প্রচার ও ভোটে সহিংসতা-প্রাণহানির মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই সংঘর্ষ। ভোট গণনার সময়, ফল ঘোষণার পর এমনকি ভোটের পরদিনও কয়েক জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তৃণমূল পর্যায়ের এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। তবে সহিংসতার ঘটনায় ভোটের পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বাসহ ১০ জন।
কালকিনির সাহেবরামপুর ও লক্ষ্মীপুর এবং ডাসারের বালীগ্রাম ও নবগ্রাম ইউনিয়নে এই সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা।
কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মৌসুমী হক ও পরাজিত প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সমর্থকরা। ভাঙচুর করা বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। এ সময় আহত হন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূসহ পাঁচজন।
একই উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ সরকারের সমর্থকদের প্রায় ৩০ বাড়িতে ভোররাতে ভাঙচুর চালানো হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, হামলাকারীরা পরাজিত নৌকার প্রার্থী কামরুল হাসান সেলিমের সমর্থক।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের পর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
ডাসার থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে দুপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভূতি ভূষণ বাড়ৈর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিজয়ী চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদারের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ৫ জন।
একই উপজেলার বালীগ্রাম ইউনিয়নে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তুষার হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী মজিবর খানের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সন্ধ্যায়।
বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের এই দুই জেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। তাতে চেয়ারম্যান পদে ৯ ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনটিতে জয় পেয়েছেন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
ভোটের পরদিন ভোরে সংঘর্ষ হয় শরীয়তপুর সদরেও। উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ফকিরের সমর্থকদের বেশ কিছু ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
জাহিদুলের অভিযোগ, বিজয়ী চেয়ারম্যান জামাল হোসাইনের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন।
জাহিদুল বলেন, ‘আজকে সুবহে সাদিকের সময় যখন মানুষ ঘুমন্ত, সেই অবস্থায় নৌকা মার্কার সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবে তুলাসার ইউনিয়নের শতাধিক ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। শত শত বোমা ফাটানো হয়। জনগণের অপরাধটা কী?
‘এই জনগণ আমাকে ভোট দিতে চেয়েছিল বলে এটাই যদি তাদের অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, গণতন্ত্রের জন্য ভোটের জন্য ভাতের জন্য আমাদের দিয়ে আপনি লড়াই করিয়েছিলেন কেন? এই জনগণকে রক্ষা করার জন্য আপনার কাছে আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’
জাহিদুলের অভিযোগ, প্রশাসনের লোকজনকে খবর দেয়া হলেও দুজন পুলিশ ছাড়া কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আফজাল হোসেন বলেন, ‘গতকাইল রাইতে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী জামাল আমাগো গালাগালি কইরা গেছে। সকালে ঘুমাইয়া রইছে এমন সময় ওনার নির্দেশে রেজাউল মুন্সির নেতৃত্বে লাডি, স্যান, ডাল, বোম লইয়া হামলা করছে। ঘুমের থেকে উইট্টা কিছু বুঝার আগেই দেহি সব তছনছ কইরা থুইয়া গেছে। আমাগো কী অপরাধ? নির্বাচন শেষ এখন আবার এমন অত্যাচার কেন? আমরা কি এই দ্যাশের নাগরিক না?’
নতুন টিনের ঘর দিয়েছেন মালা বেগম। ঘরের সেই টিনের বেড়া কুপিয়ে টেনে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তছনছ করা হয়েছে আসবাব।
মালা বলেন, ‘সকালবেলা ডাল স্যান লইয়া বাইরাইছে। আমরা ঘরের থেইক্কা কেউ বাইরাই নাই। এরপর বোমা ফাইছে, ইট মারছে। ইটে আমার ননদ ও শাশুড়ি ব্যথা পাইছে। হেইয়ার পর গরের ভিতর ডুইকা জিনিস যা আছিল আর টাকা সব লইয়া গেছে গা। আর যাওনের সময় ব্যারাগোরা সব কোপাইয়া ভাইঙ্গা থুইয়া গেছে। আমরা এইয়ার বিচার চাই।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পালং মডেল থানার উপপদির্শক রোমন জানান, কারা হামলা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউপিতে বৃহস্পতিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল। স্বাক্ষর জাল করে সদস্যদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগে চিতলিয়া ইউনিয়নের নির্বাচন ৮ অক্টোবর বাতিল করে কমিশন।
নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর তিনটি ইউনিয়নে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫ জন, ভাঙচুর হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্রনাথ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় সাজাইল ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন। এতে পরাজিত নৌকার প্রার্থী কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা হামলা চালান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ঢাল-সড়কি ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় ভাঙচুর করা হয়ে বাড়িঘরও।
সংঘর্ষে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন। পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কাশিয়ানীর বুথপাশা ও পিংগুলিয়া গ্রামেও পরাজিত নৌকা ও বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া রাতইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা ও ধানকোড়া গ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সাতটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দুটিতে নৌকার প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
শেরপুর সদরের কামারেরচর ইউনিয়নেও শুক্রবার সংঘর্ষ হয়েছে, আহত হয়েছেন প্রায় ১১ জন।
সদর থানার ওসি মনসুর আহমেদ জানান, কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তার ও আহসান হাবিবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এরই জেরে শুক্রবার সকালে মোস্তাফিজুরের সমর্থকরা আহসান হাবিবের এলাকায় হামলা চালালে আহত হন অন্তত ১১ জন।
ওসি আরও জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুজন, নয়ন ও শাহী নামের তিনজনকে জামালপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নে শুক্রবার সকালে হামলা হয়েছে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর। রুবেলের বাড়িতে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদের বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে দিনভর সহিংসতায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চেয়ারম্যান রুবেলের অভিযোগ, পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী শাহীন গাজী ও তার সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে শাহীন গাজীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জামির্ত্তা ইউনিয়নে শুক্রবার ভোরে নৌকা প্রতীকের এক কর্মীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী খোকন মিয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হালিকের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
সিঙ্গাইরের শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ খালিদ মনসুর জানান, শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে খোকন মিয়ার আধাপাকা গোয়ালঘরে আগুন লাগে। স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আনতে গোয়ালে থাকা দুটি গরু ও সেখানে রাখা তার মোটরসাইকেলটিও পুড়ে যায়।
খোকন মিয়ার অভিযোগ, নৌকার পক্ষে কাজ করায় নির্বাচনে জয়ী নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেনের লোকজন এই কাজ করেছে।
ভোট চলাকালে বৃহস্পতিবার দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে ফেনী, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, যশোর, শেরপুরসহ নানা জেলায়।
এর মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন এবং কুমিল্লা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হয়েছেন। ভোট শেষে গণনার সময় ও এরপর সন্ধ্যায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুর, হবিগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এসব ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বললেও নির্বাচনকে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছে। এ হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন মাদারীপুর থেকে সাগর হোসেন তামিম, শরীয়তপুর থেকে কাজী মনিরুজ্জামান, গোপালগঞ্জ থেকে মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির, মানিকগঞ্জ থেকে আজিজুল হাকিম ও পটুয়াখালী থেকে জাকারিয়া হৃদয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে চিকিৎকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নতুন রোগীর সেবা কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রয়েছে।
দুজন চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা জানিয়েছে, পূর্ব-ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন শুরু হয় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে যা চলবে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে। দাবি মানা না হলে সামনে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, তবে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে আগে ভর্তি হওয়া রোগীর চিকিৎসা সেবা চলবে।’
চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি ও শহরে মেডিক্যাল সেন্টার হসপিটালে ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলাকারীদের জামিন বাতিলের দাবিতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা।
এর মধ্যে গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা চট্টগ্রামের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চমেক হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করে আন্দোলনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল তেঁতুলতলা সীমান্তে সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিল্লাল হোসেন (২৮) রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন ভারত থেকে অবৈধ পথে চিনি ও অন্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি করে তাকে। তার শরীরে ৩০টির মতো ছররা (ছোট গুলি) গুলি লাগে।
পরে বিল্লালকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। গুলিতে তার চোখ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন জানান, গুলিতে আহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। সীমান্তের ঘটনা সম্পর্কে বিজিবি বলতে পারবে।
বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরের ডাসারে তীব্র গরমের মধ্যে জমিতে কাজ করতে গিয়ে এক বৃদ্ধ কৃষক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
মারা যাওয়া আজগর আলী বেপারী (৭৫) উপজেলার গোপালপুর এলাকার পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের মৃত বরম আলীর ছেলে।
প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অজ্ঞান হওয়াসহ নানা লক্ষণ দেখা দিলে তাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আজগর আলী বেপারী প্রচণ্ড রোদের মধ্যে তার বাড়ির পাশের একটি জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি প্রচণ্ড গরমের ফলে হিট স্ট্রোকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
ইউপি সদস্য হালিম জানান, গরমের ভেতর জমিতে কাজ করতে গিয়ে আজগর আলণী হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধ বয়সে আজগর আলী জমিতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তাপমাত্রা সইতে না পেরে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। ঘটনাটি দুঃখজনক। পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটায় ও মুন্সীগঞ্জ সদরে নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই চেয়ারম্যান নিশ্চিত হয়েছেন আইনজীবী এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীর মধ্যে অপর দুজন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্র দেন ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা দুই প্রার্থী হলেন, হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং অপরজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে দুপুরের পর তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জনসহ ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী এক লাখ ২১ হাজার ৫৮ জনসহ মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ১২ জন। এ ছাড়া ১০৩ টি ভোট কেন্দ্র এবং বুথ রয়েছে ৬৬১টি। উপজেলায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮। এ উপজেলায় ব্যালটে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।
মুন্সীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তিনজন
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিষয়টি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী থাকলেও ওই পদগুলোতে একজন করে প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
তিনি জানান, এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ কারণে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না এবং যথাসময়ে তাদের গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি।
ষষ্ঠ ধাপের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে।
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর সোমবার আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজটি সমুদ্রবন্দরের জেটিতে নোঙর করে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রাতে জাহাজ পরিদর্শনে যান মালিকপক্ষের লোকজন, আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ কর্মকর্তারা।
এ সময় বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাদের। জাহাজের ২৩ নাবিক সুস্থ রয়েছেন।
এদিকে কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে একটি টিম দুবাই গেছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের টিমটি নাবিকদের বরণ করে নেয়।
কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। নাবিকরা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বলে তিনি জানান।
কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নাবিকরা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।
জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেয়া হবে।
এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।
জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। ২২ এপ্রিল এটি নোঙর ফেলে জেটিতে।
আগে জাহাজটি ২২ এপ্রিল নোঙর করবে বলে জানিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা আরও জানিয়েছেন, পণ্য খালাসের কার্যক্রম শেষ করার পর শুরু হবে নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া।
১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার দিকে জলদস্যু মুক্ত হয় জাহাজটি। এরপর আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে নাবিকরা।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়।
২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলা। বলীখেলা উপলক্ষে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সোমবার এ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। খবর বাসসের
সিএমপি জানিয়েছে, বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা চলাকালে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ আগত লোকজনের সমাগমের কারণে মেলা সংলগ্ন নির্ধারিত স্থানগুলোতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লালদিঘি অভিমুখী সব প্রকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসিরুদ্দিন জানিয়েছেন, লালদিঘির পাড় মাঠে মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য বিক্রেতারা তাদের পণ্য-দ্রব্যাদি নিয়ে আসবেন এবং ক্রেতা সাধারণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকজনের সমাগম ঘটবে। বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা চলাকালে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় (জামে মসজিদের সামনে), পুরাতন টেলিগ্রাফ রোড, বোস ব্রাদার্স মোড় (পুলিশ প্লাজার সামনে), রাইফেল ক্লাব, কোতোয়ালী মোড় (সিডিএ গেট), আমানত শাহ মাজার রোডের মুখ ও টেরিবাজার ফুলের দোকানের (তিন রাস্তা মুখ) সামনে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। ফলে উক্ত সময়ে লালদিঘি অভিমুখে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনসমূহ কোতোয়ালী মোড় হয়ে ফিরিঙ্গীবাজার মেরিন ড্রাইভ রোড ব্যবহার করে চাকতাই ও রাজখালী হয়ে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে যাতায়াত করবে।
ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলী খেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বৈশাখী মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নিমিত্তে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো সব প্রকার যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এ ৩ দিন ওই এলাকার সড়কগুলো এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার দুজনকে ফিরে পাওয়া গেছে।
উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর-হোয়াইক্যং ঢালার সড়কে সোমবার রাতে তাদের পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে ফার্মেসি থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ওই দুজন।
তারা হলেন উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পশ্চিম থাইংখালী এলাকার জাকের হোসাইনের ছেলে মো. জহির উদ্দিন (৫১), বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর নয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. শফিকের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (৩২)।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয় জনতার তৎপরতায় অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির ও অন্যজনকে অক্ষত অবস্থায় বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীতে পাওয়া গেছে।
এদিন সকাল থেকে উখিয়া সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মছিউর রহমান, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শাহাদাত হোসেনসহ একদল পুলিশ এবং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনসহ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়েছিল। অভিযানে উদ্ধার করতে না পারলেও রাতে অপহৃত দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি জানান, সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুর্গম পাহাড়ে পুলিশের অভিযানের ফলে অপহরণকারীরা অবশেষে দুই অপহৃতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
মন্তব্য