টানা পতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে অবশেষে একটি ভালো দিন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে লেনদেন কমল আরও।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি থাকায় নতুন করে বিনিয়োগ না করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। একপর্যায়ে লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে থেমে যাবে- ধারণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ছাড়ায় এই ঘর।
তবে যে লেনদেন হয়েছে, তা ১২৪ কর্মদিবস পর হয়েছে সর্বনিম্ন।
গত ২৮ এপ্রিল লেনদেন ছিল ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর মঙ্গলবার লেনদেন কোনো রকমে এক হাজার কোটি টাকা পেরিয়ে হয়েছে ১ হাজার ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবসে ১০৭ পয়েন্ট সূচক পতনে উৎকণ্ঠিত বিনিয়োগকারীরা তৃতীয় কর্মদিবসের লেনদেনের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন।
আগের কয়েক দিনের মতোই আধা ঘণ্টায় সূচক বেড়ে যায়। সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। পরের ৪০ মিনিটে সেখান থেকে ৫৪ পয়েন্ট সূচক পড়ে যাওয়ায় আরও একটি বড় পতনের শঙ্কা তৈরি হয়।
তবে বেলা ১১টা ৭ মিনিট থেকে ১২টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত টানা সূচক বাড়ে শেয়ার দরে উত্থানের কারণে। সে সময় আগের দিনের চেয়ে ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। এরপর বেলা শেষে কিছুটা কমে ৬৮ পয়েন্টে বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের পর পুঁজিবাজারে ধস নামে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পর ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হয়। সেই সময় থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত টানা উত্থান হয়। সূচক বহু বছর পর ছয় হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি উঠে আসে।
তবে ১৪ জানুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাজার সংশোধনে সূচক প্রায় ৯০০ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর ৫ এপ্রিল লকডাউনের প্রথম দিন থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত হয় আরেক দফা উত্থান। সূচক ছাড়িয়ে যায় ৬ হাজার পয়েন্ট।
ওই অবস্থানে এক মাস ঘুরপাক খাওয়ার পর জুলাইয়ের শেষ থেকে আরেক দফা উত্থান হয় ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সূচক ছাড়ায় ৭ হাজার পয়েন্ট।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবার দর সংশোধনেও বড় মূলধনি কয়েকটি কোম্পানির উত্থানে সূচক বেড়ে গত ১১ অক্টোবর ২০১০ সালের মহাধসের পর সর্বোচ্চ অবস্থান ৭ হাজার ৩৪৫ পয়েন্ট পৌঁছে।
কিন্তু এরপর থেকে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোরও দরপতন শুরু হয়। এতে সূচক কমে আসতে থাকে। সোমবার গত ১৯ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টের নিচে নেমে আসে।
এর মধ্যে রোববার ৩০৩টি আর সোমবার এক দিনে ২৯৫টি কোম্পানির শেয়ার দর কমে যায়।
তবে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তির দিনে ২২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে, বিপরীতে দর হারায় ৯৯টি। দর ধরে রাখে ৫৪টি।
বেশ কয়েকদিন পর সিমেন্ট, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও আর্থিক খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের ইউনিটও বেড়েছে ১০ থেকে ২০ পয়সা করে। তবে লেনদেন খুবই কম।
বিমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, তথ্য প্রযুক্তি ও বিবিধি খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা।
সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল লাফার্জ হোলসিম, স্কয়ার ফার্মা, আইসিবি, ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, বিকন ফার্মা, পাওয়ার গ্রিড, বেক্সিমকো লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত ও বাংলাদেশ সাবমেরিক কোম্পানি।
এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৩৮.০৪ পয়েন্ট।
পক্ষান্তরে তুলনামূলক ভালো দিনেও সূচক টেনে ধরেছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি, গ্রামীণ ফোন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, রেনাটা, আলিফ, ইউসিবি, সাউথবাংলা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, বিএনআইসিএল ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স।
এই ১০টি কোম্পানির শেয়ার দর হারানোয় সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ১০.৭৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে সেরা যারা
লেনদেনে বরাবরের মতোই সেরা বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির ৯৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৮১ শতাংশ।
কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে যোগ হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের দিন দাম ছিল ১৭২ টাকা ৯০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ১৭৪ টাকা ৩০ পয়সা।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা দ্বিতীয় কোম্পানি ছিল ওরিয়ন ফার্মা, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৫.০৬ শতাংশ। শেয়ারদর ৪ টাকা ৯০ পয়সা যোগ হয়ে পৌঁছেছে ১০১ টাকা ৭০ পয়সায়।
লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮৭ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ২২ লাখ টাকা।
বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ১.৯৫ শতাংশ। ২১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২৩ টাকা ৪০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
স্কয়ার ফার্মায় লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শেয়ার দর বেড়েছে ১.৫২ শতাংশ।
এছাড়া জেনেক্সিল ইনফোসিসের লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার। শেয়ার দর বেড়েছে ১.১৮ শতাংশ।
আইএফআইসি ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোট ৯৩ লাখ টাকা। শেয়ারদর ছিল অপরিবর্তিত।
এনআরবিসির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। শেয়ার দর ৩৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৮ টাকা ৬০ পয়সা।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ২৩ লাখ ৩ লাখ টাকা।
আলিফ ম্যানিফেকচারিং কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। শেয়ারদর কমেছে ৪.৮১ শতাংশ।
খুশির দশ কোম্পানি
ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স টানা পতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে এক দিনেই দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এরপরই আছে বিমা খাতের সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর টানা তৃতীয় দিন দিনের সর্বোচ্চ দরের সীমা ছুঁয়েঠে। তবে লেনদেনের পরিমাণ খুবই কম। হাতবদল হয়েছে কেবল ২৩৪টি শেয়ার।
এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের এএফসি এগ্রোর শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৮ শতাশং।
আট শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে একটি কোম্পানির। সেটি ছিল প্রকৌশল খাতের গোল্ডেনসন। কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.২০ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের লাভেলো আইসক্রিমের দর ৭.৬৬ শতাংশ, পেনিনসুলারের দর ৭.২৭ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতের হামিদ ফেব্রিক্সের দর বেড়েছে ৭.১৫ শতাংশ।
ছয় শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে লাফার্জ হোলসিমের। প্রাইম টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৫.৪৬ শতাংশ, আর তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের ৫.৩৯ শতাংশ।
সব মিলিয়ে তিনটি কোম্পানির দর ১০ শতাংশের আশেপাশে, একটির দর ৮ শতাংশের বেশি, ৭ শতাংশের বেশি তিনটির দর, চারটির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৪টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১৪টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২৪টির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
যে দশে ছিল লোকসান
দিনের সর্বোচ্চ দর কমে শেয়ারধারীদের লোকসানে নিয়ে গেছে যে দশ কোম্পানি তার মধ্যে প্রথমেই আছে আজিজ পাইপ। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৭.৮৭ শতাংশ। মোট লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর কমেছে ৪.৮০ শতাংশ। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২০ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার তা হয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।
জুন স্পিনার্সের দর ৪.৪৫ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কেটর দর ৪.০২ শতাংশ, জেমিনি ফুডের দর ৩.৯১ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর ৩.৪৪ শতাংশ, ই-জেনারেশনের দর ৩.২২ শতাংশ, ফার্মা এইডের দর ২.৯৮ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের দর ২.৯৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের দর ২.৮৯ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে একটির দর প্রায় আট শতাংশ, তিনটির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৩টির দর তিন শতাংশের বেশি, ১৬টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য