টানা দরপতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারের সূচক আবার কমল টানা তিন কর্মদিবস।
গত দুই সপ্তাহ মিলিয়ে সাত কর্মদিবস পতনের পর টানা তিন দিনের উত্থান শেষে চলতি সপ্তাহে আবার পুরোনো দৃশ্য বাজারে হতাশা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন গত সপ্তাহে আতঙ্ক তৈরি করে। তবে টানা সাত কর্মদিবস পতন শেষে ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর সূচক বাড়ার পর চলতি সপ্তাহে তিন দিনই আবার পতন হলো।
রোববার ৬২ পয়েন্ট, সোমবার প্রায় ৩ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার সূচকের পতন হলো ৪৩ পয়েন্ট। গতি ফিরে পায়নি লেনদেনও।
সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। কোম্পানিটি থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা বকেয়া রাজস্ব দাবি করেছে- এই খবর আগের দিন প্রকাশ হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার পর এই দাবি স্থগিত হয়েছে। তারপরেও বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক চাপে ফেলেছে বিনিয়োগকারীদের।
এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ওয়ালটন, স্কয়ার ফার্মা, আইসিবি, ইউনাইটেড পাওয়ার, ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, ডেল্টা লাইফ, বিকন ফার্মার মতো বড় মূলধনি কোম্পানির দরপতনের চাপ নিতে পারেনি পুঁজিবাজার।
এই ১০টি কোম্পানির দরপতনেই সূচক কমেছে ৩৬.৫৩ পয়েন্ট।
গ্রামীণফোন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ম্যারিকো, রিংসাইন টেক্সটাইল, রহিমা ফুড, কেয়া কসমেটিকস, ইবিএল, বিডি ফাইন্যান্স ও ফার কেমিক্যাল সূচকের আরও বড় পতন ঠেকিয়েছে।
এই ১০টি কোম্পানি মিলে সূচক বাড়িয়েছে ১৩.৮১ শতাংশ।
ক্রমেই কমছে শেয়ার দর। এর মধ্যে অবশ্য আলো ছড়াচ্ছে বস্ত্র খাত। লেনদেনের চার ভাগের একভাগই এখন একটি খাতে। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর তালিকাতেও এই খাতেরই প্রাধান্য।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের অবদান ৩৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এর মধ্যে শেয়ারে ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা একটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২২ শতাংশ। একই খাতের আরও তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
বিপরীতে ব্যাংক, জ্বালানি, বিমা খাতে ঢালাও পতন হয়েছে। অন্যদিকে প্রকৌশল খাতে দেখা গেছে ভালো দিন। আর্থিক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ ও সিমেন্ট খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৫৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট। দিন শেষে বেড়েছে ১৪৭টির দর, কমেছে ২০১টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২৮ টির দর।
লেনদেনের সিংহভাগ চার খাতে
গত সপ্তাহ থেকেই হঠাৎ করে বস্ত্র খাতে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক দেখা দেয়। চলতি সপ্তাহে তা আরও বেড়েছে। আগের দিন ২২৫ কোটি টাকা হাতবদল হয়েছিল। তা আরও বেড়ে পরদিন হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১৯টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি চারটির দর।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রাইম টেক্সটাইলের দর। চতুর্থ প্রান্তিকের অবিশ্বাস্য আয়ে লোকসান কাটিয়ে কোম্পানিটি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে ৬২ পয়সা আয় করার পর ২০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬৭ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এবারও মার্চ পর্যন্ত শেয়ারে ২ টাকা ১২ পয়সা লোকসানে ছিল। সেখান থেকে মুনাফায় ফিরে ২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণায় বিনিয়োগকারীরা এতটাই আপ্লুত হয়েছে যে, বিনিয়োগকারীরা আগের দিনের চেয়ে ২২.৩১ শতাংশ বেশি দাম দিতে রাজি ছিলেন।
আগের দিন শেয়ারদর ছিল ২৪ টাকা ২০ পয়সা। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। তবে দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩২ টাকা।
শেয়ারে ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করার পর দর কমে যাওয়া ইভিন্স টেক্সটাইল ঘুরে দাঁড়িয়ে এক দিনেই দর বেড়েছে ৯.৬৪ শতাংশ।
পর্ষদ পুনর্গঠন করার পর উৎপাদন চালু হওয়া রিংসাইন টেক্সটাইলের দর বেড়েছ ৯.২৫ শতাংশ। এছাড়া ডেল্টা স্পিনার্সের দর ৯.০৯ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের দর ৮.৬২ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ৬.০৩ শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের দর ৫.৫৩ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্নের দর ৫.৩৩ শতাংশ, তুংহাইয়ের দর ৫.০৮ শতাংশ, ঢাকা ডায়িংয়ের দর ৪.৯১ শতাংশ বেড়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওষুধ প্রযুক্তি খাতে। হাতবদল হয়েছে মোট ১৫৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা সমান সংখ্যক ১৫টি করে। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এই খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ফার কেমিক্যালের দর, ৯.৪৪ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮.২৫ শতাংশ বেড়েছে সালভো কেমিক্যালের দর। এছাড়া লিবরা ইনফিউশনের দর ৭.৪৯ শতাংশ, ফার্মা এইডের দর ৭.৪৮ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের দর ৫.১৯ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালের দর ৪.৮১ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার দর ৪.৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
কোম্পানিগুলো দর হারালেও ব্যাংকিং খাতে লেনদেনের গতি ছিল ভালো। ৩২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে কেবল ২টির দর, কমেছে ২৫টির, অপরিবর্তিত ছির বাকি ৫টির।
লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় বেশি। সোমবার এই খাতে লেনদেন হয় ১২৬ কোটি ৬ লাখ টাকা।
কেবল ইবিএলের শেয়ার দর বেড়েছে ৪০ পয়সা আর ব্যাংক এশিয়ার ১০ পয়সা। বিপরীতে ডাচ্-বাংলার শেয়ার সবচেয়ে বেশি ১ টাকা ১০ পয়সা, রূপালী ব্যাংকের শেয়ার এক টাকা, এনআরবিসির শেয়ার ৮০ পয়সা, আইএফআইসি ৬০ পয়সা, শাহজালাল ৫০ পয়সা, সিটি ও মার্কেন্টাইলের শেয়ার ৪০ পয়সা করে দর হারিয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর ১০ থেকে ৩০ পয়সা করে দর হারিয়েছে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের কল্যাণে বিবিধি খাত সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাতের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডেই হাতবদল হয়েছে ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এই খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৬টির।
অন্যান্য খাতে লেনদেন
প্রকৌশল খাতে শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেনে গতি ফেরেনি। ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ২৮টিরই শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ১৩টির। লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
বিমা খাতে ঢালাও পতন হয়েছে। ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪৫টি। বেড়েছে কেবল ৫টির দর, অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।
লেনদেন কমে আবার ১০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। হাতবদল হয়েছে মোট ৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির ২৩টি কোম্পানিতে লেনদেন কমে হয়েছে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বেড়েছে কেবল ৬টির দর, কমেছে ১৭টির।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ১২টির দর, কমেছে ৮টির। দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে সমান সংখ্যক ১০টি করে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ও কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৪৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সিমেন্ট খাতে ৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৪টির দর। লেনদেন আরও কমে হয়েছে ২৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৩৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
প্রায় সব খাতেই লেনদেন কমার দিন ঘুমিয়ে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১২ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেটি খানিকটা বেড়ে হয়েছে ১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
তবে দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি খাতটি। চারটি ফান্ডের দর বেড়েছে ১০ পয়সা করে। কমেছে ২৪টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৮টি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য