× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The capital market could not take the pressure of unwanted dividends
google_news print-icon

অনাকাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশের চাপ নিতে পারল না পুঁজিবাজার

অনাকাঙ্ক্ষিত-লভ্যাংশের-চাপ-নিতে-পারল-না-পুঁজিবাজার
আগের সপ্তাহে টানা তিন দিন উত্থানের পর রোববার নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন দরপতন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
২৩ শতাংশ দর হারিয়েছে মুনাফায় ফিরেও লভ্যাংশ না দেয়া আরামিট সিমেন্ট। ১২ ও ১৫ শতাংশ দর হারিয়েছে যথাক্রমে ২ ও ১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া প্যাসিফিক ডেনিম ও ন্যাশনাল ফিডমিল। ১১ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে লভ্যাংশ না দেয়া জাহিন টেক্স, প্রায় ১১ শতাংশ দর হারিয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া জিবিবি পাওয়ার। আর ১০ শতাংশের বেশি দর হারিছে মুনাফায় থেকেও লভ্যাংশ না দেয়া মুন্নু ফেব্রিক্স।

একগাদা কোম্পানির লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত, পাশাপাশি আরও অনেক কোম্পানির নামমাত্র লভ্যাংশ, অনেক কোম্পানির প্রান্তিক আয় কমে যাওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশের পর পুঁজিবাজারে আবার দরপতন হলো।

গত বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারের প্রায় ১০০ কোম্পানি লভ্যাংশ বা প্রান্তিক হিসাব প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের মতো কোম্পানি ঘোষণা করেছে লভ্যাংশ।

এসব কোম্পানির মধ্যে ১০টির মতো কোম্পানি লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবারও ১২টি কোম্পানি একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়া দুটি কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা, বেশ কয়েকটি কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা, কয়েকটি ২০ পয়সা, কয়েকটি ৩০ পয়সা, কোনো কোনেটি ৪০ পয়সা, কোনোটি ১০০ শেয়ারে একটি, কোনোটি ১০০ শেয়ারে দুটি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।

এসব লভ্যাংশ ঘোষণার পর রোববার প্রথম লেনদেনে কী হয় তা নিয়ে জিজ্ঞাসা ছিল পুঁজিবাজারে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত সূচক বেড়েই লেনদেন হচ্ছিল। কিন্তু এরপর সোয়া দুই ঘণ্টায় চাপ আর সামলানো যায়নি।

আরও পড়ুন: নো ডিভিডেন্ডের ছড়াছড়ি

শেষ পর্যন্ত ৬১ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন। ১২২টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২২৬টির দর। কমে গেছে লেনদেনও।

অনাকাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশের চাপ নিতে পারল না পুঁজিবাজার
রোববার বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত সূচক অবস্থান ধরে রাখলেও পরের সোয়া দুই ঘণ্টায় তা কমেছে

টানা ছয় সপ্তাহ দরপতনের পর গত সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ১৯০ পয়েন্ট সূচক পতনে যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়, তার অবসান হয় পরের তিন কর্মদিবসে। মঙ্গলবার ১২০ পয়েন্ট, বুধবার ৬ পয়েন্ট এবং বৃহস্পতিবার ৫০ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া দর সংশোধনের অবসান হয়েছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়। তবে রোববারের লেনদেন আবার বিভ্রান্তিতে ফেলে দিল।

দাম বৃদ্ধি ও কমার সীমা না থাকার দিন সবচেয়ে বেশি ২৩ শতাংশ দর হারিয়েছে মুনাফায় ফিরেও লভ্যাংশ না দেয়া আরামিট সিমেন্ট। ১২ ও ১৫ শতাংশ দর হারিয়েছে যথাক্রমে ২ ও ১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া প্যাসিফিক ডেনিম ও ন্যাশনাল ফিডমিল।

১১ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে লভ্যাংশ না দেয়া জাহিন টেক্স, প্রায় ১১ শতাংশ দর হারিয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া জিবিবি পাওয়ার। আর ১০ শতাংশের বেশি দর হারিছে মুনাফায় থেকেও লভ্যাংশ না দেয়া মুন্নু ফেব্রিক্স।

আরও ১২টি কোম্পানি ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৮টি কোম্পানি ৬ শতাংশের বেশি, ৫টি কোম্পানি ৭ শতাংশের বেশি, ৬টি কোম্পানি ৮ শতাংশের বেশি এবং একটি কোম্পানি ৯ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।

এর সিংহভাগই হয় লভ্যাংশ দেয়নি, নয় দিলেও এসেছে ন্যূনতম লভ্যাংশের ঘোষণা।

অন্যদিকে লোকসানে থেকেও লভ্যাংশ ঘোষণা করা দুটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়ে সাফকো স্পিনিং মিলসের দর বেড়েছে ২০.৭৯ শমাংশ।

লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফিরে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা জেমিনি সি ফুডের দর বেড়েছে ১২.৫২ শতাংশ বা ২২ টাকা ৫০ পয়সা।

লোকসানে থেকেও ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার ৬৭ শতাংশ দাম বাড়া হামিদ ফেব্রিক্সের দর আরও বেড়েছে ৯.৮০ শতাংশ।

শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা দেশ গার্মেন্টসের দরও বেড়েছে ৭.৩৫ শতাংশ। স্বল্প মূলধনি এই কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ দেবে না বলে গুঞ্জন ছিল।

অবশ্য বরাবরের মতো লভ্যাংশ না দেয়া দুলামিয়া কটন এবারও একই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও শেয়ার দর ৯.৯৩ শতাংশ, মেঘনা পেটের শেয়ার দর ৮.৪১ শতাংশ, অলটেক্সের শেয়ার দর ৫.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশের চাপ নিতে পারল না পুঁজিবাজার
সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল এই ১০ কোম্পানি, যার ৫টি লভ্যাংশ এবং একটির প্রান্তিক হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের

সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল গত মঙ্গলবার শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১২ টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার পর থেকে পতনের মধ্যে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, প্রথম প্রান্তিকে আয় কমে যাওয়া ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিজ, শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ইউনাইটেড পাওয়ার, অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর টানা পতনমুখী লাফার্জ হোলসিম, অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ফরচুর সুজ, অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর পতনমুখী পাওয়ার গ্রিড, ভালো আয়ের পরও কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ না দেয়া বিএসআরএম লিমিটেড, প্রত্যাশার চেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া কেপিসিএল, অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর কমতে থাকা ডেল্টা লাইফ এবং ভালো আয়ের পরেও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ না দেয়া কনফিডেন্স সিমেন্ট।

এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ৪৫.৩৯ পয়েন্ট।

তাও গ্রামীণফোন, আয় বাড়াতে পারা রবি, রেকিট বেনকিনজার, স্কয়ার ফার্মা, ইউনিলিভার, আমান ফিড, কোহিনূর কেমিক্যাল, জিপিএইচ ইস্পাত, একমি ল্যাবরেটরিজ ও বেক্সিমকো ফার্মার দর বৃদ্ধির কারণে সূচকের আরও বড় পতন ঠেকানো গেছে।

এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৪.৫৬ পয়েন্ট।

অনাকাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশের চাপ নিতে পারল না পুঁজিবাজার
পতনের দিন সূচক কিছুটা হলেও বাড়িয়েছে এই ১০টি কোম্পানি

আগ্রহ বেশি বস্ত্র ও ব্যাংকে

গত দুই সপ্তাহ ধরেই ব্যাংক খাতে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে আবার বস্ত্র খাতে আগ্রহ ফিরেছে। সেদিনই সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল এই খাতে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তা বাড়ল আরও বেশি। অনেক দিন পর তা তিনশ কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে গেল। আগের দিন লেনদেন ছিল ২৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

যে ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার মধ্যে ৬টিই বস্ত্র খাতের। এর মধ্যে সাফকো, দুলামিয়া কটন ও হামিদ ফেব্রিক্সের পর ৯.৭৮ শতাংশ বেড়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর। নিউলাইন কটনের দর বেড়েছে ৮.৯৬ শতাংশ।

এছাড়া কুইন সাউথের দর ৬.৭৮ শতাংশ, আরএন স্পিনিংয়ের দর ৬.২৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৫.৪৬ শতাংশ, প্রাইম টেক্সের দর ৪.৯১ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে দরপতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতে জাহিন টেক্স ছাড়াও শাসা ডেনিম, যার দর কমেছে ৮ শতাংশ। জাহিন স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৭.৩৬ শতাংশ।

এছাড়া তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ৬.৬২ শতাংশ, স্টাইলক্রাফট ৫.৫২ শতাংশ, নুরানী টেক্সটাইল ৪.৭০ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিং ৪.৩৪ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ৪.৩৩, ইভিন্স টেক্সটাইল ৪.২০ শতাংশ, রিংসাইন দর হারিছে ৩.৫৪ শতাংশ।

অনাকাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশের চাপ নিতে পারল না পুঁজিবাজার
রোববার এই ছয়টি খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে

আগের কর্মদিবসের মতোই ব্যাংক খাত এদিন দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। তবে লেনদেন কমেছে আগের দিনের তুলনায়। বৃহস্পতিবার হাতবদল হয় ২৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা কমে হয়েছে ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এই খাতে বেশিরভাগ শেয়ার অবশ্য দর হারিয়েছে। কেবল চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ২৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৫টির দর।

দরপতন বা বৃদ্ধি-কোনোটির হারই খুব একটা বেশি নয়। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার ৩০ পয়সা, ব্যাংক এশিয়ার ২০ পয়সা এবং প্রিমিয়ার ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ পয়সা করে।

অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেয়া রূপালী ব্যাংকের ১ টাকা ৭০ পয়সা, এনআরবিসি ১ টাকা ২০ পয়সা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ৯০ পয়সা, সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার ৫০ পয়সা দর হারিয়েছে। এবি, ব্র্যাক ও সিটি ৪০ পয়সা করে, আইএফআইসি, ইসলামী, যমুনা, এনসিসি ও উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার ৩০ পয়সা করে দর হারিয়েছে।

বিমা, সিমেন্ট, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ঢালাও পতন

বিমা খাতে ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪৪টি। লেনদেনও কমেছে। হাতবদল হয়েছে মোট ১১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.২৮ শতাংশ দর হারিয়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৮.১৫ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স ৫.৬৮ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ৫.২৮ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ৪.৮ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ৪.৬৫ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ৪.৬ শতাংশ দর হারিয়েছে।

সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চাঙা হয়ে উঠা সিমেন্ট খাত পরে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের কারণ হয়েছে। চার বছর পর মুনাফায় ফিরেও লভ্যাংশ না দেয়া আরামিট সিমেন্ট ছাড়াও দর হারিয়েছে সেপ্টেম্বরে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করা লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টও। শেয়ার প্রতি ১৫ টাকার বেশি আয় করেও মাত্র ২ টাকা লভ্যাং দেয়ার বিষয়টি পছন্দ করেনি কনফিডেন্স সিমেন্টের বিনিয়োগকারীরা।

এই খাতে লেনদেন অবশ্য কিছুটা বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে মোট ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারদর কমেছে ৯টির। বেড়েছে কেবল একটির। লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

ছয় খাতে মিশ্র প্রবণতা

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে ১৪টির দর, কমেছে ১৫টির, অপরিবর্তিত ছিল একটির। লেনদেন হয়েছে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বুধবার দুই কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ার ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেও বিনিয়োগকারীদের মন পায়নি। দরপতন হয় শেয়ারের।

গত বৃগস্পতিবার চার কোম্পানি কেপিসিএল, বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়া ও জিবিবি পাওয়ার যথাক্রমে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা, ১ টাকা, ১ টাকা ২৫ পয়সা ও ১ টাকা ১১ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার পর বারাকা পতেঙ্গা ছাড়া তিনটি কোম্পানি দর হারিয়েছে।

এর মধ্যে বারাকা পাওয়ারের শেয়ার দর ১ টাকা ৪০ পয়সা, জিবিবি পাওয়ার ৪ টাকা ৭০ পয়সা ও কেপিসিএলের শেয়ার ৩ টাকা দর হারিয়েছে। অন্যদিকে বারাকা পতেঙ্গার দর শেয়ারে ২০ পয়সা বেড়েছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশের চাপ নিতে পারল না পুঁজিবাজার
ছয়টি বিদ্যুৎ কোম্পানির মধ্যে ৫টিই লভ্যাংশের পর দর হারিয়েছে, সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন

গোটা খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১০টি, বেড়েছে ১২টি, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

লেনদেনও কমেছে। হাতবদল হয়েছে মোটি ৯৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১০৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিত খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৯টির। লেনদেন হয়েছে মোটি ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৩টির দর। লেনদেন হয়েছে মোটি ৯৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫টির, কমেছে ৮টির দর। লেনদেন হয়েছে মোটি ১৪১ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৯২ কোটি ১০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ২৮টির দর, দর পাল্টায়নি একটির। লেনদেন হয়েছে মোটি ১১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

ঝিমিয়ে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোটি ১৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ২৭টির দর, দর পাল্টায়নি ১২টির।

আরও পড়ুন:
নো ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি নামমাত্র লভ্যাংশের ছড়াছড়ি
৪ বছর পর মুনাফায় ফিরলেও আরামিট সিমেন্টের লভ্যাংশ নেই
গ্লোবাল হেভি ক্যামিকেল এবারও শেয়ারে দেবে ৫০ পয়সা
লোকসান দিয়েও ওএএলের ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ
লোকসান দিয়েও মোজাফফরের নগদ লভ্যাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

p
উপরে