ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
প্যারিস সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার দুপুরে এলিসি প্রাসাদে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছালে তাকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।
এরপর দুই দফা ফটোসেশনে অংশ নেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। পরে দুই নেতা এলিসি প্রাসাদে মধ্যাহ্নভোজ শেষে বৈঠক করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিপাবলিকান গার্ড সদস্যরা স্ট্যাটিক গার্ড অফ অনার দেন।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ম্যাটিগননে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসট্যাক্সের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো এবং লন্ডন সফর শেষে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্যারিস পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্যারিস বিমানবন্দরে ২১ জন গার্ড শেখ হাসিনাকে স্ট্যাটিক গার্ড অফ অনার দেন।
প্যারিস সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্যারিস পিস ফোরামে যোগ দেয়ার পাশাপাশি ইউনেসকো সদর দপ্তরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ পুরস্কার বিতরণসহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এর আগে ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) যোগ দিতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গ্লাসগোতে অবস্থানের সময় প্রধানমন্ত্রী কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের মূল পর্বে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের সভায় অংশ নেন।
গ্লাসগোতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটেনের রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার প্রিন্স চার্লসসহ বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
কপ-২৬ সম্মেলনে যোগদান শেষে গত ৩ নভেম্বর লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী।
লন্ডনে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১: বিল্ডিং সাসটেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ’ শিরোনামে রোড শোর উদ্বোধন ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
১৩ নভেম্বর প্যারিস থেকে রওনা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ১৪ নভেম্বর সকালে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন— “কেউ যদি নির্বাচনের কোন বিকল্প নিয়ে ভাবে সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রফেসর ইউনূস জোর দিয়ে বলেছেন-অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজন করা। প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বারবার উল্লেখ করেছেন যে, এ নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা নির্বাচন। ”
তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আলী রিয়াজ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুনির হায়দার প্রধান উপদেষ্টাকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
শফিকুল আলম বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকগুলো খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদ্যাপনের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে কেউ যেন দেশে ষড়যন্ত্র বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে এবং প্রয়োজন হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২২০ (বস্তা) ১০ টন ৬শ'ত কেজি চাল উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার বিকালে উপজেলার গাড়ামাসী বাশঁতলা এলাকার একটি গুদামে এই অভিযান চালানো হয়। চালসহ ইব্রাহিম মন্ডল (২৬) নামের একজনকে আটক করা হয়। তবে গুদামের মালিক পলাতক রয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান।
অভিযান পরিচালনার সময় সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, খাদ্য ইন্সপেক্টর ইমরুল কায়েসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান বলেন, জেলা এনএস আই কার্যালয়ের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিপুল পরিমাণ চাল একটি গুদামে মজুত রয়েছে। পরে সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় একজন কে আটক করা হয়।
মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে জবেদা আক্তারের। বাবা-মায়ের আদর স্নেহ না পেয়ে বেড়ে ওঠা জবেদা আক্তার সরকারি চাকরি পেয়ে এবার নিজেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন। দেড় বছর বয়সে জবেদা আক্তারের বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রথমে বাবা মো: জামিনুর ও কয়েক বছর পরে মা মোছা: ঝর্না আক্তার অন্যত্র বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন শিশু জবেদা আক্তারের ঠাই হয় নানা-নানীর কাছে। নানা জয়নাল, নানী মোছা: লাইলী ও মামাদের আশ্রয়ে বেড়ে উঠে জবেদা আক্তার। জামালপুরে এবারের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন জবেদা আক্তার (১৮)।
নিজের যোগ্যতায় সরকারি চাকরি হওয়ায় স্বপ্ন পূরণে জবেদা আক্তারের চোখ বেয়ে অশ্রু বইছে। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট নয়াপাড়া এলাকার জবেদা আক্তার বলেন, নানা-নানী ও মামার সংসারে থেকে লেখাপড়া করেছি। সেভাবে বাবা-মায়ের আদর পাইনি, তারা থেকেও যেন নেই, আমার চলার পথ সহজ ছিলো না। মেলান্দহ উপজেলার কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে এখন স্থানীয় টনকি বাজারস্থ আলেয়া আজম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছি। আমি ভাবিনি আমার সরকারি চাকরি হবে। বাড়ি থেকে একা একাই পুলিশ লাইন্সে এসেছি চাকরির পরীক্ষা দিতে, আমার সাথে কেউ আসেনি। এখন সবাইকে ফোন করে চাকরির বিষয়টি জানাচ্ছি। মাত্র ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে আমি অনেক খুশি, এখন থেকে আমার আনন্দের সময় শুরু- বেশ উচ্ছাস নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন জবেদা আক্তার।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারী গ্রামের মো: আবু তালেবের ছেলে কোরআনে হাফেজ মো: রুহেল মিয়া (১৯) পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। তিনি জানান, এর আগে আরও দুই বার পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমি দেখেছি সবারই নিজ নিজ যোগ্যতায় চাকরি হয়েছে। তাই হাল ছাড়িনি, এবার আমি তৃতীয় বারের মত পরীক্ষা দিয়েছি এবং উত্তীর্ণ হয়েছি। এবার আমার চাকরি হয়েছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, আলহামদুলিল্লাহ। আমি ব্র্যাক স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণী পাশ করে আমার এলাকার মাঠেরঘাট হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়েছি। এরপর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের জামিয়া ইবনে আব্বাস কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছি। বর্তমানে আমি টঙ্গী সরকারি কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত।
মশিউর রহমান (১৯), আনোয়ার হোসেন (১৮), তাপসী তৃষা (২০) ছাড়াও আরও কয়েকজন পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্তরা বলেন, এত স্বচ্ছ নিয়োগ হবে জানতাম না। ভাবতাম পুলিশে চাকরি নিতে অনেক তদবীর করতে হয়, লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। চাকরি হবে কিনা সংশয় ছিলো, তবুও পুলিশ লাইন্সে এসেছি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে। কোন অনিয়ম, দুর্নীতি, তদবীর ও লেনদেন ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকায় যোগ্যাত ও মেধায় পুলিশে চাকরি হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৪ এর জুলাই বিপ্লব তথা ৫ই আগষ্টের পর সাধারণ মানুষ যে জনআকাঙ্খার পুলিশ চায় সেই পুলিশ গড়ে তুলতে হলে সবার আগে স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা দরকার। সারাদেশে এভাবেই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের আহবান জানাবো তারা যেন তাদের সন্তানদের পুলিশে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে এবার প্রায় ১ হাজার ৪শ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। যাচই-বাছাই শেষে এদের মধ্যে মোট ৮০৩ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে ৭৩ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে মোট ৩২ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী, একজনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, অপেক্ষমান রয়েছে ৬ জন।
বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে সনাক্ত হলো গৃহবধুর সপ্নার পরিচয়।
গতকাল কুষ্ঠিয়ার মিরপুরের ট্রেন লাইন থেকে নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় রেলওয়ে পুলিশ।
পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ রাখা হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
তার পরিচয় সনাক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হয় ছবি।
ছবি দেখে সনাক্ত হয় গৃহবধু মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের পুরাতন মটমুড়া গ্রামে মোবাইল মেরামতকারী সুজনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী স্বপ্না।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের রাজধানী পাড়ার মৃত রেজাউল হকের মেয়ে স্বপ্নার সাথে মটমুড়া গ্রামের সুজনের বিয়ে হয় প্রায় ১ যুগ আগে। সুজন স্বপ্নার সংসারে রয়েছে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে।
স্বপ্নার মৃত্যুতে শোকে ভাসছে দুটি পরিবার সহ আত্মীয় স্বজনরা।
সপ্নার মৃত্যুর সংবাদে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন স্বামী সুজন আলী।
স্বপ্নার শাশুড়ি জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেলে সে পাশের বাড়িতে যায়। ফিরে এসে জানতে পারে তার পুত্রবধু স্বপ্না বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুনতে পাই স্বপ্নার মৃত্যুও খবর।
গৃহবধু স্বপ্নার মা জানিয়েছে তার মেয়ের সাথে দুদিন কোন কথা হয়নি। শনিবার রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবেশীরা স্বাপ্নার ছবি দেখে তাকে দেখালে সে তার মেয়ে স্বপ্নাকে চিনতে পারে। আমি এখন কি করবো? আমার সাথে এম কি হলো? যে সে নিজ জেলা ছেড়ে অন্য জেলায় গিয়ে আত্মহত্যা করলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জি এস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটের শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসান আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এই রিট করেন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদালতের আজকের কার্যতালিকার ২৮৫ নম্বর ক্রমিকে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল। তবে ব্যস্ত কার্যসূচির কারণে আদালত তাৎক্ষণিক শুনানি না করে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেন।
হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মো. আকবর আলী (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উবাহাটা ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
রবিবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৯। গ্রেপ্তার চুনারুঘাট উপজেলার উসমানপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৯ মার্চ ভুক্তভুগীর সঙ্গে একই বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামী তার শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করে বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবাকে জানান। পরে বাবার জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী জানান, গত বছরের ৫ অক্টোবর থেকে একই গ্রামের আবু তাহের ও আকবর আলী বিভিন্ন সময়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছেন।
গত ৮ মে তাকে মেডিক্যাল টেস্ট করানো হলে জানা যায়, ২৭ সপ্তাহ ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা তিনি।
এ ঘটনায় গত ১১ মে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প গতকাল শনিবার উবাহাটা ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতি. পুলিশ সুপার কে, এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গ্রেপ্তার আকবরকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য