× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
UP vote As many reasons for the collapse of A League in Sylhet division
google_news print-icon

ইউপি ভোট: সিলেট বিভাগে আ.লীগের ভরাডুবির ‘যত কারণ’

ইউপি-ভোট-সিলেট-বিভাগে-আলীগের-ভরাডুবির-যত-কারণ
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সবাই এখন নিজেকে নেতা মনে করছেন। সবাই নির্বাচন করতে চান। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে যান। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ছিলাম। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছি। কিন্তু কাউকে তো আর জোর করে আমরা বসিয়ে দিতে পারি না। প্রার্থী হওয়া তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।’

এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্থানীয় অনেক নেতা নির্বাচন করলেও জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের দেখা যায়নি তাদের পক্ষে প্রচারে। অন্য দলগুলোও এই নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি।

অন্যদিকে এই নির্বাচন ঘিরে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে নির্বাচন করা হয় প্রার্থী। যারা বিদ্রোহী হয়েছেন তাদের করা হয়েছে বহিষ্কার। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের দেখা গেছে মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার চালাতে।

এত সবের পরও ভোটে কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি ক্ষমতাসীন দলটি। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের ৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে ২৩টিতে হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ফাঁকা মাঠেও কেন হোঁচট খেতে হলো আওয়ামী লীগকে- এ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে জোর আলোচনা।

দলটির স্থানীয় নেতারা বলছেন, প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল, বিদ্রোহী প্রার্থীদের থামাতে না পারা ও গ্রামের মানুষের সঙ্গে নেতাদের দূরত্ব তৈরি হওয়াসহ বেশ কিছু কারণে বেশির ভাগ ইউনিয়নে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে নৌকার প্রার্থীদের।

সিলেট বিভাগের ৪৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সংঘাতের কারণে একটি ইউনিয়নের ফল স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে ২০টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ১২টিতে স্বতন্ত্র, ১০টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং একটিতে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী ১২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন আবার বিএনপির, দুজন জামায়াত নেতা।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর আহমদ। বিএনপির এই নেতা পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮১ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াসুর রহমানের পক্ষে গেছে ৩ হাজার ৮৭৯ ভোট। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মুল্লুক হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬১ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই নেতার মোট ভোট বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে ৬৫৯ বেশি। এভাবে বিদ্রোহী থাকা সব ইউনিয়নেই ভাগ হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট। সিলেট জেলার ১৫টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার ভোট হয়। এর ১০টিতে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দল থেকে বহিষ্কার করেও তাদের দমাতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

ইউপি ভোট: সিলেট বিভাগে আ.লীগের ভরাডুবির ‘যত কারণ’

ফল ঘোষণার পর দেখা গেছে, ১৫ ইউনিয়নের ১০টিতেই পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ৫টি স্বতন্ত্র হয়ে লড়া বিএনপি নেতারা, ৪টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা ও একটিতে জামায়াত নেতা জয় পেয়েছেন।

প্রার্থী বাছাইয়ে ভুলের কারণেও অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন বলে মনে করেন পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী বাছাই যে ভুল ছিল, তা ফলাফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’

এ অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। নিউজবাংলাকে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা কমিটির নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। যাকে সবচেয়ে যোগ্য ও জনপ্রিয় মনে করা হয়েছে, তাকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।’

বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচনে বেশির ভাগ ইউনিয়নে হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির কথা ও কাজে মিল নেই। তারা ডুবে ডুবে জল খায়। প্রতীক দেয় না বটে, তবে প্রার্থী দেয় ঠিকই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ ভোট দেয়নি বলে আমাদের অনেক প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি। প্রার্থীরা ভোট নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারেননি। এটা তাদের ব্যর্থতা।’

বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে না পারা প্রসঙ্গে শফিক বলেন, ‘দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সবাই এখন নিজেকে নেতা মনে করছেন। সবাই নির্বাচন করতে চান। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে যান। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ছিলাম। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছি। কিন্তু কাউকে তো আর জোর করে আমরা বসিয়ে দিতে পারি না। প্রার্থী হওয়া তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।’

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল ছিল। কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কিতদেরও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের ঠেকাতে দলের উদ্যোগ ছিল দায়সারা। অনেক ক্ষেত্রে দলের নেতারা বিদ্রোহীদের মদদও দিয়েছেন। এসবের প্রভাবও পড়েছে ফলে।’

ইউপি ভোট: সিলেট বিভাগে আ.লীগের ভরাডুবির ‘যত কারণ’

জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির এই নেতা বলেন, ‘দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকায় তৃণমূলের সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে নেতাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নেতারা এখন আর জনসম্পৃক্ত নন। ফলে ভোটাররা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও দল আর নেতাদের ব্যর্থতায় ভোটে হারতে হচ্ছে।’

এই নেতার বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে ভোটের ফলেও। সিলেটের সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন। কিন্তু ভোটে তিনি হেরে গেছেন জামায়াতের স্থানীয় নেতা আবদুল মনাফের কাছে।

পুরো বিভাগেই ইউপি নির্বাচনের ফলে এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক।

সিলেট সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া, কান্দিগাঁওয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা আবদুল মনাফ, জালালাবাদে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল্লাহ ইসহাক ও হাটখোলায় খেলাফত মজলিসের মাওলানা রফিকুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে ইসলামপূর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন আলম, তেলিখালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ আলফু, ইছাকলসে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান, উত্তর রণিখাইয়ে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান ও দক্ষিণ রণিখাইয়ে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন ইমাদ বিজয়ী হয়েছেন।

বালাগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. আব্দুল মুনিম, পূর্ব গৌরীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, পশ্চিম গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুর রহমান মাখন, বোয়ালজোড়ে আওয়ামী লীগের আনহার মিয়া, দেওয়ানবাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির নাজমুল আলম ও পূর্ব পৈলনপুরে আওয়ামী লীগের শিহাব উদ্দিন জয় পেয়েছেন।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। উপজেলার সাগরনাল ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুন নূর, পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওবায়দুল ইসলাম রুহেল, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনফর আলী, জায়ফরনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মাসুম রেজা ও গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম বিজয়ী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জের ছাতকের ১০ ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ৭টির মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুটিতে স্বতন্ত্র হয়ে লড়া বিএনপি নেতা ও একটিতে জামায়াত নেতা বিজয়ী হয়েছেন।

উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে গয়াছ আহমদ, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে সুন্দর আলী, কালারুকা ইউনিয়নে অদুদ আলম ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নে বিলাল আহমদ বিজয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ছাতক সদর ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন ও জাউয়া বাজার ইউনিয়নে আব্দুল হক নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নুরুল আলম ও চরমহল্লা ইউনিয়নে আবুল হাসনাত ও ইসলামপুর ইউনিয়নে জামায়াত নেতা সুফি আলম সোহেল জয় পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম আবুল হোসেন, নরসিংপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নুর উদ্দিন আহমদ, দোয়ারা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হামিদ, মান্নারগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতা ইজ্জত আলী, পান্ডারগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল ওয়াহিদ, দোহালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামীমুল ইসলাম শামীম, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জহিরুল ইসলাম, বোগলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিলন খান এবং সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ হালিম বীর প্রতীক নির্বাচিত হয়েছেন।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ৫টি ইউনিয়নের ৩টিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। একটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। একটির ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম মোবারুল, বদলপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুসেনজিৎ চৌধুরী, কাকাইলছেও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও শিবপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নলিউর রহমান তালুকদার বিজয়ী হন। সংঘর্ষের জেরে এই উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ফল স্থগিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাম্প্রদায়িক হামলার আসামি চেয়ারম্যান নির্বাচিত
আ.লীগের ঘাঁটিতে জামানত হারালেন নৌকার প্রার্থী
বাবা চেয়ারম্যান, ছেলে মেম্বার
উৎসবমুখর নির্বাচন, প্রাণহানি ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’: কাদের
ভোটে নিজেরা নিজেরা, তাও ভোটারদের বাধা: গয়েশ্বর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The robber who killed the driver to rob a rickshaw is in jail

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে আশরাফ আলী কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 bank officials in jail on charges of irregularities of Tk 10 crores

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সেদিন রাতেই তাদের তিনজনকে আটক করে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After an age buses are running again on Patrakhola road

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস

এক যুগ পর পাত্রখোলা সড়কে ফের চলছে বাস ছবি: নিউজবাংলা
সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শ্রীমঙ্গল-পাত্রখোলা সড়কে বাস পরিষেবা চালু করেছে শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর-কুলাউড়া বাস মালিক সমিতি।

বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

প্রাথমিক পর্যায়ে এই রুটে ৫০ মিনিট পরপর ২৪টি বাস চলাচল করবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ মাধবপুর সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান পর্যন্ত এ বাস চলাচল করবে।

কুরমা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া পাত্রখোলা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫০ টাকা, মাধবপুর থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪০ টাকা, কুরমা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ৪০ টাকা, পাত্রখোলা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ২৫ টাকা, মাধবপুর থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং ভানুগাছ থেকে শ্রীমঙ্গল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুরমা নতুন বাস স্ট্যান্ডে বাস চলাচলের উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর-কুলাউড়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. তসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী যোগেশ্বর চন্দ্র সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শাওন, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, নুরুল হক, বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, গ্রুপ সভাপতি কাসেম মিয়া ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এর আগে মাধবপুর বাজারে বাস প্রবেশ করলে এলাকাবাসী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

এদিকে সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two children drowned in Chawai river

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ফাইল ছবি
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sixth and seventh wives quarrel with their husbands

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি কোলাজ: নিউজবাংলা
সাথী জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।

৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।

সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।

তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।

সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।

তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
বর এলো ঘোড়ায় চড়ে, কনে গেল পালকিতে করে
মায়ের অন্যত্র বিয়ে, শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে, অশান্তিতে ছোট বউকে নিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
দ্বিতীয় বিয়েতে কর ৫ হাজার, চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার
বিয়ের দিন বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে কনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of a young man who fell into the pipe of an abandoned tubewell was recovered

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

মন্তব্য

p
উপরে