পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের মধ্যে আরও একটি হতাশার দিন পার করল বিনিয়োগকারীরা। তিনশর কাছাকাছি কোম্পানির দরপতনে টাকা হারিয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দর সংশোধন শুরু হওয়ার পর থেকে শুরুর দুই ঘণ্টা শেয়ার দর বেড়ে পরে পতনের যে ধারাবাহিকতা, সেই বিষয়টি দেখা গেল আবার।
আগের দিন ৫০ পয়েন্টের পর দ্বিতীয় দিন সোমবার সূচক পড়ল ৫৬ পয়েন্ট। এক পর্যায়ে সূচক পড়ে যায় ৭০ পয়েন্ট। তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে সেখান থেকে বাড়ে কিছুটা।
বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। সেখান থেকে দিন শেষের অবস্থানের পার্থক্য ৮৬ পয়েন্ট।
দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্ট। এই অবস্থান গত ১৯ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৭৬০ পয়েন্ট।
এ নিয়ে গত ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ৬ দিনই সূচক পড়ল। মাঝে গত বৃহস্পতিবার এক দিন কেবল ৮ পয়েন্ট সূচক বেড়েছিল।
আগের দিন ৪৯টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ৩০৩টির দর। একদিন পর ৫৫টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২০৫টির দর।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা দেখা গেছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে একদিনে যেখানে আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতো, সেটি এখন টেনেটুনে এক হাজার কোটি টাকায় নেমেছে।
দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এটি গত ২৮ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। সেদিন লেনদেন ছিল ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল আগের দিন আরও বড় পতন ঠেকানো ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি। রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, রবি, এনআরবিসি, এতদিন টানা বাড়তে থাকা বেক্সিমকো লিমেটেড, পাওয়ারগ্রিড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও পূবালী ব্যাংকও সূচক টেনে নামানোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল।
এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক পড়েছে ২৭.৮৬ পয়েন্ট।
অন্যদিকে বিকন ফার্মা, ওরিয়ন ফান্মা, গ্রামীণ ফোন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, জেনেক্সিল, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ইবিএল, ইউনিলিভার, গোল্ডেনসহ ও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর অল্পবিস্তর বাড়ায় সূচকেও সামান্য কিছু পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক বেড়েছে ৯.৯ পয়েন্ট।
সবচেয়ে বেশি ৮.৩৭ পয়েন্ট দরপতন হয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের। এছাড়া ৭ শতাংশের বেশি তিনটি, ৬ শতাংশের বেশি আরও তিনটি, ৫ শতাংশের বেশি ৮টি, ৪ শতাংশের বেশি ১২টি, ৪৪টি কোম্পানি ৩ শতাংশের বেশি, ৬৯টি কোম্পানি ২ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।
আরও ৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে এবং ৫১টি কোম্পানি দর হারিয়েছে এক শতাংশের কম।
বিপরীতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সেনাকল্যাণ সংস্থার শেয়ার দর। গোল্ডেনসনের দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে আমরা নেটওয়ার্ক ও সাফকো স্পিনিংয়ের দর।
এছাড়া ৫ শতাংশের বেশি বেগেছে ওরিয়ন ফার্মা, তিন শতাংশের বেশি বেড়েছে ৫টির দর, ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৬টির দর, এক শতাংশের বেশি বেড়েছে ১৬টির দর। বাকি ২৭টির দর বেড়েছে একেবারে নগণ্য হারে।
লেনদেনে শীর্ষ ১০
রোববারের মতো সোমবারও লেনদেনে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড। লেনদেন শেষে বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যদিও কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় কমেছে দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর ১৭৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৭২ টাকা ৯০ পয়সা।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল জেনেক্সিল ইনফোসিস। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিতে এতটা আগ্রহ কখনও দেখা যায়নি। কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। শেয়ার দর ১৩৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৩ টাকা ৯০ পয়সা।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে এদিন মাত্র তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। যার মধ্যে জেনেক্সিল।
তৃতীয় স্থানে ছিল ব্যাংক খাতের এনআরবিসি ব্যাংক। লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তবে ব্যাংকটির শেয়ার দর ৩ শতাংশ কমে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৮ টাকা ৭০ পয়সা।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ান ফার্মার লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকও লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির একটি ছিল। ব্যাংকটির লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকোফার্মাও। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.২২ শতাংশ কমে ২২৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২১৯ টাকা ১০ পয়সা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডে (বিএটিবিসি) লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
লেনদেনর শীর্ষে থাকা দশ নম্বরে ছিল বস্ত্র খাতের মালেক স্পিনিং, যার মোট লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০
সোমবার সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল মিশ্রাবস্থা। খাত ভিত্তিক বিবেচনায় এদিন বিমা খাতের দুটি ও ওষুধ রসায়ন খাতের দুটি কোম্পানি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো ছিল বিভিন্ন খাতের।
দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সদ্য লেনদেন শুরু হওয়া সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ১১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের গোল্ডেনসন, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের একটি কোম্পানি। এদিন বস্ত্র মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৪৬টি কোম্পানির। শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫২ শতাংশ। প্রতি শেয়ারে যোগ হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা।
তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্ক দর বৃদ্ধির দিক দিয়ে ছিল চতুর্থ অবস্থানে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮.২৭ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মা ছিল দর বৃদ্ধির দিক দিয়ে পঞ্চম স্থানে। রোববার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯২ টাকা। সেখান থেকে ৫.২১ শতাংশ দর বেড়ে হয়েছে ৯৬ টাকা ৮০ পয়সা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ই জেনারেশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৭১ শতাংশ। এছাড়া বেঙ্গল উইশরের দর ৩.৪৭ শতাংশ, বিকনফার্মার দর ৩.৪৫ শতাংশ, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.২৭ শতাংশ ও জেনারেশন নেক্সটের দর বেড়েছে ৩.২২ শতাংশ।
দরপতনে শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধির পাশাপাশি এদিন শীর্ষ দশের প্রথমে ছিল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ফার্মা এইড, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৭.৩৯ শতাংশ।
দর পতনের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, যার শেয়ারদর কমেছে ৭.৩৩ শতাংশ। দাম ৩২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর কমেছে ৭.১৪ শতাংশ। এছাড়া পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৬.৯৬ শতাংশ। দাম ১৬৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৫৩ টাকা ৬০ পয়সা।
ন্যাশনাল ফিড মিলসের শেয়ার দর ৬.৩৬ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের দর ৬.২৭ শতাংশ, বিমা খাতের কোম্পানি গ্রিনডেল্টার দর ৫.৬৯ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের দর ৫.৫৮ শতাংশ ও জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে যথাক্রমে ৫.৫১ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য