পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হলেন বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন খান।
কীভাবে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার। তারা বলছেন ‘এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় বিএনপি নেতা পেলেন নৌকা’।
২৮ নভেম্বর দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নে ভোট। ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড বিএনপির এই নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আনোয়ার একসময় মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন বলে জানান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আজিজ হাওলাদার।
আজিজ জানান, শুধু বিএনপি নেতাই নন, আনোয়ার হোসেনের পরিবার স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগে যুক্ত আছেন।
এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। দলিলাদিও উপস্থাপন করছেন কেউ কেউ। নৌকাবঞ্চিত তৃণমূল নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন, অন্য পক্ষ আনোয়ারের নৌকা প্রতীক টিকিয়ে রাখতে নানামুখী চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, তৃণমূল থেকে যাচাই-বাছাই শেষে কেন্দ্রে পাঠানো তিন প্রার্থীর মধ্যে আনোয়ার হোসেন খানের নাম ছিল তিন নম্বরে। প্রথমে ছিল বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজ হাওলাদারের নাম। দ্বিতীয় ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনিরুজ্জমান খান।
আজিজ হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ৫৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগে জড়িত। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ও জোট সরকারের আমলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি।
এখন নৌকা প্রতীক পাওয়া আনোয়ার ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০২ সালে জোট সরকারের আমলে তিনি বিএনপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এই আনোয়ার হোসেনের আপন চাচা প্রয়াত অন্নাত খান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আনোয়ারের পিতা প্রয়াত জেন্নাত আলী খান ছিলেন শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য।
‘ কেন, কীভাবে তিনি নৌকা পেলেন আমার জানা নাই। তবে এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এ কাজ হয়েছে। পটুয়াখালীর সবাই জানেন কে, কেন, কীভাবে এবং কিসের আশায় এসব কাজ করছেন। আমি বলতে পারব না।’
আজিজ বলেন, ‘আমি যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা না দিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত তাদেরকে দিন। তারপরও নৌকার সম্মানটা টিকে থাকুক। কিন্তু যারা বিএনপির রাজনীতি করে দলে ঢুকেছেন তাদের হাতে নৌকা বেমানান। এতে নৌকার সম্মানহানি ঘটে। মানতে পারি না এবং মানাও যায় না।’
নৌকার আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন খান আগে কখনও আওয়ামী লীগ করেননি। কিছুদিন আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ পেয়েছেন। কে তাকে ওই পদে নিয়েছেন তা জানি না। তিনি কীভাবে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আমার জানা নাই।’
মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আতাহার উদ্দিন বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন তার ৬৫ বছর বয়সে কোনো দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। চার মাস হলো তিনি এক অদৃশ্য শক্তির বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ লাভ করেন।’
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করে বারবার জানতে চেয়েছেন, বিএনপির আনোয়ার কীভাবে নৌকা পেলেন। আমি জবাব দিতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, পুনর্বিবেচনা করে নৌকা যেন আওয়ামী লীগের লোকদের দেয়া হয়। অনুপ্রবেশকারীর হাতে নৌকা বেমানান।’
দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি মির্জাগঞ্জে যে নির্যাতন চালিয়েছে, আনোয়ার হোসেন ছিলেন মূল ভূমিকায়। বিএনপির আমলে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারের মামলা-হামলার শিকার হন।’
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন খান জানান, তার রাজনৈতিক ও সামাজিক অনেক ইতিহাস আছে। তাকে যে ১৯৯৭ সালে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেখানো হয়েছে তা মিথ্যা। কারণ ওই আনোয়ার হোসেন খান হলেন দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের সুবিদখালী জসিম মেকারের বোনজামাই। তিনি মারা গেছেন।
তার এ কথার প্রতিবাদ করেছেন আজিজ হাওলাদার। তিনি জানান, চরখালীর যে আনোয়ারের কথা বলা হচ্ছে, তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন।
আনোয়ার হোসেন জানান, ১৯৭৩ সালে ছাত্রলীগ থেকে তার রাজনীতি শুরু হয়। এরপর তিনি দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যসচিব পদে কয়েক বছর ছিলেন। ২০১০ সালে মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির ৯ নম্বর সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সেই কমিটির সহসভাপতি হন।
তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেলের জালে এবার ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ।
পরে সেই মাছটি কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়।
কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারের ‘কুয়াকাটা ফিস পয়েন্টের’ পরিচালক নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছটি কেনেন।
তিনি বলেন, ‘সাগর মোহনায় সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আজ দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই।’
স্থানীয় জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার কুয়াকাটার বাবলাতলা এলাকার জেলে রাসেল ‘মায়ের দোয়া’ নামের তার ট্রলারটি নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে রওনা হন। পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় রাত ২টার দিকে রাসেলের জালে এ বিশাল কোরাল মাছটি ধরা পড়ে।
রাসেল বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ শুরুর পর থেকে সাগরে মাছ পড়ে না। ভাগ্য সহায় বলে এত বড় মাছ আল্লাহ দিয়েছেন। মাছটি তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা মাছটি ক্রয় করতে চেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করেছি।’
জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরে বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। সব সময় বড় মাছ ধরা পড়ছে না। সামুদ্রিক কোরাল এর চেয়েও অনেক বড় হয়।
সরকারের দেয়া ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার সফল কার্যক্রমের কারণেই এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখার ভোল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী। তাদের তিনজনেরই বাড়ি পাবনা জেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী।
আরও আসছে…
আরও পড়ুন:
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আয়ুব ও তার লোকজন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷
এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’
থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।
মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানাধীন সাজেকে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।
এর আগে বিকেলে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।
অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে রুহুল আমিন নামে এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। বাবার নাম কোরবান আলী।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মধ্যে ট্রাক পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার অফিস কক্ষে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল আমিন। সহকর্মীরা তাকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মারা যান। হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন যে তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়েছিলেন।
তবে তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অন্য কোনো রোগেও তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতে পারে।
মন্তব্য