প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক সুবিধা কাজে লাগাতে যুগের চাহিদা অনুযায়ী তরুণদের দক্ষ করে তোলার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনের খোঁজে তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সহায়তা ও উৎসাহিত করছে।’
মঙ্গলবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন ২০২১’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও চীনের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালদুন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রায় আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। বর্তমানে দেশের আইসিটি রপ্তানি এক দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালে এটি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। গত ১২ বছরে দুই মিলিয়ন মানুষের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তিন মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য রয়েছে।’
বিয়েট্রিস কালদুন বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি এবং এই প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান তরুণদের। তরুণেদের মেধা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়েই প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে হবে।
ঝ্যাং ঝেংজুন বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামীতে তরুণদের মেধা বিকাশে বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিউটিশনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।’
অনুষ্ঠানে দশ মাস ধরে চলা ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন ২০২১’ এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ বিজয়ী তিন দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০২ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন।
প্রতিযোগিতায় বুয়েট শিক্ষার্থী সোহান সালাউদ্দিন মুগ্ধ, রাবিব ইবরাত এবং মো. তাহমিদুর রাফিদের বুয়েট দল চ্যাম্পিয়ন, মো. কাফ শাহরিয়ার, হাসান মেসবাহ আলী তাহের এবং সোহান রশীদের কুয়েট দল প্রথম রানার আপ এবং আরিফ আহমেদ নওফেল, মো. তাকিউল হাসান সাকিব এবং সেলিম রেজার এনএসইউ দল দ্বিতীয় রানার আপ হয়।
চ্যাম্পিয়ন দলের বিজয়ীরা পাবেন হুয়াওয়ের ল্যাপটপ, প্রথম রানার আপ দলের বিজয়ীরা হুয়াওয়ে স্মার্ট ঘড়ি এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলের বিজয়ীরা পাবেন হুয়াওয়ের ট্যাব।
তিন বিজয়ী দলই ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনে যোগদানের সুযোগ পাবে। ইতোমধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে হুয়াওয়েতে কাজের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যেন দলীয় আচরণ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব না দেখাতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, ‘দলীয় বা দলদাসের মতো আচরণ কেউ করতে পারবেন না, সেটা আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব। কেউ যদি মনের মধ্যে রাজনৈতিক অভিলাষও রাখেন, সেটার প্রতিফলন কাজের মধ্যে ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আগে এমন একটা সংস্কৃতি ছিল যে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ থাকত-একটা নির্দিষ্ট পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন সেই পরিবেশ আর থাকবে না। আগে মেসেজ ছিল, আমার পক্ষে কাজ না করলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন মেসেজ হবে-তুমি যদি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ কর, তাহলে তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেসেজটা একদম স্পষ্ট। আমরা এ কথা একাধিকবার বলেছি এবং বারবার বলবো।’
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কাজ করবে না, এটা নিশ্চিত করা হবে। আগে অনেক সময় কর্মকর্তাদের রাতে গিয়ে প্রভাবিত করা হতো, ভয় দেখানো হতো, কিংবা নানা উপায়ে প্ররোচিত করে ভোট আদায় করা হতো। কিন্তু এখন সেই ভয় আর থাকবে না। আমরা যত রকম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, সব নেব, যাতে কেউ দলীয় আচরণ করতে না পারে।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হোক। দেশের মানুষ দেখুক, এবার নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো, আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া।’
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ১০ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, যারা সবাই সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সামনে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। একদিকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, অন্যদিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকারের অধীনে আমাদের নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য-একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। তবে এটি নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বস্তরের জনগণ, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ-সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা আজ উপস্থিত আছেন, সবাই অভিজ্ঞ নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন। আপনারা জানেন কোথায় কোথায় গ্যাপ থেকে যায়, কোথায় দিয়ে কারচুপি বা ম্যানিপুলেশন হতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন, যেন আমরা আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে পারি। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
আজকের এই সংলাপে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আরেক দফা মতবিনিময় সভা করেছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার দেশের প্রধান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।
ইসি জানিয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে চাই যা আগামী দিনের নির্বাচনগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই-দেশবাসীর আস্থা ফিরে আনা, একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা।’ সূত্র: বাসস
বিয়ের আট মাস পর লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে মো. রুবেল (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রুবেল ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আশার বাড়ির বেল্লাল মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়া আক্তারের সাথে বিয়ে হয় রুবেলের। বিয়ের পর থেকেই নানান বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল। ঘটনার দিন রুবেল রাতে নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছিল। হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে। ফোনে রুবেলের সাথে তার স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে রুবেল বাড়ি থেকে বের হয়ে শ্বশুরবাড়ির দিকে যায়। ভোরে বাড়ির লোকজন গাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করে। পরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহতের বোন নয়ন বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। আমার ভাইকে নাকি তার স্ত্রীর পছন্দ হয়নি। ঘটনার রাত তাকে ফোন করে আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এটা পরিকল্পিত হত্যা। আমরা এর বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেনীর সোনাগাজীতে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের একটি শটগান ও ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আহাম্মদপুর গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করতে তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালান। পরে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের লুণ্ঠিত শটগান ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার রিপনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ৯টি মামলা রয়েছে। পলাতক আসামি আরিফ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার উভয়ের এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার নামে ৫০০ টাকার ন্যাক্কারজনক ও দুরভিসন্ধিমুলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবীতে মেহেরপুরের গাংনীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে।
মেহেরপুরকুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় এই মানববন্ধন করে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ ফেডারেশন গাংনী উপজেলা শাখা।
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ ফেডারেশন গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি মোমিনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খান, পৌর শাখার সভাপতি আজিজুল হক, বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম স্বপন, গাংনী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভাইসপ্রিন্সিপ্যাল শফিকুল ইসলাম, হোগলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি ও বেসকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমান লেখাপড়া করালেও সরকারি শিক্ষকরা নানা সুবিধা ভোগ করে আসছে। তাদের সাথে আমাদের সকল কিছুর বিরাট বৈষম্য রয়েছে। সরকার আমাদের বাড়িভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আমাদের সাথে তামাশা করেছে। অবিলম্বে এটি বাতিল করে নুন্যতম ২০০০০ হাজার টাকা বরাদ্দ না দিলে শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামবো।
এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এই শেষ সুযোগ। জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ধারাবাহিক সংলাপে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, দেশের জন্য কিছু করতে এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। এবার জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আমরা শুনব যারা নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন তাদের বক্তব্য। আপনারা জানেন নির্বাচনে কোথায় কোথায় কী কী সমস্যা হয়, কোথায় কোথায় কী কী গ্যাপ রয়েছে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতগুলো বিবেচনা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া, সরকারি চাকুরিজীবী ও হাজতিদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য নির্বাচনের কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট দেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়। নারী, পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩০ লাখ ছিল। সেটা কমিয়ে এনেছি। পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। একটা মডেল বের করেছি। পারবো কিনা জানি না, তবে আমরা চেষ্টা করব। আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ও একটা হাইব্রিড পদ্ধতি বের করেছি। এতে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবি, কয়েদিরা ভোট দিতে পারবেন।
সিইসি বলেন, এবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্রান্তিলগ্নে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। জীবনে এটা শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই লক্ষ্য। সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা) শাহ আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
এর আগে, এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ গত বছরের (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করছি। এটি পুরোদমে শুরু হলে বিষয়টি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, তা আমরা তখন জানাতে পারব।
মন্তব্য