করোনার বিধিনিষেধ শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নামিদামি কোম্পানিগুলো দারুণ আয় করে শেয়ারধারীদেরকে আশাবাদী করে তুলতে পারলেও এক গাদা কোম্পানি আবার তাদের বিনিয়োগকারীদের হতাশার কারণ হয়েছে।
এসব কোম্পানির বেশিরভাগ গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে লোকসান দিয়েছিল। কোনো কোনো কোম্পানি মুনাফা করে এবার লোকসান দিয়েছে।
রোববার যেসব কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে অনেকগুলোই মুনাফা করতে পারেনি। এর আগেও বেশ কিছু কোম্পানি লোকসান দেয়ার তথ্য জানিয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু কোম্পানির গত এক বছর লোকসান দেয়ার পেছনে করোনা মহামারির প্রভাব ছিল। সরকারের পক্ষ থেকেই কোম্পানি বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্তও এসেছিল। ফলে চলমান একটি কোম্পানি যখন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা লাগে।’
তিনি বলেন, ‘কোম্পানি আবার চালু করতে গেলে অনেক কিছু গুছিয়ে নিতে হয়। রপ্তানিমুখি কোম্পানি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আবার নতুন করে যোগাযোগ করতে হয়। ফলে সেই সময়ের উৎপাদন ও মার্কেটিংয়ের যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল সেটি অনেক কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনেকটাই দৃশমান।’
এই বিশ্লেষক বলেন, ‘বেশ কিছু দুর্বল ও বন্ধ কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হিসাব খাটে না। বছরের পর বছর এসব লোকসান দিয়ে আসছে। আবার সেগুলোর শেয়ার লেনদেন নিয়ে প্রায় সময়ই কারসাজি হয়। এগুলোর বিষয়ে এখন নজর দেয়া উচিত।’
তবে এখন পর্যন্ত যেসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, তাতে আশাবাদী হয়ে উঠার কারণ দেখেছেন দেবব্রত। বলেন, ‘গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের লোকসানের তুলনায় অনেক কোম্পানির লোকসান কমেও এসেছে। কিছু কোম্পানি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে। অনেক কোম্পানির আয় বেড়েছে।’
লোকসানে বছর শুরু যাদের
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক
কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৭ টাকা ৩৯ পয়সা।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫৭ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৬৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯১ পয়সা।
ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোড
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২ পয়সা।
জাহিন স্পিনিং মিলস
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ২৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ২ পয়সা।
জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারে সম্পদ ছিল ৮ টাকা ৭৮ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ৬ টাকা ২ পয়সা।
আফতাব অটো
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই লোকসান ছিল ২০ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৬০ টাকা।
ইয়াসিন পলিমার
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৪৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯৮ পয়সা।
কেপিসিএল
কোম্পানিটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯১ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ২২ টাকা ৭ পয়সা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৪১ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা।
অলিম্পিক একসেসোরিজ
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
ফাইন ফুডস
প্রথম প্রান্তিক কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৬ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে এই লোকসান ছিল ১২ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫৪ পয়সা।
জেনারেশন নেক্সট
কোম্পানি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে শেয়ারে লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
লোকসানের কারণে এই কোম্পানিটির সম্পদ কিছুটা কমে গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৫ পয়সা।
ফার কেমিক্যালের
কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৩ টাকা ৬৮ পয়সা।
রোববারের আগেও বেশ কিছু কোম্পানির লোকসান দেয়ার প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে আছে:
শ্যামপুর সুগার
রাষ্ট্রায়ত্ত এই চিনিকলটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ২৫ টাকা ১৫ পয়সা।
ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে কোনো সম্পদ নেই। সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪ টাকা ৫২ পয়সা।
জিলবাংলা সুগার
এটিও রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল এবং লোকসানি। সেপ্টেম্বরে প্রথম প্রান্তিক শেষে এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল ১৯ টাকা ৩৬ পয়সা।
ক্রমাগত লোকসানের কারণে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ৮১৭ টাকা ৪৩ পয়সা।
জুট স্পিনার্স
কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১০ টাকা ৮৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১১ টাকা ১৬ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই। উল্টো বছরের পর বছর লোকসানের কারণে শেয়ারের বিপরীতে দায় দাঁড়িয়েছে ৪০৪ টাকা ৪১ পয়সা।
রেনউইক যগেশ্বর
এই কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫ টাকা ৯২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল ৪০ পয়সা।
টানা লোকসানের কারণে এই কোম্পানিটিরও শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই। উল্টো একেকটি মেয়ারের বিপরীত দায় দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১৭ পয়সা।
অলটেক্স
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬২ পয়সা।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা।
ইস্টার্ন ক্যাবলস
সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৪১ পয়সা।
ওসমানিয়া গ্লাস
এই কোম্পানিটি গত সেপ্টেম্বরে প্রথম প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৩ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ৮৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সম্পদ ছিল ৯০ টাকা ৫১ পয়সার।
এটলাস বাংলাদেশ
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫২ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকা।
ইভিন্স টেক্সটাইলের
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান ছিল ৩০ পয়সা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১২ টাকা ৮৪ পয়সা।
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৭ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৪৪ পয়সা।
আনলিমা ইয়ার্ন
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা।
সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪৮ পয়সা।
খান ব্রাদার্স
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬ পয়সা।
এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৯ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য