× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Campaign Threats Violence Concerns over voting in UP
google_news print-icon

প্রচারে হুমকি সহিংসতা, ইউপিতে ভোট নিয়ে শঙ্কা

প্রচারে-হুমকি-সহিংসতা-ইউপিতে-ভোট-নিয়ে-শঙ্কা
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রচারের বাধা দেয়া ও সহিংস আচরণের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তাদের শঙ্কায় হাওয়া দিয়েছেন নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার বক্তব্য।

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট ১১ নভেম্বর। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সহিংসতার পর দেশের ৮৪৮টি ইউপিতে এক দিন পরই হতে যাওয়া ভোট নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা উৎকণ্ঠা।

প্রচারের সময়ই বিভিন্ন ইউপিতে সহিংসতা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনি সহিংসতায় নরসিংদীতে চারজন, মাগুরায় চারজন ও মেহেরপুরে দুজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন ইউপিতে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শ।

এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রচারের বাধা দেয়া ও সহিংস আচরণের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তাদের শঙ্কায় হাওয়া দিয়েছেন নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার বক্তব্য।

দলীয় সিদ্ধান্তে এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কয়েকটি ইউপিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দলের প্রতীকে ভোট করছেন না কেউ।

সেদিক থেকে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য মাঠ অনেকটাই ফাঁকা। তবে বিএনপি সরে দাঁড়ালেও নৌকার প্রার্থীদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অধিকাংশ ইউপিতেই নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যেই অনেক ইউপিতে সহিংসতা হয়েছে।

নিউজবাংলার মাগুরা, সাতক্ষীরা, পাবনা, রাজবাড়ী ও শেরপুর জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

মাগুরায় চার খুনের সেই ইউপিতে অনেকেই ঘরছাড়া

মাগুরার জগদল ইউনিয়নে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন চারজন। সেই ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলায় ওই এলাকার অনেকেই ঘরছাড়া।

তবে ভোটের আগে ফিরে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, ওই ইউপি অনেকটাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। ভোট দিতে তারা ফিরে এসেছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটের দিন ওই এলাকায় র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

জগদল ইউনিয়ন ছাড়া মাগুরা সদর উপজেলার আরও ১২ ইউপিতে ভোট হবে একই দিন। শেষ মুহূর্তে প্রচারে ব্যস্ত এসব ইউপির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার সব জায়গায় প্রার্থীদের ব্যানার ঝুলছে। বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ।

প্রচারে হুমকি সহিংসতা, ইউপিতে ভোট নিয়ে শঙ্কা

তবে এসব ইউপিতে প্রার্থীরা ভোট নিয়ে জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গোপালগ্রাম, কুচিয়ামোড়া, মঘিসহ প্রায় সব ইউনিয়নে সরকারদলীয় প্রার্থীরা জানিয়েছেন নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক আছে। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাবি, প্রচারে নানা বাধার মুখে পড়ছেন তারা।

এদিকে বর্তমান সদস্যরাও প্রার্থী হয়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন।

কামারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘সকাল থেকে পরিষদে বসে আছি। একটা জন্মনিবন্ধন করা লাগে, কিন্তু কেউ আসছে না ভোটের জন্য। ভোট শেষে আসতে কয়।’

মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল ইসলাম জানান, ভোট সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, গ্রামপুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির টহল থাকবে। আশা করছেন ভোট সুষ্ঠু হবে।

সাতক্ষীরায় ১৩ ইউপির ১২টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীতে অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিষ্কার করেও সরানো যায়নি বিদ্রোহী প্রার্থীদের। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১২টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের।

এ ছাড়া আট ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে তিনজন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে তিনজন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

অন্য দলের প্রার্থীর পাশাপাশি নিজের দলের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ায় জয় নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। জয়ের পথে বিদ্রোহী প্রার্থীরাই তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জেতাতে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

গোয়ালন্দে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

দ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভোট হচ্ছে দুই ইউনিয়নে। উপজেলার ছোটভাকলা ও উজানচর ইউপি দুটিতেই ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ছোটভাকলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ফের নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি বক্তব্যে বলেন, যেকোনো মূল্যে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

তার কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে ভোট চাইতেও পারছেন না বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী।

উজানচর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ফকির বলেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তারপরও আমাকে ভোটাদের কাছে যেতে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে সেখানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, সেখানে আর তারা ভোট চাইতে পারে না। এটা কেমন নির্বাচন হচ্ছে?’

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কোনো কাজ কাউকেই করতে দেয়া হবে না।

শেরপুর সদরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

শেরপুর সদরের ১৪টি ইউপিতে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জোর করে ভোট নেয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর সরকারি দলের প্রার্থীরা বলছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই জনগণ তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

প্রচারে হুমকি সহিংসতা, ইউপিতে ভোট নিয়ে শঙ্কা
মুড়ি প্রতীকের এক প্রার্থীর প্রচার মিছিল

অভিযোগ ছাড়াও এই উপজেলায় এবার নৌকার প্রার্থীদের মাথাব্যথার বড় কারণ দলের বিদ্রোহী। তিন ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে ১১টিতে। এর মধ্যে ৯টিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বাকি দুটিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটারদের অনেকেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। চরশেরপুরের আলীমদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে নিরপেক্ষ ভোট হবে না বলে হুনতাছি।’

বেতমারীর আফাজ মিয়া বলেন, ‘হুনতাছি আমাগোরে বলে ভোট দিবারি দিব না। তাইলে ইলেকশন দিয়ে নাব কী?’

চরমুচারিয়া ইউনিয়নের সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ ভোট চাই। আমরা যেন আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারি।’

তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ভোট নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নেয়া হবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।

পাবনায় চাচা-ভাতিজার লড়াই

পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ও আহমদপুর ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন চাচা-ভাতিজা। দুই ইউপিতে চাচা-ভাতিজার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেও ভোটের মাঠে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

দুলাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাজাহান। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। আর তার বিরুদ্ধে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ভাতিজা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ।

সাইদুর বলেন, ‘চেয়ারম্যান থাকার সময় আমার চাচা দুর্নীতিতে জড়িয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের তদন্তে এসব দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ায় আমরা পারিবারিকভাবেই লজ্জায় পড়েছি।

‘দুলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমার মরহুম পিতা আজীবন কাজ করেছেন। পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের দাবিতে প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছি।’

চাচার বিরুদ্ধে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ভোটার ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও করেন সাইদুর।

নৌকার প্রার্থী সিরাজুলের অভিযোগ, মনোনয়ন না পেয়ে ভাতিজা সাইদুর দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনের আগে থেকেই সাইদুল ষড়যন্ত্র করে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।

আহমদপুর ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ভাতিজা হিরা মিয়া। এ ইউপিতে এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।

ভাতিজা হিরা মিয়া চাচার বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। আর চাচা ও নৌকার প্রার্থী কামাল আহমেদ তার বিরুদ্ধে এনেছেন সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো অভিযোগ।

সুজানগর উপজেলায় এবার ভোট হচ্ছে ১০ ইউপিতে। তবে দুই প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী আনার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সব ইউনিয়নেই। এসব সহিংসতায় নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

শেষ মুহূর্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সাগরকান্দি, মানিকহাট, সাতবাড়িয়া, হাটখালি ও ভায়না ইউনিয়নে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনাতেই পক্ষগুলো পরস্পরকে দোষারোপ করছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিষয়েও অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন মাগুরা প্রতিনিধি ফয়সাল পারভেজ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম শাওন, পাবনা প্রতিনিধি ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি, রাজবাড়ী প্রতিনিধি রবিউল আওয়াল ও শেরপুর প্রতিনিধি শাহরিয়ার শাকির।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে
কেন্দ্রে নৌকার ৫০০ লোক রাখার ঘোষণা মেয়রের
ইউপি নির্বাচন: তিন বিভাগে ৪০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ভোটের মাঠে আরিফের অন্য রকম লড়াই
শরীয়তপুরের চিতলিয়ার নির্বাচন স্থগিত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Arrested for murder while paralyzing his brother 3

ভাইকে ‘পঙ্গু’ বানাতে গিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

ভাইকে ‘পঙ্গু’ বানাতে গিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩ কুমিল্লার বরুড়ায় তিনজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, ‘শরীফ মাদকাসক্ত ছিল। মাদকের টাকার জন্য মাকেও মারধর করত সে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে শরিফের ছোট ভাই আরিফ ও তার বোন খুকি মিলে পরিকল্পনা করে শরীফকে পঙ্গু করে ঘরে রেখে দেবে। বাকি জীবন তাকে ঘরে বসিয়ে খাওয়াবে।’

কুমিল্লার বরুড়ায় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাই, বোন ও ভগ্নিপতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার শালুকিয়া গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার সকালে নিজ বসতঘর থেকে শরিফ হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শরিফের ছোট ভাই আরিফ হোসেন, বড় বোন খুকি আক্তার ও ভগ্নিপতি নাছির উদ্দিন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর বুধবার নিহত শরীফের মা বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, ‘শরীফ মাদকাসক্ত ছিল। কিছুদিন আগে শরীফ মাদকের টাকা যোগাড়ের জন্য ভাই আরিফের অটোরিকশা বিক্রি করে দেয়। মাদকের টাকার জন্য মাকেও মারধর করত সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে শরিফের ছোট ভাই আরিফ ও তার বোন খুকি মিলে পরিকল্পনা করে শরীফকে পঙ্গু করে ঘরে রেখে দেবে। বাকি জীবন তাকে ঘরে বসিয়ে খাওয়াবে। পরিকল্পনা মোতাবেক ২৬ মার্চ রাত ১ টার দিকে পুকুরপাড়ে শরীফকে হাত পা বেঁধে পেটানো হয়। বাড়িতে এনে আরেক দফা পেটানো শেষে হাত পা বেঁধে ঘরের ভেতর ফেলে রাখা হয়। এ অবস্থায় শরীফ মারা যায়।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল জানান, তথ্য প্রযুক্তিসহ নিজস্ব গোয়েন্দা ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করলে সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

আরও পড়ুন:
গোবর ফেলা নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে বড় ভাইকে হত্যা: পুলিশ
‘ওষুধ কিনতে না পেরে’ পেটে ছুরি ঢুকিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
৪৮ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অটোরিকশার চালক উদ্ধার
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর ঢাকায় গ্রেপ্তার
আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dutch Bangla Bank in Moulvibazar looted money of Ajnan Party

মৌলভীবাজারে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে গ্রাহকের ৮১ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ

মৌলভীবাজারে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে গ্রাহকের ৮১ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ মৌলভীবাজার শহরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। কোলাজ: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, ‘একজন ব্যাংক গ্ৰাহক অভিযোগ করেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ 

মৌলভীবাজার শহরে বুধবার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ভেতরে গ্রাহককে অজ্ঞান করে ৮১ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তানভীর হাবিব চৌধুরী রুমেল নামের ওই গ্রাহক মৌলভীবাজার মডেল থানায় অভিযোগটি করেন।

ব্যাংকের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার বেলা ১১টা সাত মিনিটে ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, ‘মৌলভীবাজারের শহরের সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসিতে বুধবার সকালে ১১টার দিকে প্রবাস থেকে আসা টাকা তুলতে যান ব্যবসায়ী তানভীর। দুই লাখ টাকা তুলে তানভীর এক হাজার টাকার নোট দেয়ার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলেন। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা এক হাজার টাকার বান্ডিল দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তাকে ৫০০ টাকা নোটের বান্ডেল প্রদান করেন।

‘তখন কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন রুমেলকে বলেন, তিনি এক হাজার টাকার বান্ডেল এক্সচেঞ্জ করবেন। তখন রুমেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি গুনতে থাকেন। টাকা হাতে নেয়ার পর রুমেল কিছু সময়ের জন্য অজ্ঞান অনুভব করেন। তখন ওই চক্র ৮১ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।’

অভিযোগকারী রুমেল বলেন, ‘ওই ব্যক্তির হাতে থাকা টাকার বান্ডেল আমাকে গুনতে দিয়ে আমাকে একটি চেয়ারে নিয়ে বসান। আমি টাকা হাতে নেয়ার পর নিস্তেজ অনুভব করি। সবকিছু আমার কাছে কিছু সময়ের মধ্যে এলোমেলো মনে হয়। প্রায় পাঁচ মিনিট পরে একটু স্বাভাবিক হলে গুনে দেখি, তারা আমার কাছ থেকে ৮১ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।

‘পরবর্তী সময়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, তারা ১১টা সাত মিনিটে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ওই চক্রের ছবি শনাক্ত করা হয়।’

ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির মৌলভীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল কাদের বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখলাম, ব্যাংকের একজন গ্ৰাহকের সঙ্গে কয়েকজন লোক গল্পগুজব করে উনার সঙ্গে বিদায় নিয়ে চলে গেছে। এরপর তিনি বুঝতে পারেন, উনার টাকা নিয়ে চলে গেছে। তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন।’

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, ‘একজন ব্যাংক গ্ৰাহক অভিযোগ করেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

আরও পড়ুন:
জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা কোথায় গেল
স্থায়ী জনকল্যাণের অনন্য উপায় ইসলামী ব্যাংকের ‘ওয়াক্ফ হিসাব’
শিশুদের মধ্যে বই ও ইফতার বিতরণ এনআরবিসি ব্যাংকের
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A teenager died due to lightning while bathing in the river

নদীতে গোসলের সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল কিশোরের

নদীতে গোসলের সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল কিশোরের প্রতীকী ছবি
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে গোমতী নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে যায় শাহেদ। ওই সময় হঠাৎ করে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে মারা যায় সে।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নদীতে গোসল করতে নেমে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রাম সংলগ্ন গোমতী নদীতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারানো শাহেদ (১৪) ওই গ্রামের মোশারফ মিয়ার ছেলে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে গোমতী নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে যায় শাহেদ। ওই সময় হঠাৎ করে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে মারা যায় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানা যায়, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের হাসপাতালে শাহেদকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আজাদ রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি, নিহতের লাশ গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।’

নিহতের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু
অন্তর হত্যাকাণ্ড: ৩ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
প্রবাসীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজনের ফাঁসি
মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
পটুয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর মৃত্যু ঘিরে অবরোধ, পুলিশকে মারধর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The expatriate died on the way to the iftar party

ইফতার পার্টিতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল প্রবাসীর

ইফতার পার্টিতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল প্রবাসীর সুধারাম থানা। ছবি: সংগৃহীত
সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আবুধাবি প্রবাসী অনিক দুই মাস আগে দেশে এসে বিয়ে করেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি থেকে জেলা শহর মাইজদীতে আসেন তিনি। ওই সময় মাইজদীর টোকিও ফুডসের সামনে রাস্তার উল্টোপথে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

নোয়াখালীতে মোটরসাইকেলে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা শহর মাইজদীর টোকিও ফুডসের সামনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আনোয়ার হোসেন অনিক (২২) কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ জগদানন্দ গ্রামের মাজারুল হক মন্টু মিয়ার ছেলে।

সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, আবুধাবি প্রবাসী অনিক দুই মাস আগে দেশে এসে বিয়ে করেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি থেকে জেলা শহর মাইজদীতে আসেন তিনি। ওই সময় মাইজদীর টোকিও ফুডসের সামনে রাস্তার উল্টোপথে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
হেঁটে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুই ট্রাকের চাপায় গেল প্রাণ
চলন্ত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চালক অঙ্গার
নদীতে জাল ফেলে ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যু
ট্রেন দুর্ঘটনায় কারও সম্পৃক্ততা থাকলে ব্যবস্থা: রেলমন্ত্রী
পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ আরও ৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Report of inquiry committee submitted on Justin Trudeaus birth certificate forgery in Pabna
প্রতিবেদন জমা তদন্ত কমিটির

জালিয়াতির মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ

জালিয়াতির মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার ভুয়া জন্মসনদ। কোলাজ: নিউজবাংলা
স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি সুজানগরের সেই আহম্মদপুর ইউনিয়নে গিয়ে সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অনিয়ম পেয়েছি। দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’   

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে পাবনায় ভুয়া জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে জমা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করা হয়। এতে বহিরাগত কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন জড়িত।

প্রতিবেদনে জেলার সুজানগরের আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল, যার জবাব দিয়েছেন তারা।

পাবনার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির ঘটনায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্দেশে ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

‘পাবনার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি জমা দেন। আমি প্রতিবেদনটি এখনও দেখিনি। দেখার পর বিস্তারিত জানাতে পারব।’

স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি সুজানগরের সেই আহম্মদপুর ইউনিয়নে গিয়ে সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অনিয়ম পেয়েছি। দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, ‘সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইউনিয়নটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তারা সেটির জবাব দেন।

‘এটা (তদন্ত প্রতিবেদন) আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দিই। জেলা প্রশাসক দেখার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব কারণ দর্শানোর নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক কি না, সে বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘সব বিষয় ডিসি স্যার বলতে পারবেন।’

পাবনার সুজানগর উপজেলার আহমেদপুর ইউনিয়নে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করা হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসার পর সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে জন্মনিবন্ধনের সার্ভার থেকে ভুয়া সনদটি সরানো হয়।

এ ঘটনায় নিলয় পারভেজসহ কয়েকজনকে আসামি করে আমিনপুর থানায় মামলা করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two killed in organized beating in Gazipur

গাজীপুরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুজন নিহত

গাজীপুরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুজন নিহত গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা ভবন। ছবি: সংগৃহীত
সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাড়িতে করে এক কৃষকের গরু চুরি করতে যান কয়েকজন। বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুজনকে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী। এতে নামিলা গ্রামে একজন ও বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন।

উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পিটুনির শিকার দুজনের মধ্যে একজন নিহত হন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে। অন্যজন একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে প্রাণ হারান।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুজনের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়দের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নামিলা গ্রামে চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি গরু চুরির উদ্দেশ্যে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে চান মিয়া ডাকাডাকি করলে স্থানীয়রা জড়ো হন। ওই সময় একজনকে ধরে সংঘবদ্ধ পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয়দের ধাওয়া খাওয়া অপরজন পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানক্ষেতের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। ওই সময় উত্তেজিত লোকজন ক্ষেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাড়িতে করে এক কৃষকের গরু চুরি করতে যান কয়েকজন। বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুজনকে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী। এতে নামিলা গ্রামে একজন ও বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।

চেয়ারম্যান আরও জানান, গ্রামে গরু চুরি করতে আসা আরও চার থেকে পাঁচজন আছেন, যাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই আরিফ হোসেন জানান, গরু চোর সন্দেহে গ্রামবাসীর সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুজন নিহত হন, যাদের মরদেহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আরও চারজনসহ মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০
মধ্যরাতে গ্রামবাসীর পিটুনিতে ৪ জন নিহত
গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গাজীপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
টিলার মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি, সাবেক মেম্বারকে জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
4 burnt in fishing boat engine explosion in Chittagong

চট্টগ্রামে ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪

চট্টগ্রামে ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ ছবি: সংগৃহীত
আহতদের তিনজনের শরীরের ৮০-৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে। অন্যজনের শরীর পুড়েছে অন্তত ২০ শতাংশ।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পতেঙ্গা থানাধীন ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করা একটি ফিশিং বোটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- ৫৫ বছর বয়সী জামাল উদ্দিন, ৪৫ বছর বয়সী মাহমুদুল করিম ও মফিজুর রহমান এবং ২৮ বছর বয়সী এমরান। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের শরীরের ৮০-৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে। অন্যজনের শরীর পুড়েছে অন্তত ২০ শতাংশ।

চমেক হাসপাতালে বার্ন ও ক্যাজুয়ালটি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আহত চারজনের মধ্যে তিনজনের বড় ধরনের বার্ন হয়েছে। এই ধরনের রোগীদের অবস্থা ভালো থাকে না।’

চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ-থানার ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, ‘মাছ ধরার ট্রলারে ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট আগুনে ৪ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

p
উপরে