× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bloody Narsingdi 10 deaths in 15 days
google_news print-icon

নির্বাচনে রক্তাক্ত নরসিংদী, ১৫ দিনে ১০ মৃত্যু

নির্বাচনে-রক্তাক্ত-নরসিংদী-১৫-দিনে-১০-মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল চারটি। এর মধ্যে আলোকবালী, চরদীঘলদী ও করিমপুরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। রায়পুরার চরাঞ্চলেও নিয়মিত সংঘর্ষ হয়। এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই একাধিক পক্ষ রয়েছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

নরসিংদীতে সহিংসতা ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। প্রচার ও ভোটের দিনের সহিংসতায় তিন ইউপিতে এখানে মাত্র ১৫ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। পুলিশসহ আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, নরসিংদীর চরাঞ্চলগুলোতে আগে থেকেই সংঘর্ষ হয়ে আসছে। তুচ্ছ ঘটনায়ও এখানকার বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচন সেই দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তাদের অভিযোগ, এখানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংঘর্ষ থামাতে রাজনৈতিক দলের নেতারা কখনও পদক্ষেপ নেননি, বরং তারা এটিকে ব্যবহার করে আসছেন। এ কারণে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বজায় রাখা ও প্রতিপক্ষকে দমাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মেতে উঠেছিলেন গ্রামপতিরা।

দেশে দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে নরসিংদী সদর উপজেলার দুটি এবং রায়পুরার ১০টিতে ভোট হয় ১১ নভেম্বর। নির্বাচনকে ঘিরে এখানে বিভিন্ন বিবাদী দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১০ জন হলেন বাঁশগাড়ি গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়া, দুলাল মিয়া ও জাহাঙ্গীর; কাচারিকান্দি এলাকার সাদিব মিয়া ও হিরণ মিয়া; নেকজানপুর গ্রামের আমির হোসেন ও একই গ্রামের আশরাফুল, খুশি বেগম এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজন।

স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল চারটি। এর মধ্যে আলোকবালী, চরদীঘলদী ও করিমপুরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। রায়পুরার চরাঞ্চলেও নিয়মিত সংঘর্ষ হয়। এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই একাধিক পক্ষ রয়েছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

নির্বাচনে রক্তাক্ত নরসিংদী, ১৫ দিনে ১০ মৃত্যু

জেলায় নির্বাচনি সহিংসতার শুরু রায়পুরার পাড়াতলী ইউনিয়ন থেকে। ২৮ অক্টোবর এখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের কাচারিকান্দি এলাকার ইউপি সদস্য শাহ আলম এবং একই গ্রামের ছোট শাহ আলমের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে ছয় মাস এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছোট শাহ আলমের পক্ষের দুজন নিহত হন। ওই ঘটনায় ইউপি সদস্য শাহ আলমের পক্ষের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সেই পক্ষ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে।

২৮ অক্টোবর তারা শাহ আলম মেম্বারের সদস্যরা টেঁটা, বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে ছোট শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালান। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছোট শাহ আলম গ্রুপের সাদির ও হিরন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার পাঁচ দিন পর আহত সুলমান মিয়া নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পর সাব মিয়া নামে একজনকে দুটি পাইপগান ও ৩টি রাবার বুলেটসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

৪ নভেম্বর সংঘর্ষ হয় আলোকবালী ইউনিয়নে। পুলিশ জানায়, আলোকবালীর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহর মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কিছুদিন আগে তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংষর্ষও হয়।

আলোকবালী ইউপি নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন আসাদুল্লাহ আসাদ। পরে অবশ্য নেতা-কর্মীদের চাপে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

তবে এ নিয়ে আসাদুল্লাহ সমর্থক মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা ও দীপু সমর্থক মেম্বার প্রার্থী আবু খায়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে রিপন মোল্লার সমর্থকরা ৪ নভেম্বর সকালে টেঁটা, বল্লম ও অস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামে আবু খায়ের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। পরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। ঢাকায় নেয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউপিতে ভোটের আগের রাতে সংঘর্ষে জড়ায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল হক ও বিদ্রোহী প্রার্থী রাতুল হাসান জাকিরের পক্ষ। আতঙ্ক সৃষ্টি, আধিপত্য বিস্তার ও মাঠ দখল করতে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ান।

বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুলের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকিরের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন প্রাণ হারান। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাঁশগাড়িতে নিহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, তার স্বামী ঢাকার গাজীপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। ভোট দেয়ার জন্য তিনি বাড়িতে যান। নৌকার প্রার্থীর লোকজন তাদের বাড়িতে গিয়ে সালাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করেন।

নিহত জাহাঙ্গীরের বোন ফুলমালা জানান, তার ভাই মালয়েশিয়াপ্রবাসী। ছয় মাস আগে দেশে ফিরে এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রার্থীর লোকজন জাল ভোট দিচ্ছে- এমন তথ্য পেয়ে বের হওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আমির হোসেনের পক্ষের গুলিতে তিনি নিহত হন।

ভোটের দিন চসুবুদ্ধি ইউনিয়নেও সংঘর্ষ হয়েছে। এ কারণে মহিষবের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নাসির উদ্দীন ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নিয়ামত ও আনসার সদস্য কাউসারসহ অনেকে আহত হন।

নির্বাচনে রক্তাক্ত নরসিংদী, ১৫ দিনে ১০ মৃত্যু

স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনীতিবিদ ও পুলিশ জানিয়েছে, নির্বাচনে রায়পুরায় রক্ত ঝরার আরেক কারণ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ায় হতাহত বেশি হয়েছে।

তবে এবার নির্বাচনের সময় হওয়া সংঘর্ষে যুক্ত হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। ১০ জনের সবাই নিহত হয়েছেন গুলিতে।

আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ার বিষয়টি র‌্যাবের অভিযানেও বোঝা গেছে। ভোটের দুই দিন আগে ৯ নভেম্বর নরসিংদীর চরাঞ্চলের আলোকবালী, রায়পুরার মির্জারচর ও নিলক্ষাচরে অভিযান চালায় বাহিনীটি। ওই সময় স্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১টি রিভালবার, রিভালবারের ২টি গুলি, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ১টি শটগান, শটগানের ২৯টি গুলি, ১টি ওয়ান শুটারগান, তিনটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ৬টি রামদাসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ১২ জনকে।

চরাঞ্চলের ভঙ্গুর যোগাযোগব্যবস্থার বিষয়টিও উঠে এসেছে তাদের কথায়। তারা জানান, দুর্গম হওয়ায় এখানে পুলিশের নজরদারি কম। দুর্গম চরাঞ্চল এবং অন্য জেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় খুব সহজেই অপরাধীরা গা ডাকা দিতে পারে।

রায়পুরার একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুই যুগের বেশি সময় ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় এমন সহিংস ঘটনা ঘটছে। উপজেলার চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নে প্রায়ই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেঁটা, বল্লম, দা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ান। আর এর ফায়দা লোটেন গুটি কয়েক নেতা আর গ্রাম্য মোড়ল।

তারা কখনও এ দল কখনও অন্য দলকে সমর্থন দেন। এভাবেই গ্রামবাসীকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ লোটেন মোড়লরা। তবে এবার ভয়াবহ বিষয়টি হলো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার।

আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের বিষয়টিও উঠে এসেছে। ১০ জনের সবাই মারা গেছেন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমান উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই চরাঞ্চলগুলোতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলছে। এত বছরে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে দেখিনি।

‘সবই নিজেদের আধিপত্য ও স্বার্থ হাসিলের জন্য আপস করে নেয়। আর যারা এগুলো থামাবেন, তারাই এসব নিয়মিত উসকে দিচ্ছেন। চার-পাঁচটা ঘটনার বিচার হলেই এসব থেমে যেত।’

আলোকবালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুন হাসান সরকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল আর আধিপত্যের কারণে আজকে আলোকবালীতে এ ধরনের সহিংসতা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, আলোকবালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে।

‘আজকে আমি আওয়ামী লীগের লোক হয়েও গত কয়েক বছর ধরে বাড়িছাড়া। শুধু আলোকবালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদের কারণে।’

নরসিংদী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘চরাঞ্চলগুলোর এই সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। মূলত আধিপত্য বিস্তারের জন্যই দুই দলে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

‘রাজনৈতিক বিভাজনের সুযোগ নিয়ে তারা এসব চালিয়ে যেতে পারছে। এসব থামাতে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারছি না।’

তবে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব হোসেন বলেন, ‘আলোকবালীর নির্বাচনি সহিংসতায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্বে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এর মধ্যে কারও ইন্ধন থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দলীয় কোনো প্রভাব নেই।

‘পুলিশ তদন্ত করে যা পাবে সেটাই হবে। এটাতে আমাদের বলার কিছু নেই। হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে যা নিশ্চিত করবে, আমরা তাতেই সহমত পোষণ করব।’

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, কাচারিকান্দি ও আলোকবালীর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভোটের দিন সহিংসতায় যারা মারা গেছেন তাদের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চরে সহিংসতা এড়াতে এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ যতই চেষ্টা করুক যদি সমাজের মানুষের মধ্যে পরিবর্তন না আসে, তাহলে এ বর্বরতা কমবে না। আমি রায়পুরা ও সদরের চরাঞ্চলের কয়েকটি বিষয় লক্ষ করে দেখলাম চরাঞ্চলের শিশু-কিশোরদের মধ্যে পর্যন্ত এ ধরনের হানাহানির বিষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

‘এ বয়সে যারা মাটির পুতুল বা খেলাধুলা নিয়ে থাকার কথা, এমন শিশুরা কাগজ দিয়ে টেঁটা-বল্লম তৈরি করে। আর সেগুলো দিয়েই তারা খেলাধুলা করে। যদি এমনটাই চলতে থাকে, তাহলে চরাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’

আরও পড়ুন:
ইউপি সদস্য হত্যা: ঘরে আগুন পুলিশের সামনেই
ফিলিপিনো পেট্রিয়াকার রাধাকানাই জয়
ইউপি সদস্য হত্যা: সড়কে বিক্ষুব্ধ জনতা
স্বতন্ত্র প্রার্থীর মি‌ছি‌লে হামলা, আহত ১০
নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ‘হত্যাকারীর’ বাড়িতে আগুন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Air Force Chief inaugurated the next development program in Feni

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।

অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে