× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Terrorism kills 7 in grassroots polls
google_news print-icon

তৃণমূলের ভোটে সন্ত্রাস, ৬ জনের প্রাণহানি

তৃণমূলের-ভোটে-সন্ত্রাস-৬-জনের-প্রাণহানি
শেরপুর সদরের কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটের সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
এই নির্বাচনে প্রচার চলাকালে বেশ কিছু জেলায় সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীতে চারজন, মাগুরায় চারজন ও মেহেরপুরে দুজন নিহত হয়েছেন। ভোটের দিনও সংঘর্ষে নরসিংদীতে ঝড়েছে তিন প্রাণ। কুমিল্লা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন।

সংঘর্ষ ও ছয় প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৮৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে এসব ইউনিয়নে। এখন চলছে গণনা।

ভোট চলাকালে নরসিংদীতে সংঘর্ষে প্রাণ গেছে তিনজনের। আর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে নিহত হয়েছেন তিনজন।

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়নে ভোট হবে বলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে তফসিল থেকে বাদ দেয়া হয় একটি ইউনিয়ন। আর নানা জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত করা হয় সাতটি ইউনিয়নের ভোট। বাকিগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে সব ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয়েছে ৮৩৫টি ইউনিয়নে।

সারা দেশে নিউজবাংলার প্রতিবেদকরা দিনভর নানা ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। তারা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কেন্দ্রে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।

তৃণমূলের ভোটে সন্ত্রাস, ৬ জনের প্রাণহানি
ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলছে গণনা

এই নির্বাচনে প্রচার চলাকালে বেশ কিছু জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে, প্রাণহানিও হয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীতে চারজন, মাগুরায় চারজন ও মেহেরপুরে দুজন নিহত হয়েছেন।

ভোটের দিনও সংঘর্ষ হয়েছে নরসিংদীতে। জেলার রায়পুরার বাঁশগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ইউসুফ নিউজবাংলাকে জানান, ভোট শুরুর আগে ইউপির কেন্দ্রগুলো দখলের চেষ্টা করেন নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে দা, টেঁটা নিয়ে তারা একে অপরের ওপর চড়াও হন। প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে গুলিও ছোড়া হয়।

এতে সালাউদ্দিন মিয়া, দুলাল মিয়া ও মো. জাহাঙ্গীর নামে তিনজন নিহত হন। তাদের মধ্যে সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকির সমর্থক বলে জানা গেছে। আর দুলাল বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

রায়পুরার চসুবুদ্ধি ইউনিয়নের মহিষবের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবস্থা খুবই খারাপ। শত শত লোক টেঁটা নিয়ে কেন্দ্রে হামলা করে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রটি স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে।’

তৃণমূলের ভোটে সন্ত্রাস, ৬ জনের প্রাণহানি
নরসিংদীর রায়পুরার বাশঁগাড়ীতে কেন্দ্র দখলের জেরে হয় সংঘর্ষ



সহিংসতা হয় মেহেরপুরেও। জেলার মুজিবনগরের মহাজনপুর ইউনিয়নে নৌকা ও আনারস প্রার্থীর মধ‍্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কোমরপুর ভোটকেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম।

তিনি জানান, কোমরপুর কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী রেজাউর রহমান নান্নু ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আমাম হোসেন মিলুর সঙ্গে বাগযুদ্ধ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়।

এ ঘটনায় কোমরপুর কেন্দ্রে কিছুক্ষণ ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। আধা ঘণ্টা পর তা ফের চালু করা হয়।

এ ছাড়া মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাংনী উপজেলার ভ্রমরদাহ কেন্দ্রে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া বামন্দী ইউনিয়নের নিশিপুর গ্রামে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ‍্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ আনে।

মাগুরায় ভোট হয়েছে ১২টি ইউপিতে। কোনো কেন্দ্র থেকেই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। প্রচারের সময় সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদে সহিংসতায় চারজন নিহত হয়েছিলেন। তবে ভোটের দিন সেখানকার কেন্দ্রগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোটার এসেছেন। এর মধ্যে নারী ভোটারই বেশি দেখা গেছে।

তৃণমূলের ভোটে সন্ত্রাস, ৬ জনের প্রাণহানি
মাগুরার জগদল ইউনিয়নে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি

জগদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশ ভোটারের মধ্যে নারীই ছিলেন বেশি।

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে ভোট চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬ জন। খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকতারুজ্জামান খুরুশকুল ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী (বর্তমান মেম্বার) শেখ কামালের ছোট ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বাবুলের সমর্থকরা ব্যালট পেপার আলাদা করে সিল মারার চেষ্টা করেন। এ সময় অপর মেম্বার প্রার্থী শেখ কামালের ভাই আকতারুজ্জামান বাধা দেন।

এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আকতারুজ্জামানকে কোপানোর পর গুলি করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তৃণমূলের ভোটে সন্ত্রাস, ৬ জনের প্রাণহানি
কক্সবাজারের খুরুশকুল ইউপি নির্বাচনে হামলায় আহতদের নেয়া হয় হাসপাতালে

সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নে। সেখানকার আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শাওন আহমেদের বাড়ি মেঘনা উপজেলার বল্লবের কান্দি গ্রামে।

মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালাউদ্দিন মোল্লা জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বহিরাগতরা আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের গুলিতে জশ মিয়া, শাওন আহমেদ ও নাজমুল নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

স্থানীয়রা আরও জানান, মানিকারচর জামে মসজিদের ইমাম নাজমুল হাসান মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছে। এ ঘোষণার পরই উত্তেজনা শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে গড়ায়। ওই ইমামকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভোট চলাকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালঘাটা আনন্দবাজার এলাকায় দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।

নিহত শফি উদ্দিনের বাড়ি গোপালঘাটায়। আনন্দবাজারে তার একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে।

তৃণমূলের ভোটে সন্ত্রাস, ৬ জনের প্রাণহানি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নে দুই মেম্বার পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে শফি উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন

ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শফি আমাদের খুবই আপন লোক এবং নির্দোষ একটা ছেলে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে জড়িতদের শান্ত করার চেষ্টা করছিল সে। এর মাঝে পড়ে সেও ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, ‘লালপুল তোফায়েল আহমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষটি বাধে। ফুটবল প্রতীকের মুরাদ ও মোরগ প্রতীকের জামাল পাশার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

ভোট চলাকালে সংঘর্ষ হয়েছে সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, ফেনী, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, যশোর ও শেরপুরে।

আরও পড়ুন:
জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে যুবকের কারাদণ্ড
চৌগাছায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৫ পুলিশ
নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারার ভিডিও
ফটিকছড়িতে নির্বাচনি সহিংসতায় ব্যবসায়ী নিহত
কুমিল্লার মানিকারচরে গুলিবিদ্ধ ১ জনের মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Singras ruble received grief from the team
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ‘অপরহরণ ও মারধর’

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল

দল থেকে শোকজ পেয়েছেন সিংড়ার রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করা হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।

‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।

আরও পড়ুন:
সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 killed in clash between two groups over land dispute in Pabna

পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৪০ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।

আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ৫০ বছর বয়সী সাজু হুদী, জামাত ফকির ও নুর বেগম, ৫৫ বছর বয়সী মানু প্রামানিক, ৬০ বছর বয়সী মোসলেম উদ্দিন, ৩৫ বছর বয়সী খোকন প্রামাণিক, জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক ও মো. মিঠুন এবং ৩০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটোখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তারা ফের সংঘর্ষে জড়ায়।

সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই খাইরুল নিহত হন। আর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। তাদদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The son took his fathers life without asking for money

টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে

টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে ফাইল ছবি
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘টাকার জন্য প্রায়ই বাবাকে চাপ দিত ২০ বছর বয়সী আরিফ। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কেনে সে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আবারও ১০ হাজার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান আব্দুল কাদের।’

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না পেয়ে আব্দুল কাদের নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে আরিফ হোসেন নামের ওই যুবক।

উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘টাকার জন্য প্রায়ই বাবাকে চাপ দিত ২০ বছর বয়সী আরিফ। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কেনে সে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আবারও ১০ হাজার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান আব্দুল কাদের। এতে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল কাদের পাশে বড় ছেলের বাড়িতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে পেছন থেকে বাবার পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় আরিফ। এ সময় স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আরিফ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর নিহত
নাটোরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহে চার সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক তিন যুবক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed by train in Chittagong

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত প্রতীকী ছবি
শুক্রবার ভোর ৫টা ও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকায় পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোর ৫টা ও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, এদিন ভোরে ভাটিয়ারি এলাকায় চট্টগ্রাম অভিমুখী তুর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে মারা যান ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের বিপ্লব দাশ নামের ২৩ বছর বয়সী এক যুবক।

পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়েন স্থানীয় ভাটিয়ারী বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির সিভিল স্টাফ ২৪ বছর বয়সী মো. আসিফ উদ্দিন।

দুটি ঘটনার পরই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফৌজদারহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হওয়া বিপ্লব মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Investigation of torture of women inmates started two prison guards transferred
গাইবান্ধা জেলা কারাগার

নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি

নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি গাইবান্ধা জেলা কারাগার (বাঁয়ে) ও অভিযুক্ত প্রধান কারারক্ষী সুবেদার আশরাফুল ইসলাম। কোলাজ: নিউজবাংলা
গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষীর সঙ্গে এক নারী কয়েদির অবৈধ কর্মকাণ্ড দেখে ফেলেন নারী কয়েদি সীমা। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার আতঙ্কে ওই দুজনসহ আরও কয়েক বন্দি ও কারারক্ষী মিলে সীমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন।

গাইবান্ধা জেলা কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগের পর প্রধান অভিযুক্ত কারাগারের প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামসহ দুই কারারক্ষীকে বদলি করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে তাদের বদলির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বদলি করা হয় বলে জানান তিনি।

বদলি হওয়া অপর কারারক্ষীর নাম সাবানা খাতুন। তাদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামকে দিনাজপুর কারাগার এবং সাবানা খাতুনকে ঠাঁকুরগাও কারাগারে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের ভেতর আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা কয়েদি (রাইটার) মেঘলা খাতুনের মধ্যে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলায় বিষয়টি জানাজানির ভয়ে নারী হাজতি সীমাকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগীর মা করিমন নেছা।

লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে হাজতি সীমার উন্নত চিকিৎসা ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন করিমন নেছা।

ওই অভিযোগপত্রে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী (সুবেদার) আশরাফুল ইসলাম, নারী কারারক্ষী সাবানা খাতুন ও তহমিনা, কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা ও আলেফা, সিআইডি আনিছ ও হাবিলদার মোস্তফাকে অভিযুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলা প্রশাসককে দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, হাজতি মোর্শেদা খাতুন সীমা একটি মামলায় (হাজতি নম্বর-৫০৮) প্রায় ৫ বছর ধরে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বন্দি। কিছুদিন আগে কারাগারে কর্মরত সুবেদার আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা কয়েদি (রাইটার) মেঘলা খাতুনের মধ্যে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলেন সীমা।

বিষয়টি জানতে পেরে সুবেদার আশরাফুল ও মহিলা কয়েদি মেঘলা খাতুন সীমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ঘটনা জানাজানির ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে তারা কারাগারের ভেতরে সীমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

একপর্যায়ে সুবেদার আশরাফুল ও তার সহযোগীরা হাজতি সীমার স্বামী খোকন মিয়াকে গাইবান্ধা কারাগারে ডেকে আনেন। তারা অভিযুক্তরা সীমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও আপত্তিকর তথ্য দিয়ে সীমার সংসার ভেঙে দেন।

এতসবের পর হাজতি সীমা এসব ঘটনা জানিয়ে জেল সুপারের কাছে বিচার দেবেন জানালে সুবেদার আশরাফুল তাকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ২০ মার্চ দুপুরে সুবেদার আশরাফুলের নেতৃত্বে মহিলা কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা ও আলেফা এবং কারারক্ষী তহমিনা ও সাবানা কারাগারের মহিলা ইউনিটের ভেতরের বারান্দায় লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। পরে সেলের ভেতরে নিয়ে সীমাকে হাতকড়া পরিয়ে রশি দিয়ে দুই পা বেঁধে আবারও মারধর করেন। উপরন্তু নির্যাতনের এসব ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে সীমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, করিমন নেছা একাধিকবার তার মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও সে সুযোগ দেয়া হয়নি। অবশেষে হাজিরার তারিখে আদালতে মেয়ের সাক্ষাৎ পান মা করিমন নেছা। সেদিন সীমা মায়ের কাছে নির্যাতনের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখান।

অভিযোগ পেয়ে গত ১৬ এপ্রিল ঘটনার তদন্তে জেলা কারাগারে যান গাইবান্ধা জেলা প্রশাসাকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিসি) মো. মশিউর রহমান।

সেদিন নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। এরপরই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।’

শুক্রবার অভিযুক্তদের বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে তা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা হবে।’

আরও পড়ুন:
সুবেদার ও নারী কয়েদির ‘কর্মকাণ্ড’ দেখে ফেলায় হাজতিকে নির্যাতন!

মন্তব্য

বাংলাদেশ
13 more members of BGP entered Bangladesh for asylum

বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য

বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সে দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিব) সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার নতুন করে আরও ১১ জন (জীম্বংখালী -৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি-৮ জন) বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

বিজিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঢোকা বিজিপি সদস্যদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation that neighbor Vasur was killed by a womans stick

ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর নিহত

ভাইয়ের বউয়ের লাঠির আঘাতে ভাসুর নিহত ছবি: নিউজবাংলা
নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

শেরপুরের নকলায় বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি মোরাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ওই নারী ও তার মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পূর্বটালকী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ৫৫ বছর বয়সী মোরাদ হোসেন নকলার পূর্বটালকী গ্রামের মৃত রহিম মাস্টারের ছেলে। চাকরির সুবাদে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি।

নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নকলার মোরাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকরি করতেন। অনেকদিন থেকে তার প্রতিবেশি চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নির্ধার্ণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার সকালে ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন মোরাদ। বাড়িতে প্রবেশ করার পর তার প্রতিবেশি চাচাত ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই নারী লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছনে আঘাত করেন। এতে আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা মোরাদকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

ঘটনার পর জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশ।

নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

p
উপরে