অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে জাহাজ ভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় বিএসবিআরএ। সংগঠনটির সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় আমরা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে সব কার্যক্রম সচল রাখব।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মুহম্মদ তারেকও বলেছেন, ‘শিপইয়ার্ড মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কাজ চালিয়ে যাবে।’
এর আগে মঙ্গলবার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে সীতাকুণ্ডে প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন, এস এন করপোরেশন, ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড এবং মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে অভিযান চালায় ভ্যাট কমিশন। পরে বিনা নোটিশে এই অভিযানের ঘটনায় শিপ ইয়ার্ডের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিএসবিআরএ। বুধবার সকাল থেকেই জাহাজ ভাঙার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিএসবিআরএ-এর সভাপতি আবু তাহের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সংশ্লিষ্ঠ ইয়ার্ডগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই ইয়ার্ডগুলো ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে অথবা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় তাদের সমস্ত কাগজপত্র, রেজিস্টার, কম্পিউটার প্রভৃতি জব্দ করে নিয়ে যান ভ্যাট কমিশনের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট ইয়ার্ডগুলোর অভিযোগের কথা উল্লেখ করে আবু তাহের বলেছিলেন, ‘অভিযানের সময় ইয়ার্ডগুলো তছনছও করা হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানির পর রাতেই জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাজ ভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জব্দকৃত এসব মালামাল ও নথিপত্র ফেরত না দেয়া পর্যন্ত তারা বুধবার থেকে জাহাজ ভাঙা, মালামাল ক্রয়-বিক্রয় থেকে যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন।’
তিনি দাবি করেন, স্ক্র্যাপ জাহাজ ইয়ার্ডে আমদানির পূর্বেই কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষ সেগুলো পরিদর্শন করে শুল্ক নির্ধারণ করে দেয়। জাহাজ বিভাজনের পূর্বেই তা ইয়ার্ড মালিকরা পরিশোধ করেন। তাই ভ্যাট বা শুল্কের কোন সুযোগ নেই। এরপরও এ ধরনের অভিযান ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করার ঘটনা মালিকদের জন্য অপমানের।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাত একেবারে নড়বড় হয়েছে গেছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের (এসভিবি) পথে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে দেশটির আরও ২০০ ব্যাংক। গ্রাহকদের আমানত তুলে নেয়ার ওপর নির্ভর করছে এই ব্যাংকগুলোর ভাগ্য; এখন সবকিছু নির্ভর করছে আমানতকারীদের ওপর।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক গবেষণা প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাত নিয়ে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যেসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রেরএসভিবি কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, একই কারণে দেশটির আরও অন্তত ২০০টি ব্যাংক ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এক গবেষণার বরাতে নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১৮৬টি ব্যাংক টালমাটাল হয়ে যেতে পারে যদি এগুলোর অর্ধেক গ্রাহক তাদের আমানত হঠাৎ তুলে নিতে শুরু করে। এতে এমনকি ব্যাংকগুলোর পতনও ঘটতে পারে।
এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের এসভিবি ও সিগনেচার ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধের পর বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারে দরপতনের মধ্যে সোশাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কের (এসএসআরএ) এ গবেষণার তথ্য সামনে আনল নিউইয়র্ক পোস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাংকের পর শেয়ারবাজারে ক্রমাগত দরপতনের মধ্যে থাকা সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক সংকটে পড়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী এ ব্যাংকটি মাত্র ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে দেশটির সবচেয়ে বড় ব্যাংক কিনে নিচ্ছে ইউবিএস।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তোলপাড় করা এমন খবরের মধ্যে আমেরিকার ব্যাংকগুলোর দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে এসএসআরএ এর গবেষণায়। এতে বলা হয়, এমনকি ওই ১৮৬ ব্যাংকের বিমার আওতায় থাকা আমানতকারী অর্থাৎ যাদের জমা রাখা টাকার পরিমাণ আড়াই লাখ ডলার বা এর কম, তারাও টাকা পেতে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। যদি এসব ব্যাংকে এসভিবির মতো সংকট তৈরি হয়। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘তাদের গবেষণা অনুযায়ী এই ব্যাংকগুলো অন্য সরকারি হস্তক্ষেপ বা পুনর্মূলধনের ব্যবস্থা না করা গেলে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি কোনোভাবেই কমবে না।’
এ অবস্থায় উদ্বেগের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আর্থিক এসব প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদের বড় অংশ সুদনির্ভর মূল্য সংবেদনশীল উপকরণ যেমন সরকারি বন্ড ও বন্ধকী সিকিউরিটিজের ওপর নির্ভরশীল। ফেডারেল রিজার্ভ গত এক বছরে সুদের হার বাড়ানোর কারণে পুরোনো ও কম সুদের বিনিয়োগও মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এসভিবিও তাদের মূলধন দীর্ঘমেয়াদি সরকারি বন্ড আকারেই রেখেছিল। একে প্রাথমিকভাবে নিরাপদ হিসেবেই ধরা হয়। তবে এসভিবি যখন বন্ডগুলো কেনে তখন এগুলোর দাম বেশি ছিল। কারণ সুদের হার তখন থেকে বেড়েছে। সংকট শুরু হলে গ্রাহকের আমানত ফেরত দেয়ার জন্য মেয়াদ পূরণের আগেই হঠাৎ এসব বন্ড বিক্রির কারণে বড় লোকসানে পড়ে এসভিবি।
এতে দুই বিলিয়ন ডলার ক্ষতির বিষয়টি ঘোষণা দেয়া হলে দরপতন শুরু হয় ব্যাংকটির শেয়ারে। এক সপ্তাহ আগে ধসের মুখে পড়া এ সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক প্রযুক্তি খাতের চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ছিল। ব্যাংকটি যখন এ খবর প্রকাশ করে এবং একইসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট থেকে অতিরিক্ত পাঁচ লাখ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা জানায় তখনই ব্যাংকটি দেউলিয়া হতে পারে বলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ারের দাম কমতে থাকে এবং একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে তা সাধারণ আমানতকারীদের মধ্যেও আতংক তৈরি করে। এতে এসভিবিসহ অন্য ব্যাংকেও আমানত তুলে নেয়ার হিড়িক পড়ে।
এমন উদ্বেগের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টার্টআপগুলো ঝড়ের গতিতে অর্থ তুলে নিতে শুরু করে। যদিও এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল প্রটেকশন অ্যান্ড ইনোভেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল এসভিবির বিমাকরা আমানত রক্ষা করবে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ন্যাশনাল ব্যাংক অব সান্তা ক্লারা। এমনকি আতঙ্ক কমাতে আড়াই লাখ ডলারের বেশি যাদের আমানত ছিল তাদেরও সেই ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এতে আমানতকারীরা আশ্বস্ত হতে পারেননি।
এমন প্রতিশ্রুতির পরও ‘এসভিবি সমমানের’ ব্যাংকগুলো থেকে আমানতকারীরা তাদের অর্থ তুলে নেয়া বন্ধ হচ্ছে না বলে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে যদি ব্যাংকগুলো আমানত হারাতে থাকে তাহলে সিলিকন ভ্যালির মতোই এসব ব্যাংকও একই পরিস্থিতির শিকার হতে পারে বলে ওই গবেষণায় উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনাভিত্তিতে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সম্প্রতি এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ডিলারদের নিয়ে আয়োজন করেছে একটি ভিন্নধর্মী ডিসপ্লে কনটেস্ট প্রতিযোগিতা ‘রঙ স্টার সিজন- ২’। প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে বিজয়ী ডিলারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম।
দেশজুড়ে দেড়মাস ধরে চলা এশিয়ান পেইন্টসের নির্ধারিত মোট ২৭১ জন ডিলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করেন।
এতে বিজয়ী মেহেদী কালার ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড হার্ডওয়্যার পায় ১ লাখ টাকা ও রঙ স্টার ট্রফি।
বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান পেইন্টসের হেড অব সেলস অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন শাহেদ মোহাম্মদ ইউসুফ ও হেড অব মার্কেটিং নাজমুল হুদা নাঈম।
এই ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা দেশজুড়ে ডিলারদের তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করতে উৎসাহিত করেছে। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ কেবলমাত্র পণ্যের প্রচার নয়, ডিলারদের সহায়তা করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিযোগিতা সেই প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ।
দেশে দ্রুত ও অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের পানি। এ অবস্থায় পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিল্পমালিকদের এলায়েন্স গঠন এবং ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সমীক্ষা পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্পগ্রুপগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকরা।
বিশ্ব পানি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রেডিসন ব্লু-চট্টগ্রাম বে ভিউতে অনুষ্ঠিত 'এক্সিলারেটিং চেঞ্জ: ডিসেন্ট্রালাইজিং দ্য কনভারসেশন অন ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ আহবান জানান। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে শনিবার এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, পানি সংকটে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। গত ৪০ বছরে এখানকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটার নিচে নেমে গেছে। কালুরঘাট শিল্প এলাকাতে তীব্র পানি ঘাটতির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিল্পকারখানা ও স্থানীয়রা। তাই পানির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
বক্তারা পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিল্পগ্রুপগুলোর মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি এবং শিল্পের বাইরে চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বৈঠকে কালুরঘাট শিল্প এলাকার শীর্ষ স্টেকহোল্ডাররা জানান, তারা ইতোমধ্যেই পানি ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম ব্যবস্থা অনুশীলন শুরু করছেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, যেখানে চট্টগ্রাম ও কালুরঘাটের ভারী শিল্প এলাকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন সূচক ফলাফল এবং সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
প্রবন্ধে বলা হয়, চট্টগ্রামে শিল্প দূষণ বাড়ছে, যা ভূপৃষ্ঠের পানির উৎসের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। ড. তানভীর আহমেদ পরিবেশ অধিদপ্তরকে পানির উৎসগুলো সংরক্ষণে শিল্পগ্রুপগুলোর উপর নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, 'সবাই একটি কমন ইন্টারেস্টের দিকে যাচ্ছি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি একটি এলায়েন্স গঠন করে একটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারে, তবে ভবিষ্যতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে সহজ হবে। এজন্য শিল্পখাত, গৃহস্থালীতে ভূগর্ভস্থ ও উপরিস্থ পানি ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এসেসমেন্টর প্রয়োজন রয়েছে।'
তিনি বলেন, 'কমবেশি সবাই ব্যাংকে টাকা রাখেন, যেন সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত হয়। কিন্তু পানির মত গুরুত্ব সম্পদ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়ার কথা মাথায় রাখছিনা।'
এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে কী পরিবর্তন হচ্ছে তা জানার তাগিদ দিয়ে হাসিন জাহান বলেন, 'প্রথমে আমাদের মাটির নিচের পানির কোয়ালিটি ও কোয়ানটিটির অবস্থা জানতে হবে। জানতে হবে এটার বিপর্যয় কখন হতে পারে। আরেকটি হচ্ছে, সার্ফেস ওয়াটারকে মনিটর করা। পানির অবস্থা বুঝে আমাদের অ্যাকশনে যেতে হবে। পজেটিভ বিষয় হলো শিল্পমালিকরা অনুভব করছেন, এটা নিয়ে সংলাপ হওয়া দরকার বলে মনে করছেন।'
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, 'পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য পানি অপরিহার্য এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া একটি মৌলিক মানবাধিকার। পৃথিবীতে দুই বিলিয়নের বেশি মানুষ পানি নিয়ে সমস্যা পোহাচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।'
তিনি বলেন, 'দেশে শিল্প ও গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা অতিরিক্ত উত্তোলনের কারণে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। উপরন্তু ভূপৃষ্ঠের পানির উৎসগুলো শিল্প এবং কৃষি বর্জ্য দ্বারা দূষিত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের অভাব এবং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। শিল্প, কৃষি, মৎস্য সম্পদ এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও পানি সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।'
কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) চেয়ারম্যান এবং এফআইসিসিআই-এর পরিচালক জাহাঙ্গীর সাদাত বলেন, 'শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্রুত রূপান্তর ঘটছে। যা অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরী করছে। শিল্প কারখানাগুলো ভূগর্ভস্থ পানির উপর অনেক বেশি নির্ভশীল হয়ে পড়েছে, যা আগামীতে ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়বে। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও পানির ওপর নির্ভরশীল বেশ কিছু শিল্পকারখানা রয়েছে। যে কারণে গত ৪০ বছরে শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটার পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। প্রতি বছর ২ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৬৫ মিটার পর্যন্ত পানির স্তর নেমে গেছে।'
তিনি বলেন, 'নগরীর কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলে ১৩৪ হেক্টর জমিতে ১৩৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্রমবর্ধমানভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এই শিল্পাঞ্চলে পানির চাহিদা তীব্র হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ বের করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাষ করি এই সভা শিল্প মালিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং শিল্পাঞ্চলে পানির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করবে।'
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব ঠিকমতো দেখাচ্ছে না। খেলাপি ঋণ হিসাবের আন্তর্জাতিক আইন মানা হলে ব্যাংকগুলোর সম্পদ আরও কম হতো। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেই আইন না মেনে নিজেদের সম্পদ বাস্তবের চেয়ে বেশি দেখাচ্ছে।
ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা সোমবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
পুঁজিবাজারভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিট্যাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে ‘সিএমজেএফ টক’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে।
হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে আইএফআরএস মেনে হিসাব রাখার কথা। কিন্তু দেশের ব্যাংক খাতে আইএফআরএস ৯-এর নিয়ম মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশে আইএফআরএস-এর সব আইন মানলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ অবলোপন করতে হবে বা কমে যাবে।
‘আইএফআরএস হচ্ছে হিসাব রক্ষণের আন্তর্জাতিক নিয়ম। এই নিয়মগুলো বিশ্বের সব দেশের কোম্পানি মেনে চলে, যাতে আর্থিক প্রতিবেদনগুলো স্বচ্ছ হয়।
‘আইএফআরএস-এর ৯ নম্বর আইনটিতে বলা আছে- কিভাবে একটি কোম্পানি তাদের আর্থিক দায় ও আর্থিক সম্পদের হিসাব রাখবে। ব্যাংক যে ঋণগুলো দেয় সেগুলো তাদের হিসাব বইয়ে আর্থিক সম্পদ হিসেবে থাকে। আন্তর্জাতিক মান ব্যবহার করলে এই ঋণ বা আর্থিক সম্পদ অনেক কম দেখাতে হতো।’
এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি ঠেকাতে ২০১৫ সালে গড়ে তোলা হয় ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। এখন যদি কোনো হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি করতে সাহায্য করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়।
‘এ মুহূর্তে আইএফআরএস-এর ৯ ধারা বাস্তবায়ন করা হলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ রাইট অফ (অবলোপন) করতে হবে। আমরা চাই এটি বাস্তবায়ন করা হোক। তাহলে ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে।’
রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ-এর নিজস্ব কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বছরের পর বছর টেনে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা কি কখনো ফেরত পাওয়া যাবে? ব্যাংকগুলো যদি আদায় করতে সক্ষম হয় তাহলে সমস্যা নেই। তবে আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে দেখি খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় না। বরং ২ শতাংশ জমা দিয়ে এগুলোকে আবার নিয়মিত ঋণে কনভার্ট করা হয়।
‘এ ২ শতাংশ দিয়ে তো ইন্টারেস্ট (সুদ আয়) আসে না। কারণ ইন্টারেস্ট তার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ রি-সিডিউল করে রেগুলার করা হচ্ছে। আর ওই ঋণখেলাপি তখন আরেক ব্যাংকে গিয়ে লোন নিচ্ছে।’
হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি আইএফআরএস-৯ বাস্তবায়ন করা হোক। ব্যাংকের সব ফিগার রিটার্ন অফ করে ব্যাংক একটি সেটেলড পজিশনে আসুক। কিন্তু সম্ভব না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মেনেই নিচ্ছে না।’
এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে অডিটরদের
আগামী ৩০ মে-র মধ্যে অডিটরদের এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে। কোনো অডিটর নিবন্ধিত না হলে তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।
এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো কোম্পানির রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে, সেই কোম্পানি জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে ৩ হাজার চার শ’র মতো। এর বাইরে আড়াই হাজারের মতো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোও জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো অডিটর এফআরসিতে তালিকাভুক্ত না হলে এসব প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।
নিয়ম মানছে না বিমা কোম্পানি
হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘জীবন বিমা কোম্পানিগুলো কখনও প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করে না। তারা একটা অ্যাকাউন্ট করে, সেটি হলো রেভিনিউ অ্যাকাউন্ট। কিন্তু আইএএস ১-এ স্পষ্ট বলা আছে, আপনার কোম্পানির নেচার যাই হোক না কেন প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করতে হবে। কিন্তু এরা তা করে না। এমনকি আমরা চিঠি দিলে রেসপন্সও করে না।
‘অন্যান্য রেগুলেটর কিছুটা হলেও রেসপন্স করে। এই একটা সেক্টর, যেখান থেকে আমরা আজ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স পাইনি।’
এফআরসিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে
হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, এফআরসিতে জনবল নিয়োগ দেয়ার পর আমি প্রথম হাত দেব ক্যাপিটাল মার্কেটে। আমি ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার অবস্থা দেখতে চাই। ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে যদি ম্যানিপুলেশন হয় তাহলে অনেক মার্জিনাল ইনভেস্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোর ওপর কঠোর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে চিঠি ইস্যু করা হবে।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তার প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এই অবস্থায় ওইসব ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনার জন্য পদক্ষেপ নিতে চিঠি ইস্যু করা হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।
এবার তাতে অনীহা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি।
বিএসইসির একটি সূত্রে জানা গেছে, শেয়াবাজার থেকে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো বড় হচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগে অনীহা। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের বন্ডেও অনীহা প্রকাশ করবে বিএসইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ি অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। কিন্তু শেয়ারবাজারের সহায়তায় ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়। যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে চিঠি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলনাতি বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরন করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি বিনিয়োগ, সেগুলোকে সুপার ফাস্ট (দ্রুত গতিতে) বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোসাভীর আল আশিকের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হবে। আর ক্লোজিং সেশন থাকবে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
ওই চিঠিটি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিডিবিএল ও সিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএমবিএ, ডিবিএ, এএএমসি এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান কাছে পাঠানো হয়েছে। এর কপি বিএসইসির কমিশনার, পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পিএসের কাছেও দেয়া হয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়।
কয়েক দিন ৫০০ কোটি, ৬০০ কোটি ও ৭০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে ফের নেমে এলো ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।
লেনদেন কমার এ দিনে পতন হয়েছে মূল্যসূচকেরও।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনের তুলনায় সোমবার ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়।
লেনদেন কমার পাশাপাশি আগের দিনের চেয়ে সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬ হাজার ২০৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
আজ দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা ৫১টি। দর কমেছে ৩৫টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৪টি কোম্পানির।
অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নামমাত্র উত্থানে লেনদেন শেষ হয়।
সিএসইতে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য