× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Larger economies as new also have higher per capita incomes
google_news print-icon

নতুন হিসাবে অর্থনীতি আরও বড়, মাথাপিছু আয়ও বেশি

নতুন-হিসাবে-অর্থনীতি-আরও-বড়-মাথাপিছু-আয়ও-বেশি
নতুন ভিত্তি বছর অনুযায়ী, চলতি মূল্যে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার (জিডিপি) দাঁড়িয়েছে ৪০৯ বিলিয়ন ডলার। আগের ভিত্তি বছরের (২০০৫-০৬) হিসাবে পাওয়া ৩০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকার চেয়ে এই হিসাব ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। পুরনো ভিত্তি বছরের হিসাবে যা ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার।

অবশেষে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ভিত্তি বছর পরিবর্তন করেছে সরকার। এখন থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তি বছর ধরে জিডিপিসহ অর্থনীতির সব হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

এতদিন সেই ১৫ বছর আগের ২০০৫-০৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে এ সব তথ্য প্রকাশ করা হতো।

২০১৫-১৬ অর্থবছরকে নতুন ভিত্তি বছর নির্ধারণ করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গেলেও সার্বিক বিবেচনায় অর্থনীতির আকার বেশ বেড়েছে; বেড়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয়।

নতুন ভিত্তি বছর অনুযায়ী, চলতি মূল্যে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার (জিডিপি) দাঁড়িয়েছে ৪০৯ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩৫ লাখ ৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।

বিবিএস প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে হিসাব কষে বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এখন ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা আগের ভিত্তি বছরের (২০০৫-০৬) হিসাবে পাওয়া ৩০ লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকার চেয়ে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

নতুন ভিত্তি বছরের (২০১৫-১৬) হিসাবে গত ২০২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। পুরনো ভিত্তি বছরের হিসাবে যা ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘অনেক দেরিতে হলেও আমরা নতুন ভিত্তি বছর শুরু করতে যাচ্ছি। এখন থেকে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, মাথাপিছু আয়সহ অর্থনীতির সব সূচক ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে হিসাব করা হবে। এবং আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিত্তি বছর পরিবর্তন করব।’

নতুন হিসাবে অর্থনীতি আরও বড়, মাথাপিছু আয়ও বেশি

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আরও আগেই নতুন ভিত্তি বছর নির্ধারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি; এটাকে আমাদের এক ধরনের ব্যর্থতাও বলতে পারেন। অনেক পেছনের ভিত্তি বছরকে ভিত্তি ধরে হিসাব করলে অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার বাস্তব প্রতিফলন পাওয়া যায় না।

‘এই ১৫ বছরে অনেক নতুন নতুন খাত আমাদের অর্থনীতির মূলধারায় যুক্ত হয়েছে; ভালো অবদান। সে কারণেই এখন আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিত্তি বছর পরিবর্তন করব।’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে জিডিপিসহ অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের তথ্য নতুন ভিত্তি বছরের পাশপাশি পুরনো ভিত্তি বছরেরটাও প্রকাশ করা হবে। কিছুদিন পর শুধুমাত্র নতুন ভিত্তি বছরেরটা প্রকাশ করা হবে। পুরনোটা আর প্রকাশ করা হবে না।’

অর্থনীতির বিশ্লেষক বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানেক (বিআইডিএস) গবেষক জায়েদ বখতও নতুন ভিত্তি বছর নির্বাচনের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জিডিপি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে সময় মতো সংশোধন করা হলে তা জাতীয় সূচকের পূর্বাভাষের গ্রহণযোগ্যতা এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করার ক্ষেত্রে উপযোগিতা নিশ্চিত করে।’

তিনি বলেন, ‘যদিও নতুন ভিত্তি বছর শুরু করায় আগের কয়েক বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গেছে, তবুও এটি অর্থনীতির বাস্তব চিত্র প্রকাশ করছে। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারলে তা সরকারকে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে আরও সহায়তা করবে।’

'তথ্যের উৎসের উন্নয়ন হলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ব্যপ্তি বাড়ে, কারণ নতুন মানদণ্ড অর্থনীতিতে বর্ধনশীল শিল্পের অবদানের আরও সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করে’- বলেন রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত।

নতুন হিসাবে অর্থনীতি আরও বড়, মাথাপিছু আয়ও বেশি

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে হিসাব করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর হিসেবে নির্ধারণ করায় ওই হার কমে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

পরের অর্থবছরগুলোতেও একইভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা করে কমেছে।

ভিত্তি বছর হচ্ছে একটি মানদণ্ড যার প্রেক্ষাপটে একটি দেশের উৎপাদন, সঞ্চয় ও মূলধনের মোট পরিমাণের মতো উন্নয়ন সূচকগুলোর প্রবৃদ্ধি হিসাব করা হয়।

নতুন ভিত্তি বছর (২০০১৫-১৬) শুরু হলে জাতীয় হিসাবের বিবেচনায় বাংলাদেশ সার্কভুক্ত অন্য দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মালদ্বীপ (২০১৪) ও ভারত (২০১১-১২) কাছাকাছি আছে। পাকিস্তান (২০০৫-০৬) এবং শ্রীলঙ্কা (২০১০) যথেষ্ট পিছিয়ে আছে।

এর আগে ভিত্তি বছরের সর্বশেষ সংশোধন করা হয়েছিল ২০১৩ সালে।

নতুন হিসাবে কোন খাতে কত অবদান

নতুন ভিত্তি বছরের প্রেক্ষাপটে কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাতের সম্প্রসারণ ঘটেছে। নতুন হিসাবে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান হিসাব করার সময় ১৪৪ ধরনের শস্যের তথ্য আমলে নেয়া হয়েছে, যেটি আগের হিসেবে ১২৪ ছিল।

কৃষি খাতের মোট মূল্য সংযোজন (জিভিএ) চলতি মূল্যে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা হয়েছে, যেটি আগের হিসাবে ৩৮ হাজার ৪৬ কোটি টাকা ছিল।

শিল্প খাতে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, পল্লীবিদ্যুৎ কোম্পানি, খাদ্য সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ, রাজশাহী ওয়াসা ও জাহাজ ভাঙা শিল্পের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

নতুন ভিত্তি বছরের হিসাবে শিল্প খাতের মোট মূল্য সংযোজন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা হয়েছে। পুরনো হিসাবে যা ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ছিল।

বিবিএস দেশে চালু হওয়া বিভিন্ন নতুন সেবার অবদান জানতেও সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।

নতুন হিসাবে অর্থনীতি আরও বড়, মাথাপিছু আয়ও বেশি

রাইড-শেয়ারিং সেবা, বেসরকারি মোটরযান, জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান, বেসরকারি নভো এয়ার ও ইউএস বাংলা, বেসরকারি হেলিকপ্টার সেবা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, চলচ্চিত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, নতুন ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আর তাতে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট মূল্য সংযোজন সেবা খাতের মোট মূল্য সংযোজন বেড়ে ১৮ লাখ ৯৮ কোটি টাকা হয়েছে। যা ছিল ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

ইতিবাচক উন্নয়ন হিসেবে গত অর্থবছরে বিনিয়োগ ও জিডিপির অনুপাত বেড়ে ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, যেটি পুরনো ভিত্তি বছরের হিসেবে ২৯ দশমিক ৯২ ছিল।

আরও পড়ুন:
‘বঙ্গবন্ধু মাথাপিছু আয় সাড়ে তিন বছরেই ২৭৮ ডলারে নিয়ে যান’
মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি হলে গরিবের ভাতা কম কেন
মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়াল বাংলাদেশ
মাসে মাথাপিছু আয় এখন সাড়ে ১৫ হাজার টাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Assurance of sale of broiler in the farm within 195 rupees

খামারে ১৯৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার বিক্রির আশ্বাস

খামারে ১৯৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার বিক্রির আশ্বাস প্রতীকী ছবি
শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।

শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।’

ব্রয়লারের দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

আরও পড়ুন:
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ব্রয়লারের দামে ধস, হতাশ খামারিরা
ব্রয়লার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দুঃখ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eid festival campaign started in Daraz

‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ ক্যাম্পেইন শুরু দারাজের

‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ ক্যাম্পেইন শুরু দারাজের দারাজের ক্যাম্পেইনের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনটি ২৩ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে, যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্সসহ আকর্ষণীয় অফার। এ ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।

‘ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।

মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনটি ২৩ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে, যেখানে থাকছে মেগা ডিল, হট ডিল, ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার, দারাজ ক্লাব-কয়েন বুস্ট, শেইক শেইক, মিস্ট্রি বক্সসহ আকর্ষণীয় অফার। এ ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা তাদের কেনা পণ্য রিভিউ করে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় গিফট।

ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ক্যাম্পেইনে বাটা, হ্যায়ার, ইনফিনিক্স, লোটো, স্টুডিও এক্স, রিয়েলমি, ডেটল এবং লাইফবয়ের মতো ব্র্যান্ড পার্টনারদের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে গোল্ড স্পন্সর ফ্যাব্রিলাইফ, ফার্নিকোম, গোদরেজ, ম্যানফেয়ার, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, মটোরোলা, নেসক্যাফে, সিঙ্গার, ডাভ এবং সিলভার স্পন্সর বাজাজ ইলেকট্রিকালস, লগিটেক, লুই উইল, বিয়ার্ডো, স্কিন পিওর, ভিট, রিবানা, স্কেমেই, স্টোন রোজ, স্বপন্স ওয়ার্ল্ড, টিপি-লিংক, রিন এবং অরাইমোর মতো ব্র্যান্ড পার্টনাররা।

এ ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এইচএসবিসি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। নন-কমার্শিয়াল পার্টনার হিসেবে থাকছে লিয়া’স বিউটি বক্স, গ্ল্যামফ্রিক বাই ফারিন, পাউডার রুম বাই এশা রুশদি, ল্যাভিশ বুটিক এবং পালস হেলথ কেয়ার।

ঈদ ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের মাসজুড়ে সাশ্রয়ী কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের সেরা ডিল ও অফার দেওয়ার বিষয়টি দারাজ বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে।

‘আমাদের ঈদ ফেস্টিভ্যালও তারই অংশ। আমরা আমাদের স্পন্সর ও পার্টনারদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাদের কারণেই এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় লোক ছাঁটাই করবে দারাজ
দারাজ অ্যাপে প্রতিদিন বিপিএল দেখছেন ১০ লাখ মানুষ
দারাজ অ্যাপে বিপিএল দেখার সুযোগ
দারাজ সেল ক্যাম্পেইন ‘১১.১১’ শুরু ১১ নভেম্বর
আট বছরে দারাজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Adequate stocks of daily commodities during Ramadan FBCCI

রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে: এফবিসিসিআই

রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে: এফবিসিসিআই ফাইল ছবি
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুতআছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই।

আসন্ন রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ অন্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে পণ্য সামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।সভায় নিত্যপণ্যের উৎপাদক,সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুতআছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই।

এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। বলেন, বৈশ্বিক কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লে ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। তবে অবৈধভাবে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে-আমরাও সে বিষয়টি মনিটারিং করবো।

তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ালে সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতিকে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই বণিক সমিতির লাইসেন্স বাতিল করবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা হবে।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বাজার স্থিতিশীলা রাখার জন্য ভোক্তাদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য কিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।

ব্রয়লার মুরগি বা মাংসের দাম কমাতে আগামী ২/১ মাসের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির যদি উৎপাদন খরচ বেশি হয়, তাহলে সরকার স্বল্প সময়ের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দিতে পারে। যাতে দাম কমে যায়।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক আহমে বলেন, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যেপণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে। রোজায় দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এ সময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, সরকার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কারণে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না। অবৈধ মুনাফা রোধকল্পে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করা জরুরি। এর জন্য নিত্যপণ্যের উপর শুল্ক কমানোর আহ্বান জানান তিনি।

সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি আমীন হেলালী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
আট নিত্যপণ্যের এলসি মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ
নিত্যপণ্যের বাড়তি দরে ‘গরিবগঞ্জের পরিস্থিতি’
দাম নিয়ে কারসাজির মামলার পর আরও বাড়ল বাজার খরচ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Iftar and Sehri Specials at Platinum Hotels by Shelte

প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেকে ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন

প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেকে ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মুখরোচক খাবার। ছবি: সংগৃহীত
রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত সোমবার বিশেষ ইফতার বুফে ডিনারের আয়োজন করে প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেক্।

জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের নামী সাংবাদিক, ফুড ব্লগার ও কয়েকজন বিশেষ অতিথি।

প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেকে ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন

রমজান উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ড ও প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সে পাওয়া যাবে দক্ষ শেফদের তৈরি মধ্যপ্রাচ্যের মুখরোচক আইটেম (যেমন: হায়দরাবাদি মাটন হালিম, চিকেন নেহারি, দাজাজ আল ফাহাম, কাবসা)। সেই সঙ্গে মিলবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ইফতার আইটেমও। আরও পাচ্ছেন মহলাবিয়া, উম্মে আলী, পেস্ট্রি, আনলিমিটেড আইসক্রিম, সফট ড্রিংকস ও জুস।

প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে এই ইফতার ও ডিনার বুফেটি পেয়ে যাবেন B1G2 অফারে ৩৬৫০ টাকায় (৩১ মার্চ পর্যন্ত)। B1G1 অফারে সেটি ৩ হাজার ৩০০ টাকা।

প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের ক্ষেত্রে B1G2 অফার ২ হাজার ৯৯৯ টাকা (৩১ মার্চ পর্যন্ত) এবং B1G1 অফারে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডে প্রতিদিন থাকছে দেশীয় এবং কন্টিনেন্টাল আইটেমের সেহরি বুফের আয়োজন, যার জনপ্রতি মূল্য ১ হাজার ৯৯৬ টাকা।

সেই সঙ্গে যারা পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা অফিসের কলিগদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের জিজি এবং প্ল্যাটিনাম রেসিডেন্সের টেরা বিস্ত্রতে থাকছে ইফতারের বিশেষ ব্যবস্থা। আরও পাওয়া যাবে টেকওয়ে ইফতার বক্স যেখানে পেয়ে জাচ্ছেন হায়দরাবাদি মাটন হালিম, জাফরানি রেশমি জিলাপি, চিকেন ও ফিশ কাবসা এবং দই বড়া। এ ছাড়া প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ দেশের যেকোনো প্রান্তে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার জনের ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।

শুধু তাই নয়, যারা একটু নিরিবিলি পরিবেশে পুল সাইডে বসে ইফতার করতে চান, তাদের জন্য প্ল্যাটিনাম গ্র্যান্ডের ট্রাইব রুফটপ লাউঞ্জে থাকছে দুটি ফুল কোর্স সেট মেনু।

এই মেন্যুতে থাকছে চিকেন টেন্ডার, মোজারেলা স্টিকস, চিকেন ক্যাশিউনাট সালাদ, পিৎজা, ব্রেডেড প্রন, গ্রিলড চিকেনের সঙ্গে স্প্যাগেটি অ্যালিও ওলিওর মতো সিগনেচার ডিশ। এসব সেট মেন্যু ২০০০ ও ১৬০০ টাকায় B1G1 অফারে পেয়ে যাবেন।

ঢাকার নানান অফিস, রেস্টুরেন্ট ও দোকান থাকা বনানী ১১ নম্বরে প্লাটিনাম গ্র্যান্ডের অবস্থান। এর দূরত্ব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের। বিমানবন্দর থেকে উত্তরায় অবস্থিত প্লাটিনাম রেসিডেন্সের দূরত্ব চার কিলোমিটার। দুটি হোটেলের মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ যেকোনো বিশ্বমানের হোটেলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য, যা ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ জায়গা।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে 01922110976, 01922110975 নম্বর দুটিতে।

আরও পড়ুন:
রোজা শুরুর দিনক্ষণ: সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইফতারের দোয়া
সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার, যা জানা দরকার
রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে সরকার
সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Federal Reserve raised interest rates amid turmoil in the banking sector

ব্যাংক খাতে অস্থিরতার মধ্যে সুদহার বাড়াল ফেডারেল রিজার্ভ

ব্যাংক খাতে অস্থিরতার মধ্যে সুদহার বাড়াল ফেডারেল রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ভবন। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল করতে চাইছে, তবে গত বছর থেকে সুদহারের চড়া বৃদ্ধি ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংকের সাম্প্রতিক পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতে অস্থিরতার মধ্যে সুদহার বাড়িয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।

স্থানীয় সময় বুধবার ব্যাংকটি তাদের মৌল সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলেছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ‘সুস্থ ও সহিষ্ণু’ রয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ একই সঙ্গে সতর্ক করে বলেছে, ব্যাংকের পতন আগামী মাসগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল করতে চাইছে, তবে গত বছর থেকে সুদহারের চড়া বৃদ্ধি ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিং ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতন হয়। সুদহার চড়া হওয়াকে এ পতনের একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকের কাছে থাকা বন্ডগুলো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডগুলোর দাম কমে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর পতনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর এর ব্যাপকতর প্রভাব পড়বে না।

এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা থেকে সরে আসা উচিত বলেও মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রকরা।

আরও পড়ুন:
টেক্সাসে স্কুলের সামনে গুলিতে ছাত্র নিহত
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চান্দিনা শাখা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর
বাংলাদশে ব্যাংক-সোনালী ব্যাংকের গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড চুক্তি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Walton Day is celebrated across the country with various events

নানা আয়োজনে সারা দেশে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপিত

নানা আয়োজনে সারা দেশে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপিত নানা আয়োজনে ওয়ালটন ডে উদযাপন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানো, কেক কাটা, শ্বেত কপোত অবমুক্তকরণ, আনন্দ র‌্যালি ও শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারা দেশে উদযাপিত হলো ‘ওয়ালটন ডে’।

২০ মার্চ দিনটি উপলক্ষে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স, কর্পোরেট অফিস, ওয়ালটন কমপ্লেক্স মিরপুর, টাঙ্গাইলের গোসাই জোয়াইরসহ সারা দেশের সব সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলোতে ছিল নানান বর্ণিল আয়োজন।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়ানো, কেক কাটা, শ্বেত কপোত অবমুক্তকরণ, আনন্দ র‌্যালি ও শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

১৯৯৯ সালের ২০ মার্চ শুরু হয় ওয়ালটনের পথচলা। তবে দুই যুগ আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটনের যাত্রা শুরু হলেও এর বীজ রোপিত হয়েছিল আরো অনেক আগেই। টাঙ্গাইলের প্রথিতযশা শিল্পোদ্যোক্তা এস এম নজরুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৭ সালে ওয়ালটনের সূচনা ঘটে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিকেই ওয়ালটন পরিবার ‘ওয়ালটন ডে’ হিসেবে প্রতিবছর উদযাপন করে আসছে। প্রতি বছর ২০ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক সুখ দিবস এবং এমন একটি দিনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে ওয়ালটন পরিবার আনন্দে উদ্বেলিত।

২০ মার্চ সকালে করপোরেট অফিসে জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। এরপর তিনি ওয়ালটন ডে’র লোগোসহ বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ২০ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া বিশালাকার কেক কাটেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়ালটনের উদ্যেক্তা পরিচালক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে সময় অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

এরপর ‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষে সারা দেশে একযোগে র‌্যালি ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। দেশব্যাপী ওয়ালটনের ২০ সহ¯্রাধিক সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করে ওয়ালটন পরিবার। ওয়ালটন ডে উপলক্ষে ২০ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতাদের জন্য নির্দিষ্ট মডেলের কিছু পণ্যে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে।

ওয়ালটন ডে’র উদ্বোধন ঘোষণা করে ওয়ালটন পরিবারের সব সদস্য, ক্রেতা, দেশি-বিদেশি পরিবেশক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, আজ যে ওয়ালটনকে আমরা দেখতে পাচ্ছি তা একদিনে হয়নি। আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে ওয়ালটন এই অবস্থানে এসেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন। এই সফলতা ধরে রাখাও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। প্রচণ্ড সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ওয়ালটনের চৌকস টিম এসব বাধা পেরিয়ে দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে চলছে। ওয়ালটনের প্রতি দেশবাসীর প্রচ- আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাদের সেই বিশ্বাস ও আস্থার মর্যাদা দিতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট।

এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘ওয়ালটন ডে’ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। স্বাধীনতার অগ্নিঝরা মাস মার্চেই ওয়ালটনের জন্ম। প্রতিষ্ঠানটিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, স্টেকহোল্ডার, ক্রেতা-শুভানুধ্যায়ীসহ ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ওয়ালটন ডে উদযাপনে সবার বাধভাঙ্গা আনন্দের এই ধারা অব্যাহত থাকুক।

করপোরেট অফিসে ওয়ালটন ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. তানভীর রহমান, আমিন খান, ফিরোজ আলম, এস. এম. জাহিদ হাসান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম, দিদারুল আলম খান, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।

হেডকোয়ার্টারে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, তাপস কুমার মজুমদার, নিজাম উদ্দীন মজুমদার, ইয়াসির আল ইমরান, শাহীনূর সুলতানা, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

ওয়ালটন কমপ্লেক্স মিরপুরের র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল-বিন আনোয়ার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ মিরপুর সার্ভিস সেন্টার, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স এবং ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
এবারও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের স্পন্সর ওয়ালটন
ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার
আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gold prices fell further in one day

একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আরও কমল

একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আরও কমল ফাইল ছবি
নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কমেছে। আগের দিন মঙ্গলবার এক দফা কমানো হয় স্বর্ণের দাম।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস নির্ধারিত এই দাম কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে।

২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ (১১.৪৪৬ গ্রাম) বিক্রি হবে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকায়। বুধবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের ভরি ছিল ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। সে হিসাবে ভরি প্রতি কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা।

নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯২ হাজার ৮৭ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম হবে ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৭৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।

বুধবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম ছিল ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকা ভরিতে।

চার দিন আগে ১৮ মার্চ এই মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭০০ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। তখন দাম ছুঁয়েছিল প্রায় লাখ টাকা।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয় রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকায় অপরিবর্তিত আছে।

আরও পড়ুন:
কমল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের ভরি ৯৮,৭৯৪ টাকা
স্বর্ণের ২৮ বার উদ্ধারের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

মন্তব্য

p
উপরে