× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mayoral candidate uncle nephew niece
google_news print-icon

মেয়র প্রার্থী চাচা, ভাতিজা, ভাতিজি

মেয়র-প্রার্থী-চাচা-ভাতিজা-ভাতিজি
বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী স্থানীয় সাংসদ শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই (ওপরে বাঁ থেকে) ছেলে, ভাতিজি।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বেড়া পৌর মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিফ শামস রঞ্জন, ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন এবং ভাতিজি এস এম সাদিয়া আলম।

পাবনার বেড়া পৌরসভায় মেয়র পদে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে, ভাই ও ভাতিজি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ফলে ওই পৌরসভায় একই পরিবারের তিনজন একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটে লড়বেন।

মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে তারাসহ মোট ৬ জন বেড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বেড়া পৌর মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিফ শামস রঞ্জন, ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন এবং ভাতিজি এস এম সাদিয়া আলম।

এ ছাড়া মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এইচ এম ফজলুর রহমান মাসুদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. আব্দুল আওয়াল ও কে এম আব্দুল্লাহ।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংসদ সদস্যের পরিবার থেকেই তিনজন মেয়র প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা ও সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগ নেতারাও।

সাংসদ শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, ‘দলের কিছু ষড়যন্ত্রকারী আমাকে রাজনীতি থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। বেড়া পৌরসভায় ১৭ বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছি। মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলেছি। আধুনিক নগর গড়ার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই জনগণের দাবির মুখে প্রার্থী হয়েছি।’

মেয়র আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ‘দল মনোনীত প্রার্থী আমার ভাতিজা হলেও রাজনীতিতে সে নতুন, অনভিজ্ঞ। তার তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নই, জনগণের পক্ষে নির্বাচন করছি।’

সাংসদ টুকুর ছেলে ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যাচাই-বাছাই করেই আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা আছে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণ নৌকার প্রার্থীকেই ভোট দেবে।’

একই পরিবারের আরেক প্রার্থী ও সাংসদ টুকুর বড় ভাইয়ের মেয়ে সাদিয়া আলম বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, আমার বাবা বদিউল আলম বেড়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। আমি দীর্ঘদিন উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। জনগণের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি।’

সাদিয়া বলেন, ‘পেশিশক্তি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে বেড়ায় সামাজিক মূল্যবোধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পথে। শান্তির জনপদ হিসেবে বেড়া পৌরসভাকে গড়ে তোলা আমার লক্ষ্য।’

নিজ পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী হওয়াকে গণতান্ত্রিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু।

তিনি বলেন, ‘পরিবার যখন বড় হয়ে যায় তখন আলাদা ইউনিট গড়ে ওঠে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে নির্বাচিত হবে। তবে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, ‘সংসদ সদস্যর পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী। দলের অন্য বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে মাঠে। এটি নৌকার ভোটারদের জন্য বিভ্রান্তিকর। দলের নেতারাও বিব্রত। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে আনতে চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টসহ আটক ৩
মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে ‘মিথ্যা তথ্য’
দেবীগঞ্জে নৌকার পরাজয়
পৌরসভা নির্বাচন: আওয়ামী লীগ ছাড়া মাঠে নেই কোনো দল
লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট নৌ প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
13 killed in pickup bus collision in Faridpur

ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩ ফরিদপুর সদরে মঙ্গলবার সকালে পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। ছবি: নিউজবাংলা
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ফরিদপুর সদরে মঙ্গলবার পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাকি দুজন।

আরও পড়ুন:
গুলশানে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্মী নিহত
সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি, দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল
ঈদের সকালে হরিয়ানায় স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত, ‘মদ্যপ ছিলেন’ চালক
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
চট্টগ্রামে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, চালকসহ নিহত ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dutch Bengal agent bank is accused of looting money by making the employee unconscious

কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ

কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব‍্যাংক কর্মচারী সাগর শেখ। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংক এজেন্ট বিপ্লব হোসেন জানান, প্রতিদিন ব্যাংকে অনেক টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতিদিনের লেনদেনের আরও টাকা থাকে। তাই কত টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ব্যাংক থেকে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার শিবপুরে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় কর্মচারী সাগর শেখকে অজ্ঞান করে টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুইজন।

ঘটনার বেশ কিছু সময় পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় সাগর শেখকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিবপুর গলাকাটা বাজারে বিপ্লব হোসেন এজেন্ট হিসেবে ব্যাংক পরিচালনা করে আসছেন। সোমবার দুপুরে ব্যাংক কর্মচারী সাগর শেখ কাজ করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতরা ব্যাংকে প্রবেশ করে তাকে অজ্ঞান করে। আশপাশের লোকজন টের পাওয়ার আগেই তারা ব্যাংক থেকে টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, ঘটনার আগে তারা ব্যাংকে অজ্ঞাত দুজনকে প্রবেশ করতে দেখেছিলেন, তবে তারাই যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তাদের প্রবেশের কিছুক্ষণ পরে সাগরকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।

ব্যাংক এজেন্ট বিপ্লব হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। অজ্ঞাতরা এ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে ডাকাতি করেছে বলে ধারণা তার।

বিপ্লব হোসেন আরও জানান, প্রতিদিন ব্যাংকে অনেক টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতিদিনের লেনদেনের আরও টাকা থাকে। তাই কত টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।

মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ব্যাংক কর্মচারীর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। চোখ খুলে তাকাচ্ছে, কিন্তু তার চেতনা ফেরেনি। তাকে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে না চোখে চেতনানাশক স্প্রে করা হয়েছে তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে।’

মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে ভর্তি কর্মচারী সুস্থ হলে তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে, তবে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ভল্ট ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ: র‌্যাব
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে কুকি চিন জড়িত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রুমার পর এবার থানচিতে দিনদুপুরে দুই ব্যাংকে ডাকাতি, লুট
১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১১ হাজার মানুষকে অর্থসহায়তা দিল এনআরবিসি ব্যাংক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Young people get drunk at the Shangri La festival

সাংগ্রাই উৎসবে জলকেলিতে মাতল মারমা তরুণ-তরুণীরা

সাংগ্রাই উৎসবে জলকেলিতে মাতল মারমা তরুণ-তরুণীরা বান্দরবানের রাজার মাঠে জল উৎসবে মারমা তরুণ-তরুণীরা। ছবি: নিউজবাংলা
এখন শুধু মারমাদেরই নয়, বর্তমানে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে সাংগ্রাই। পুরো জেলা শহরজুড়ে এ বছর চলল সাংগ্রাইয়ের জলকেলি। শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে জল ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন।

মারমাদের বর্ষবরণের উৎসবের নাম সাংগ্রাই। এ উসৎবের প্রধান আকর্ষণ জলকেলি। জলকেলির মাধ্যমে পুরনো বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করেন তারা।

জলকেলি উৎসবে বান্দরবানের মারমা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা মেতে উঠেছে এ খেলায়।

তবে এটি এখন শুধু মারমাদেরই নয়, বর্তমানে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে সাংগ্রাই। পুরো জেলা শহরজুড়ে এ বছর চলল সাংগ্রাইয়ের জলকেলি। শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে জল ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে জেলা শহরের রাজার মাঠে জলকেলিতে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে জল ঢেলে মৈত্রী জলবর্ষণ প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন।

সাংগ্রাই উৎসবে জলকেলিতে মাতল মারমা তরুণ-তরুণীরা

জলকেলির উদ্ধোধন করেন বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং। এ সময় তার সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। জলকেলির পাশাপাশি আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নেচে-গেয়ে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন আদিবাসী শিল্পীরা।

রাতে পাড়া-মহল্লায় মারমা তরুণ-তরুণীরা রাত জেগে পিঠা তৈরি করে এবং ভোরে বিহারে বিহারে গিয়ে প্রবীণদের মিষ্টিমুখ করানোর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসব।

সাংগ্রাই উৎসবে জলকেলিতে মাতল মারমা তরুণ-তরুণীরা

জলকেলি দেখতে আশপাশের শত শত পাহাড়ি নারী-পুরুষ এবং দেশি পর্যটকরা ভিড় জমান। এ উৎসবে জলকেলি ছাড়াও পিঠা তৈরি, বুদ্ধমূর্তি স্নান, ক্যায়াং ক্যায়াংয়ে ছোয়াইং দান, হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।

সাংগ্রাই উৎসবে জলকেলির পাশাপাশি আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নেচে-গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দেন পাহাড়ি শিল্পীরা। মারমা শিল্পীগোষ্ঠী ছাড়াও পাহাড়ের নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের পরিবেশনাও মুগ্ধ করে দর্শক-শ্রোতাদের।

সাংগ্রাই উৎসবে জলকেলিতে মাতল মারমা তরুণ-তরুণীরা

জলকেলি উৎসবের উদ্ধোধনি অনুষ্ঠানে সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, ‘সম্প্রীতির জেলা বান্দরবান। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায়ের লোকজন সাংগ্রাই উৎসব মিলেমিশে এবং শান্তিপুর্ণভাবে উৎসব উপভোগ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘ধর্ম যার যার, তবে আনন্দ উৎসব আমাদের সবার। পাহাড়-বাঙালির মধ্যে যে সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে, তা অটুট থাক। আজকে দিনে সবার মঙ্গল কামনা করি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
More than 2 hundred houses of the slums of Firingi Bazar were burnt

আগুনে পুড়ল ফিরিঙ্গি বাজারের বস্তির ২ শতাধিক ঘর

আগুনে পুড়ল ফিরিঙ্গি বাজারের বস্তির ২ শতাধিক ঘর আগুনে পুড়ল বস্তির দুই শতাধিক ঘর। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে নন্দনকানন, লামারবাজার, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার টেক পাড়া ও লাগোয়া এয়াকুব নগর বস্তিতে আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

সোমবার বেলা দেড়টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, সোমবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে নন্দনকানন, লামারবাজার, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যাই। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। টেকপাড়া বস্তি আর এয়াকুব নগরের পেছনের অংশ জুড়ে কিছু ঘর আছে, সেগুলোতেও আগুন লেগেছে।

তিনি বলেন, মেয়র, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা হয়েছে। কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা তালিকা করে জানাতে বলেছেন উনারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে।

এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য না মিললেও প্রায় ২০০ ঘর পুড়েছে বলে জানান কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।

স্থানীয়রা জানান, বস্তির এসব ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল, তবে আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো বের করে ফেলা সম্ভব হয়।

আগুনে কারো আহত হওয়ার তথ্য মেলেনি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A cargo carrying 685 tonnes of coal sank in the Bhairav ​​river

ভৈরব নদে ৬৮৫ টন কয়লা বোঝাই কার্গো ডুবে গেছে

ভৈরব নদে ৬৮৫ টন কয়লা বোঝাই কার্গো ডুবে গেছে খুলনার অভয়নগরে ভৈরব নদে রোববার রাতে ৬৮৫ টন কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। ছবি: সংগৃহীত
ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি সাকিব বিভা-২-এর মাস্টার বেল্লাল হেসেন জানান, ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে মাস্টার, সুকানিসহ মোট ১১ জন ছিলেন। তারা সবাই সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। জাহাজে প্রায় এক কোটি ১২ লাখ টাকার কয়লা ছিল।

খুলনার অভয়নগরে ভৈরব নদে ৬৮৫ টন কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া এলাকায় এমভি সাকিব বিভা-২ নামের কার্গো জাহাজটির তলা ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জে এইচ এম গ্রুপ জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা বড় জাহাজে করে প্রথমে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৬৮৫ টন কয়লা ছোট কার্গো জাহাজ এমভি সাকিব বিভা-২তে তোলা হয়।

ওই কয়লা নিয়ে শনিবার সকালে নওয়াপাড়ার উদ্দেশে কার্গো জাহাজটি রওনা দেয়। রাতে জাহাজটি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নোনাঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে পৌঁছায়। জাহাজটি নোঙরের জন্য অপেক্ষায় ছিল।

এমভি সাকিব বিভা-২-এর মাস্টার বেল্লাল হোসেন জানান, নওয়াপাড়া নোনাঘাটের পাশে জাহাজটি ভেড়ানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘাটে নোঙর করার জন্য ঘোরানো হচ্ছিল। হঠাৎ নদের শক্ত মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়।

জাহাজের নিচতলা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। তবে জাহাজের উপরের তলা পানির ওপরে রয়েছে বলে জানান তিনি।

মাস্টার বেল্লাল হেসেন জানান, ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে মাস্টার, সুকানিসহ মোট ১১ জন ছিলেন। তারা সবাই সাঁতরে তীরে উঠে আসেন। এ সময় জাহাজে প্রায় এক কোটি ১২ লাখ টাকার কয়লা ছিল।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক রাহুল দেব বিশ্বাস বলেন, ‘ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা উদ্ধার কাজ শেষ হলে বলা যাবে।

আরও পড়ুন:
সারবোঝাই কার্গো জাহাজে পানি
মোংলায় ৬০০ টন পাথর নিয়ে কার্গোডুবি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fire at Sylhets Kumargaon power plant disrupts supply

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার সকাল ৯টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস।

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে শহরের এ কেন্দ্রটিতে ওই আগুনের সূত্রপাত। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক প্রকৌশলী জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। এরপর তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার খবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ আশপাশে আতঙ্ক ঝড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে সিলেটের অনেকই জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

আগুনের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সোয়া ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। অগ্নিকাণ্ডের কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Naogaon city the contractor was hacked and injured

নওগাঁ শহরে ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম

নওগাঁ শহরে ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাতে প্রকাশ্যে কোপানো হয় ঠিকাদারকে। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’

নওগাঁয় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামের পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মোশাররফ হোসেন শান্ত নামের এক যুবক ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। একপর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেন শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুতর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করেন শান্তর অনুসারীরা।

ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে।

শহরজুড়ে আতঙ্ক

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। কীভাবে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়, তা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বাসস্ট্যান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামের একটি মুদিখানার দোকানিকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে বাধা দিতে গেলে সাজ্জাদের ওপর চড়াও হন শান্ত ও তার অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা শুরু করেন অস্ত্রের মহড়া। মহড়ার পর হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের ওপর।

ঘটনার বিষয়ে ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

‘শান্তর সাথে থাকা ১০ থেকে ১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।’

সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে এলে আমার ছেলেকেও তারা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি-মিনতি করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ।

‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই পুলিশও শান্তর বেপরোয়া চলাফেরা দেখে নীরব ভূমিকায় থাকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে এখনও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।’

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, ‘সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

আরও পড়ুন:
নওগাঁয় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা: স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আওয়ামী লীগ নেতা আটক
নওগাঁয় এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

মন্তব্য

p
উপরে