× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
If the case is late the way to rape trial is blocked?
google_news print-icon

মামলায় দেরি হলে ধর্ষণের বিচারের পথ রুদ্ধ?

মামলায়-দেরি-হলে-ধর্ষণের-বিচারের-পথ-রুদ্ধ?
‘অনেক মামলা আছে, যেটা ৭২ ঘণ্টা তো পরের কথা, এক বছর, দুই বছর পরও মামলা হয়। যখন ধর্ষণ একটা মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে, তখন হঠাৎ করে এমন একটি পর্যবেক্ষণ নারীর জন্য খুবই অবমাননাকর।’

ধর্ষণের শিকার হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল টেস্ট করা না হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না, উল্লেখ করে এ সময়ের পরে ধর্ষণের মামলা না নিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারিক আদালত। কিন্তু এ রায়ের পরে প্রশ্ন উঠেছে, ধর্ষণের মামলায় বিলম্ব কি বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিতে পারে?

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এ রায়ের পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে সর্বত্র।

রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে কড়া সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার সংগঠনসহ নারী নেত্রীরা। ৭২ ঘণ্টা পর হলে মামলা না নেয়ার নির্দেশকে নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করেছেন তারা। তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের লিখিত কপি না দেখে তিনি মন্তব্য করবেন না।

এ রায়ের পর্যবেক্ষণের কঠোর সমালোচনা করেছেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার পর ধর্ষণ মামলা নেয়া যাবে না এমনটি কখনও দেখিনি। বরং বলা আছে, ধর্ষণের মামলা যেকোনো সময় করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক মামলা আছে, যেটা ৭২ ঘণ্টা তো পরের কথা, এক বছর, দুই বছর পরও মামলা হয়। যখন ধর্ষণ একটা মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে, তখন হঠাৎ করে এমন একটি পর্যবেক্ষণ নারীর জন্য খুবই অবমাননাকর।’

৭২ ঘণ্টার পর মামলা নেয়া যাবে না এমন কথা বলে বিচার পাওয়ার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে জানিয়ে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো একটি কথা। সবারই বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি যদি বিচার চাওয়ারই সুযোগ না পাই, তাহলে সেটা তো আমার অধিকার লঙ্ঘন হবে।’

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় মেডিক্যাল রিপোর্টের ওপর প্রমাণ না হলে সামগ্রিক পরিস্থিতি ও আলামতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। সুতরাং এখানে ৭২ ঘণ্টার বিষয়টি আসে বলে মনে হয় না। এর ফলে এ ধরনের সহিংস অপরাধকে খাটো করে দেখার চেষ্টা হচ্ছে।’

রায়ের পর্যবেক্ষণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রায়ে বলা হয়েছে তারা “অভ্যাসগত”। এখন কথা হলো, অভ্যাসগত হলেই কি ধর্ষণের বিচার হবে না? যৌন মিলনে অভ্যস্ত হলে কেউ যে ধর্ষণের শিকার হবেন না, এটা বলা যাবে না। এ ধরনের কথা উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ধর্ষণ মামলা প্রমাণ নাও হতে পারে। তাই বলে “অভ্যাসগত” বলে ধর্ষণের শিকার হবে না, এমনটি হতে পারে না। এ ধরনের পর্যবেক্ষণ যথাযথ বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার পরে মামলা নেয়া যাবে না, এমনটি তিনি (বিচারক) যদি বলে থাকেন, তাহলেও সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। তার কারণ হলো ধর্ষণের মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ কেউ যদি করে আর সেখানে যদি আলামত নাও থাকে, তাহলে সামগ্রিক পরিস্থিতির আলোকে বিবেচনা করতে হবে। সুতরাং এটা তিনি (বিচারক) বলতে পারেন না।’

এ আইনজীবী বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় মেডিক্যাল রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য এভিডেন্সও (সাক্ষ্যসাবুদ) নিতে হবে। এ ছাড়া এসব এভিডেন্সের মধ্যে ডিএনএ টেস্টও করতে পারত। শুধু মেডিক্যাল রিপোর্ট নয়, ডিএনএ টেস্ট নিতে পারত।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিচারক কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে দিয়েছেন, সেটি না পড়ে তো মন্তব্য করা ঠিক না। বিচারক মুখে যেটা বলছেন আর লিখিত যেটা থাকে, তার সঙ্গে অনেক সময় পার্থক্য থাকে। সে কারণে রায়টি না দেখে মন্তব্য করা ঠিক না।

‘তবে নারী নির্যাতন দমন আইন নিয়ে আমাদের আইন কমিশনে একটা ড্রাফট আছে, যেটা গত বছর ডিসেম্বর মাসে আইন মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছি। সেখানে ধর্ষণজনিত মামলাগুলো কী করা উচিত, কীভাবে করা উচিত, তার একটা ধারণাপত্র আছে। সেখানে সব কিছু বলা আছে।’

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘রায় পুরোটা না পড়ে বলব না। এটা ঠিক হবে না।’

ধর্ষণ মামলার মেডিক্যাল রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. সালমা আক্তার মুনমুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রায়ে কী বলা হয়েছে জানি না, তবে ধর্ষণের ঘটনায় যত তাড়াতাড়ি ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য নেয়া যায়, তত ভালো। দেরি হয়ে গেলে আলামত নষ্ট হয়ে যায়। দেরি করলে আলামত থাকে না। ৭২ ঘণ্টা পরে যদি নেয়া হয়, তাহলে বিষয়টি হালকা হয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো উচিত। সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হলে বেশি ভালো।’

রায়ের পর্যবেক্ষণ যা বলা হয়েছে

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার।

রায়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা না হলে ধর্ষণ মামলা না নেয়ার নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত।

আদালত রায়ে বলে, ‘আক্রান্ত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল টেস্ট করা না হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। তাই ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে ধর্ষণের মামলা না নেয়ার জন্য বলেছে। কেননা তাতে মামলা প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে।’

আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারার বর্ণনা দিয়ে পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘মামলার বাদী নিজেকে অবিবাহিত বলে উল্লেখ করেন। তবে তার বয়ফ্রেন্ড আছে এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মেলামেশা হতো। অপর ভুক্তভোগী নিজেকে এনগেজড হিসেবে উল্লেখ করেন।

‘এই মামলায় ২০১৭ সালের ১ জুন আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডা. সোহেল মাহমুদ। সেই মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনো ফোর্সফুল সেক্চুয়াল ইন্টারকোর্স (জোরপূর্বক যৌন সঙ্গম) আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তারা যৌন সঙ্গমে অভ্যস্ত।’

মেডিক্যাল রিপোর্টের বরাত দিয়ে আদালত বলে, ‘এতে প্রমাণিত হয়, তারা রেগুলার শারীরিক সম্পর্ক পারফর্ম করে। তাই তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। মামলার আসামি সাদমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ওই দুই তরুণীকে সাফাতের (মূল আসামি) সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে (বাদী) এই মামলা করেছেন।’

বিচারক বলেন, ‘একসঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় ড্যান্স করলেন, পরে এক বিছানায় চারজন মিলে শুয়ে থাকলেন, এখানে ধর্ষণ কীভাবে হলো? তারা ছিলেন উইলিংলি পার্টনার (স্বেচ্ছায় শয্যাসঙ্গী)। উত্তেজনাবশত শারীরিক সম্পর্ক করলে সেটা ধর্ষণ হয় কীভাবে? সেখানে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে, কিন্তু সেটা ধর্ষণ নয়। আর ওই হোটেলে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যায় না বলে কর্মচারীরা সাক্ষ্যে বলেন। সুতরাং অস্ত্রের মুখে কীভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল?

‘আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন, রিমান্ডে নিয়ে পুরুষাঙ্গে ইলেক্ট্রিক শকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে তাদের স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। তাদের ওই ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহারেরও আবেদন করা হয়েছে। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় আমার কাছেও তাই মনে হচ্ছে। তাই ওই ১৬৪ ধারার জবানবন্দিরকে এই রায়ে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারছি না।’

এরপর আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারার ব্যাখ্যা উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি কোনো পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া অথবা ১৬ বৎসরের কম বয়সের কোনো নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

‘এখানে ধর্ষণের তিনটি উপাদান উল্লেখ রয়েছে, “সম্মতি ব্যতিরেকে”, “ভীতি প্রদর্শন” বা “প্রতারণামূলক সম্মতি আদায়” – কোনোটিই এই মামলায় বিদ্যমান নাই। ঘটনার ৩৮ দিন পর মামলা হলো, চিকিৎসক মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাননি মর্মে মতামত দিলেন, ভুক্তভোগীরা পরিধেয় কাপড়ে কোনো পুরুষের সিমেনের কণা পাওয়া যায় নাই এবং আসামি নাঈম আশরাফের সঙ্গে ডিএনএ টেস্ট ম্যাচ করে নাই, তারপরও তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি চার্জশিট দাখিল করে আদালতের পাবলিক টাইম নষ্ট করেছেন। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেপ কেসের বিচার ব্যাহত হয়েছে। তিনি অন্য কোনো পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে এই চার্জশিট দিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন। আজকের দিনসহ এই মামলায় ৯৪ কার্যদিবস ব্যয় হয়েছে।’

আদালত আরও বলেন, ‘২২/২৩ বছরের একজন লেডি এক বেডে চারজন একত্রে শুয়েছিল, মদ খেল, ড্যান্স করল এটা জেনেও অহেতুক এই প্রতিবেদন দিয়ে কোর্টের টাইম কনজিউম করল।

‘৭২ ঘণ্টার পর মেডিক্যাল টেস্ট করা হলেই ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। তাই ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে মামলা না নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
‘রায়ের আগে প্রচার না করাই ভালো ছিল’
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দিনমজুর আটক
নারী শ্রমিককে ‘ধর্ষণ’, বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কারাগারে
শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
It may rain but the heat will not decrease

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না তীব্র গরমে একটু স্বস্তির জন্য নগরীতে গাছের নিচে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
An ongoing burn may continue for 72 hours

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে গরমে পানিতে নামা শিশুর উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Protecting motherland is our main duty Army Chief

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’

সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’

মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB Director General inspects Naikshyongchari border

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী চাকঢালা বিওপি পরিদর্শনকালে মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।

পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে