আবারও বড় দরপতন দেখল দেশের পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এক দিনেই কমল তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ার দর।
বড় মূলধনি ১০টি বড় কোম্পানি মিলে ৫০ পয়েন্ট সূচক বাড়ালেও ঢালাও দরপতনের কারণে সার্বিকভাবে সূচক কমে গেছে ৫০ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনে সূচক নেমে এসেছে গত আগস্টের শেষ সপ্তাহের অবস্থানে। ৪৮ কর্মদিবস আগে গত ২৯ আগস্ট সূচক ছিল ৬ হাজার ৮২৩ পয়েন্ট। তার চেয়েও কমে গেল রোববার।
গত সপ্তাহের রবি থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৬৪ পয়েন্ট সূচক পতনের পর বৃহস্পতিবার ৮ পয়েন্ট বাড়ে। নতুন সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, এমন প্রত্যাশার কথা বলাবলি হচ্ছিল।
সকালে লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়ে। আধা ঘণ্টায় সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে। সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৯৫ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয় ৬ হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে।
দুই সপ্তাহ আগে বাজারে টানা ৭ কর্মদিবস পতনের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি অংশীজনদের ডেকে জরুরি বৈঠক করার সময়ও সূচকের অবস্থান এতটা নিচে নামেনি। সে সময় সূচক ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্ট নামার পর ঘুরে দাঁড়ায়।
লেনদেন অবশ্য কিছুটা বেড়েছে। তবে দিনের শুরুর দিকে যে হারে শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছিল, শেষভাবে সূচক কমতে থাকার পর তার গতি কমে যায়। প্রথম এক ঘণ্টায় তিন শ কোটি টাকার কাছাকাছি শেয়ার হাতবদল হয়। পরে সাড়ে চার ঘণ্টায় তা ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।
টানা চার কর্মদিবস পতনের পর ঘুরে দাঁড়ানোর দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, রবি, ইউনাইটেড পাওয়ার, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল ও পাওয়ার গ্রিড।
এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ৪১.০৬ পয়েন্ট।
অন্যদিকে টানা পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরপর দ্বিতীয় দিন উত্থান হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। টানা বাড়তে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের দর বেড়েছে আরও।
এই দুটি বড় মূলধনি কোম্পানি ছাড়াও এনআরবিসি, ডেল্টা লাইফ, ন্যাশনাল লাইফ, গ্রামীণফোন, জেনেক্সিল, বিকন ফার্মা, সাউথবাংলা ব্যাংক, বার্জার পেইন্টের দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে তাও কিছু পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো একাই সূচক বাড়িয়েছে ২৯.০৭ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানি বাড়িয়েছে ৫০.৮৩ পয়েন্ট। এই ১০টি কোম্পানি না থাকলে সূচকের আরও বড় পতন হতে পারত।
দিন শেষে বেড়েছে কেবল ৪৯টি কোম্পানির দর, বিপরীতে ৩০৩টি কোম্পানির দর কমে যায়। ২৫টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারে।
লেনদেনে শীর্ষ ১০
লেনদেনে যথারীতি সেরা বেক্সিমকো লিমিটেড। এই একটি কোম্পানিরই ২২২ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া এনআরবিসির ৮৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। মোট লেনদেনের ১৯.৪৪ শতাংশই হয়েছে কেবল একটি কোম্পানিতে।
আলিফ, ফরচুন, ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, মালেক স্পিনিং, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ও ডেল্টা লাইফ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি।
বেক্সিমকোতে ব্যাপক হারে লেনদেনের সুবাদে সব খাতকে ঠেলে উঠে এসেছে বিবিধ খাত। খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩০ কোটি টাকারও বেশি।
গত কয়েক দিন টানা শীর্ষ স্থান ধরে রাখা বস্ত্র খাত দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে। হাতবদল হয়েছে ১৮০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। লেনদেন হয়েছে দেড় শ কোটি টাকারও বেশি।
চতুর্থ স্থানে থাকা প্রকৌশল ও পঞ্চম স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিকে লেনদেন ছিল ৫০ কোটি টাকার কিছুটা বেশি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন টেনেটুনে ৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সাধারণ বিমা খাত তাও পারেনি। কদিন আগে দিনে আড়াই শ থেকে তিন শ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া আর্থিক খাত টেনেটুনে ৩০ কোটি টাকা পার করেছে। জীবন বিমা ও সিমেন্ট খাতও তাই হয়েছে।
দাম বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স কোম্পানির। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর ১০ শতাংশ বা ১ টাকা বেড়েছে। তবে লেনদেন হয়েছে খুবই কম। মাত্র ৪১০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এই কোম্পানিটি বাদে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ব্যাংক খাতের এনআরবিসি, যার দর বেড়েছে ৯.৩১ শতাংশ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডেল্টা লাইফের দর ৪.২১ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর ৩.৬০ শতাংশ, জেনেক্সিল ইনফোসিসের দর ৩.৩৩ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের দর ২.৬৮ শতাংশ, রহিমা ফুডের দর ২.৫৬ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ২.৫১ শতাংশ, নিউলাইন টেক্সটাইলের দর ২.৪৩ শতাংশ এবং সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ২.৪১ শতাংশ।
যেসব কোম্পানির দর বেড়েছে তার মধ্যে দুটি ছাড়া তৃতীয়টির দর ৫ শতাংশও বাড়েনি। ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে ২টির দর, ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৬টির দর, ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে ১২টির দর।
দরপতনে শীর্ষ ১০
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ৭.৮৬ শতাংশ দর হারিয়েছে বস্ত্র খাতের স্টাইলক্রাফট। সংকটে থাকা কোম্পানিটি উৎপাদন চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ঘোষণা দেয়ার পর মাস দুয়েক আগে শেয়ার দর প্রায় ২০০ টাকায় চলে যায়। কিন্তু শ্রমিকরা বকেয়ার জন্য বিক্ষোভ করছেই। আর লোকসানে থাকায় কোম্পানিটি লভ্যাংশও দিতে পারেনি। এরপর থেকে শেয়ার দর কমছেই।
কোম্পানিটির সবশেষ দর দাঁড়িয়েছে ১১৭ টাকা ১০ পয়সা।
এ ছাড়া শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা আয় করে ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ৭.৫৭ শতাংশ, স্বল্প মূলধনি ফার্মা এইড ৭.৪২ শতাংশ, লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দেয়া সেন্ট্রাল ফার্মা ৭.০৫ শতাংশ, আরামিট ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ৬.৭৩ শতাংশ, শেয়ারে ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ৬.৪৪ শতাংশ, বঙ্গজের দর ৬.৪ শতাংশ, দেশবন্ধুর দর ৬.২৫ শতাংশ এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর ৬.১৭ শতাংশ কমেছে।
সব মিলিয়ে ৫টি কোম্পানির শেয়ার দর ৭ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ১১টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১৮টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৩৬টির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি, ৬৫টি কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য