নতুন অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল, শাশা ডেনিম ও হাওয়েল টেক্সটাইল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করতে পেরেছে।
দুই কোম্পানি প্রাইম টেক্সটাইল ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস আগের বছরের এই সময়ে বড় লোকসান দিলেও এবার চাপ কাটিয়ে ফিরেছে মুনাফায়। আরেক কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট লোকসানে থাকলেও তা কমাতে পেরেছে।
তবে আরেক কোম্পানি প্যাসিফিক ডেনিমের সময়টি ভালো গেল না। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের আয় কমে গেছে।
রোববার এই চারটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পর প্রকাশ করেছে।
করোনার বছরে কোম্পানিগুলোর গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে খুব একটা ভালো করেছে, এমন নয়। তবে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে ফেরার পর পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে।
এর আগেও বস্ত্র খাতের যেসব কোম্পানি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করতে পেরেছে।
মুনাফায় চমক যেসব কোম্পানির
স্কয়ার টেক্সটাইল
স্কয়ার টেক্সটাইল অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ গুণের বেশি আয় করতে পেরেছে।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা আয় হয়েছে কোম্পানিটির। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২২ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদও বেড়েছে। গত ৩০ জুন এই সম্পদ ছিল ৩৮ টাকা ৬৯ পয়সা। সেটি তিন মাসেই বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা ৯৯ পয়সা।
গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৪১ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারে ২ টাকা।
শাশা ডেনিম
অর্থবছরের শুরুটা দারুণ হয়েছে এই কোম্পানিটিরও। প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চার গুণ আয় করতে পেরেছে তারা।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৪৩ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি গত বছর একই সময়ে আয় করতে পেরেছিল ১১ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২ পয়সা আয় করে ১ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি বেড়েছে সম্পদও।
গত জুন শেষেও শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৪১ টাকা ৯৭ পয়সা, যেটি তিন মাস পর বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা ৭০ পয়সা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল
ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা এই কোম্পানিটি আয় বাড়াতে পেরেছে দ্বিগুণেরও বেশি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৩ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪২ পয়সা বা ১২৭.২৭ শতাংশ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫ পয়সা আয় করে ২ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির সম্পদও গত তিন মাসে খানিকটা বেড়েছে।
জুন শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৮২ টাকা ৩০ পয়সা, সেটি বেড়ে হয়েছে ৮৩ টাকা ৮ পয়সা।
হাওয়েল টেক্সটাইল
কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করতে পেরেছে ৯৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫৮ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ৬৮.৯৬ শতাংশ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ১ পয়সা আয় করে ২ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটি সম্পদও বেড়েছে।
গত ৩০ জুন শেষে শেয়ারপ্রতি ৩১ টাকা ৫৬ পয়সা সম্পদ থাকা কোম্পানিটির সম্পদ তিন মাস পর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৫৪ পয়সা।
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ
কোম্পানিটি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১৬ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা। আয় বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ৬০ শতাংশ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৬৪ পয়সা আয় করে ২৫ পয়সা করে নগদের পাশাপাশি আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ২৯ টাকা ৩৫ পয়সার, তিন মাস পর যেটি বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ৫১ পয়সা।
নিউলাইন ক্লথিংয়
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই কোম্পানিটির আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বেড়েছে সম্পদও।
অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ার প্রতি ৫৫ পয়সা আয় করতে পেরেছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ১০ পয়সা বা ২২.২২ শতাংশ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারে ১ টাকা ৬২ পয়সা আয় করে ১ টাকা সাড়ে ২২ পয়সা করে লভাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির সম্পদও খানিকটা বেড়েছে।
৩০ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ২৪ টাকা ২ পয়সা, তিন মাস পর সেটি বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ৫৮ পয়সা।
ড্রাগন স্যোয়েটার
এই কোম্পানিটি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় আয় ২০ শতাংশ বাড়াতে পেরেছে।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩০ পয়সা। সেটি এবার হয়েছে শেয়ার প্রতি ৩৬ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২২ পয়সা আয় করে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ৯৮ পয়সার। তিন মাসে এই সম্পদ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে শেয়ার প্রতি ১৮ টাকা ৮ পয়সা।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ২৭ পয়সা আয় করে শেয়ার প্রতি ২ টাকা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২৭ টাকা ২৪ পয়সার। তিন মাসে এই সম্পদ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে শেয়ার প্রতি ২৮ টাকা ৬৭ পয়সা।
ভিএসএফ থ্রেড
এই কোম্পানিটি গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৪০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা আয় করে ১ টাকা ১১ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সার।
সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
মুন্নু ফেব্রিক্স
ওটিসি থেকে ফেরা এই কোম্পানিটির আয় বাড়লেও সেটি একেবারেই নগণ্য।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ পয়সা। সেটি এবার হয়েছে শেয়ার প্রতি ২ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৬ পয়সা আয় করলেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২৭ টাকা ৩৭ পয়সার। তিন মাসে এই সম্পদও শেয়ারে এক পয়সা করে বেড়েছে।
লোকসান থেকে মুনাফায়
অন্তত তিনটি কোম্পানি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের লোকসান থেকে বের হয়ে এবার মুনাফায় ফিরেছে।
মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং
২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৪২ পয়সা লোকসানে ছিল। পরের প্রান্তিকগুলোতে মুনাফায় ফিরলেও বছর শেষে লোকসানি প্রতিষ্ঠানই থেকে যায় তারা। তবে এর মধ্যেও শেয়ারে ৩০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এবার প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২৪ পয়সা আয় করে কোম্পানিটি সুদিনে ফেরার ইঙ্গিত দিল।
এই কোম্পানিটিরও আয়ের পাশাপাশি সম্পদ বেড়েছে। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ১৬ পয়সা। তিন মাস পরেই তা বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টস
এই কোম্পানিটিও গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান দিয়েছিল। এবার দেখেছে মুনাফার মুখ।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দিয়েছিল ৭৩ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৪০ পয়সা আয় হয় কোম্পানিটির। সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারের বিপরীতে ৫০ পয়সা আর উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে ৩০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা এসেছে।
অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৯ টাকা ৪৩ পয়সার। তিন মাস পরে সেটি বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ১৫ পয়সা।
প্রাইম টেক্সটাইল
গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোজাফফরের চেয়ে বেশি লোকসান ছিল প্রাইম টেক্সটাইলের। ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৯৬ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এবার একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় করতে পেরেছে ১৪ পয়সা।
গত তিন মাসে আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদও বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে সম্পদ ছিল ৬৭ টাকা ৯৩ পয়সা।
লোকসান কমল
গত কয়েক বছর ধরে চাপে থাকা জেনারেশন নেক্সট এই সময়ে মুনাফা করতে না পারলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। কারণ, তারা লোকসান কমাতে পেরেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে শেয়ারে লোকসান ছিল ৮ পয়সা।
লোকসানের কারণে এই কোম্পানিটির সম্পদ কিছুটা কমে গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। ৩০ জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১১ টাাক ৯১ পয়সার।
গত দুই অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১ পয়সা করে আয় করা কোম্পানিটি টানা দ্বিতীয় বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
লোকসানে থাকলেও অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের বিনিয়োগকারীদেরকেও। এই সময়ে শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪১ পয়সা করে। লোকসান কমেছে ৮০ শতাংশের বেশি।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ১১ টাকা ৮ পয়সা। সেটি তিন মাস পরে আরও খানিকটা কমে হয়েছে ১১ টাকা।
আয় কমল
ওপরের পাঁচটি কোম্পানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভালো করতে পারলেও প্যাসিফিক ডেনিমের বছরের শুরুটা ভালো হয়নি।
এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১৯ পয়সা।
গত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২২ পয়সা আয় করে ১০ পয়সা নগদ ও ১ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটিরও সম্পদ কিছুটা বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেয়ারে সম্পদ ছিল ১৩ টাকা ৫৪ পয়সার। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৬৪ পয়সা।
এম এল ডায়িংয়েরও আয় কমে গেছে। কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩২ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৬২ পয়সা আয় করে এক টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৫ টাকা ৭৫ পয়সা। তিন মাস পরে সেটি খানিকটা বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৯৮ পয়সা।
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজেরও প্রথম প্রান্তিকে আয় কমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছে।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আয় ছিল ৩২ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৯০ পয়সা আয় হয় কোম্পানিটির। এ থেকে লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারপ্রতি ৪০ পয়সা করে দেয়ার ঘোষণা এসেছে।
আয় কমলেও কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ কিছুটা বেড়েছে। গত জুন শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২১ টাকা ৮২ পয়সার। তিন মাসে সেটি বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ৯৯ পয়সা।
এপেক্স স্পিনিংয়েরও আয় কিছুটা কমেছে।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৭১ পয়সা। সেটি সামান্য কমে এবার হয়েছে ৬৫ পয়সা।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে ২ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
লোকসান বাড়ল
বছরের শুরুটা খারাপ হয়েছে জাহিন স্পিনিং মিলসের। বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ২৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫২ পয়সা লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটির সম্পদও কমেছে।
জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারে সম্পদ ছিল ৮ টাকা ৭৮ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ৬ টাকা ২ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য