যশোরের বিস্তীর্ণ মাঠ এখন শীতকালীন সবজির সবুজে ঢাকা। সবজির জন্য বিখ্যাত এই জেলার মাঠগুলোতে যেদিকে চোখ যায় নানা সবজির সমারোহ।
এরই মধ্যে বাজারে ওঠা শুরু করেছে কিছু সবজি। দামও প্রায় দ্বিগুণ। এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
ক্রেতারা অবশ্য পড়েছেন সংকটে। নতুন ওঠা সবজি কেনার ইচ্ছা থাকলেও দাম দ্বিগুণ হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অনেকটাই বাইরে।
সবজি চাষিরা বলছেন, বর্তমানে অল্প পরিমাণে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টম্যাটো, পালংশাক বাজারজাত হচ্ছে। এগুলো মৌসুমের আগে চাষ করা হয়। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এ সবজির দাম বেশি। এ ছাড়া বর্ষার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দাম বেড়েছে। মাসখানেক পর আরও সবজি উঠলে দাম কমবে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে রবি মৌসুম শুরু হয়েছে। এ সময় শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়। চলবে আগামী বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
যশোর সদরের কোদালিয়া গ্রামের চাষি কাওছার জানান, তিনি ২২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি লাগিয়েছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ২২ বিঘায় তার খরচ হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার হিসাবে ২২ বিঘায় পাবেন ১ লাখ ১০ হাজার পিস বাঁধাকপি।
তিনি আরও জানান, ফলন ভালো হলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি কেজি বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারলে ভালো লাভ থাকবে।
বাজারে আগাম পাওয়া বাঁধাকপির বিষয়ে বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে যেসব বাঁধাকপি পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো মৌসুমের আগে লাগানো। যে কারণে এসব বাঁধাকপি অপরিপক্ব ও সাইজে ছোট। এসব বাঁধাকপির দাম কম হওয়ার কথা, কিন্তু চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এখন দাম বেশি।’
লেবুতলা ইউনিয়নের সবজি চাষি মোহন ঘোষ জানান, তিনি এবার তিন বিষা জমিতে ওল লাগিয়েছেন। এতে খরচ হয়েছে ২ লাখ টাকার মতো। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় তিনি ৮০ থেকে ৮৫ মণ ওল পাবেন।
সেই হিসাবে তিন বিঘায় তার উৎপাদন হবে ২৪০ মণ। কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে বীজ, সার, মজুরি ও পরিবহন খরচ বাদে তার লাখ খানিক টাকা লাভ হবে।
তবে সবজির অতিরিক্ত দামে দিশাহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সাধারণ সবজিও কিনতে পারছেন না তারা। শীনকালীন সবজির সঙ্গে সঙ্গে অন্য সবজির দামও বেড়েছে বাজারে।
যশোর তালতলা বাজারে সবজি কিনতে যাওয়া রিকশাচালক সুমন হোসেনের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলা প্রতিবেদকের।
তিনি বলেন, ‘আমগোর কপালে সুখ নাই। যা কামাই তা সবই বাজার করতেই চলে যায়। রাত-দিন রিকশা চালিয়েও সংসার চলে না।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উদ্যান বিশেষজ্ঞ ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম একটু বেশি থাকে। এ সময় উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া বর্ষার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দাম একটু বেশি। মাসখানেক পরে উৎপাদন বাড়লে সবজির দাম স্বাভাবিক হবে।’
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর খুলনা বিভাগের ৬ জেলায় ৫৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ২ নভেম্বর পর্যন্ত সবজি চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৩২১ হেক্টর জমিতে।
এর মধ্যে যশোর জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে। ঝিনাইদহ জেলায় ১৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রায় চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৩২০ হেক্টরে।
মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমি। সবজি চাষ হয়েছে ৩৩০ হেক্টর জমিতে। কুষ্টিয়ায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রায় চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫১০ হেক্টরে।
চুয়াডাঙ্গায় শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৪৬০ হেক্টর। মেহেরপুরে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রায় চাষ হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতে নানা ফসলের কারণে সব জমিতে সবজি চাষ শুরু হয় না। কিছুদিন পর অনেক জমিতে সবজি চাষ শুরু করবেন চাষিরা। গত বছর বিভাগে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ২৩ হেক্টর জমি। এ বছর চাষ হয় ৫১ হাজার ১২২ হেক্টর জমিতে।
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে উন্নত জাতের ঘাস চাষ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খামারীকে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ‘‘শীর্ষক” প্রকল্পেরে আওতায় দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতি ইউনিয়নে ২জন করে নির্বাচিত ২৮ জন খামারীকে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ প্রর্দশনী প্লট স্থাপন বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সরকারি এ বরাদ্দকৃত অর্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারীদের প্রদান করেন জনপ্রতি ৪৪০০ টাকা। এতে খামারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের খামারী ময়না খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ সেটা ঠিক জানিনা, তবে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে মোট ৮৮০০ টাকা আমাকে দিয়েছে।
মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামের খামারী জোয়াদুর রহমানসহ একাধিক খামারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের বরাদ্দ ৫০০০ টাকা থাকলেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে ৮৮০০ টাকা সকলকে দিয়েছে। কেন কম দিলো সেটা আমরা জানিনা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কমিউনিটি এক্সট্রেনশন এজেন্ট শাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা স্যার যা বলেছে আমি তাই করেছি, আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম খামারীদের প্রাপ্য অর্থ কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অডিট ও মাঠ পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য টাকা কম দেয়া হয়েছে। এসকল খরচ তো আমি পকেট থেকে দেবনা। তাই খামারীদের ৬০০ টাকা করে কম দেয়া হয়েছে। আপনি অফিসে আসেন কথা বলি।
ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। এতে করে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদী দুটির চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বইছে ১৩ দশমিক ৬২ মিটার উচ্চতায়। যেখানে বিপৎসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে ১৭ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায়, যেখানে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৫১ মিটার উচ্চতায় বইছে, যেখানে বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৪৬ মিটার ওপরে রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বইছে ৯ দশমিক ৭৯ মিটার উচ্চতায় যা বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৩৪ মিটার বেশি।
পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানি এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে উজানের ঢলের প্রভাব বেশি পড়ছে সীমান্তবর্তী পয়েন্টগুলোতে।
এদিকে, জেলার ধলাই নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি কমতির দিকে আছে।
জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ভারতের দিক থেকে হঠাৎ করে ঢল নামায় কুশিয়ারা নদীর পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। নদীর পাড়ঘেঁষে অনেক ঘরবাড়ি আছে, এখনই পানি না নামলে কয়েকদিনের মধ্যেই প্লাবিত হওয়ার ভয় আছে। আগে থেকে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিচু এলাকা ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রত্যন্ত ও প্লাবনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
সুন্দরবন বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় প্রায়ই বাঘ চলে আসে। সম্প্রতি এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাই লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ রুখতে বাঘ প্রকল্পের বিস্তীর্ণ অংশ ঘেরা রয়েছে জালের বেড়া দিয়ে। তবে বহু অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। আবার বেশ কিছু জায়গায় এখনও দেওয়া হয়নি জালের বেড়া। এবার বন্যপ্রাণী বিশেষ করে বাঘের প্রবেশ থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করতে পুরনো নেট পরিবর্তন করে নতুন নেট লাগানো হবে। একইসঙ্গে, এখনও পর্যন্ত যেসব এলাকা অরক্ষিত রয়েছে সেগুলি প্রথমবার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।
বাঘ প্রকল্পের দুটি রেঞ্জে ১০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে জালের বেড়া রয়েছে। এই পুরো এলাকা জুড়ে নতুন জাল লাগানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন আধিকারিকরা। জুলাইয়ের শেষ থেকে তাঁরা এই কাজ করতে চাইছেন। সে বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আধিকারিকরা। এই অবস্থায় কথাটা যার প্রয়োজন? কত খরচ পড়বে? তার হিসেবে চলছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বন বিভাগের কাছে প্রস্তাব দেবেন আধিকারিকরা। এবিষয়ে বাঘ প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনও পরিকল্পনা চলছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে এই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনে। যার ফলে বিভিন্ন অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আর সেই সুযোগে বার বার লোকালয়ে এসে পড়ে বাঘ। তাছাড়া, বহুদিন ধরে নতুন জল লাগানো হয়নি। অনেক জায়গায় জলের বেড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এসব কারণেই নতুন জাল লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন বা প্রকল্পের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বিশেষ করে গত বছর সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাঘের আনাগোনা বেড়েছিল। এইসবের কারণে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সে কথা মাথায় রেখেই ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কোনও বনাঞ্চল রাখতে চাইছেন না আধিকারিকরা। তাই বাসিন্দাদের সুরক্ষায় যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত জালের বেড়ার সুযোগে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ না করতে পারে তারজন্য নতুন জল টাঙানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন বাঘ প্রকল্পের আধিকারিকরা।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা।আসন্ন কুরবানীকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট।গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে পাথরঘাটায়। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও পাথরঘাটার সব থেকে বড় গরুর হাট নাচনাপাড়া মানিকখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু।আজ সোমবার(২জুন) সকাল থেকে শুরু করে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু, কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা।
হাটে ক্রেতা আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কিছুটা কম। অধিকাংশই দেখেছেন, যাচাই করছেন দাম। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ছোট আকারের দুই থেকে চার মন ওজনের গরু, বিক্রি হয়েছে ষাট হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। মাঝারি আকারের তিন থেকে পাঁচ মন ওজনের গরুর দাম, ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। বিশাল আকারের গরু এই বাজারে তেমন ছিল না।
নাচনাপাড়া ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া গ্রামের রুস্তম আলী জানান, বাজারে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। যারা ছোট গরু বাজারে এনেছেন তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রিও কম। খুব বেশী লাভ হচ্ছে না।
নাচনাপাড়া ইউনিয়নের খামারি ফারুক "প্রতিদিনের সংবাদকে" বলেন, পশু পালনে খরচ বেড়েছ। কিন্তু সে তুলনায় মিলছে না দাম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত বছর ২ হাজার টাকায় যে খড় পাওয়া যেত এবছর তার দাম ৩ হাজার টাকা। ভূষি, খুদ, কুড়ার দামও প্রায় আগের তুলনায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই।
ক্রেতাদের ভাষ্য, বৈরি আবহাওয়ার জন্য ক্রেতা কম। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যারা বড় বড় গরু কিনতেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে তাদের বেশিরভাগ পলাতক। ফলে বাজারে গরু বেচাকেনা কম। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। এ কারণে বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।
রাসেল নামের এক ব্যাপারী "প্রতিদিনের সংবাদকে" বলেন, যারা পলাতক তারা অনেক টাকার মালিক ছিল। অনেকগুলো কোরবানি দিত। বড় থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও গরু কিনত। সেই অংশটা বাজারে না আসায় চাঙ্গা ভাবটা নেয়।
জ্ঞানপাড়া গ্রামের নসির মীর গরু কিনতে এসে বলেন, আমি একটি গরু আগেই কিনেছি এখন, ঘুরে ঘুরে গরু দেখছি। বাজেট আর পছন্দ মতো হলে আরও একটা কিনব।তিনি আরো বলেন, কোনো হাটেই জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে না। বড় গরুর বিক্রি নেই বললেই চলে। বড় গরুর খামারিদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
ইজারাদার হাবিবুর রহমান "প্রতিদিনের সংবাদ"কে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর হাটে গরু বেচা কেনা খুবই কম। আগে এমন সময় হাটে প্রায় ১০০ গরু বিক্রি হতো আর এ বছর ৫০ টা ও বিক্রি হচ্ছে না। তবে শেষ দিকে গরু বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা এই ইজারাদারের।তিনি ক্রেতা- বিক্রেতাদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, হাটে পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তারা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ টবগী ও হাসাননগরের পানিবন্দী পরিবারকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানার দিক-নির্দেশনায় শুক্রবার ( ৩০ মে ) বিকেল ৪ টায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাসাননগরের পুরান হাকিমুদ্দিন বাজার ও টবগী ৪নং ওয়ার্ডে পানিবন্দী এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল আলম নাসিম কাজী।
এসময় তারা টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নে নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ একশত পরিবারের মাঝে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মো: শহীদুল আলম নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বোরহানউদ্দিনের মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী শতাধিক বাড়িঘর ডুবে যায়। এছাড়া হাকিমুদ্দিন থেকে কাজীরহাটে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে সে বেড়িবাঁধের দুটি জায়গায় ছিদ্র হয়ে পড়ায় লোকালয়ে পানি ডুকে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্কেকের সৃষ্টি হয়। পরে আমাদের টবগী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেজোয়াল সহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে দুটি পয়েন্টে মাটি দিয়ে ভরাট করে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে একশত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আরো সহায়তা করা হবে। তারা বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই বেড়িবাধটি পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন না করলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের আহ্বান এই বেড়িবাঁধটি অতিদ্রুত পুনঃসংস্কার করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলমগীর মাতাব্বর, হাসাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির পাটোয়ারী, সমাজ সেবক সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার, হাসাননগর যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান সর্দার, টবগী যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেফজল, পৌর যুবদল যুগ্ন আহ্বায়ক সুমন পঞ্চায়েত, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন টিপু প্রমূখ।
সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নচাপটি বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, পাবনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পিরোজপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইনস ড্রিল সেডে জেলা পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, পুলিশ কনস্টবল রিক্রুটমেন্ট-২০২৫ এর ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৫ জন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
এ সময় ফলাফলে নিজেদের নাম শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ঘোষিত ও ভবিষ্যৎ পুলিশ কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকরা। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়াই ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় টাকা-পয়সা ছাড়া যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
পিরোজপুর পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও কনস্টেবল এর নিয়োগপ্রাপ্ত মো: শিহাব উদ্দিন সিকদার বলেন, চাকরির আশায় প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসে যাবতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। শারীরিক, লিখিত, মৌখিক সবগুলো পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি, চাকরিও হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
মোঃ শিহাব উদ্দিনের আম্মা বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে আমার ছেলের চাকরি হয়েছে। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ কিছুই লাগেনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা শতভাগ স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুষমুক্ত পরিবেশে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি।
এ সময় টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বরগুনা সদর সার্কেল মোঃ আবদুল হালিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল(গৌরনদী সার্কেল)মোসাঃ শারমিন সুলতানা রাখী সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মন্তব্য