দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার রাতে https://gstadmission.ac.bd/ ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয় বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটি।
কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যারা পাস করেছেন তাদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। তা ছাড়া ওয়েবসাইটে গিয়েও ফল দেখতে পাবেন।
‘সি’ ইউনিটে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৩৩ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থী।
এর আগে ২৬ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়। আর ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয় ২০ অক্টোবর।
গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন:শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হেসেন পদত্যাগ করেছেন।
রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি উপাচার্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা তাদের প্রমোশন চায়। আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দৈনন্দিন কাজের জন্য। সেখানে আমাকে বলা হয়েছে, টেন্ডার দিতে পারবেন না, নিয়োগ দিতে পারবেন না, এমনকি প্রমোশনও দিতে পারবেন না। এই সমস্ত লিমিটেশন থাকার কারণে তারা জেনে বুঝে আজ সকাল ১১টা থেকে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।’
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘‘তাদের একটাই কথা- ‘আপনি থাকাকালীন সব ঠিকঠাক মতো চলছে দেখে সরকারের নজরে আসছে না। যে কারণে আমাদের পদন্নোতি হচ্ছে না। আপনি সরে গেলে আমাদের পদোন্নতি হবে।’ তাই আমি সিনিয়র শিক্ষকদের ডেকেছিলাম, তারা আমাকে নানাভাবে বুঝিয়েছে। তাই আজ রাত নয়টার সময় রিজাইন দিয়েছি।’’
গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা পদোন্নতি, চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদত্যাগ এবং নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ রোববার বেলা ১১টা থেকে উপাচার্যের অফিসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ’র মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ জুলাই। এর একদিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রুয়েটের ফলিতবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. সাজ্জাদ হোসেনকে রুয়েটের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য (ভিসি) করা হয়। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তিনি রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফল প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২২ ও ২৩ মে একাধিক শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর ‘ডি’ ইউনিটে এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৯ হাজার ৭৭০ জন। পাস করেছেন ১৩ হাজার ৫৭ জন। আর ন্যূনতম ৪০ নম্বর না পেয়ে ফেল করেছেন ২৬ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‘ডি’ ইউনিট ভর্তি কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ (শনিবার) ফল প্রকাশ করেছি। মোট ৩৯ হাজার ৭৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৫৭ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।’
চবির ‘ডি’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান/গণিত/অর্থনীতি ও মানসিক দক্ষতার ওপর ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হয়। জিপিএ’র ওপর আরও ২০ নম্বর হিসাব করে মোট ১২০ নম্বরের ওপর ফল তৈরি করা হয়।
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হয় দশমিক ২৫ নম্বর। পরীক্ষায় কোনো লিখিত অংশ ছিল না। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সোমবার। তিন দিনের এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি ও পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিভাবকদের বসার স্থান
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১১টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিটি টেন্টে অভিভাবকদের বসার জন্য ২০০টি করে চেয়ার থাকবে।
এ ছাড়া শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পরীক্ষাকক্ষের চারপাশে যাওয়ার চেষ্টা না করে এসব টেন্ট ও টিএসএসসিতে অপেক্ষা করতে পারবেন অভিভাবকেরা।
হেল্প ডেস্ক
বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেস্তারগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ১১টি হেল্পডেস্কের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা দেবে।
এসব হেল্পডেস্কে খাবার পানির ব্যবস্থাও থাকবে।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র খুঁজে পেতে, জরুরি সহায়তা, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যে কোনো তথ্য জানতে এসব ডেস্কে এসে সহায়তা নিতে পারবেন।
ক্যাম্পাসের বন্ধ ও উন্মুক্ত সড়ক
ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাবি প্রশাসন।
এসবের মধ্যে আছে সকাল ৮টার পর ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল, বেগম খালেদা জিয়া হল, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সব রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন।
এ ছাড়া চারুকলা ও কৃষি অনুষদে যাবার জন্য শহর থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের অক্ট্রয়মোড় থেকে ওভারব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা ও ভদ্রা গেট এবং কাটাখালীর দিক থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ফল গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের পাশের রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়।
সকাল ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনমুখী সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশাসহ কোনো ধরণের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
পরীক্ষা সংক্রান্ত ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি এ নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে।
২৯ থেকে ৩১ মে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সাবাস বাংলাদেশ মাঠ ব্যবহার করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধু কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট এবং রোকেয়া হলের পেছনের রাস্তা (ফ্লাইওভার সংলগ্ন) ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
শৌচাগার, মেডিকেল ও অন্যান্য
পরীক্ষা উপলক্ষে ৩টি মেডিকেল টিম, ৬টি অ্যাম্বুলেন্স, ১২ স্থানে শৌচাগার, ১১টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট, ১১টি হেল্প ডেস্ক রাখা হয়েছে।
ভর্তি-পরীক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
সার্বক্ষণিকভাবে চারটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত দুই সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা দেবে।
প্রতারক থেকে সাবধান
উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়।’
‘এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে, কখনও কখনও অসাধুচক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নেয়। এজন্য তারা কখনও কখনও শিক্ষার্থীদের সনদ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র জমাও রাখে এবং রেজাল্ট তালিকায় নাম দেখেই অর্থ দাবি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিজ যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পেয়েও প্রতারণার শিকার হয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এমন প্রতারণার খপ্পরে না পড়ার জন্য সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ভর্তি-পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরণের প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ভবিষ্যতে চার বিভাগীয় শহরেও হবে পরীক্ষা
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কথা আমরা ভাবছি। আমরা পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিল, ডিনস কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা হয়।
শনিবার দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে।
এদিকে যানজটে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বরাবরের মতোই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেন। এবার ‘সি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ জন শিক্ষার্থী। যা মোট ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৮৪৩ জন এবং একটি উপকেন্দ্র উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে ৩ হাজার ৭৮ জনে আসন বিন্যাস করা হয়।
যানজটে ভোগান্তি
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারপাশে বাস-ট্রাক-লেগুনা, রিকশার কারণে যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পাশের সড়কগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অবস্থান করায় স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্ন হয়।
এতে সাধারণ যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তার মোড়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের কাজ চলমান থাকায় এক লেনেই সব ধরণের যানবাহন চলাচল করছে।
এতে যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে আসা যেসব শিক্ষার্থী ওই রুটে প্রবেশ করেছেন, তাদের দীর্ঘ যানজটে আটকা থাকতে হয়।
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সন্তানরা যানজটের কারণে পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারছে না। বাস-রিকশাসহ অনান্য যানবাহন একেবারে ফটকের কাছে থামায় নাজেহাল অবস্থা। প্রচণ্ড গরম, ভিড়, যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা।
পরীক্ষার্থী আসফিক মৃধা বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর চার ঘণ্টা আগে মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পৌঁছে এই গরমে পরীক্ষা দিতে আর মনোবল থাকে না।’
এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন আবেদন করেন। আসন আছে ৩ হাজার ৩৩২টি। প্রতি আসনের বিপরীতে ১২ জন শিক্ষার্থী লড়েন।
৩ জুন বিজ্ঞান বিভাগের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১২ শিক্ষার্থী।
এ বছর ইউনিটটিতে ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন আবেদন করেন। আসন রয়েছে ৩ হাজার ৩৩২টি।
ইউনিটটির পরীক্ষা শনিবার হবে। ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলবে।
শুক্রবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে চারটি কেন্দ্রের একটি করে উপকেন্দ্র রয়েছে।
এগুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত কক্ষ খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে।
কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। এবার ‘সি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ জন।
এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিবেন ১২ হাজার ৮৪৩ জন। একটি উপকেন্দ্র উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩ হাজার ৭৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য কেন্দ্রে থাকবে। পাশাপাশি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের ৬৫ জন সদস্য শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কেটে ‘অপরিকল্পিত’ উন্নয়ন বন্ধ এবং মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন।
মিছিলটি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, জুবায়ের স্মরণী, বটতলা ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
সমাবেশে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী অনন্যা ফারিয়া বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসের মূল পরিচয় বনভূমি ও জীববৈচিত্র। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া একের পর এক ভবন নির্মাণ করে ক্যাম্পাসের বনভূমি ও জীববৈচিত্র সংকুচিত করা হচ্ছে। সর্বশেষ সুন্দরবন নামক জায়গায় হাত দেয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি তাপসী প্রাপ্তি বলেন, ‘আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য আগেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গাছ কাটা হয়েছে। এবার সুন্দরবন নামক জায়গাটি বেছে নিয়েছে। মাস্টাপ্ল্যান প্রণয়ন না করে গাছ-পালা কেটে এই ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সুন্দরবন’ এলাকায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ জন্য পাঁচ শতাধিক গাছ কাটা পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা ১৮ জুন শুরু হবে। চলবে ২২ জুন পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান জানান, ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১৬ থেকে ২৪ জুন নির্ধারিত হয়েছিল। ১৬ জুন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ১৮ জুন রোববার পরীক্ষা শুরু হবে।
গত বছর আংশিক সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও এ বছর পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে।
তিনি বলেন, ‘এখনও অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চলমান। ৩১ মে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে ২ জুন আমরা আবার বসব। ইউনিটভিত্তিক কত আবেদন পড়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।’
মন্তব্য