× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bloody Narsingdi 10 deaths in 15 days
google_news print-icon

নির্বাচনে রক্তাক্ত নরসিংদী, ১৫ দিনে ১০ মৃত্যু

নির্বাচনে-রক্তাক্ত-নরসিংদী-১৫-দিনে-১০-মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল চারটি। এর মধ্যে আলোকবালী, চরদীঘলদী ও করিমপুরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। রায়পুরার চরাঞ্চলেও নিয়মিত সংঘর্ষ হয়। এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই একাধিক পক্ষ রয়েছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

নরসিংদীতে সহিংসতা ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। প্রচার ও ভোটের দিনের সহিংসতায় তিন ইউপিতে এখানে মাত্র ১৫ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। পুলিশসহ আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, নরসিংদীর চরাঞ্চলগুলোতে আগে থেকেই সংঘর্ষ হয়ে আসছে। তুচ্ছ ঘটনায়ও এখানকার বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচন সেই দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তাদের অভিযোগ, এখানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংঘর্ষ থামাতে রাজনৈতিক দলের নেতারা কখনও পদক্ষেপ নেননি, বরং তারা এটিকে ব্যবহার করে আসছেন। এ কারণে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বজায় রাখা ও প্রতিপক্ষকে দমাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মেতে উঠেছিলেন গ্রামপতিরা।

দেশে দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে নরসিংদী সদর উপজেলার দুটি এবং রায়পুরার ১০টিতে ভোট হয় ১১ নভেম্বর। নির্বাচনকে ঘিরে এখানে বিভিন্ন বিবাদী দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১০ জন হলেন বাঁশগাড়ি গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়া, দুলাল মিয়া ও জাহাঙ্গীর; কাচারিকান্দি এলাকার সাদিব মিয়া ও হিরণ মিয়া; নেকজানপুর গ্রামের আমির হোসেন ও একই গ্রামের আশরাফুল, খুশি বেগম এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজন।

স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল চারটি। এর মধ্যে আলোকবালী, চরদীঘলদী ও করিমপুরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। রায়পুরার চরাঞ্চলেও নিয়মিত সংঘর্ষ হয়। এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই একাধিক পক্ষ রয়েছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

নির্বাচনে রক্তাক্ত নরসিংদী, ১৫ দিনে ১০ মৃত্যু

জেলায় নির্বাচনি সহিংসতার শুরু রায়পুরার পাড়াতলী ইউনিয়ন থেকে। ২৮ অক্টোবর এখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের কাচারিকান্দি এলাকার ইউপি সদস্য শাহ আলম এবং একই গ্রামের ছোট শাহ আলমের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে ছয় মাস এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছোট শাহ আলমের পক্ষের দুজন নিহত হন। ওই ঘটনায় ইউপি সদস্য শাহ আলমের পক্ষের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সেই পক্ষ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে।

২৮ অক্টোবর তারা শাহ আলম মেম্বারের সদস্যরা টেঁটা, বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে ছোট শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালান। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছোট শাহ আলম গ্রুপের সাদির ও হিরন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার পাঁচ দিন পর আহত সুলমান মিয়া নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পর সাব মিয়া নামে একজনকে দুটি পাইপগান ও ৩টি রাবার বুলেটসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

৪ নভেম্বর সংঘর্ষ হয় আলোকবালী ইউনিয়নে। পুলিশ জানায়, আলোকবালীর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহর মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কিছুদিন আগে তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংষর্ষও হয়।

আলোকবালী ইউপি নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন আসাদুল্লাহ আসাদ। পরে অবশ্য নেতা-কর্মীদের চাপে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

তবে এ নিয়ে আসাদুল্লাহ সমর্থক মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা ও দীপু সমর্থক মেম্বার প্রার্থী আবু খায়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে রিপন মোল্লার সমর্থকরা ৪ নভেম্বর সকালে টেঁটা, বল্লম ও অস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামে আবু খায়ের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। পরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। ঢাকায় নেয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউপিতে ভোটের আগের রাতে সংঘর্ষে জড়ায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হক ও বিদ্রোহী প্রার্থী রাতুল হাসান জাকিরের পক্ষ। আতঙ্ক সৃষ্টি, আধিপত্য বিস্তার ও মাঠ দখল করতে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ান।

বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুলের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকিরের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন প্রাণ হারান। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাঁশগাড়িতে নিহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, তার স্বামী ঢাকার গাজীপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। ভোট দেয়ার জন্য তিনি বাড়িতে যান। নৌকার প্রার্থীর লোকজন তাদের বাড়িতে গিয়ে সালাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করেন।

নিহত জাহাঙ্গীরের বোন ফুলমালা জানান, তার ভাই মালয়েশিয়াপ্রবাসী। ছয় মাস আগে দেশে ফিরে এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রার্থীর লোকজন জাল ভোট দিচ্ছে- এমন তথ্য পেয়ে বের হওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আমির হোসেনের পক্ষের গুলিতে তিনি নিহত হন।

ভোটের দিন চসুবুদ্ধি ইউনিয়নেও সংঘর্ষ হয়েছে। এ কারণে মহিষবের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নাসির উদ্দীন ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নিয়ামত ও আনসার সদস্য কাউসারসহ অনেকে আহত হন।

নির্বাচনে রক্তাক্ত নরসিংদী, ১৫ দিনে ১০ মৃত্যু

স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনীতিবিদ ও পুলিশ জানিয়েছে, নির্বাচনে রায়পুরায় রক্ত ঝরার আরেক কারণ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ায় হতাহত বেশি হয়েছে।

তবে এবার নির্বাচনের সময় হওয়া সংঘর্ষে যুক্ত হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন গুলিতে।

আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ার বিষয়টি র‌্যাবের অভিযানেও বোঝা গেছে। ভোটের দুই দিন আগে ৯ নভেম্বর নরসিংদীর চরাঞ্চলের আলোকবালী, রায়পুরার মির্জারচর ও নিলক্ষাচরে অভিযান চালায় বাহিনীটি। ওই সময় স্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১টি রিভালবার, রিভালবারের ২টি গুলি, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ১টি শটগান, শটগানের ২৯টি গুলি, ১টি ওয়ান শুটারগান, তিনটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ৬টি রামদাসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ১২ জনকে।

চরাঞ্চলের ভঙ্গুর যোগাযোগব্যবস্থার বিষয়টিও উঠে এসেছে তাদের কথায়। তারা জানান, দুর্গম হওয়ায় এখানে পুলিশের নজরদারি কম। দুর্গম চরাঞ্চল এবং অন্য জেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় খুব সহজেই অপরাধীরা গা ডাকা দিতে পারে।

রায়পুরার একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুই যুগের বেশি সময় ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় এমন সহিংস ঘটনা ঘটছে। উপজেলার চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নে প্রায়ই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেঁটা, বল্লম, দা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ান। আর এর ফায়দা লোটেন গুটি কয়েক নেতা আর গ্রাম্য মোড়ল।

তারা কখনও এ দল কখনও অন্য দলকে সমর্থন দেন। এভাবেই গ্রামবাসীকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ লোটেন মোড়লরা। তবে এবার ভয়াবহ বিষয়টি হলো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার।

আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের বিষয়টিও উঠে এসেছে। ১০ জনের সবাই মারা গেছেন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমান উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই চরাঞ্চলগুলোতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলছে। এত বছরে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে দেখিনি।

‘সবই নিজেদের আধিপত্য ও স্বার্থ হাসিলের জন্য আপস করে নেয়। আর যারা এগুলো থামাবেন, তারাই এসব নিয়মিত উসকে দিচ্ছেন। চার-পাঁচটা ঘটনার বিচার হলেই এসব থেমে যেত।’

আলোকবালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুন হাসান সরকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল আর আধিপত্যের কারণে আজকে আলোকবালীতে এ ধরনের সহিংসতা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, আলোকবালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে।

‘আজকে আমি আওয়ামী লীগের লোক হয়েও গত কয়েক বছর ধরে বাড়িছাড়া। শুধু আলোকবালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদের কারণে।’

নরসিংদী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘চরাঞ্চলগুলোর এই সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। মূলত আধিপত্য বিস্তারের জন্যই দুই দলে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

‘রাজনৈতিক বিভাজনের সুযোগ নিয়ে তারা এসব চালিয়ে যেতে পারছে। এসব থামাতে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারছি না।’

তবে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব হোসেন বলেন, ‘আলোকবালীর নির্বাচনি সহিংসতায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্বে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এর মধ্যে কারও ইন্ধন থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দলীয় কোনো প্রভাব নেই।

‘পুলিশ তদন্ত করে যা পাবে সেটাই হবে। এটাতে আমাদের বলার কিছু নেই। হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে যা নিশ্চিত করবে, আমরা তাতেই সহমত পোষণ করব।’

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, কাচারিকান্দি ও আলোকবালীর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভোটের দিন সহিংসতায় যারা মারা গেছেন তাদের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চরে সহিংসতা এড়াতে এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ যতই চেষ্টা করুক যদি সমাজের মানুষের মধ্যে পরিবর্তন না আসে, তাহলে এ বর্বরতা কমবে না। আমি রায়পুরা ও সদরের চরাঞ্চলের কয়েকটি বিষয় লক্ষ করে দেখলাম চরাঞ্চলের শিশু-কিশোরদের মধ্যে পর্যন্ত এ ধরনের হানাহানির বিষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

‘এ বয়সে যারা মাটির পুতুল বা খেলাধুলা নিয়ে থাকার কথা, এমন শিশুরা কাগজ দিয়ে টেঁটা-বল্লম তৈরি করে। আর সেগুলো দিয়েই তারা খেলাধুলা করে। যদি এমনটাই চলতে থাকে, তাহলে চরাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’

আরও পড়ুন:
ইউপি সদস্য হত্যা: ঘরে আগুন পুলিশের সামনেই
ফিলিপিনো পেট্রিয়াকার রাধাকানাই জয়
ইউপি সদস্য হত্যা: সড়কে বিক্ষুব্ধ জনতা
স্বতন্ত্র প্রার্থীর মি‌ছি‌লে হামলা, আহত ১০
নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ‘হত্যাকারীর’ বাড়িতে আগুন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে