করোনার বিধিনিষেধ শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নামিদামি কোম্পানিগুলো দারুণ আয় করে শেয়ারধারীদেরকে আশাবাদী করে তুলতে পারলেও এক গাদা কোম্পানি আবার তাদের বিনিয়োগকারীদের হতাশার কারণ হয়েছে।
এসব কোম্পানির বেশিরভাগ গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে লোকসান দিয়েছিল। কোনো কোনো কোম্পানি মুনাফা করে এবার লোকসান দিয়েছে।
রোববার যেসব কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে অনেকগুলোই মুনাফা করতে পারেনি। এর আগেও বেশ কিছু কোম্পানি লোকসান দেয়ার তথ্য জানিয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু কোম্পানির গত এক বছর লোকসান দেয়ার পেছনে করোনা মহামারির প্রভাব ছিল। সরকারের পক্ষ থেকেই কোম্পানি বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্তও এসেছিল। ফলে চলমান একটি কোম্পানি যখন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা লাগে।’
তিনি বলেন, ‘কোম্পানি আবার চালু করতে গেলে অনেক কিছু গুছিয়ে নিতে হয়। রপ্তানিমুখি কোম্পানি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আবার নতুন করে যোগাযোগ করতে হয়। ফলে সেই সময়ের উৎপাদন ও মার্কেটিংয়ের যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল সেটি অনেক কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনেকটাই দৃশমান।’
এই বিশ্লেষক বলেন, ‘বেশ কিছু দুর্বল ও বন্ধ কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হিসাব খাটে না। বছরের পর বছর এসব লোকসান দিয়ে আসছে। আবার সেগুলোর শেয়ার লেনদেন নিয়ে প্রায় সময়ই কারসাজি হয়। এগুলোর বিষয়ে এখন নজর দেয়া উচিত।’
তবে এখন পর্যন্ত যেসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, তাতে আশাবাদী হয়ে উঠার কারণ দেখেছেন দেবব্রত। বলেন, ‘গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের লোকসানের তুলনায় অনেক কোম্পানির লোকসান কমেও এসেছে। কিছু কোম্পানি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। অনেক কোম্পানির আয় বেড়েছে।’
লোকসানে বছর শুরু যাদের
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক
কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৭ টাকা ৩৯ পয়সা।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫৭ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৬৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯১ পয়সা।
ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোড
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২ পয়সা।
জাহিন স্পিনিং মিলস
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ২৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ২ পয়সা।
জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারে সম্পদ ছিল ৮ টাকা ৭৮ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ৬ টাকা ২ পয়সা।
আফতাব অটো
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই লোকসান ছিল ২০ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৬০ টাকা।
ইয়াসিন পলিমার
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৪৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯৮ পয়সা।
কেপিসিএল
কোম্পানিটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯১ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ২২ টাকা ৭ পয়সা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৪১ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা।
অলিম্পিক একসেসোরিজ
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
ফাইন ফুডস
প্রথম প্রান্তিক কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৬ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে এই লোকসান ছিল ১২ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫৪ পয়সা।
জেনারেশন নেক্সট
কোম্পানি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে শেয়ারে লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
লোকসানের কারণে এই কোম্পানিটির সম্পদ কিছুটা কমে গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৫ পয়সা।
ফার কেমিক্যালের
কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৩ টাকা ৬৮ পয়সা।
রোববারের আগেও বেশ কিছু কোম্পানির লোকসান দেয়ার প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে আছে:
শ্যামপুর সুগার
রাষ্ট্রায়ত্ত এই চিনিকলটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ২৫ টাকা ১৫ পয়সা।
ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে কোনো সম্পদ নেই। সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪ টাকা ৫২ পয়সা।
জিলবাংলা সুগার
এটিও রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল এবং লোকসানি। সেপ্টেম্বরে প্রথম প্রান্তিক শেষে এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল ১৯ টাকা ৩৬ পয়সা।
ক্রমাগত লোকসানের কারণে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ৮১৭ টাকা ৪৩ পয়সা।
জুট স্পিনার্স
কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১০ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১১ টাকা ১৬ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই। উল্টো বছরের পর বছর লোকসানের কারণে শেয়ারের বিপরীতে দায় দাঁড়িয়েছে ৪০৪ টাকা ৪১ পয়সা।
রেনউইক যগেশ্বর
এই কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫ টাকা ৯২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল ৪০ পয়সা।
টানা লোকসানের কারণে এই কোম্পানিটিরও শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই। উল্টো একেকটি মেয়ারের বিপরীত দায় দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১৭ পয়সা।
অলটেক্স
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬২ পয়সা।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা।
ইস্টার্ন ক্যাবলস
সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৪১ পয়সা।
ওসমানিয়া গ্লাস
এই কোম্পানিটি গত সেপ্টেম্বরে প্রথম প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৩ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ৮৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সম্পদ ছিল ৯০ টাকা ৫১ পয়সার।
এটলাস বাংলাদেশ
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫২ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকা।
ইভিন্স টেক্সটাইলের
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান ছিল ৩০ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১২ টাকা ৮৪ পয়সা।
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৭ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৪৪ পয়সা।
আনলিমা ইয়ার্ন
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪৮ পয়সা।
খান ব্রাদার্স
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬ পয়সা।
এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৯ পয়সা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য