আগামী পনেরো দিন থেকে এক মাসের মধ্যে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে সোমবার ই-কমার্স সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ইউনিক বিজনেস আইডি, এরই মধ্যে আমাদের একটি কমিটি ফাইনাল করেছে। আজকে এটা প্রেজেন্ট করা হয়েছে, সেটার প্রাইমারি অ্যাপ্রুভাল আমরা দিয়েছি। এটুআই এটি ডিজিটাল করে দেবে। যারা ই কমার্স ব্যবসা করবে তাদের আবশ্যিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে।
‘খুব শিগগিরই এটা আমরা খুলে দেব এবং এটা অনলাইনেই করা যাবে। আমরা আশা করছি, ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি, ২ মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডির বিষয়ে আমরা সারা পাব।’
এ সময় তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ই-কমার্স খাতের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকাটা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তালিকা পেয়েছি। তিন সংস্থা থেকে তিনটি সংখ্যার তালিকা পেয়েছি। একটি থেকে ১৯ টি, আরেকটি থেকে ১৭টি আর অন্য একটি থেকে ১৩টির তালিকা পেয়েছি।’
তালিকাগুলো কম্পাইল করে যে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘এটি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ব্যাংকে যে হিসাব তার তথ্য তারা আমাদের দেবে। যেহেতু আগামী ১১ তারিখ আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে কেবিনেটে, আমরা ৯ তারিখে একটি মিটিং করব। সেখানে এই তথ্য যাচাইবাছাই করে আমরা কেবিনেটকে রিকোমেন্ড করব।’
তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম আপাতত বলেননি সফিকুজ্জামান। এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আমরা আপাতত গোপন রাখতে চাচ্ছি। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত না হলে তাদের ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়বে। ইভ্যালি বা যেগুলো প্রচার হয়েছে সেগুলোর নাম এখানে আছে।’
দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে তা নির্ধারণে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ১৮ অক্টোবর কমিটির প্রথম বৈঠক বসে। এতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণসহ অন্যান্য কর্মকৌশল আগামী এক মাসের মধ্যে জানানো হবে।
আরও পড়ুন:সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এইচপিভি টিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ শীর্ষক বিশেষ উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের নারীদের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএফপিবি) মোট ১৮৮ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিশোরী মেয়েদের জন্য চলমান কর্মসূচির বাইরে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবী নারীদের টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করবে।
আইসিডিডিআর,বি এর সহকারী বিজ্ঞানী ডা. রিজওয়ানা খানের নের্তৃত্বে সাত ধাপে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এতে নৈতিক অনুমোদন, প্রাথমিক জরিপ, সচেতনতা কর্মসূচি, টিকা প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ও সামগ্রিক সুস্থতা সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
এ উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বি -তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতীকী চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম, বিপিএম বলেন: “আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য নিরলস কাজ করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। আইসিডিডিআর,বি -এর সঙ্গে এই উদ্যোগ সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি -এর পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি কেবল শুরু; সামনের দিনে আমরা আরও অর্থবহ উদ্যোগে সহযোগিতা করে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই।”
ডা. তাহমিদ আহমেদ ব্যাংকটির অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা জাতীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এতে করে বাংলাদেশে আরও অনেক নারী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাবেন।”
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেড এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ফার্মেসিগুলোকে সহজে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পাওয়ার সুযোগ দিতে এমবেডেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
এক্সক্লুসিভ ফাইন্যান্সিং পার্টনার হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক দ্রুত ও তথ্য-ভিত্তিক ঋণ সুবিধা প্রদান করবে মেডবক্সের বিটুবি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের। ফলে প্রথাগত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা পাবে ফার্মেসিগুলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছি; যেখানে ফার্মেসিগুলো নির্ভরযোগ্য অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই সমাধান পাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান। অন্যদিকে মেডবক্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাজী আশিকুর রাসেল, আহমেদ আরফিন রাফি, মো. আমিনুর রশিদ, মো. নাজমুল আহসান এবং এইচ.এম আসিফ ইমতিয়াজ আলম।
আয়োজকেরা জানান, প্রথমে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদ্যোগটি শুরু হবে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে এই অংশীদারিত্ব।
বৃহত্তর নতুন পরিসরে গ্রাহকদের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানে সম্প্রতি দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান, মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও); সৈয়দ সাফকাত রাব্বি, ইভিপি ও প্রধান, জেনেরাল সার্ভিসেস ডিভিশন (জিএসডি) এবং মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি ও প্রধান, ব্র্যান্ড মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনস ডিভিশন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. হামিদুল্লাহ, অধ্যাপক, ডি. এন. কলেজ, নওয়াবগঞ্জ, ঢাকা; মানবেন্দ্র দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারি দোহার-নওয়াবগঞ্জ কলেজ; মো. আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট এবং মায়ারানি বাউল, এআইপি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষাণী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা, শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখায় (হক প্লাজা, কলেজ রোড, নবাবগঞ্জ বাজার, নবাবগঞ্জ, ঢাকায়) পুরোদমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে।
ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তনশীল। সেই পরিবর্তনের সাথেই তাল মিলিয়ে ট্রেন্ডি ও ইউনিক কালেকশন নিয়ে আসে ‘ভারগো’। প্রতি সিজনেই ভারগো তার সেরা স্টাইল তুলে ধরে, আর এবারের শরৎ ও পূজার আয়োজনও তার ব্যতিক্রম নয়। আরাম ও স্টাইলের নিখুঁত সমন্বয়ে তৈরি এই কালেকশন আপনাকে করবে মুগ্ধ। উৎসবমুখর ও আভিজাত্যপূর্ণ স্টাইল সবসময়ই Virgo–র বিশেষত্ব। বিশেষ করে পূজা ও শরতের জন্য আনা কালেকশনগুলোতে পাওয়া যায় নরম, ঝলমলে ফ্যাব্রিক, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি স্ক্রিন প্রিন্ট , ডিজিটাল প্রিন্ট, সাবলিশন প্রিন্ট আর আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়। প্রতিটি পোশাক যেন একেকটি উৎসবের অনুপ্রেরণা। ২০২৫ সালের ফলের কালার প্যালেটেও আছে নানা চমক। যেমন—
পুরুষদের জন্য পূজার ও শরতের আভিজাত্য
শরতের মৌসুমে স্টাইল আর আভিজাত্যের নিখুঁত সমন্বয় নিয়ে এসেছে আমাদের বিশেষ পুরুষদের কালেকশন। এখানে আছে এমন সব পোশাক, যা একদিকে আরামদায়ক আবার অন্যদিকে আপনার লুককে দেবে এক্সক্লুসিভ স্টেটমেন্ট।
স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট
উৎসবের দিনে পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে অফিস বা আড্ডার জন্য ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট—সবই থাকছে নতুনত্বে ভরপুর ডিজাইনে।
প্রিমিয়াম ফেব্রিক কালেকশন
স্প্যানডেক্স, ব্যাম্বু কটন ও জ্যাকার্ড কাপড়ে তৈরি প্রতিটি পোশাক শুধু আরামদায়কই নয়, বরং স্টাইলেও আনে পরিপূর্ণতা। এছাড়া ইউনিক ফ্যাব্রিক কালেকশন যেটা শুধু ভারগোতেই পাওয়া যায়।
ট্রেন্ডি ডিজাইন
ফ্যাশনে যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য—স্ট্রাইপ, চেক থেকে শুরু করে ফ্লোরাল শার্ট, যা আপনাকে দেবে আধুনিক ও ট্রেন্ডি লুক।
আরাম ও স্টাইল একসঙ্গে
ডে-টু-ডে স্টাইলের জন্য থাকছে সুইফট শার্ট, রিল্যাক্স প্যান্ট, টুইল প্যান্ট ও হাই-কোয়ালিটি ডেনিম। প্রতিটি পোশাক তৈরি হয়েছে এমনভাবে, যাতে আরাম ও আভিজাত্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন।
মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি দেশের ব্যাংকিংখাতে ডিজিটাল পণ্যের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমপ্লায়েন্স পরিপালন মডেল তৈরি, গ্রাহককেন্দ্রিক বিজনেস মডেল তৈরি, সেবার ডিজিটাল রুপান্তর, ডিজিটাল সেলস ও সার্ভিস নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দেন।
এনআরবিসি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি কমিউনিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন নেটওয়ার্ক এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার হিসেবে ২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। কাইয়ুম খান ব্যাংক এশিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে আইটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংকেও কাজ করেন।
নটরডেমিয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ থেকে এমবিএ অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে সেমিনার অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য তিনি আমেরিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করেন।
হামদর্দ পাবলিক কলেজের ২০২৫-২৬ সেশনের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বাংলামোটরে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ ওয়াক্ফ বাংলাদেশ এর চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ; হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা ড.হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। এ সময় ড.হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, সৎ ও যোগ্য মানুষ গড়ে তুলতে হামদর্দ পাবলিক কলেজ নিরন্তর চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টায় বিপুল সফলতাও আমরা পেয়েছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হামদর্দ পাবলিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র পরিচালক সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার পলিন।
সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন শিল্পী মাহতিম সাকিব, হামদর্দ এর পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তরুণ সমাজকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাক্ষরতা ও সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করেছে, যা দেশের তরুণ সমাজের মাঝে দায়িত্বশীল আর্থিক অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ইন্টারেক্টিভ সেশন পরিচালনা করেন। এগুলোর মধ্যে ছিল সঞ্চয়ের গুরুত্ব, বিনিয়োগের সুবিধা, ব্যাংকিং সেবার যথাযথ ব্যবহার এবং সামগ্রিক আর্থিক দায়িত্বশীলতা। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো, যুবসমাজকে প্রয়োজনীয় জ্ঞানদানের মাধ্যমে তাঁদের সক্ষম করে তোলা, যাতে তাঁরা তথ্যভিত্তিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার পাশাপাশি নিজের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। এতে দেশের অর্থনীতিও হবে শক্তিশালী।
এই উদ্যোগ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আর্থিক সাক্ষরতা হলো একজন তরুণের মাঝে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতার একটি। জীবনের শুরু থেকেই এই বিষয়টির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আগামী প্রজন্মকে আর্থিকভাবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ ব্যাংককে, যারা এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র ব্যক্তিক উন্নয়নই নিশ্চিত হয়নি, বরং বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি টেকসইতাও নিশ্চিত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর ভিশনকে ধারণ করে ব্র্যাক ব্যাংক যুবসমাজকে আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের নানান বিষয় নিয়ে সচেতন করার মাধ্যমে তাঁদের মাঝে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
মন্তব্য