পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
এক অফিস আদেশে বুধবার তিন জনকে বরখাস্ত করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের একটি অনুলিপি নিউজবাংলার হাতে এসেছে।
বরখাস্তকৃত তিন কর্মকর্তা হলেন: টেকনিশিয়ান (হার্ডওয়্যার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক) মোক্তারুজ্জামান রয়েল, ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট মো. পারভেজ মিয়া এবং অফিস অ্যাটেন্ডেন্ট দেলোয়ার হোসেনকে।
পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার সন্দেহে বৃহস্পতিবার জনতা ব্যাংকের একজন সিনিয়র অফিসারসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়ন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
তারা হলেন সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা ও ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবি জাহিদ।
তাদের রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সোমা।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেপ্তার ওই পাঁচজন হলেন মোক্তারুজ্জামান রয়েল, শামসুল হক শ্যামল, জানে আলম মিলন, মোস্তাফিজুর রহামান মিলন ও রাইসুল ইসলাম স্বপন। তাদের তিনজন বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে কর্মরত।
তাদের গ্রেপ্তার করে বুধবার ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের কাছে ৫-১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আগেভাগে যাদের প্রশ্নপত্র দেয়ার জন্য চুক্তিভুক্ত করা হয়, তাদের ‘গোপন বুথে’ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করানো হয়। টাকা নিয়ে প্রশ্নপত্র পেয়েছে এমন ২ শতাধিক পরীক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ৬ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ চাকরিপ্রত্যাশী।
এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক ১৮৩টি, জনতা ব্যাংক ৫১৬, অগ্রণী ব্যাংক ৫০০, রূপালী ব্যাংক ৫ এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৭টি পদ রয়েছে।
পরীক্ষার পরপরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। একাধিক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, পরীক্ষা চলাকালীনই প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া যায়।
পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে স্মারকলিপি দেয় এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি দল।
স্মারকলিপিতে পরীক্ষার্থীরা জানান, ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত পরীক্ষা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষা শুরুর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়।
পরীক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পরেও পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় পর্যবেক্ষক কম ছিল। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।
এ ছাড়া নানা অব্যবস্থাপনা ও চরম অনিয়ম ছিল বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন পরীক্ষার্থীরা। ওই পরীক্ষা বাতিলসহ দ্রুত নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ দিয়েছে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল)। বঙ্গবন্ধুর লিখিত তিনটি বইয়ের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হলো ২০০১ সাল থেকে এফওএসডব্লিউএএল প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার।
বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’।
ভারতের পাঞ্জাবের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএল-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশী লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। সূত্র: বাসস
নয়াদিল্লিতে রোববার সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএল-এর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কাউর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না।
‘বাংলা জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’
মিসেস কাউর লিখেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশি নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ, যা শুধু তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে!’
বার্তায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩ এর সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মহিদুল হক ও মোহিত কামাল।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ ও হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হলেও তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তাছাড়া ওই ঘটনায় হ্যাকাররা কোনো ধরনের টাকাপয়সাও দাবি করেনি। এমন দাবি সম্পর্কিত কোনো তথ্য বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী রোববার এমনটা দাবি করেছেন।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মুজিবের বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম বলেন, ‘ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হলেও এ নিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
রাষ্ট্রীয় শতভাগ মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ই-মেইল সার্ভার হ্যাক হয় ১৭ মার্চ। সেদিন বেলা সোয়া ২টার দিকে সার্ভার হাতিয়ে নিয়ে হ্যাকাররা বিমানকে প্রথম নিজেদের দাবির কথা জানায়।
বিমান সূত্রে জানা যায়, ২১ মার্চ হ্যাকাররা জানায় যে তাদের কাছে বিমানের ১০০ গিগাবাইটের বেশি ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া বিমানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে অনেক ডেটা তারা ডাউনলোড করে রেখেছে। বিমান তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা নিজেদের ব্লগে এগুলো প্রকাশ করে দেবে।
২২ মার্চ বিকেলে হ্যাকাররা বিমানকে আরেকটি বার্তা পাঠায়। ওই বার্তায় বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে আপনারা বলছেন যে কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি। কিন্তু আপনারা ভুল।’
ফ্লাইট, বিমানের যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাসপোর্টের তথ্যসহ আরও বেশকিছু তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে হ্যাকাররা বিমানকে জানায়।
জানা যায়, ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে হ্যাকাররা বিমানের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করে। অন্যথায় সব তথ্য ফাঁস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
এ ঘটনার ছয় দিন পর ২৩ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান তাদের ই-মেইল সার্ভার র্যানসমওয়্যার দ্বারা আক্রান্তের কথা জানায়।
হ্যাকাররা বিমানের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমান প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাকাররা টাকা দাবি করেছে বলে যে কথাটা উঠেছে সেটি সঠিক নয়। এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ বিষয়ে বিমান আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। টাকা দাবি করার এ খবর ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাকাররা ফায়ারওয়ালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এ কারণে তারা বেশি ক্ষতি করতে পারেনি। তারা তেমন কোনো তথ্য নিতে পারেনি। সাইবার অ্যাটাক হলে যা কিছু করতে হয় তা বিমানের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। জিডি করা হয়েছে, সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
৯ দিনেও কেন ই-মেইল সার্ভার হ্যাকারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা যায়নি- এমন প্রশ্নে এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানের পরিচালনায় বা অপারেশনাল কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি, যথারীতি কাজ করছে। কোনো বিষয়ে অসুবিধা হয়নি। আজও কাজ চলছে। আমরা আশা করি আগামীকাল সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এ ঘটনার একটি পরিপূর্ণ চিত্র দিতে পারব।’
বিমান সাইবার হামলার শিকার হতে পারে- এমন আগাম সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি। যৌথভাবে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। এই দলের কাজ শেষ হলে জানা যাবে। তবে বিমানের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির কারণে হ্যাকাররা এ ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিমানের এমডি বলেন, ‘আমাদের কোনো ঘাটতি থেকে থাকলে সেগুলো আমরা সামনে তুলে নিয়ে আসব। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কিভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়েও বিমান কাজ করবে।’
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। অনু্ষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. আবুল হাসান মৃধা। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রিয়াদে বিভিন্ন সংগঠন ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক মিনিটের কম সময়ের ওই ভিডিওবার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমি দেশের ভেতরে এবং বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি এবং আমরা পাই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
‘আমি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই সালাম। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ি। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে রোববার সকাল ৮টার দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
ওই সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অফ অনার দেয়; বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
প্রথমে পুলিশ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, এসবির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
পরে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্য নেতা, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নেতারা আলাদাভাবে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দেশের সাতটি বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বাকি অঞ্চলগুলোর আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।
এতে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
ঢাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে অধিদপ্তর বলেছে, সোমবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।
সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। রোববার দেশের সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন:মহান স্বাধীনতা দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে রোববার সকালে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন তিনি।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
স্বাধীনতা দিবসে আগের বছরগুলোতেও স্মারক ডাকটিকিট, খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন সরকারপ্রধান।
ডাকটিকিট অবমুক্ত করার আগে ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য