রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ানপুর ইউনিয়নের মো. মোস্তাকিম আলী। রাজমিস্ত্রি বাবার সন্তান মোস্তাকিম সম্প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। এ জন্য তাকে তার গ্রাম থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হয়নি। গ্রামের পাশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই তিনি চাকরির আবেদন ফরম পূরণ করেছেন।
সোমবার হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদে কথা হয় মোস্তাকিমের সঙ্গে। তিনি জানান, চাকরির আবেদনের পর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ডাকা হয়েছে। তাই নাগরিকত্ব সনদপত্র নিতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে তার মাত্র ৩০ টাকা খরচ হয়েছে।
স্ত্রীর জন্মসনদ বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে করিয়ে নিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদে এসেছিলেন মো. রাজিব। তিনি বলেন, ‘আধাঘণ্টার মধ্যেই তার কাজ হয়ে গেছে। এ জন্য তাকে ফি দিতে হয়েছে ৫০ টাকা।’
শুধু হরিয়ান ইউনিয়নই নয়, দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদেই এখন রয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্র। তথ্য-প্রযুক্তির নানা সুযোগ-সুবিধাসংবলিত এই কেন্দ্র থেকে দেয়া হচ্ছে প্রায় ৩০০ ধরনের সেবা। ঘরের কাছেই এসব সেবা পাওয়ায় একদিকে যেমন ভোগান্তি কমিয়েছে, অন্যদিকে খরচও বাঁচিয়ে দিয়েছে।
নানাবিধ সুবিধার মধ্যে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন ও ফি জমাদান, জমির পর্চা উত্তোলন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারি আবেদন ও ফি প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন, চাকরির আবেদন, বাস-ট্রেন ও বিমানের টিকিট ক্রয়, বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স উত্তোলন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ও ফি জমাদান, পল্লী বিদ্যুৎ বিল প্রদান, বিদ্যুৎ সংযোগ/মিটারের জন্য আবেদন, পণ্য ক্রয়, পরীক্ষার ফলাফল জানা, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ, জন্ম-মৃত্যু সনদ, অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স লার্নার আবেদন, অনলাইনে টেলিমেডিসিন সেবা উল্লেখযোগ্য।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কয়েক শ ধরনের সেবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে পাওয়া যায়। অনেক সেবা সম্পর্কে মানুষ এখনও জানেই না। প্রতিদিন বিভিন্ন সেবা নিতে ৬০-৭০ জন আসেন।’
তবে ইন্টারনেট গতি আরেকটু বাড়লে কাজ আরও সহজ হবে বলেও জানান তিনি।
এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘ইউনিয়নে এত ধরনের সেবা পাওয়া যায় যে মানুষ তা কল্পনা করতে পারবে না। প্রতিদিন দুজন উদ্যোক্তা এখানে মানুষকে সেবা দেন। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন তারা এখানে উপস্থিত থাকেন, যেন মানুষকে হয়রানির মধ্যে পড়তে না হয়।’
চেয়ারম্যান জানান, বিভিন্ন সেবার জন্য ফি নির্ধারণ করে দেয়া আছে। যেমন- জন্মনিবন্ধনের জন্য ৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না।
তার মতে, সেবাকেন্দ্রটি না থাকলে মানুষকে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে যেতেই ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ করতে হতো।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল এই সেবা পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প তুলে ধরেন। তার আলোকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল করতে ১৩ বছর ধরে কাজ করেছে সরকার। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার দেশকে এমন ডিজিটালাইজড করতে চায়, যাতে মানুষ সব ধরনের সেবা তার হাতে থাকা মোবাইলেই পাবেন। অর্থাৎ সরকারি সেবার জন্য মানুষকে কোথাও যেতে হবে না। সরকারই মানুষের কাছে গিয়ে হাজির হবে।
পলক বলেন, ‘এমনকি দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই সেখানেও সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেবা দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া দেশের দুর্গম এলাকা যেখানে কোনোভাবেই ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, সেখানেও সোলার প্যানেল এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মাধ্যমে এই সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন:তৃতীয় কন্যা সন্তানের বাবা হলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসে কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ার কথা জানান তিনি। সেখানে নিজের মেয়ের নামও জানিয়েছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা।
পোস্টে জাকারবার্গ লেখেন, বিশ্বে স্বাগতম, অরেলিয়া চ্যান জাকারবার্গ!
এর আগে বুধবার রাতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন জাকারবার্গ৷
মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের পরিচয় হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ২০০৩ সালে প্রেমের সূত্রপাত হলেও একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন ২০১০ থেকে৷ দু বছর লিভ ইন সম্পর্কের পর দু’জনে বিয়ে করেন ২০১২ সালে৷ সে বছরই প্রিসিলা ডাক্তারি শিক্ষা সম্পন্ন করেন৷
২০১৫-এ জন্ম হয় তাদের প্রথম সন্তানের ৷ বড় মেয়ের নাম তারা রাখেন ম্যাক্সিমা চ্যান জাকারবার্গ ও দ্বিতীয় মেয়ের নাম আগস্ট চ্যান জাকারবার্গ।
আরও পড়ুন:আগুন লাগা বা তার আগে ধোঁয়া দেখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয়টি শনাক্ত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। আগুন লাগার খবর, লোকেশন, আগুন নেভানোর জন্য কাছাকাছি পানির উৎসসহ যাবতীয় তথ্য পৌঁছে যাবে রেসপন্স টিম ও প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাধারণ সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়েই এআই বেইজড ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ওয়ার্নিং সিস্টেমটি তৈরি করেছেন।
এই শিক্ষার্থীরা স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স (সুপার) কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাদের উদ্ভাবিত কৃত্রিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই ফায়ার ডিটেকশন ও ওয়ার্নিং সিস্টেম ইতোমধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুর বস্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রযুক্তি আগুন ও জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত দুর্যোগ ঝুঁকির আগাম পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। সে সুবাদে এটির ব্যবহারে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ বিষয়ক কর্মশালায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান ড. খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সিস্টেম তৈরি করেছেন।
খলিলুর রহমান কর্মশালায় জানান, এই প্রযুক্তি তারা প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের বিষয়ে কাজ করছেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান এইড -এর অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের ঝুঁকি নিরসনে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঝুঁকি নিরসনের জন্য ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখতে হবে।
‘দুর্যোগ প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত দল তৈরির পাশাপাশি বাসাবাড়িতে আগুন ও অন্যান্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এমন সরঞ্জামের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গঞ্চিকারা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সাড়াদান ইউনিটের প্রধান মাসুদ রানা এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিয়া হামিদ কাজী।
প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে অ্যাকশনএইড, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস ও ওয়ার্ল্ড ভিশন। এই প্রকল্পে কৌশলগত সহায়তাকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দফতর (ইউএনআরসিও)।
ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আইনানুগভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির ১২তম বৈঠকে এমন সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সদস্য বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মো. মুরাদ হাসান ও খ. মমতা হেনা লাভলী অংশ নেন।
কমিটির ১১তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ও গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রদর্শিত অডিও-ভিডিও প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে সারাদেশে প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন/আইপি টেলিভিশন এবং অনলাইন রেডিও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
‘The Censorship of Films Act, 1963 (Amended 2006)’ যুগোপযোগী করার জন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নে কার্যক্রম গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রাম (পদ সৃজন) ফাইলটি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা কোনো কিছু কপি করে পেস্ট করতে ভুলে যাই। আগেরটার বদলে অন্য একটা কপি করে ফেলি। এতে আগের কপি করা আইটেমটা হারিয়ে যায়।
এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আপনাকে উইন্ডোজের স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে সার্চ করতে হবে ‘ক্লিপবোর্ড সেটিংস’।
সেখান থেকে ‘ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি’ সচল করে দিতে হবে। এরপর থেকে আপনি যা কিছু কপি করবেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫টি আইটেম আপনার উইন্ডোজের ক্লিপবোর্ড হিস্ট্রিতে সংরক্ষণ থাকবে।
আপনি ‘windows+ v’ চাপতে পারেন এবং আপনার পছন্দমতো জায়গাতে পেস্ট করতে পারেন।
নারী উদ্যোক্তা ফোয়ারা ফেরদৌসকে নিয়ে ‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’ শিরোনামে দেয়া মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রামীণফোনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ওই পোস্টের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলছেন অনেকে।
গ্রামীণফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার পোস্টটি দেয়ার পরপরই শেয়ার হতে থাকে এটি। নানা ক্যাপশন যোগ করে বা ছবি দিয়ে এ নিয়ে লিখেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
ফেসবুকে ওই নারী উদ্যোক্তার একটি ছবি দিয়ে গ্রামীণফোনের পোস্টে তার দু পাশে লেখা হয়েছে ‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘গৎবাঁধা চাকরির গণ্ডিতে থাকতে চাননি তিনি। স্বাধীনভাবে কাজ করতে, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ফোয়ারা ফেরদৌস। ফেসবুকে পটের বিবি নামে পেইজ খুলে শুরু করেন ব্যবসা।’
এতে লেখা হয়েছে, ‘একদিকে সংসার সামলে, অন্যদিকে সামলেছেন ব্যবসা। শুধু তিনিই না, তার এ উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। বন্ধ হতে যাওয়া ৩০ বছরের পুরোনো ব্লকের কারখানা চালু হয়েছে আবারও! কে বলে মেয়েরা ব্যবসা বোঝে না!’
কেউ বলেছেন, চাকরি নারীর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এর সঙ্গে ঘরও সামলাতে হবে বলে পোস্টে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। আবার পোস্টটিকে ইতিবাচক বলেছেন কেউ কেউ।
গ্রামীণফোনের পোস্ট করা ছবি শেয়ার করে অর্জয়িতা রিয়া লিখেছেন, ‘কোনো মেয়ে যদি ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে ঘরও সামলায়, এর মানে এই না যে তাদের হাজবেন্ডদেরকে গ্রামীণফোন ঘর সামলাতে নিষেধ করছে।
‘যারা বিজ্ঞাপনটার সমালোচনা করছেন, তাদের কথা শুনলে মনে হয় ঘর সব নারীরা না, পুরুষেরা সামলাচ্ছে। বিজ্ঞাপনে এরকম বলা হলে বরং মিথ্যা প্রচারণা হবে। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ তারা এই প্রচলিত মিথ্যাচারটা করেনি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যা হওয়া দরকার, করপোরেট হাউজগুলো সেগুলো যেন হচ্ছে বা হয়েছে সেভাবে দেখায়। এই মিথ্যাচারের প্রভাবেই আপনাদের মধ্যেও ধারণা হয়েছে যে পুরুষগুলি খুব ঘর সামলাচ্ছে। বাস্তবতা বুঝতে শিখুন। যা বাস্তবে নাই, বিজ্ঞাপনের ওপর তার দায় চাপাবেন না।’
আঁখি ভদ্র লিখেছেন, ‘একটু খেয়াল রাখবেন, বিজ্ঞাপনের ভাষার কারণে ব্যক্তি ফোয়ারা ফেরদৌস-এর ওপর যেন কাঁদা না ছিটে। শী ইজ আ স্টার। প্রচুর প্রচুর মেয়ে তাকে দেখে সাহস করেছে ব্যবসায় উদ্যগী হতে। তিনি পেরেছেন। তবে বিজ্ঞাপনের ভাষার সাথে আমিও একমত নই।’
তামান্না সেতু লিখেছেন, ‘বরং তাদের (পুরুষ) কাজ তাদের সামলাতে দিন। আপনারটা আপনি সামলান।’
উদিসা ইসলাম লিখেছেন, ‘ঘরও কিন্তু সামলাইতে হবে-মোড়ল গ্রামীণফোনে কইসে।’
শাশ্বতী বিপ্লব লিখেছেন, ‘ঘর তো সামলাইতেই হইবো। সাথে স্বামীও। না সামলাইলে ব্যবসাটা সামলানোর অনুমতি পাইবেন না। ঘর সামলানোর ক্লান্তি নিয়া ব্যবসা সামলাইবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোয়ারা ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। গ্রামীণফোন পোস্ট দিয়েছে, তাদের বক্তব্য নিতে পারেন।’
গ্রামীণফোনের সঙ্গে এ ব্যাপারে ফোন ও ফেসবুকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক আবার চালু হয়েছে; বেশ কয়েক ঘণ্টা ভোগান্তির পর স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক না থাকায় এই অপারেটর ব্যবহারকারীরা কোনো ধরনের সেবা নিতে পারছিলেন না। বেলা ৩টার দিকে চালু হয় এই কোম্পানির নেটওয়ার্ক।
সামাকিজ যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ব্যবহারকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি এখনও।
এর আগে সকাল থেকে নেটওয়ার্ক নিয়ে ভোগান্তির কথা জানতে থাকেন অনেকে। কেউ কেউ ভিড় করেন গ্রামীণফোন সেন্টারেও।
অধিকারকর্মী লীনা পারভীন ফেসবুকে লেখেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক/মোবাইল ডাটা সিগন্যাল নাই। কেন? জানেন কেউ? কোম্পানিটা আছে তো?’
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার হিমেল মাহবুব লেখেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে সার্ভিস গ্রামীণফোনের।’
ব্যবহারকারীরা তখন জানান, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল, ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:নেটওয়ার্ক নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীদের ভোগান্তিতে পড়ার খবরের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের তাদের অপারেটরের আসার আহ্বান জানিয়েছে আরেক ফোন অপারেটর বাংলালিংক।
গ্রামাীণফোনের গ্রাহকরা যখন ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা পোস্ট দিচ্ছেন, তখন বাংলালিংক ডিজিটাল নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হচ্ছে, নম্বর বদল না করেই আসা যাবে এই অপারেটরে। কেউ কেউ বলছেন, এ যেন ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।’
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে বাংলালিংকের ওই পেজে পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ‘চলে আসুন বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন FASTEST 4G নেটওয়ার্ক বাংলালিংক-এ আর কানেক্টেড থাকুন সবসময়, সবখানে।’
মোবাইল নম্বর পোর্টাবেলিটি বা ‘এমএনপি’ করে করে নম্বর না বদলে তাদের অপারেটরে আসতে একটি ঠিকানা দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
পোস্টের কমেন্টে ব্যবহারকারীরা লিখছেন নানা মন্তব্য। কেউ কেউ একে দেখছেন গ্রামীণফোন কোম্পানিকে খোঁচা দেয়া হিসেবে। একজন লিখেছেন, কারও পৌষ মাস,কারও সর্বনাশ! আরেকজন লিখেছেন, সুযোগ পেয়েছে আজকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীরা। ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। ভোগান্তির কথা বলছেন তারা। কেউ কেউ ভিড় করছেন গ্রামীণফোন সেন্টারে।
ব্যবহারকারীরা বলছেন, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না। কল,ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নম্বরেও কল যায়নি। ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে মেসেজ পাঠিয়েও তাদের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ফাইবার অপটিক কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে কল করতে অসুবিধা হচ্ছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য