× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Pass in B unit of DU is 16 69 percent
google_news print-icon

ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে ৮৩ শতাংশই ফেল

ঢাবির-খ-ইউনিটে-৮৩-শতাংশই-ফেল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণাকালে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: নিউজবাংলা
‘খ’ ইউনিটে এবারের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার পাসের হার ছিল ২৩.৭২ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মানে দাঁড়াচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৮৩.১১ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছে।

কলা অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে গতবার পাসের হার ছিল ২৩.৭২ শতাংশ।

গত ২ অক্টোবর ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এবার দ্বিতীয়বারের মতো নৈর্ব্যক্তিকের পাশাপাশি লিখিত অংশও ছিল।

‘খ’ ইউনিটে ২ হাজার ৩৭৮ আসনের বিপরীতে ৪৭ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১ হাজার ৫২৪ জন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ফল ঘোষণা করেন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন, ‌‘খ’ ইউনিট পরীক্ষার সমন্বয়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনসহ ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক অংশে সমন্বিতভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ হাজার ১২ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার ফল জানা যাবে ওয়েবসাইটে

উপাচার্য বলেন, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ফল বুধবার ঘোষণা করা হবে।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া। তিনি পরীক্ষায় পেয়েছেন ৮০.৫ নম্বর। এসএসসি ও এইসএসসির নম্বর মিলে তার সর্বমোট স্কোর ১০০.৫।

‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার। মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৫.৫০। পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছেন নটরডেম কলেজের ছাত্র খালিদ খান। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৪.৭৫। এসএসসি ও এইসএসসি মিলিয়ে সর্বমোট নম্বর ৯৪.৭৫।

কীভাবে জানা যাবে ফল

‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সাল এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

তা ছাড়াও আবেদনকারীরা রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DU KHA টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করে ফিরতি মেসেজে তার ফল জানতে পারবেন।

উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে আগামী ৮ নভেম্বর বিকেল ৩টা থেকে ১৫ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ৩ থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম কলা অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। যথাযথভাবে ফরম পূরণ করে সে সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।

ফল নিরীক্ষণের জন্য ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৩ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুন:
হলের ছাদের পলেস্তারায় ঢাবি শিক্ষার্থী আহত
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট: চট্টগ্রাম ও বরিশালে অনুপস্থিত ৩১ শতাংশ
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আগে কেন্দ্রে আগুন
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরু, আসনপ্রতি ৭৪ পরীক্ষার্থী
ঢাবির ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
This is the resignation of Kubirs assistant proctor

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ কুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এ দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে আরও এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগপত্রে আনিছুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।

‘পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে অনুমতি নেয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে স্লেজিং করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন।’

পদত্যাগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী সময়ে সমঝোতা বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন, কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এ দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’

এর আগে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভুঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।

এ ছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় ‘অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ’ দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সবশেষ ২০ মার্চ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্ণব বিশ্বাস, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয় চন্দ্র রাজবংশীসহ মোট চার হলের চারজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
মিরাজের ১০ টাকার ইফতারি
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত
কুবি ভিসির নামে আবারও ভুয়া অ্যাকাউন্ট
৭ দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির
কুবি ভিসির নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Khademul Islam is a member of Jabir Senate

জাবির সিনেট সদস্য হলেন ড. খাদেমুল ইসলাম

জাবির সিনেট সদস্য হলেন ড. খাদেমুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
খাদেমুল চাকরিতে থাকা অবস্থায় প্রেষণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Plasma Physics-এ Ph.D. (২০০৫) ডিগ্রি অর্জন করেন। তা ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার University of Melbourne থেকে Learners’ Assesment System-এর ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নেন, যা বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় সংস্কার বিষয়ে অবদান রাখতে সহায়তা করে।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলরদের ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম।

ড. খাদেমুল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (১৯৯২) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ১৪তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে পদার্থবিদ্যার প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।

খাদেমুল চাকরিতে থাকা অবস্থায় প্রেষণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Plasma Physics-এ Ph.D. (২০০৫) ডিগ্রি অর্জন করেন। তা ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার University of Melbourne থেকে Learners’ Assesment System-এর ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নেন, যা বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় সংস্কার বিষয়ে অবদান রাখতে সহায়তা করে।

পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এম.এড. (২০১৭) এবং মালয়শিয়ার University of Nottingham থেকে Master of Education (প্রথম পর্ব) শেষ করেন। তিনি ২০১৭ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।

ড. খাদেমুল দেশে ও বিদেশে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক সম্মেলনে অংশ নিয়ে সেখানে বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক জার্নালে তার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে।

খাদেমুল প্রায় পাঁচ বছর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটে ‘পরীক্ষা মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ’ এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) ১০ বছর ‘প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি আমেরিকার University of Alabama ও নিউ ইয়র্কে University of Fordham থেকে Secondary School Mangement বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।

তিনি শিক্ষাক্রম, শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন বিষয়ে সারা দেশে Resource Person হিসেবে কাজ করেন। ড. খাদেমুল পদার্থবিজ্ঞানের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শাখা Plasma Physics-এ জোহান্সবার্গের University of the Witwatersrand থেকে Post-Doctoral গবেষণা (২০০৮) সম্পন্ন করেন। এর অব্যবহিত পূর্বে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় গাজীপুর জেলার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ হিসেবে (২০২০-২০২১) দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ঢাকার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হন ২০২১ সালে।

আরও পড়ুন:
জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর
জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত
প্রক্টর-প্রভোস্টের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাবির দুই হলের মাঝের রাস্তা খোলার দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Students death in DU swimming pool Committee to probe

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি মোহাম্মদ সোয়াদ। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে গোসলে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. সোহাদ হকের এ মৃত্যুকে অপমৃত্যু দাবি করে এর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

এর আগে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান মোহাম্মদ সোয়াদ।

পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮ থেকে ১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!’

তিনি বলেন, ‘আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম, কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে।’

আরও পড়ুন:
জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু
ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৪
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
কুড়িগ্রামে নানা বাড়ির পুকুরে প্রাণ গেল খালাতো ভাইবোনের
নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two Chuet students killed 1 injured in bus collision

বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ দুর্ঘটনার পর শাহ আমানতের একটি বাসে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস আটক করার পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। একটি বাসে আগুনও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও একজন।

সোমবার বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে জিয়ানগরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা, দ্বিতীয় বর্ষের তাওফিক হোসাইন ও জাকারিয়া হিমু। পথিমধ্যে শাহ আমানত নামের একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তাওফিক হোসাইন। মোটরসাইকেলের আরেক যাত্রী জাকারিয়া হিমুকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম শহরের এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস আটক করার পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। একটি বাসে আগুনও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (২১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী পল্লব ঘোষ বলেন, ‘শান্ত ভাই আমার খুবই কাছের বড় ভাই এবং একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু বাসের বেপরোয়া গতির জন্য আজ একটি প্রাণ ঝরে গেল। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি উপযুক্ত বিচার দাবি করি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাবস্থা করা হবে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Student dies after taking a bath in DUs swimming pool

ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু মোহাম্মদ সোয়াদ
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সোয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি।

পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮/১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!

তিনি বলেন, আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মেডিক্যালে নিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, দর্শন বিভাগের সোয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী সুইমিংপুলের পানিতে লাফালাফি করতে গিয়ে পানির সাথে ধাক্কা বা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তখন সেখানে তার বন্ধুবান্ধব ছিল এবং আশেপাশে আমাদের লোকজনও ছিল।

তিনি বলেন, এ সময় তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়। বিষয়টি আমি আমাদের প্রক্টর মহোদয়কেও জানিয়েছি।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে নিয়োগ পাচ্ছেন জাবিতে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষক
ঢাবির আবাসিক ভবনে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After correcting errors in the evaluation of the answer sheet the result will be published at night
প্রাথমিকে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ ফাইল ছবি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল
৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DB will also interrogate the arresting board chairman

সার্টিফিকেট বাণিজ্যকাণ্ডে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি

সার্টিফিকেট বাণিজ্যকাণ্ডে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি মো. আলী আকবর খান
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কাউকে ছাড় দেব না। তথ্য-উপাত্তে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকব।’

সার্টিফিকেট বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরই মধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

রোববার এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আলী আকবরকে ওএসডি করে তার জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক মামুন উল হককে। এ ঘটনায় কারিগরি বোর্ডের সচিবও নজরদারিতে আছেন।

এর আগে শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট-বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রাজধানীর মিণ্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কাউকে ছাড় দেব না। তথ্য-উপাত্তে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকব।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ এপ্রিল রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান এবং একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত বেতনভুক্ত সহকারী ফয়সাল।

এরপর ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র এবং শত শত সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির মতো বিশেষ কাগজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, শতাধিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি জব্দ করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চক্রের সঙ্গে জড়িত কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি এম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর চক্রের সঙ্গে জড়িত ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ এপ্রিল।

চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সবশেষ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার এ কে এম শাসমুজ্জামান ও তার ব্যক্তিগত সহযোগী ফয়সাল গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে হস্তান্তর করেছে। একইসঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইটে সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের মধ্যে বিক্রি করা সার্টিফিকেটগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর গুগলে সার্চ করলে তা সঠিক পাওয়া যায়।

এই অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদন-নিবেদনের ফোকাল পারসন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; কোনোক্রমেই ই-সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা নন।

সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে সংবেদনশীল এই কাজগুলো করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজ, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রিন্সিপালরা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর তৈরি, রেজাল্ট পরিবর্তন-পরিবর্ধন, নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে টাকার বিনিময়ে আদান-প্রদান করেছেন কম্পিউটার অপারেটর ও সিস্টেম এনালিস্টদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এরকম প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিপরায়ণ ২৫/৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিবি প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ সিবিএ দালাল কর্মচারী-কর্মকর্তা, কম্পিউটার ও পরিদর্শন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেজাল্ট পরিবর্তন, নাম-ঠিকানা পরিবর্তন, প্রার্থীদের বয়স পরিবর্তন ও সময়ে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও রোল নম্বর প্রদান সংক্রান্ত কাজগুলো করার জন্য সিন্ডিকেট বানিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে