× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
After two great days at the end of the third day the fold of thought
google_news print-icon

দুটি দারুণ দিনের পর তৃতীয় দিনের বেলা শেষে চিন্তার ভাঁজ

দুটি-দারুণ-দিনের-পর-তৃতীয়-দিনের-বেলা-শেষে-চিন্তার-ভাঁজ
ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা
আগের দুই দিন বড় উত্থানে ১৯০ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর তৃতীয় দিন সোয়া ১১টা পর্যন্ত সূচক বেড়ে যায় ৫১ পয়েন্ট। তবে টানা তৃতীয় দিন বড় উত্থানের আশা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। শেষবেলায় বিক্রয় চাপে শেষ পর্যন্ত ১৩ পয়েন্ট পজিটিভ থেকে লেনদেন শেষ হয়। শেষবেলার এই বিক্রয় চাপটিই গত সপ্তাহের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। টানা চার কর্মদিবস উত্থান শেষে গত সপ্তাহে বাজারে আবার পতন শুরু হয়।

টানা দরপতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে পরপর দুই দিন বড় উত্থানের পর তৃতীয় দিনেও লেনদেনের অর্ধেকটা সময় চাঙা থাকলেও শেষ দুই ঘণ্টায় বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন দেখা গেছে।

আগের দুই দিনে ১৯০ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর তৃতীয় কর্মদিবসে সূচক সাত হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে আরও উপড়ে উঠে যায়। তবে শেষ পৌনে দুই ঘণ্টায় বিক্রয় চাপে সূচক একপর্যায়ে আগের দিনের তুলনায় কমে যায় কি না, এমন আশঙ্কাও দেখা যায়।

তবে শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। যদিও দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৫৬ পয়েন্ট কমে সাত হাজারের নিচে শেষ হয়েছে লেনদেন।

আগের দিন ৩০১টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটলেও এদিন দেখা গেছে উল্টো চিত্র। ১১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে, বিপরীতে দর হারায় ২০৮টি কোম্পানি। বাকি ৫০টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শুরুই হয় আগের দিনের মতোই ৪০ পয়েন্ট বেড়ে গিয়ে। এরপর টানা বাড়ে এক ঘণ্টা ১২ মিনিট। সে সময় সূচক আবার ৭ হাজার পয়েন্টের ওপর গিয়ে লেনদেন হতে থাকে ৭ হাজার ৫১ পয়েন্টে।

যতদিন সূচক পড়েছে, তার প্রায় প্রতিদিনই এই সময় থেকে শুরু হয় ভাটার টান। সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৩৮ পয়েন্ট কমার পর দুপুর ১২টা থেকে আবার বাড়তে থাকে বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত। সেখান থেকে টানা পড়ে বেলা পৌনে ২টায় সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে।

দুটি দারুণ দিনের পর তৃতীয় দিনের বেলা শেষে চিন্তার ভাঁজ
আগের দুই দিন বড় উত্থান শেষে বৃহস্পতিবারও একই পথে ছিল লেনদেন। তবে বেলা শেষে বিক্রয় চাপে সূচক নেমে আসে ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে

গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মাইলফলক অতিক্রম করার পর পুঁজিবাজার নিয়ে উচ্চাশা দেখা গিলেও এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু হয় দর সংশোধন। তবে এই সংশোধনের সময় বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে সূচক পড়েনি, উল্টো ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা বেড়েছে।

তবে এসব কোম্পানির মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লাফার্জ হোলসিম, আইসিবি, পাওয়ারগ্রিড, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মার মতো কোম্পানি দর হারাতে থাকলে সূচকও কমে আসে। পাশাপাশি পতনের মধ্যে থাকা ওয়ালটন, গ্রামীণফোন, রবিও আরও দর হারায়।

এই পরিস্থিতিতে সূচক পড়তে পড়তে গত ১ নভেম্বর ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। সেটি আরও কমে ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে নেমে আসে গত ২৫ অক্টোবর। এরপর টানা চার দিনের উত্থানে সূচক ৭ হাজার পয়েন্টে ওঠে ৩১ অক্টোবর।

টানা চার দিন উত্থানের কারণে বাজার সংশোধন শেষ হয়েছে কি না, এমন আলোচনার মধ্যে আবার শুরু হয় পতন এবং এবার আরও বড় আকারে। টানা সাত কর্মদিবসের মধ্যে এক দিন কেবল ৮ পয়েন্ট বাড়লেও বাকি ছয় দিন পরে ৮ নভেম্বর তা নেমে আসে ৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে।

সূচকের এ অবস্থান ছিল গত ১৯ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। সেটি আরও পড়ে যায় কি না, এই আলোচনার মধ্যে গত মঙ্গলবার বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। উত্থান হয় ৬৮ পয়েন্ট। বুধবার বাড়ে ১১৪ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে ক্রমেই কমতে থাকা লেনদেনও কিছুটা বাড়ে।

দুই সপ্তাহ আগেও টানা চার কর্মদিবস সূচকের উত্থান দেখার পর আবার দরপতনের কারণে এবার টানা তিন কর্মদিবস উত্থানও দর সংশোধন শেষের ইঙ্গিত দিয়েছে কি না, এ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

লেনদেনের গতি আবার উৎসাহী করবে শেয়ারধারীদের। চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে লেনদেন কোনো রকমে এক হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার লেনদেন ছিল ১২৪ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বুধবার সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন সেখান থেকে কিছুটা বাড়ে। আর পরদিন তা আরও বেড়ে আট কর্মদিবস পর দেড় হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে যায়।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সূচক যখন ৫ হাজার থেকে ৭ হাজারে পৌঁছেছিল তখন সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল। দুই হাজার পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে বাজার সংশোধনে কিছুটা সময় লাগবেই।’

তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যখন সূচকের ক্রমাগত পতন হয়েছে তখনও কিন্তু লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরেই ছিল। কিন্তু এক সময় যখন ধারাবাহিক পতন হয়, সে সময় লেনদেন তিন থেকে চার শ কোটি টাকায় নেমে আসত। সে অবস্থা তো এখন হয়নি।’

দুটি দারুণ দিনের পর তৃতীয় দিনের বেলা শেষে চিন্তার ভাঁজ
সূচক বেড়ে গিয়েও পরে অবস্থান ধরে রাখতে না পারায় প্রধান ভূমিকায় ছিল এই কোম্পানিগুলো

গত ৩১ অক্টোবর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২ লাখ টাকা। এরপর প্রতিদিনই লেনদেন ছিল আজকের তুলনায় কম।

প্রত্যাশিত আয় করতে না পারার পর ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া আইসিবির দরপতন, বড় মূলধনি লাফার্জ, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, পাওয়ারগ্রিড, অলিম্পিক, ওরিয়ন ফার্মা, প্রত্যাশার চেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া (দুই বছর মিলিয়ে শেয়ারে ৩৫ পয়সা) আলিফ, এনআরবিসি, লঙ্কাবাংলা ও ইবিএলের দরপতন টানা তৃতীয় দিন সূচকের বড় উত্থান ঠেকিয়েছে।

অন্যদিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের ডানা উত্থান, গ্রামীণ ফোন, রবি, ওয়ালটন, জেনেক্সিল ইনফোসিসি, আইএফআইসি ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, ট্রাস্ট ব্যাংক, রেনাটা ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণে সূচক শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থাকে।

খাতওয়ারি বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিবিধ খাতে। আসলে গোটা খাতে নয়, এই খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মোট লেনদেনর প্রায় এক চতুর্থাংশই একটি কোম্পানিতে হয়েছে। এই কোম্পানিটির কারণেই লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত।

দুটি দারুণ দিনের পর তৃতীয় দিনের বেলা শেষে চিন্তার ভাঁজ
সূচক বৃদ্ধিতেও প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমেটেড, লেনদেনের প্রায় এক চতুর্থাংশও হয়েছে একটি কোম্পানিতেই

দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, তথ্য প্রযুক্তি, প্রকৌশলী, আর্থিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সেবা, খাদ্য, সিমেন্ট, সাধারণ বিমা, জীবন বিমা খাত ছিল ধারাবাহিকভাবে পরের অবস্থানে।

শেয়ারদরের বিবেচনা নিলে তুলনামূলক ভালো দিন গেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বাকি সবগুলোতেই বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে দিন গেছে আর্থিক খাতে। এই খাতের প্রায় সব কোম্পানি দর হারিয়েছে। বস্ত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ ও রসায়ন খাতেও দর বেড়েছে অল্প কিছু কোম্পানির, কমেছে বাকিগুলোর।

লেনদেনের প্রায় এক চতুর্থাংশ বেক্সিমকোর

মোট লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেনই হয়েছে ৩৪২ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার। শতকরা হারে কেবল একটি কোম্পানিতেই মোট লেনদেনের ২২.৭৬ শতাংশ হয়েছে।

কোম্পানিটির ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৪৮৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

এই কোম্পানিটির শেয়ারদর গত দেড় বছরে ১৩ টাকা থেকে ছাড়িয়ে গেছে ১৮০ টাকা এবং তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনের আঁচ এখনও পড়েনি এই একটি কোম্পানিতেই।

গত সাত কর্মদিবসের মধ্যে ছয় দিনই বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর এদিনও বেড়েছে ৩.৬৪ শতাংশ।

দুটি দারুণ দিনের পর তৃতীয় দিনের বেলা শেষে চিন্তার ভাঁজ
বেক্সিমকো লিমিটেডে তুমুল আগ্রহের কারণে অন্যান্য সব খাতকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাত

লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল জেনেক্স ইনফিসিস। তথ্য প্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৮টি শেয়ার।

কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫৫ শতাংশ। আগের দিনের তুলনায় যোগ হয়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ১০ পয়সা।

ওষুধ খাতের কোম্পানি ওরিয়নফার্মার মোট লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে মোট ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ৩টি শেয়ার।

তারপরে থাকা পর পর দুটি কোম্পানি ছিল ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ও এনআরবিসি।

আইএফআইসিতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার, শেয়ারদর বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ২.১৬ শতাংশ। এনআরবিসিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। শেয়ারদর কমেছে ৬০ পয়সা বা ১.৫৭ শতাংশ।

বস্ত্র খাতের আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সার্ভিস ও আবাসন খাতের সাইফ পাওয়ারটেক, সিমেন্ট খাতের লাফার্জ হোলসিম ও বিমা খাতের মালেক স্পিনিং ছিল শীর্ষ লেনদনে হওয়া দশ কোম্পানির তালিকায়।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে যেগুলো

বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা যেসব কোম্পানিগুলো বৃহস্পতিবার আশা জাগিয়েছে তার মধ্যে প্রথমেই ছিল ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা। এরজন্য আগের দিনের ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে শেয়ার প্রতি ৯.৯৩ শতাংশ বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী কোম্পানি বিকাশের শেয়ার বিক্রির খবরে এই উত্থানে কেবল একটি দামেই বিক্রি হয়েছে শেয়ার।

ব্যাংকটির মোট লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর হাতবদল হয়েছে মোট ১৭ লাখ ২৮ লাখ ৪৯০টি শেয়ার।

সদ্য তালিকাভুক্ত বিমা খাতের সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বিক্রিতে এদিনও অনীহা ছিল। পর পর পাঁচ দিন সর্বোচ্চ দামেও বিক্রেতা না থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৫৮ শতাংশ।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা সাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.১৪ শতাংশ। ফলে এদিন নয় শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির।

দুটি দারুণ দিনের পর তৃতীয় দিনের বেলা শেষে চিন্তার ভাঁজ
সূচক বাড়লেও বেশিরভাগ খাতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে, কমেছে লেনদেনও

আট শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া একমাত্র কোম্পাটি ছিল জেনেক্স ইনফোসিস, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫৫ শতাংশ।

সাত শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল দুটি। এগুলো হচ্ছে কপারটেক যার শেয়ার দর ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭.৯৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৬০ পয়সা। সেলভো ক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৭.৪৪ শতাংশ।

দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল জিমিনি সি ফুড, যার দর বেড়েছে ৬.৬৭ শতাংশ। পাঁচ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল একটি। পাট খাতের সোনালী আঁশ, যার দর বেড়েছে ৫.৩৫ শতাংশ।

এদিন তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে পাঁচটির। এরমধ্যে ছিল মেঘনা পেট, মনোস্পুল পেপার, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো লিমিটেড ও বিচ হ্যাচারি।

সবচেয়ে কম দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল এএমসিএল (প্রাণ), যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ০৯ শতাংশ।

দর পতনের শীর্ষ ১০

করপোরেট ঘোষণার কারণে বৃস্পতিবার আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। ফলে কোম্পানির শেয়ারদর বাড়া ও কমার ক্ষেত্রে কোনো সীমা ছিল না। কোম্পানি তার শেয়ারধারীদের ৩.৫ শতাংশ বা ৩৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন ১৩.৮২ শতাংশ দর হারিয়েছে।

দর পতনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের গোল্ডেনসন। শেয়ার প্রতি ২৭.৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির দর কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ।

হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.৮৯ শতাংশ। মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫৪ শতাংশ।

দর পতনের তালিকায় এদিন সবচেয়ে বেশি কোম্পানি ছিল বস্ত্র খাতের। নন ব্যাংক আর্থিক খাতের আইসিবি ছাড়া শীর্ষ আটের ছয়টি ছিল বস্ত্র খাতের।

এর মধ্যে অলটেক্সের ৪.৭৩ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্সের দর ৪.৬৩ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ৪.৫৭ শতাংশ কমেছে।

দর পতনের শীর্ষ দশের বাকি দুই কোম্পানির মধ্যে ছিল বিমা খাতের প্রগতি লাইফ, যার শেয়ারদর কমেছে ৪.৪৭ শতাংশ আর ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৪.৪৩ শতাংশ।

দর পতনের বৃহস্পতিবার তিন থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর কমেছে ১৪টি কোম্পানির আর চার থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর কমেছে ১০টি কোম্পানির। প্রায় এক শ কোম্পানির শেয়ার দর এক থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

আরও পড়ুন:
বড় উত্থানে পুঁজিবাজারে অবশেষে স্বস্তির আভাস
আয় বেড়েই চলেছে ইবনে সিনার 
শেয়ার দরে স্বস্তি, ১২৪ কর্মদিবসের সর্বনিম্ন লেনদেনে অস্বস্তি
টানা পতনে নাভিশ্বাস, আরও কমল লেনদেন
তিন শ কোম্পানির দরপতনে সূচক ৪৮ কর্মদিবসের সর্বনিম্ন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে