পুঁজিবাজারে দরপতনের মধ্যে হতাশার আরও একটি দিন পার হলো।
চার কর্মদিবস পর সূচকের সামান্য উত্থান হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তিতে ফেরার মতো কিছুই ঘটেনি। যতগুলো কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে তার দেড় গুণের বেশি।
লেনদেনের চিত্র ছিল একেবারেই হতাশাজনক। ছয় মাসের বেশি সময়ে সবচেয়ে কমসংখ্যক শেয়ারের হাতবদল হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।
গত ২৮ এপ্রিল লেনদেন ছিল ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ছয় মাসের বেশি সময় পর ১২২তম কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার লেনদেন হলো ১ হাজার ৬৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল লেনদেন বুঝি ১ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে যাবে। কিন্তু শেষ সময়ের ক্রয়াদেশে তা আর হয়নি।
দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩১টি কোম্পানির, কমেছে ১৯৫টির।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজার যখন উত্থানে ছিল, তখন দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা যে বিনিয়োগ করেছিলেন, তা লোকসানে পরিণত হয়েছে। শেয়ার দর কমে যাওয়ায় সেসব কোম্পানি থেকে এখনও বের হতে পারেননি তারা। বিএসইসি যেসব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে, সেগুলোর শেয়ার দরও ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসার পর বেশ কিছু কোম্পানিতে উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে আটকা আছেন অনেকে।
‘এখন দেখা যাচ্ছে দর সংশোধনে বিনিয়োগকারীরা আগের মতো লোকসানে শেয়ার বিক্রি করছেন না। তারা অপেক্ষা করছেন দাম বাড়ার। এটা লেনদেন কমার একটি কারণ।’
নতুন করে বিনিয়োগ থেকেও বিনিয়োগকারীরা বিরত আছেন বলে মনে করেন এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘সূচক ও লেনদেন যখন কমতে থাকে বা বাজার যখন সংশোধনে থাকে, তখন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নতুন বিনিয়োগ থেকে সরে এসে বাজার পর্যবেক্ষণে মনোযোগ দিয়ে থাকেন। মূলত এতে আতঙ্কের কিছু নেই। বাজার যখন আবার উত্থানে ফিরবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আবার লেনদেন বাড়বে।’
দিন শেষে সূচক বাড়লেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইঙ্গিত ছিল উল্টো। সে সময় সূচক কম ছিল আগের দিনের চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট। অন্যান্য দিনে এই সময়ের পর সূচক আরও কমেছে।
তবে সেখান থেকে বেলা ১টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সে সময় সূচকের অবস্থান ছিল আগের দিনের চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট বেশি। শেষ ৪০ মিনিটে সেখান থেকে কিছুটা কমে।
সূচক বাড়ায় প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। আর সূচক ঘুরে দাঁড়ানোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কোম্পানিটির কাছ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা কর হিসেবে দাবি করেছে- নিরীক্ষকের এই মত প্রকাশের পর আগের চার কর্মদিবস সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল এই কোম্পানিটি। আজও শেয়ার দর কমে একপর্যায়ে ৫৮৮ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে। কিন্তু পরে সেখান থেকে লেনদেন শেষ হয়েছে ৬১৬ টাকা ৪০ পয়সায়।
কোম্পানিটি একাই একসময় ১২ পয়েন্টেরও বেশি সূচক ফেলে দিয়েছিল। দিন শেষে সেটিই আবার সূচক বাড়িয়েছে ৫.০৪ পয়েন্ট।
এই দুটি কোম্পানি ছাড়াও লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, এনআরবিসি, ওয়ালটন, বেক্সিমকো ফার্মা, রেনাটা, গ্রামীণফোন, ইস্টার্ন ব্যাংক ও হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ার দর বৃদ্ধি সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল।
এই ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ২২.৮৮ পয়েন্ট।
অপরদিকে সূচক টেনে নামিয়েছে স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, রবি, বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি, ন্যাশনাল লাইফ, বিকন ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, আইডিএলসি ও মেরিকো।
এই ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমায় সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ১০.১৪ পয়েন্ট।
গত কয়েক দিনের মতোই লেনেদেনে সেরা বস্ত্র খাত। এরপর আছে ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ খাত, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সিমেন্ট, আর্থিক খাত। বেশির ভাগ খাতেই বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমেছে, সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন।
দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে স্বল্প মূলধনি
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরেও বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। তবে এ খাতের দুর্বল খাতের কোম্পানিগুলোকে দেখা গেছে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়। ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিথুন নিটিংয়ের ৪.৯৯ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়অর দর ১৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা।
একই ক্যাটাগরির বিচ হ্যাচারির শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৮৪ শতাংশ। শেয়ার দর ২০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ৬০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির আলহাজ্ব টেক্সটাইল, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৪.৭২ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে ছিল জেড ক্যাটাগরির মেঘনা পেট, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৪.৫৬ শতাংশ।
স্বল্পমূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার প্রতি দর ১৬ টাকা দর বেড়েছে আনোয়ার গ্যালভালাইজিংয়ের। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩৮৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০২ টাকা ৫০ পয়সা।
তবে সবচেয়ে বেশি শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে রেকিট বেনকিনজারের, ৭০ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫ হাজার ১২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৮৩ টাকা।
দর বৃদ্ধির পাশাপাশি দর পতনেও ছিল স্বল্প মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানি। দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল ‘বি‘ ক্যাটাগরির প্রাইম টেক্স, যার শেয়ার দর কমেছে ৬.৭৮ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এ সংক্রান্ত বোর্ড সভার পর দিন কোম্পানিটির শেয়ার দরে কোনো প্রান্তসীমা ছিল না। সেদিন শেয়ার দর বেড়েছিল ২৬ শতাংশ পর্যন্ত। এরপর টানা দুই দিন কমল।
দর পতনে থাকা জেড ক্যাটাগরির মনোস্পুল পেপারের শেয়ারেদর কমেছে ৪.৪৭ শতাংশ। লোকসানি সাভার রিফ্যাক্টরিজের শেয়ার দর কমেছে ৪.২৩ শতাংশ।
প্রায় সব খাতেই দরপতন
গত সপ্তাহ থেকেই লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে অনেকটাই।
বুধবার এই খাতে লেনদেন ছিল ১৯৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১৫৫ কোটি ২৩ রাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি লেনদেনের খাত হলেও শেয়ারদর বেড়েছে যতগুলোর, কমেছে তার চেয়ে বেশি।
এই খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আলিফ ম্যানুফেকচারিংয়ের দর; ৫.১২ শতাংশ। এছাড়া মিথুন নিটিংয়ের দর ৫ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের দর ৪.৭৩ শতাংশ, ঢাকা ডায়িংয়ের দর বেড়েছে ৪.৩৬ শতাংশ।
দরপতনের শীর্ষ তালিকায় প্রাইম টেক্স ছাড়াও আছে জাহিন স্পিনিংয়ের ৬.২৫ শতাংশ। এছাড়া দুলামিয়া কটনের দর ২.৪৮ শতাংশ, নুরানী টেক্সটাইলের দর ২.৪৬ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের দর ২.৪৫ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতেও একই দৃশ্য। এই খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ১২টির। ৯টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পেরেছে।
আগের দিনের তুলনায় এই খাতে লেনদেন হয়েছে বেশি। হাতবদল হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এনআরবিসির দর, ৭.৩৪ শতাংশ। একক লেনদেন হিসেবেও ব্যাংকটি ছিল শীর্ষে। কোম্পানিটির ৬৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
তারপরই আছে আইএফআইসি ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দর ৩০ পয়সা বা ১.৬৫ শতাংশ বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে ৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হাতবদল হয়েছে এমন ব্যাংকের সংখ্যা ছিল সাতটি। এরমধ্যে ছয় কোটি ৮ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের। শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৫৮ শতাংশ। চার কোটি ৪৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের। এদিন ব্যাংকটির শেয়ার দর আগের দিনের মতোই অপরিবর্তিত ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সায়।
এছাড়া তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হাতবদল হয়েছে সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১২টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৭টির দর। লেনদেন সামান্য বেড়েছে।
আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ওয়াটা কেমিক্যাল, যার শেয়ার দর ১০ টাকা ২০ পয়সা বা ৩.৪২ শতাংশ কমেছে। দাম সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে স্যালভো কেমিক্যালের, ৬.১৩ শতাংশ।
লেনদেনের চতর্থ অবস্থানে বিবিধ খাতের অবস্থানের প্রধান কারণ বেক্সিমকো লিমিটেড। এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকোর একা লেনদেন ছিল প্রায় একশ টাকা।
খাতটির ১৪টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে কেবল দুটির দর। এর মধ্যে বেক্সিমকোর বেড়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা, আর সিনোবাংলার ৪০ পয়সা। বাকিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পেরেছে, বেড়েছে বাকি ১১টিরই দর।
এই চারটি খাতেই কেবল ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত লেনদেনের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিত খাত। এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এই লেনদেনের মধ্যে খাতের সবচেয়ে আলোচিত কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোরই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে ২০টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে বেড়েছে ৯টির দর, কমেছে ১০টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে আটকে যাওয়া বিমা খাতের বিনিয়োগকারীদের আরও একট বাজে দিন গেল। এপ্রিল-মে মাসে নিয়মিত ছয়শ থেকে সাতশ কোটি টাকা হাতবদল হওয়া খাতটির লেনদেন নেমেছে এসেছে ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকায়।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২১টির দর, কমেছে ২৬টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৪টির।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিটি ছিল সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৩.৯০ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়া কোম্পানিটি ছিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ারদর কমেছে ২.৯৫ শতাংশ।
জীবন বিমা খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩.০৮ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২.৯৫ শতাংশ।
মাস খানেক আগে নিয়মিত আড়াইশ থেকে তিনশ কোটি টাকা লেনদেন হতে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন নেমে এসেছে ৬০ কোটি ৭১ লাখ টাকায়। আগের দিন খাতটিতে লেনদেন ছিল ৬৯ কোটি ২৯ রাখ টাকা।
এই খাতের ১৮টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৯টির দর।
জ্বালানি খাতে কেপিসিএলের দুটি ও সামিট পাওয়ারের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে চুক্তি আটকে থাকার প্রভাবে দুটি কোম্পানির শেয়ারদর কমছেই। সঙ্গে কমছে অন্যগুলোরও।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১৩টির। দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানি ছিল জিবিবি পাওয়ার, যার শেয়ার প্রতি দর ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩.৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
আর দর পতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, যার শেয়ার দর হারিয়েছে ৮২ টাকা বা ৩.২৯ শতাংশ।
এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয় ৪৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, সে সময় সিমেন্ট খাতের লেনদেন বেড়ে পৌনে তিনশ কোটি টাকা হয়ে যায়। সেটি এবার নেমে এসেছে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকায়।
এই লেনদেন অবশ্য আগের দিনের চেয়ে বেশি। সেদিন লেনদেন ছিল ৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
লাফার্জের দর ১১০ টাকা ছাড়িয়ে পরে ৭০ টাকার ঘরে নেমে আসার পর আবার টানা দুই দিন বেড়ে ৮০ টাকার ঘর ছাড়িয়ে গেছে।
আর্থিক খাতেও লেনদেন ক্রমেই কমছে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মাস দুয়েক আগে দিনে আড়াইশ, কোনো কোনো দিন তিনশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় লেনদেন।
এই খাতে কেবল ৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭টির। একটির লেনদেন স্থগিত, অপরিবর্তিত ছিল বাকি দুটির দর।
তবে দরপতনের দিনে দুটি খাতে বেশিরভাগ কোম্পানি বা ইউনিটের দাম বেড়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৮টির দর, কমেছে ৩টির। লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ২১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
আগের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে এলআর গ্লোবাল ওয়ান ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫১ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পর গোটা খাতে লেনদেন বেড়ে ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরের দিনেই তা কমে ১০ কোটি ৭০ লাখে নেমে এসেছে।
এই খাতে ১৪টির ইউনিটমুল্য ১০ থেকে ২০ পয়সা করে বেড়েছে, কমেছে ১৩টির ইউনিটমূল্য। অপরিবর্তিত ছিল ৯টির।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য