বাংলাদেশে দূরত্বভেদে বাস ভাড়ার হার একই থাকলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তা উল্টো। যাত্রী যত দূরের গন্তব্যে যাবে, বাস ভাড়ার হার তত কমে আসবে।
তবে বাংলাদেশে লঞ্চ ভাড়ার ক্ষেত্রে দূরত্বের হিসাবে ভাড়ার হার দুটি হলেও বাস ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি কখনও বিবেচনায় আনা হয় না।
ফলে কেউ ১০ কিলোমিটার দূরত্বে গেলে যে হারে ভাড়া দিতে হয়, ৪০০ কিলোমিটার গেলেও একই হারে ভাড়া দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের তুলনায় ডিজেলের দাম লিটারে অন্তত ২৪ টাকা বেশি হলেও কলকাতায় স্বল্প দূরত্বের তুলনায় দূরপাল্লায় বাস ভাড়া ঢাকার চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই চার ভাগের এক ভাগেরও কম।
কলকাতায় নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হলেও ঢাকায় নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ আদায় করায় এই পার্থক্য আরও বেশি গিয়ে ঠেকে।
বাংলাদেশে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর গত রোববার বাস ভাড়া বাড়িয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তাতে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা, মহানগরে বড় বাসে কিলোমিটারে ২ টাকা ১৫ পয়সা আর মিনিবাসে ২ টাকা ৫ পয়সা বলে জানানো হয়েছে।
কোনো যাত্রী যদি ১০ কিলোমিটার যান, তাহলেও একই হার, আবার যদি ৪০০ কিলোমিটার যান, তাহলেও একই হারে ভাড়া দিতে হয়।
একই দিন লঞ্চের ভাড়া বাড়িয়ে যে আদেশ দেয়া হয়েছে, সেখানেও বিষয়টি এত সরল নয়। সেখানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লঞ্চের ভাড়া কিলোমিটারে ২ টাকা ৩০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে কিলোমিটারে ২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠন বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা লঞ্চ যখন দূরপাল্লায় যায়, যখন সেটি ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে যায়, তখন তার খরচ কমে আসে। তাই বড় দূরত্বে ভাড়া কম রাখা হয়। দূরপাল্লায় যাত্রীদের যদি একই হারে ভাড়া দিতে হয়, তাহলে সেটি তাদের জন্য চাপ হয়ে যায়। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের যাত্রীদের ভাড়ার হার কম নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দূরত্ব যত বেশি হয়, ভাড়ার হার ক্রমান্বয়ে কমে আসা উচিত। ভারত বা পাকিস্তানে যদি দূরপাল্লায় আপনি যান, তাহলে ভাড়া অর্ধেক কম।’
ভাড়ার হারে স্ল্যাব না থাকা বা বেশি হারে ভাড়া নির্ধারণের পেছনে পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বাস নির্ভরতাকে দায়ী করেছেন এই পরিবহন বিশেষজ্ঞ। তিনি ভারতের ট্রেন নেটওয়ার্কের বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, সেখানে সড়কপথের তুলনায় বেশি যাত্রী পরিবহন করা হয় রেলে, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে তাই। কিন্তু বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ যাত্রী আর ৮৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন সড়কনির্ভর। ফলে সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের একাধিপত্য এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোক্তা তথা যাত্রীদের রাখা উচিত। নইলে তাদের পক্ষ থেকে এসব কথা আসলে কেউ বলে না। কিন্তু আমাদের যে ভাড়া নির্ধারণের ১২ সদস্যের কমিটি, সেখানে কেবল মালিক এবং শ্রমিক পক্ষ আর সরকারের লোকজন।’
বাসের ক্ষেত্রে দূরত্ব যা-ই হোক না কেন, একই হারে ভাড়া কেন- এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর বক্তব্য পাওয়া যায়নি সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ফোন না ধরায়।
ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়া ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কম ভাড়ার ব্যবস্থা করা তো আমাদের দাবি। দূরে গেলে ভাড়া কমবে, এটা যুক্তিসংগত।’
তাহলে দূরের যাত্রীদের ভাড়ার হার কম রাখার বিষয়টি বিআরটিএ বিবেচনায় আনেনি কেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা ভাড়া নির্ধারণ করে, এই প্রশ্নের উত্তর শুধু সেসব কর্তৃপক্ষই দিতে পারবে।’
বৈঠকে প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নে সংস্থাটির সভাপতি বলেন, তিনি সেখানে ছিলেন না। তাদের প্রতিনিধি বিষয়টি বলেছিলেন কি না, সেটি জানা নেই।
পশ্চিমবঙ্গে যে পদ্ধতিতে বাস ভাড়া
সম্প্রতি কলকাতায় ডিজেলের দাম লিটারে ৫ রুপির মতো কমানো হলেও গত কয়েক মাসে ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এখন প্রতি লিটারে দাম পড়ছে ৮৯ দশমিক ৭৮ রুপি। প্রতি রুপি বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ টাকা ১৬ পয়সা হারে দাম দাঁড়ায় ১০৪ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ বাংলার দুই অংশে লিটারে দামে পার্থক্য ২৪ টাকা ১৪ পয়সা।
পশ্চিমবঙ্গে তেলের দাম বাড়ানোর কারণে বেসরকারি বাসমালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন। প্রাদেশিক সরকার এখনও সাড়া না দিলেও বাসমালিকরা নিজেদের মতো বিভিন্ন স্ল্যাবে ৫ থেকে ১০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছেন।
সেখানে সরকারি যে পরিবহন সেবা, তা চলছে পুরোনো ভাড়াতেই। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম নামে বাস সংস্থাটি কলকাতা ও শহরের উপকণ্ঠে সেবা দেয়।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোর জন্য দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন (এসবিএসটিসি)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর জন্য উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগম (এনবিএসটিসি) রাজ্যব্যাপী পরিবহন পরিষেবা দেয়।
পাশাপাশি বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু রয়েছে রাজ্যজুড়ে।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের বাস ভাড়া নিয়ে সবশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ জুন। কলকাতা ও শহরতলির সাধারণ বাসের ভাড়ার চার্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চার কিলোমিটার পর্যন্ত ৭ রুপি। চার কিলোমিটার থেকে আট কিলোমিটার পর্যন্ত ৯ রুপি।
অর্থাৎ যাত্রী চার কিলোমিটার পর্যন্ত বাসে গেলে কিলোমিটারে ১ দশমিক ৭৫ রুপি ভাড়া দিতে হয়। অন্যদিকে কেউ চার কিলোমিটারের বেশি, অথচ আট কিলোমিটারের কম যান, তাহলে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়ার হার ১ টাকা সাড়ে ১২ পয়সা পর্যন্ত নেমে আসে।
আবার কেউ যদি ১২ কিলোমিটার থেকে ১৬ কিলোমিটার যান, তাহলে তাকে দিতে হয় ১০ রুপি। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে ভাড়ার হার কমে কিলোমিটারে ৬৩ থেকে ৮৩ পয়সা পর্যন্ত পড়ে।
আবার কেউ যদি ১৬ কিলোমিটার থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত যান, তাহলে এই বাড়তি গন্তব্যের জন্য দিতে হয় বাড়তি ১ টাকা। অর্থাৎ তখন কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া হয় ৫৫ থেকে ৬৯ পয়সা।
আবার কোনো যাত্রী যদি ২০ থেকে ২৪ কিলোমিটার যান, তাহলে তাকে ভাড়া দিতে হয় ১২ রুপি। সে ক্ষেত্রে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া হয় ৫০ থেকে ৬০ পয়সা।
২৪ কিলোমিটারের পর থেকে প্রতি চার কিলোমিটারে ভাড়া ১ রুপি করে পড়ে। অর্থাৎ ২৪ কিলোমিটারের বেশি যাত্রায় কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া বাড়ে ২৫ পয়সা করে।
মিনিবাসের ক্ষেত্রে ভাড়ার হার কিছুটা বেশি। তবে সেখানেও দূরত্ব বাড়লে ভাড়ার হার কমে আসে।
সেখানে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া ৮ রুপি। তিন থেকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া ৯ রুপি। ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া ১০ রুপি।
১০ থেকে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ১১ রুপি আর ১৬ কিলোমিটারের পর থেকে প্রতি তিন কিলোমিটার অন্তর ভাড়া ১ রুপি করে বাড়বে।
দূরপাল্লার এক্সপ্রেস সার্ভিসের ক্ষেত্রে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া সাড়ে ৮ রুপি। ছয় কিলোমিটারের পরে অতিরিক্ত কিলোমিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা বাড়বে।
আন্তরাজ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রথম ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত ১২ রুপি। ছয় কিলোমিটারের পর অতিরিক্ত প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৭৫ পয়সা বাড়বে।
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি বাসের তুলনায় বেসরকারি বাসে ভাড়া কিছুটা বেশি। যেমন কলকাতার ধর্মতলা বাস টার্মিনাল থেকে সরকারি বাসে মালদা যেতে গেলে ২৫৬ রুপি, কিন্তু বেসরকারি বাসে ভাড়া পড়ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ রুপি।
রাজ্যের বেসরকারি কোনো বাসে ফেয়ার চার্ট নেই। দূরপাল্লার বেসরকারি বাসের ভাড়া বাসের সিট আর দূরত্বের ওপর নির্ধারণ হয়। সেখানেও দূরত্ব যত বেশি হয়, ভাড়ার হার তত কম।
আরও পড়ুন:সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’
বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।
এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।
এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’
সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’
সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।
কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।
জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"
তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।
ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
মন্তব্য