স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট ১১ নভেম্বর। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সহিংসতার পর দেশের ৮৪৮টি ইউপিতে এক দিন পরই হতে যাওয়া ভোট নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা উৎকণ্ঠা।
প্রচারের সময়ই বিভিন্ন ইউপিতে সহিংসতা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনি সহিংসতায় নরসিংদীতে চারজন, মাগুরায় চারজন ও মেহেরপুরে দুজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন ইউপিতে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক শ।
এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রচারের বাধা দেয়া ও সহিংস আচরণের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তাদের শঙ্কায় হাওয়া দিয়েছেন নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার বক্তব্য।
দলীয় সিদ্ধান্তে এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কয়েকটি ইউপিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দলের প্রতীকে ভোট করছেন না কেউ।
সেদিক থেকে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য মাঠ অনেকটাই ফাঁকা। তবে বিএনপি সরে দাঁড়ালেও নৌকার প্রার্থীদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অধিকাংশ ইউপিতেই নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যেই অনেক ইউপিতে সহিংসতা হয়েছে।
নিউজবাংলার মাগুরা, সাতক্ষীরা, পাবনা, রাজবাড়ী ও শেরপুর জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে উঠে এসেছে এমন চিত্র।
মাগুরায় চার খুনের সেই ইউপিতে অনেকেই ঘরছাড়া
মাগুরার জগদল ইউনিয়নে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন চারজন। সেই ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলায় ওই এলাকার অনেকেই ঘরছাড়া।
তবে ভোটের আগে ফিরে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, ওই ইউপি অনেকটাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। ভোট দিতে তারা ফিরে এসেছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটের দিন ওই এলাকায় র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জগদল ইউনিয়ন ছাড়া মাগুরা সদর উপজেলার আরও ১২ ইউপিতে ভোট হবে একই দিন। শেষ মুহূর্তে প্রচারে ব্যস্ত এসব ইউপির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।
মঙ্গলবার উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার সব জায়গায় প্রার্থীদের ব্যানার ঝুলছে। বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ।
তবে এসব ইউপিতে প্রার্থীরা ভোট নিয়ে জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গোপালগ্রাম, কুচিয়ামোড়া, মঘিসহ প্রায় সব ইউনিয়নে সরকারদলীয় প্রার্থীরা জানিয়েছেন নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক আছে। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাবি, প্রচারে নানা বাধার মুখে পড়ছেন তারা।
এদিকে বর্তমান সদস্যরাও প্রার্থী হয়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন।
কামারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘সকাল থেকে পরিষদে বসে আছি। একটা জন্মনিবন্ধন করা লাগে, কিন্তু কেউ আসছে না ভোটের জন্য। ভোট শেষে আসতে কয়।’
মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল ইসলাম জানান, ভোট সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, গ্রামপুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল থাকবে। আশা করছেন ভোট সুষ্ঠু হবে।
সাতক্ষীরায় ১৩ ইউপির ১২টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীতে অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিষ্কার করেও সরানো যায়নি বিদ্রোহী প্রার্থীদের। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১২টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের।
এ ছাড়া আট ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে তিনজন এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে তিনজন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।
অন্য দলের প্রার্থীর পাশাপাশি নিজের দলের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ায় জয় নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। জয়ের পথে বিদ্রোহী প্রার্থীরাই তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জেতাতে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
গোয়ালন্দে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের
দ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভোট হচ্ছে দুই ইউনিয়নে। উপজেলার ছোটভাকলা ও উজানচর ইউপি দুটিতেই ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ছোটভাকলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ফের নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি বক্তব্যে বলেন, যেকোনো মূল্যে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
তার কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে ভোট চাইতেও পারছেন না বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী।
উজানচর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ফকির বলেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তারপরও আমাকে ভোটাদের কাছে যেতে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে সেখানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, সেখানে আর তারা ভোট চাইতে পারে না। এটা কেমন নির্বাচন হচ্ছে?’
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম জানান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কোনো কাজ কাউকেই করতে দেয়া হবে না।
শেরপুর সদরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
শেরপুর সদরের ১৪টি ইউপিতে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই সরকারি দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জোর করে ভোট নেয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর সরকারি দলের প্রার্থীরা বলছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই জনগণ তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
অভিযোগ ছাড়াও এই উপজেলায় এবার নৌকার প্রার্থীদের মাথাব্যথার বড় কারণ দলের বিদ্রোহী। তিন ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে ১১টিতে। এর মধ্যে ৯টিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বাকি দুটিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটারদের অনেকেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। চরশেরপুরের আলীমদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে নিরপেক্ষ ভোট হবে না বলে হুনতাছি।’
বেতমারীর আফাজ মিয়া বলেন, ‘হুনতাছি আমাগোরে বলে ভোট দিবারি দিব না। তাইলে ইলেকশন দিয়ে নাব কী?’
চরমুচারিয়া ইউনিয়নের সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ ভোট চাই। আমরা যেন আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারি।’
তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ভোট নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নেয়া হবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।
পাবনায় চাচা-ভাতিজার লড়াই
পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ও আহমদপুর ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন চাচা-ভাতিজা। দুই ইউপিতে চাচা-ভাতিজার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেও ভোটের মাঠে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
দুলাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম শাজাহান। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। আর তার বিরুদ্ধে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ভাতিজা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ।
সাইদুর বলেন, ‘চেয়ারম্যান থাকার সময় আমার চাচা দুর্নীতিতে জড়িয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের তদন্তে এসব দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ায় আমরা পারিবারিকভাবেই লজ্জায় পড়েছি।
‘দুলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমার মরহুম পিতা আজীবন কাজ করেছেন। পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের দাবিতে প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছি।’
চাচার বিরুদ্ধে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ভোটার ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও করেন সাইদুর।
নৌকার প্রার্থী সিরাজুলের অভিযোগ, মনোনয়ন না পেয়ে ভাতিজা সাইদুর দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনের আগে থেকেই সাইদুল ষড়যন্ত্র করে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।
আহমদপুর ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ভাতিজা হিরা মিয়া। এ ইউপিতে এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
ভাতিজা হিরা মিয়া চাচার বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। আর চাচা ও নৌকার প্রার্থী কামাল আহমেদ তার বিরুদ্ধে এনেছেন সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো অভিযোগ।
সুজানগর উপজেলায় এবার ভোট হচ্ছে ১০ ইউপিতে। তবে দুই প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী আনার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সব ইউনিয়নেই। এসব সহিংসতায় নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
শেষ মুহূর্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সাগরকান্দি, মানিকহাট, সাতবাড়িয়া, হাটখালি ও ভায়না ইউনিয়নে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনাতেই পক্ষগুলো পরস্পরকে দোষারোপ করছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিষয়েও অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন মাগুরা প্রতিনিধি ফয়সাল পারভেজ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম শাওন, পাবনা প্রতিনিধি ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি, রাজবাড়ী প্রতিনিধি রবিউল আওয়াল ও শেরপুর প্রতিনিধি শাহরিয়ার শাকির।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।
এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।
প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।
স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।
খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।
মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।
এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।
এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’
সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।
তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মন্তব্য