বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনে পুঁজিবাজারে সূচক কমল আরও; সব মিলিয়ে টানা চার কর্মদিবস, যা সচরাচর দেখা যায় না।
গত সপ্তাহেই অবশ্য টানা সাত কর্মদিবস সূচকের পতন দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই এবার চার কর্মদিবস পতনের বিষয়টি প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়নি।
বুধবার দরপতনের পর প্রধান আলোচনা হচ্ছে লেনদেনে। একপর্যায়ে হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ এতটাই কমে যায় যে, লেনদেন ছয় মাস পর ১ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে যায় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে শেষ আধা ঘণ্টায় বেশ কিছু ক্রয়াদেশে তা হাজার কোটি টাকার ঘর পার হয়।
শেষ পর্যন্ত ৭৯ কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন দেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। দিন শেষে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। গত ২৯ জুন এর চেয়ে কম লেনদেন হয়। সেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ১৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার।
পতনের এই দিনে ৮৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৪৬টির। ৪০টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
দিন শেষে সূচক পড়েছে ৫৬.০৭ পয়েন্ট। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের চার কর্মদিবসে সূচক পড়ল ১৬৪ পয়েন্ট। সূচক নেমে এসেছে ৬ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে।
টানা সাত কর্মদিবস পতনে গত ২৫ অক্টোবর সূচক ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে নেমে আসার পর সেই দিকেই আবার ছুটছে পুঁজিবাজার।
সূচকের পতনে আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি। একই দিনে ওয়ালটন, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, রবি, ওরিয়ন ফার্মা, শাহজিবাজার পাওয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত, বেক্সিমকো ফার্মা ও আইসিবির মতো বড় মূলধনি কোম্পানির দরপতন শেষ পর্যন্ত সূচকের বড় পতনের কারণ হয়।
এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক পড়েছে মোট ৪২.৮৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, রেনাটা, ইউনিলিভার, বেক্সিমকো, পূবালী ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, বিকন ফার্মা, বিএনআইসিএল, সিটি ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মিলিয়ে ১০.০৮ পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে।
স্বল্প মূলধনির উত্থান
বেশ কয়েকদিন পরে এই চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৬টিরই শেয়ার সংখ্যা কম।
এর মধ্যে বিডি ল্যাপসের দর ৯.৯৫ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের দর ৮.৭৪ শতাংশ, ফার্মা এইডের দর ৭.৪৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের দর ৬.৯১ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্নের দর ৫.৮৩ শতাংশ, এমবি ফার্মার দর ৫.২৪ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে যে ৮৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে, তার মধ্যে ৩৮টিই স্বল্প মূলধনি। সেগুলোর বেশিরভাগই লোকসানি। কয়েকটি লভ্যাংশ দিলেও একেবারেই ন্যুনতম। কয়েকটি মুনাফায় আছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে এই কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছিল।
টপ টেনে বস্ত্রের আধিক্য
গত এক সপ্তাহ ধরে চলা চিত্রটি আবার দেখা গেল। লেনদেন দর বৃদ্ধিতে সেরা দশটি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতের কোম্পানি ছিল চারটির। আর বাকি ছয়টি ছিল তালিকাভুক্ত অন্য পাঁচটি খাতের।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া বিডিল্যাম্প ছিল প্রকৌশল খাতের। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ নভেম্বর।
শেয়ারে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা জেমিনি সি ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ। অন্য খাতগুলোর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ফার্মা এইড, আ্যাম্বিফার্মা, বিবিধ খাতের ন্যাশনাল ফিড মিলস, বিমা খাতের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।
বস্ত্র খাতের কাট্টালি টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৪৮ শতাংশ। শেয়ার প্রতি ২.৫০ পয়সা যোগ হওয়া কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে।
ঢাকা ডাইংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.২২ শতাংশ। শেয়ার দরে যোগ হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা; দাম ২৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। অনালিমা ইয়ার্নের দর বেড়েছে ৫.৮৩ শতাংশ।
তবে বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৪১টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৪টির।
আগ্রহের শীর্ষে আবার বেক্সিমকো
মঙ্গলবার বিবিধ খাতের মোট লেনদেন হয়েছিল ১৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ১৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান অবদান বেক্সিমকো লিমিটেড।
গত সোয়া এক বছরে ১৩ টাকা থেকে ১৬০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরও প্রায় প্রতিদিনই এই কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বুধবার লেনদেন হয়েছে ১৪৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ারদর সামান্য বেড়েছে। আগের দিন দাম ছিল ১৬২ টাকা ৬০ পয়সা, দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৬৩ টাকা ২০ পয়সা।
এই খাতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লোকসানি লভ্যাংশ না দেয়া সাভার রিফ্যাক্টরিজের। আগের দিনের দরের চেয়ে বেড়েছে ৩.৮৬ শতাংশ। জিকিউ বলপেনের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.৬৮ শতাংশ।
সিমেন্ট খাতে আগ্রহ হঠাৎ বাড়ার পর পতনও হয়েছে দ্রুত। এক দিনে প্রায় তিনশ কোটি টাকার লেনদেনের রেকর্ডও ছিল অক্টোবরে। সেখান থেকে মঙ্গলবার তা কমে হয় ২৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। সেটি সামান্য বেড়ে হয়েছে ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
বরাবরের মতোই এই খাতে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের লেনদেনই হয়েছে বেশি। ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে একটি কোম্পানিরই।
কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আগের দিন নেমে এসেছিল ৭৬ টাকায়। সেখান থেকে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৬০ পয়সা।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানি ছিল চার বছর পর মুনাফায় ফেরার পরও লভ্যাংশ না দেয়া আরামিট সিমেন্ট। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৪.৩৭ শতাংশ কমেছে।
নিভু আলোয় ব্যাংক, বিমা
এক সময়ের দাপটে বিমার শেয়ারের দর এখন প্রায় তলানিতে। প্রতিনিয়ত দর কমে কমে সমন্বয় করে বের হওয়ার পথই দেখতে হচ্ছে এ খাতের বিনিয়োগকারীদের।
প্রায় প্রতিদিন কমছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে কমেছে ব্যাংক খাতের শেয়ার দরও।
বুধবার লেনদেনে বিমা খাতের মাত্র ১১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৫টির। দর আগের দিনের মতোই আছে পাঁচটির।
ব্যাংক খাতের ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। দর বেড়েছে ৬টির। সবচেয়ে বেশি ৩০ পয়সা বেড়েছে সিটি ব্যাংকের। এদিন ব্যাংকটির ১.০৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
দর হারানো ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল এবি ব্যাংক, যার শেয়ার দর কমেছে ২.১০ শতাংশ। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৬৩ শতাংশ।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৭ দশমিক ০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য