গত দেড় বছরে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি হারে দর বৃদ্ধি পাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের আরও সোয়া কোটির মতো শেয়ার অক্টোবরে কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আগের মাসে তারা ৪৪ লাখ শেয়ার বিক্রি করলেও চার মাসে কিনেছে সাড়ে ১১ কোটির বেশি শেয়ার।
গত বছরের জুলাইয়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৩ টাকা। সেটি এখন ছাড়িয়ে গেছে ১৭০ টাকা। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে দর সংশোধনে বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যাপক হারে দর হারালেও এই সময়েও বেড়েছে শেয়ার দর।
২০২০ সালের জুনে অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ২২ দশমিক ৪১ শতাংশ ধারণ করেছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আর ওই বছরের জুলাই থেকে শেয়ার দরের উত্থান শুরু হয়। আর দাম একপর্যায়ে সেপ্টেম্বরে ৩০ টাকা, ডিসেম্বরের শুরুতে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সেখানে কয়েকটির ঘুরপাক খাওয়ার পর জানুয়ারিতে আবার ৭০ আর ফেব্রুয়ারিতে ৯০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এরপর সেখান থেকে এপ্রিল নাগাদ নেমে আসে ৭০ টাকার নিচে। আর মে মাসের মধ্যে আবার তা ৯০ টাকার ঘরে ওঠে।
চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে দাম ৯০ টাকার ঘরে ঘুরপাক খেয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ লেনদেন হচ্ছিল।
উত্থানের এই সময়ে বেক্সিমকোর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিপুলসংখ্যক শেয়ার বিক্রি করেছে।
গত বছরের জুন শেষে মোট শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হিস্যার চেয়ে চলতি বছরের জুন শেষে তা কমে যায় প্রায় ৯ শতাংশ। গত ৩০ জুন মোট শেয়ারের ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ ধারণ করে থাকে তারা।
অর্থাৎ এক বছরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার ৪২৯টি।
এরপর চলতি বছরের জুলাই থেকে চিত্র ঘুরে যায়। শেয়ার দরও বাড়তে থাকে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বেক্সিমকোর শেয়ারে হিস্যাও বাড়াতে থাকে।
প্রথম এক মাস শেয়ার দর সেভাবে না বাড়লেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানা বাড়ে ব্যাপক হারে। গত ৩০ জুন শেয়ার দর ছিল ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা, সেখান থেকে এক মাস পর ২৯ জুলাই তা গিয়ে দাঁড়ায় ৯১ টাকা ৩০ পয়সায়।
ওই মাস শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হিস্যা বেড়ে হয় ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসেই বাড়ে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
অর্থাৎ এই মাসে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার কেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
পরের মাস আগস্টে দাম আরও বাড়ে, আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাও বাড়িয়ে দেয়। এই মাস শেষে শেয়ার দর বেড়ে হয় ১০৭ টাকা ২০ পয়সা।
শেয়ার দর ১৫ টাকা ৯০ পয়সা বাড়ার মাসে বেক্সিমকোর মোট শেয়ারের ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৫টি কেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
এরপর সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এক মাসে শেয়ার দর আরও বাড়ে। তবে এই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার না কিনে বিক্রি করেছে।
সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার দর আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৭ টাকা ২০ পয়সা। এই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হিস্যা কমে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। মোট শেয়ারের ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ মালিকানা থাকে তাদের হাতে।
অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের এই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯০টি শেয়ার বিক্রি করেছে।
অক্টোবরে বেক্সিমকোর শেয়ার দর দেয় আরেক লাফ। এই মাস শেষে দর বেড়ে হয় ১৬৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের মাসে শেয়ার বিক্রি করলেও দাম বাড়িয়ে আবার শেয়ার কেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
এই মাস শেষে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হিস্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এই এক মাসে মোট শেয়ারের ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, অর্থাৎ এক কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার ৮৩২টি শেয়ার কিনেছে তারা।
গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসেই বেক্সিমকোর ১১ কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ৩০৬টি শেয়ার কিনেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৩ টাকা ৬০ পয়সা।
আগ্রহ কেন
এক যুগ আগে পুঁজিবাজারে মহাধসের আগেও অন্যান্য কোম্পানির মতো বেক্সিমকোর শেয়ার দরেও ব্যাপক উত্থান হয়েছিল।
সেই ধসের আগে বেক্সিমকোর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৫ টাকার বেশি। সেটি এক দশক ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। এর মধ্যে ২০২০ সালে এই সময়ের সর্বনিম্ন আয় করে কোম্পানিটি। ওই বছর শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৫১ পয়সা।
২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকেও আয় আহামরি কিছু হয়নি। এই তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ১৪ পয়সা। কিন্তু এরপর করোনার মধ্যে পরিস্থিতি ঘুরে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ আয় করে কোম্পানিটি। আর এই সুরক্ষাসামগ্রী তৈরির জন্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকায় পিপিই পার্ক তৈরি করে বেক্সিমকো।
রপ্তানি শুরু করার পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার আনুষ্ঠানিকভাবে এই পার্ক উদ্বোধন করেন। সেদিন জানানো হয়, এই পার্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পিপিই ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী কিনবে।
এই বিষয়টি ছাড়াও বেক্সিমকোর দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পাওয়াও শেয়ার দর উত্থানে ভূমিকা রেখেছে।
এসব পণ্য রপ্তানিতে ভর করে পাশাপাশি অন্য আয় যোগ হওয়ায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৮ পয়সা, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে ১ টাকা ৯২ পয়সা এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৩০ পয়সা আয় করে কোম্পানিটি।
অর্থাৎ প্রতি প্রান্তিকেই কোম্পানিটির আয় আগের তুলনায় বাড়ছে। আর গত জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৫৩ পয়সা আয় গত অন্তত আট বছরের সর্বোচ্চ।
বেক্সি পাওয়ার নামে বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নে একটি ২৮০ মেগাওয়াট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নির্মিত হচ্ছে ৫৫ মেগাওয়াটের আরও একটি কেন্দ্র।
এর মধ্যে গাইবান্ধার কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে তিস্তা সোলার লিমিটেড আর পঞ্চগড়েরটি নির্মাণ করছে করতোয়া সোলার লিমিটেড নামে কোম্পানি। এই দুটি কোম্পানির ৭৫ শতাংশের মালিক বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সি পাওয়ার। বেক্সি পাওয়ারের ৭৫ শতাংশের মালিক আবার বেক্সিমকো লিমিটেড।
এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদনে আসবে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থায়নের জন্য বেক্সিমকো ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছেড়েছে। শুরুতে বিনিয়োগকারীরা এই বন্ড কিনতে চাননি সেভাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক পরে জানায়, তারা বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে এবং এরপর বন্ডের সাবস্ক্রিপশন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কারা
পুঁজিবাজারে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তাদের সবচেয়ে দক্ষ বিনিয়োগকারী হিসেবে দেখা হয়।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হচ্ছে মূলত অনুমোদিত স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য বা ব্রোকারেজ হাউস।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, কাস্টডিয়ান, ট্রাস্টি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক বা তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে যে বিনিয়োগ করে থাকে তাদেরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বেক্সিমকোর শেয়ারে এই ব্যাপক আগ্রহের বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে দক্ষ বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বেক্সিমকোর ক্ষেত্রেও হয়তো তাদের কোনো হিসাব-নিকাশ আছে, ফলে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে।’
তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে বলেই কোম্পানির শেয়ারে লাভ হবে- এই ধারণা না করতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ‘তাদের যে লোকসান হয় না সেটি কিন্তু নয়।’
দেবব্রত বলেন, ‘বেক্সিমকোর ব্যবসার যে অগ্রগতি সেটি পুরোটাই দৃশ্যমান। এ ছাড়া করোনার সময় যেসব সেক্টর সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করছে, তার মধ্যে আছে এরা।
‘বিশেষ করে বেক্সিমকো লিমিটেডের পুঁজিবাজারে যে দাপট তার মূল কারণ হচ্ছে সুকুক। সুকুকের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে লাভবান হবেন, সেটির আরও প্রচারণার প্রয়োজন ছিল। সুকুক নতুন প্রোডাক্ট হওয়ায় প্রথম দিকে ধাক্কা লেগেছিল। কিন্ত এখন বিনিয়োগাকরীরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন। ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য