পঞ্চগড়ের তালমা নদীতে নির্মিত রাবার ড্যাম ছয় বছর ধরে অকেজো পড়ে আছে। ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যামটি কোনো কাজে আসছে না। সেচ সুবিধা না পেয়ে ২০ গ্রামের দেড় হাজার হেক্টর জমি বোরো আবাদের বাইরে থাকছে।
প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা ক্যানেলগুলো ভরাট হতে চলেছে। কৃষক বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে অন্য ফসল আবাদের দিকে ঝুঁকছে। এদিকে নদী প্রায় পানিশূন্য হওয়ায় রাবার ড্যাম ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রটিও এখন জনমানব শূন্য।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) জানায়, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নদীতে ১০টি রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে পঞ্চগড় সদরের তালমা নদীতে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। একই সময়ে ওই নদীসংলগ্ন হাফিজাবাদ ও কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় সেচ সুবিধা দেয়ার জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পানি প্রবাহের ক্যানেল নির্মাণ করা হয়।
রাবার ড্যামের মাধ্যমে সেচ সুবিধায় আনার কথা ১৯ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমি। পরের বছর থেকে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা পায় ওই এলাকায় প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক শ মানুষ। বোরোসহ রবিশস্য চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। ড্যামের রাবার ব্যাগে বাতাস ঢুকিয়ে প্রায় ১২ ফুটের মতো ফোলানোর ফলে নদীর পানি ক্যানেল দিয়ে প্রবাহিত হতো বহুদূর পর্যন্ত। শুরুতে তালমা রাবার ড্যাম থেকে পূর্ব দিকে মামা-ভাগিনা ব্রিজ হয়ে উত্তরে বিশমনি পর্যন্ত এবং দক্ষিণে কুঁচিয়া মোড় পর্যন্ত কৃষক সেচ সুবিধা পেতেন।
কুড়িগ্রাম এজিইডি আরও জানায়, জালাসী, তালমা, চছপাড়া, বামনপাড়া, খোংগাপাড়া, ডিয়াবাড়ি, টেংনাপাড়া, বড়দহ, ঠুটাপাকুরী, পাথরডোবাসহ প্রায় ১০ গ্রামের কৃষক বোরো চাষ করতেন এই ড্যামের পানি দিয়েই। রাবার ড্যামটি সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। প্রত্যেক সদস্যকে ১২০ টাকা দিয়ে সদস্য হয়ে প্রতি মাসে ১০ টাকা করে সঞ্চয় জমা দিতে হয়। বর্তমান তালমা রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্যসংখ্যা ৪৬৫ জন।
রাবার ড্যামটি নির্মাণের পর প্রথম এক বছর পুরোদমে সুবিধা পাওয়ার পর থেকে স্বল্পপরিসরে সেচ সুবিধা পাচ্ছিলেন কৃষকরা। বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়ায় ২০১৪ সাল থেকে রাবার ড্যামটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ২০১৭ সালের বন্যায় ড্যামের পানিপ্রবাহের নালা বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০১৮ সালে সমিতির সহায়তায় এজিইডি রাবার ড্যামের পূর্ব অংশের রাবার ব্যাগের আট ইঞ্চি ফেটে যাওয়া অংশ সংস্কার করে পুনরায় চালু করে। কিন্তু রাবার ব্যাগ ৪-৫ ফুটের বেশি ফোলাতে না পারায় নদীতে বেশি পানি ধারণে ব্যর্থতার কারণে সেচ সুবিধা কমতে থাকে। বিশেষ করে ক্যানেলে পানি নিতে না পারার কারণে প্রকল্পের সব জমি সেচের বাইরে পড়ে থাকে।
নদীর উজানে কৃষকরা বোরো চাষ করায় ওই মৌসুমে রাবার ড্যামটি পুরোপুরি ফোলানো সম্ভব হয়নি বলে জানান সমিতির নেতারা। চলতি বছর ড্যামের রাবার ব্যাগ ফোলাতে গিয়ে সংস্কার করা অংশে আবারও এক মিটার ফেটে যায়। এর সংস্কারকাজ করতে না পারায় কিছুদিন পর দেখা যায় কে বা কারা এক মিটার ফাটা অংশের তিন মিটার কেটে দেয়।
কিছুদিন আগে এলজিইডি ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাবার ব্যাগের তিন মিটার কেটে দেয়াকে নাশকতা হিসেবে দেখছে রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ নিয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আর্থিক সহায়তায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রশাসন নদীর পূর্ব পাড়ে গড়ে তোলে তালমা রাবার ড্যাম পর্যটন কেন্দ্র। রাবার ড্যামের ব্যাগ ফোলাতে না পারায় নদী প্রায় পানিশূন্য। এ কারণে পর্যটন কেন্দ্রও পর্যটক শূন্য হতে থাকে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের খংগাপাড়া এলাকার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রাবার ড্যাম নির্মাণের পর প্রথম বছর আমরা এই এলাকায় সেচ দিতে পেরেছি। ওই বছর এক একর জমিতে বোরো আবাদ করেছিলাম। এরপর থেকেই রাবার ড্যামটি পর্যাপ্ত ফোলাতে না পারায় এলাকার চ্যানেলটি শূন্য পড়ে আছে। আমরা আর পানির দেখা পাইনি।’
তালমা রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ আল আমিন জুয়েল বলেন, ‘গত মৌসুমের শেষের দিকে ড্যামটি সংস্কার না হওয়ায় আমরা সুবিধা পাইনি। এবার অনেক আশা নিয়ে বোরো চাষ শুরু করি, হঠাৎ ড্যামের রাবার ব্যাগ ফেটে যাওয়ায় এবার আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছি। নদীতে পানি ধরে রাখতে না পারায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচযন্ত্রেও আমাদের তেমন উপকার হচ্ছে না। নদীসংলগ্ন জমিগুলোতে এমনিতেই বেশি পানির প্রয়োজন হয়।’
রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন বলেন, ‘এর আগেও দুইবার ড্যামটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন সমিতির মাধ্যমে এবং এলজিইডির সহায়তায় সংস্কার করা হয়। গত বছর আমরা রাবার ড্যামটি ছয় ফুটের মতো ফোলাতে পেরেছি। এবার মৌসুমের শুরুতেই ড্যামটি প্রায় দুই মিটার ফেটে যাওয়ায় আর ফোলানো সম্ভব হয়নি। ড্যাম এখন কৃষকের কোনো উপকারে আসছে না। বিষয়টি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলজিইডি আবারও রাবার ড্যামের ব্যাগ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে ড্যামের আশপাশের কিছু মানুষ আমাদের কমিটির লোকজনদের হুমকি দিয়ে বলে বেড়াচ্ছে, আগে তিন মিটার ফাটিয়েছি। আবার সংস্কারের উদ্যোগে নিলে গোটা রাবার ব্যাগ তারা নষ্ট করে দেবে। এতে কেউ বাধা দিলে পায়ের রগ কেটে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার পর থেকে আমরা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সব সদস্য শঙ্কায় আছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃষকের সুবিধার কথা বিবেচনা করে তালমা নদীতে রাবার ড্যামটি স্থাপন করা হয়। এই পানি আয়রনমুক্ত হওয়ায় এবং প্রচুর পলি থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির চেয়ে বেশি উপকারী। রাবার ড্যামটি ফুটো হয়ে অকেজো হয়ে পড়েছে।’
পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজোহা বলেন, ‘ফুটো হওয়ার কারণে রাবার ড্যামটি অচল হয়ে আছে। গত বছর সংস্কার হলেও এবার রাবার ব্যাগের গোড়ায় তিন মিটারের বেশি ফেটে রয়েছে, যা স্থানীয় জনবল দিয়ে সংস্কার সম্ভব নয়। চেষ্টা করছি আগামী মৌসুমের আগেই ড্যামটি সংস্কার করার।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসনে ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীর তীর থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো যুবকের মামুন হোসেন, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি রাজাপুরের পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।
ভ্যানচালক মামুন দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন জানিয়ে রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকায় কচা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তে বের হবে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ব পূয়ালী গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে রাব্বি হাওলাদার।
২৫ বছর বয়সী রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাব্বির কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার কৃষক বাবা সাহায্যের জন্য ছুটছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় বিত্তবানদের কাছে। কেন না তার সবকিছুই বিক্রি করে দিলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি জোগাড় করার সামর্থ্য হচ্ছে না।
রাব্বি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থায় কৃষক বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। দেশের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়ত বেঁচে যাবে তার সন্তান।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাওলাদার কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল রাব্বির, কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওপরে শুধু হাসপাতাল ও ওষুধের বিল দিতে হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারটি আত্মীয়স্বজনসহ সবার সহায়তায় ওই বিল দেয়া সম্ভব হয়।
রাব্বির মা রেভা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে আর কয়দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে এসেছে। শুধু টাকার অভাবে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালেও নিতে পারছি না, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপারেশনের ধকল সহ্য করার মতো সুস্থ অবস্থায় আনা খুব জরুরি।’
রাব্বির বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনাদের ভালোবাসা ও সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ শুধু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ছেলে অকালে ঝরে যাবে তা আমার জীবন থাকতে মানতে পারছি না।’
তাকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৯৭-২২৮৯৭৫ ও ০১৯৮৭-৩৬৬৫৬৮ (বিকাশ-পার্সোনাল) নাম্বারে পাঠাতে পারেন ও যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার উজানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মাদানী সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেয়ার সময় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩৩ বছর বয়সী অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম ও অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ত্রিশালের রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মনি আক্তার ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদা আক্তার।
ফরিদপুর সদরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই পল্লির এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) জেলার রথখোলা যৌনপল্লির বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও ববি (৩৮)।
গ্রেপ্তার না হওয়া এ তিনজনের মধ্যে ববি যৌনপল্লির সর্দারনি হিসেবে পরিচিত। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুই দিন সেখানে রেখে তাকে (তরুণী) তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। ওই তিন ব্যক্তি ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তরুণীকে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে তিনি যৌনপল্লির লাইসেন্সধারী সদস্য।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ যৌনপল্লিতে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণীও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান। ওই তরুণী জানান, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান জানান, যৌনপল্লিতে তরুণীকে নেয়ার ঘটনায় তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালীর কবিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছর আলী মাঝি বাড়ির পুকুরে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুই শিশু হলো সাত বছর বয়সী বিবি ফাতেমা বেগম ও তার চার বছরের ভাই আবিদ হোসেন। শিশুদ্বয় ছর আলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের সন্তান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই ভাই-বোন সকালে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে আরেকজন উদ্ধার করতে পানিতে নামে।
‘পরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।’
আরও পড়ুন:ইস্টার সানডে, শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)।
আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হবে ১৮ এপ্রিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো.মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘৩১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ১৯ দিন সকল ধরনের ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে এক দিন এবং ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস বন্ধ থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সকল ধরনের সিকিউরিটি ও জরুরি সেবাসমূহ বহাল থাকবে।’
মন্তব্য