আয় করতে পেরেছে।
আর এই গ্রুপের স্কয়ার টেক্সটাইলের আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। এই খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে কোনো একক খাতের প্রধান্য দেখা যায়নি। নতুন তালিকাভু্ক্ত দুটি কোম্পানি ছাড়া একটি ছিল ব্যাংক খাতের, দুটি বস্ত্রের, দুটি ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের একটি প্রকৌশল খাতের আর একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের।
স্কয়ার টেক্সটাইল ও নতুন তালিকাভুক্ত একমি পেস্ট্রিসাইডসের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ করে। ব্র্যাক ব্যাংক ছাড়াও নতুন তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর টানা ৮ কর্মদিবস বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এছাড়া সালভো ক্যামিকেলের দর ৯.২২ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের দর ৮.৫ শতাংশ আলহাজ্ব টেক্সটাইলের দর ৭.৬৪ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসরের দর ৭.৫১ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৬.৯৭ শতাংশ এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের দর বেড়েছে ৪.৩৭ শতাংশ।
সব মিলিয়ে এদিন ১০ শতাংশ দর বেড়েছে দুটির, ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৩টি, ৮ শতাংশের বেশি একটির, সাত শতাংশের বেশি দুটির, ৬ শতাংশের বেশি একটির, ৫ শতাংশের বেশি ৩টির, ৪ শতাংশের বেশি ৪টির, ৩ শতাংশের বেশি ৬টির, ২ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে ১৬টি কোম্পানির।
এর বেশির ভাগ কোম্পানিই বড় মূলধনি। শেয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সূচকে এসব কোম্পানির প্রভাব থাকে বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধির হারের তুলনায় দর হারানো কোম্পানির পতনের হার ছিল বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে শেয়ার প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩ পয়সা আয় দেখানো ন্যাশনাল ফিডমিল।
এই কোম্পানিটি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদেরকে ব্যাপকভাবে হতাশ করেছে। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা আয় দেখানো কোম্পানিটি চূড়ান্ত আয় দেখিয়েছে শেয়ারে ১৮ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দরপতন হয়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯.৯১ শতাংশ।
দরপতনের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল গত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা সায়হাম কটন। এই কোম্পানিটির শেয়ার এক দিনেই দর হারিয়েছে ৯.৫২ শতাংশ।
এ ছাড়া বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ৯.৪০ শতাংশ, শেয়ার প্রতি ৫ পয়সা আয় থাকার পরও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া ফুওয়াং ফুড ৯.৩৭ শতাংশ দর হারিয়েছে।
অন্যদিকে ৮.৬০ শতাংশ দর হারিয়েছে দুই বছর মিলিয়ে শেয়ার প্রতি ৩৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে বড় লোকসান থেকে বের হয়ে এবার মুনাফায় ফেরার ভালো খবরে ৮.৫৯ শতাংশ দর পড়ে গেছে জেমিনি সি ফুডের।
প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি দুই টাকার বেশি লোকসান দেয়া স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ৮.৫০ শতাংশ, ড্রাগন স্যোয়েটার ৮.১৫ শতাংশ, লোকসানি মেঘনা মিল্ক ৭.৩১ শতাংশ এবং বিবিএস ক্যাবলস দর হারিয়েছে ৬.২২ শতাংশ।
সব মিলিয়ে ৪টি কোম্পানি ৯ শতাংশের বেশি, ৪টি কোম্পানি ৮ শতাংশের বেশি, একটি কোম্পানি ৭ শতাংশের বেশি, ৪টি কোম্পানি ৬ শতাংশের বেশি, ৭টি কোম্পানি ৫ শতাংশের বেশি, ১২টি কোম্পানি ৪ শতাংশের বেশি, ২৬টি কোম্পানি ৩ শতাংশের বেশি, ৩৯টি কোম্পানি ৪ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।
এগুলোর মধ্যে বড় মূলধনি কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। ফলে এই দরপতন সূচকে প্রভাব ফেলেছে কমই।
সূচক নিচের দিকে সবচেয়ে বেশি টেনে ধরেছে ১.৮৩ শতাংশ দর হারানো বেক্সিমকো লিমেটেড। এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট দুই শতাংশের বেশি দর হারিয়ে সূচক টেনে ধরায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।
আগ্রহের ১০ কোম্পানি
দরপতন হলেও লেনদেনের শীর্ষে যথারীতি বেক্সিমকো লিমিটেড। এই একটি কোম্পানিরই ১৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা দর হারাতে থাকার পর বিকাশের শেয়ার বিক্রির ইস্যুতে উত্থান ঘটা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।
আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলো হলো ওরিয়ন ফার্মা, জেনেক্সিল ইনফোসিস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, এনআরবিসি, কাট্টালি টেক্সটাইল ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক ছাড়া দিনটি ভালো গেছে বলা চলে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে ৭টিরই দর বেড়েছে। কমেছে বাকি ৪টির।
অন্যগুলোতে দিনটি ভালো যায়নি বলাই চলে। সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩টির, কমেছে চারটির
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ৮টির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত আর কমেছে বাকি ৩৩টির দর।
ব্যাংকবহির্ভুত আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১১টির, আর দর ধরে রাখতে পেরেছে ২টি কোম্পানি।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির, একটি দর ধরে রাখতে পেরেছে, হারিয়েছে বাকি ১৩টি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৭টির দর, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত, কমেছে বাকি ১৫টির দর।
বিমা খাতে ৫২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১৪টির দর, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত, কমেছে বাকি ৩৭টির দর।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১১টিই। বেড়েছে বাকি ৩টির দর।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে দর বেড়েছে ১১টির, দর হারিয়েছে ৮টি, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৭টির দর। যেগুলোর দর বেড়েছে বা কমেছে, সেগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের দর পাল্টেছে ১০ পয়সা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯টির। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন হয়নি আরও একটির। কমেছে বাকি ২১টির দর।
আর বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল নয়টির, লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে স্থগিত ছিল তিনটির দর, ৬টির দর পাল্টায়নি। কমেছে বাকি ৪০টির দর।
আরও পড়ুন:
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য