প্রচার ও ভোটে সহিংসতা-প্রাণহানির মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই সংঘর্ষ। ভোট গণনার সময়, ফল ঘোষণার পর এমনকি ভোটের পরদিনও কয়েক জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তৃণমূল পর্যায়ের এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। তবে সহিংসতার ঘটনায় ভোটের পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বাসহ ১০ জন।
কালকিনির সাহেবরামপুর ও লক্ষ্মীপুর এবং ডাসারের বালীগ্রাম ও নবগ্রাম ইউনিয়নে এই সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা।
কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মৌসুমী হক ও পরাজিত প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সমর্থকরা। ভাঙচুর করা বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। এ সময় আহত হন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূসহ পাঁচজন।
একই উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ সরকারের সমর্থকদের প্রায় ৩০ বাড়িতে ভোররাতে ভাঙচুর চালানো হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, হামলাকারীরা পরাজিত নৌকার প্রার্থী কামরুল হাসান সেলিমের সমর্থক।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের পর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
ডাসার থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে দুপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভূতি ভূষণ বাড়ৈর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিজয়ী চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদারের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ৫ জন।
একই উপজেলার বালীগ্রাম ইউনিয়নে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তুষার হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী মজিবর খানের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সন্ধ্যায়।
বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের এই দুই জেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। তাতে চেয়ারম্যান পদে ৯ ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনটিতে জয় পেয়েছেন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
ভোটের পরদিন ভোরে সংঘর্ষ হয় শরীয়তপুর সদরেও। উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ফকিরের সমর্থকদের বেশ কিছু ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
জাহিদুলের অভিযোগ, বিজয়ী চেয়ারম্যান জামাল হোসাইনের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন।
জাহিদুল বলেন, ‘আজকে সুবহে সাদিকের সময় যখন মানুষ ঘুমন্ত, সেই অবস্থায় নৌকা মার্কার সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবে তুলাসার ইউনিয়নের শতাধিক ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। শত শত বোমা ফাটানো হয়। জনগণের অপরাধটা কী?
‘এই জনগণ আমাকে ভোট দিতে চেয়েছিল বলে এটাই যদি তাদের অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, গণতন্ত্রের জন্য ভোটের জন্য ভাতের জন্য আমাদের দিয়ে আপনি লড়াই করিয়েছিলেন কেন? এই জনগণকে রক্ষা করার জন্য আপনার কাছে আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’
জাহিদুলের অভিযোগ, প্রশাসনের লোকজনকে খবর দেয়া হলেও দুজন পুলিশ ছাড়া কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আফজাল হোসেন বলেন, ‘গতকাইল রাইতে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী জামাল আমাগো গালাগালি কইরা গেছে। সকালে ঘুমাইয়া রইছে এমন সময় ওনার নির্দেশে রেজাউল মুন্সির নেতৃত্বে লাডি, স্যান, ডাল, বোম লইয়া হামলা করছে। ঘুমের থেকে উইট্টা কিছু বুঝার আগেই দেহি সব তছনছ কইরা থুইয়া গেছে। আমাগো কী অপরাধ? নির্বাচন শেষ এখন আবার এমন অত্যাচার কেন? আমরা কি এই দ্যাশের নাগরিক না?’
নতুন টিনের ঘর দিয়েছেন মালা বেগম। ঘরের সেই টিনের বেড়া কুপিয়ে টেনে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তছনছ করা হয়েছে আসবাব।
মালা বলেন, ‘সকালবেলা ডাল স্যান লইয়া বাইরাইছে। আমরা ঘরের থেইক্কা কেউ বাইরাই নাই। এরপর বোমা ফাইছে, ইট মারছে। ইটে আমার ননদ ও শাশুড়ি ব্যথা পাইছে। হেইয়ার পর গরের ভিতর ডুইকা জিনিস যা আছিল আর টাকা সব লইয়া গেছে গা। আর যাওনের সময় ব্যারাগোরা সব কোপাইয়া ভাইঙ্গা থুইয়া গেছে। আমরা এইয়ার বিচার চাই।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পালং মডেল থানার উপপদির্শক রোমন জানান, কারা হামলা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউপিতে বৃহস্পতিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল। স্বাক্ষর জাল করে সদস্যদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগে চিতলিয়া ইউনিয়নের নির্বাচন ৮ অক্টোবর বাতিল করে কমিশন।
নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর তিনটি ইউনিয়নে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫ জন, ভাঙচুর হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্রনাথ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় সাজাইল ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন। এতে পরাজিত নৌকার প্রার্থী কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা হামলা চালান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ঢাল-সড়কি ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় ভাঙচুর করা হয়ে বাড়িঘরও।
সংঘর্ষে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন। পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কাশিয়ানীর বুথপাশা ও পিংগুলিয়া গ্রামেও পরাজিত নৌকা ও বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া রাতইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা ও ধানকোড়া গ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সাতটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দুটিতে নৌকার প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
শেরপুর সদরের কামারেরচর ইউনিয়নেও শুক্রবার সংঘর্ষ হয়েছে, আহত হয়েছেন প্রায় ১১ জন।
সদর থানার ওসি মনসুর আহমেদ জানান, কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তার ও আহসান হাবিবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এরই জেরে শুক্রবার সকালে মোস্তাফিজুরের সমর্থকরা আহসান হাবিবের এলাকায় হামলা চালালে আহত হন অন্তত ১১ জন।
ওসি আরও জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুজন, নয়ন ও শাহী নামের তিনজনকে জামালপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নে শুক্রবার সকালে হামলা হয়েছে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর। রুবেলের বাড়িতে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদের বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে দিনভর সহিংসতায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চেয়ারম্যান রুবেলের অভিযোগ, পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী শাহীন গাজী ও তার সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে শাহীন গাজীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জামির্ত্তা ইউনিয়নে শুক্রবার ভোরে নৌকা প্রতীকের এক কর্মীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী খোকন মিয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হালিকের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
সিঙ্গাইরের শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ খালিদ মনসুর জানান, শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে খোকন মিয়ার আধাপাকা গোয়ালঘরে আগুন লাগে। স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আনতে গোয়ালে থাকা দুটি গরু ও সেখানে রাখা তার মোটরসাইকেলটিও পুড়ে যায়।
খোকন মিয়ার অভিযোগ, নৌকার পক্ষে কাজ করায় নির্বাচনে জয়ী নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেনের লোকজন এই কাজ করেছে।
ভোট চলাকালে বৃহস্পতিবার দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে ফেনী, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, যশোর, শেরপুরসহ নানা জেলায়।
এর মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন এবং কুমিল্লা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হয়েছেন। ভোট শেষে গণনার সময় ও এরপর সন্ধ্যায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মেহেরপুর, হবিগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এসব ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বললেও নির্বাচনকে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছে। এ হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন মাদারীপুর থেকে সাগর হোসেন তামিম, শরীয়তপুর থেকে কাজী মনিরুজ্জামান, গোপালগঞ্জ থেকে মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির, মানিকগঞ্জ থেকে আজিজুল হাকিম ও পটুয়াখালী থেকে জাকারিয়া হৃদয়।
আরও পড়ুন:ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।
দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।
সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।
এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।
হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র্যাবের গোয়েন্দা দল।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য