× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Death penalty for killing wife
google_news print-icon

স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রী-হত্যায়-মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি
২০২০ সা‌লের ১২ আগস্ট রফিকের স্ত্রী ম‌রিয়ম বেগম নি‌খোঁজ হন। ১৫ আগস্ট উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের দিপক দাসের পানবরজের গর্ত থেকে তার মৃত‌দেহ উদ্ধার ক‌রে পু‌লিশ। পুলিশ জানায়, মাথায় আঘাত ক‌রে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানো হয়। এরপর সেখানে পুঁতে ফে‌লা হয়।

খুলনার রূপসায় স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে গুম করায় আসামি রফিক শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে সাত বছ‌রের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জ‌রিমানা, অনাদায়ে আরও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ‌জ্যেষ্ঠ বিচারক ম‌শিউর রহমান চৌধুরী রোববার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রফিক শেখের বাড়ি উপজেলার নেহাল গ্রামে।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপ‌ক্ষের আইনজীবী শেখ এনামুল হক।

২০২০ সা‌লের ১২ আগস্ট রফিকের স্ত্রী ম‌রিয়ম বেগম নি‌খোঁজ হন। ১৫ আগস্ট উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের দিপক দাসের পানবরজের গর্ত থেকে তার মৃত‌দেহ উদ্ধার ক‌রে পু‌লিশ।

পুলিশ জানায়, মাথায় আঘাত ক‌রে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানো হয়। এরপর সেখানে পুঁতে ফে‌লা হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ম‌রিয়মের মা জা‌লিমা বেগম রূপসা থানায় মামলা ক‌রেন। তদন্তের পর গ্রেপ্তার করা হয় মরিয়মের স্বামী রফিককে। আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দিও দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবু‌দ্দিন গাজী গত ৩১‌ ডি‌সেম্বর র‌ফিককে অভিযুক্ত ক‌রে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আইনজীবী শেখ এনামুল জানান, মামলায় ১৫ সাক্ষীর ম‌ধ্যে ১৩ জ‌নের সাক্ষ‌্য নেয়ার পর আসামি দোষী সাব‌্যস্ত হন। বিচার শুরুর ৯ কার্যদিব‌সের ম‌ধ্যেই এ হত‌্যা মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।

আরও পড়ুন:
দিনমজুরকে হত্যায় আসামির যাবজ্জীবন
মাকে পিটিয়ে হত্যা করায় মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণ ও হত্যা: এক ভাইকে মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
ভাড়াটে খুনিদের কোনো ছাড় নেই: আপিল বিভাগ
ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
37 Rohingyas were detained while infiltrating the sea in Teknaf

টেকনাফে সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে ৩৭ রোহিঙ্গা আটক

টেকনাফে সাগরপথে অনুপ্রবেশকালে ৩৭ রোহিঙ্গা আটক টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার সৈকত দিয়ে মঙ্গলবার রাতে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের আটক করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, আটক রোহিঙ্গাদের আপাতত বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্বাহী প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মিয়ানমার থেকে সাগরপথে ট্রলারযোগে কক্সবাজারের টেকনাফে অনুপ্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার সৈকত দিয়ে এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

তবে আটক রোহিঙ্গাদের মোট সংখ্যা বলতে পারলেও তাদের মধ্যে কতজন নারী, পুরুষ ও শিশু তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের জাহাজপুরা সৈকত পয়েন্টে সাগর দিয়ে ট্রলারযোগে একদল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদের ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসব রোহিঙ্গাকে আটক করে।

আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তারা মিয়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

ওসি জানান, আটক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাহী প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মোতাবেক এসব রোহিঙ্গার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত তাদেরকে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বের জন্যই ‘টিকিং টাইম বোম্ব’: ড. ইউনূস
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ঢাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Sunamganj MP Manik arrested

সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মানিক গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মানিক গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুহিবুর রহমান মানিক সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সাত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন:
সাবেক এমপি হেনরীর ক্যাডার কিলার মুছা কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
সাবেক মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিম গ্রেপ্তার
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ঠাকুরগাঁওয়ের সাতবারের এমপি দবিরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arakan Army captured five fishermen in Teknaf

টেকনাফে পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

টেকনাফে পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি নাফ নদ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচ জেলে। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিইদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি তাদের দ্রুত ফেরত আনতে সক্ষম হবো।’

কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের অদূরে নৌকাসহ বাংলাদেশের পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। সোমবার বিকেলে টেকনাফের নয়াপাড়া নাফ নদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্তও জেলেদের ফেরত দেয়নি তারা।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- রাশেদ হোসেন, বোরহান, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাশেল ও মোহাম্মদ আলম। তাদের মধ্যে তিনজন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার এলাকায় পাঁচ জেলে নাফ নদে মাছ শিকার করতে গেলে তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের কোনো একটি গ্রুপ।

‘জেলেদের কারা ধরে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে। তাই ধারণা করা হচ্ছে আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে।’

স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মজিদের মালিকাধীনসহ তিনটি নৌকা নাফ নদে মাছ শিকার মাছ শিকারে যান। এ সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জেলেদের ধাওয়া করে। এতে দুটি নৌকাসহ মাঝিমাল্লারা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও মজিদের নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে তারা ধরে নিয়ে যায়।

অপহরণের শিকার জেলে মো. আলমের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে অন্য জেলেদের সঙ্গে নাফ নদে মাছ শিকারে যায়। এ সময় ওপারের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। অন্য জেলেরা পালিয়ে আসতে পারলেও আমার ছেলেসহ পাচঁ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মির লোকজন। এখন পর্যন্ত আমার ছেলের কোনো খোঁজখবর পাইনি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তাদেরকে ফেরত আনতে বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ড ও বিজিবি’র সঙ্গে কথা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিইদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি তাদের দ্রুত ফেরত আনতে সক্ষম হবো।’

আরও পড়ুন:
২১ কোটি টাকার তিমির বমিসহ পাচারকারী আটক
টেকনাফে শিশুর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে স্বজনদের হামলা, ভাঙচুর
মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ
রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে জান্তা সরকারের নৌঘাঁটি
টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
MA Mannan from prison to hospital

কারাগার থেকে হাসপাতালে এম এ মান্নান

কারাগার থেকে হাসপাতালে এম এ মান্নান এম এ মান্নান। ফাইল ছবি
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। তার নিরাপত্তায় জেল পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ মান্নানকে সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এম এ মান্নানকে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি মেডিসিন বিভাগের কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। তার নিরাপত্তায় জেল পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে।

এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর বুকে ব্যথা রয়েছে। এ ছাড়া তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মেডিসিন বিভাগের কেবিনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের আবেদন করা হয়েছে।

এম এ মান্নানকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন।

সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে অসুস্থ বোধ করলে সাবেক এমপিকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ওসমানীতে চেকআপ শেষে তাকে সিলেট কারা হাসপাতালে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
পৃথক চার মামলায় ৩৮৮ আনসার সদস্য কারাগারে
কয়েদি বিদ্রোহ: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 
জামালপুর কারাগারে বন্দিদের বিদ্রোহ: ছয়জন নিহত, আহত ১৯
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, গুলিতে নিহত ৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two Indians detained at Akhaura border

আখাউড়া সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক

আখাউড়া সীমান্তে দুই ভারতীয় আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক দুই ভারতীয় নাগরিক। ছবি: বিজিবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আটককৃত ভারতীয় নাগরিক এবং মানব পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ভারতীয় নাগরিকদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বাহিনীটি মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অদ্য ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ সকাল ০৭০০ ঘটিকায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল দায়িত্বপূর্ণ আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আব্দুল্লাপুর নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পান্না রানী দেব (৫৪) নামের একজন ভারতীয় নারী ও তার ছেলে অভি দাশকে (১৮) আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতরা ভারতের ধলায় জেলার কমলপুর থানার মানিক ভান্ডার এলাকার জহর লাল দাসের স্ত্রী-সন্তান।

‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ৭ দিন পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা জেলার রামনগর থানার সরমালংগা গ্রামের বাসিন্দা ও মানব পাচারকারী দালাল মানিক দাশের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত হতে বাংলাদেশে আসে এবং কিশোরগঞ্জ জেলায় তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে। আজ আখাউড়ার হিরাপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে ও মানব পাচারকারী দালাল মো. তোফাজ্জল হোসেন এবং নূরুল মিয়ার ছেলে মো. তৌহিদ মিয়ার সহযোগিতায় সীমান্ত পিলার ২০২২/৭-এস-এর নিকট দিয়ে ভারতে ফেরত যাচ্ছিল।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আটককৃত ভারতীয় নাগরিক এবং মানব পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ভারতীয় নাগরিকদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
আ.লীগ নেতাদের দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য বিজিবি এককভাবে দায়ী নয়
বেনাপোল সীমান্তে শিশুসহ ভারতীয় নারী আটক
বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক
এবার লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারত থেকে ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Flood Fish worth 71 crore washed away in Sherpur

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ

বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ শেরপুরের একটি মাছের ঘের। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

শেরপুরের এবারের বন্যায় পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ঘের থেকে ৭১ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

এমন বাস্তবতায় চাষিরা বলছেন, ঠিক সময়ে বন্যার পূর্বাভাস পেলে ক্ষতি কমানো যেত।

টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় এ উন্নতি হয়।

জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি আরও কমেছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের ৫ উপজেলায় পানিবন্দির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারে।

জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

এদিকে গত চার দিনে বন্যার পানিতে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত হয় শেরপুর। তলিয়ে যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য খাত।

মাছচাষি রাকিবুল মিয়া বলেন, ‘বহু মাছ চলে গেছে। দুই-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব তলিয়ে গেছে। যত প্রজেক্ট আছে এখানে, সব মাছ ভেসে চলে গেছে।’

আরেক মাছচাষি খাইরুল বলেন, ‘বন্যার পূর্বাভাস না থাকায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারি নাই। এ জন্যই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। আমাদের প্রজেক্টের মাছ বাইরে চলে গেছে। আর এদিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেরে বিক্রি করতাছে।

‘আর মানুষ কম দামে পেয়ে আনন্দ করে কিনতাছে, কিন্তু আমরা তো বুঝতাছি কেমন ক্ষতি হইছে আমাদের।’

মাছচাষি নাইম বলেন, ‘আগে যদি আমরা জানতাম বা কেউ যদি জানাত, তাহলে আমাদের এত ক্ষতি হতো না। আগে জানলে তো আর এই অবস্থায় থাকত না।

‘সব জাল দিয়ে ঘিরে রাখতাম। আমার ৫ লাখ টাকার মাছ ছিল। সব শেষ।’

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর শেরপুরে ৩৩ হাজার ১৭৯টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন ১৮ হাজার ১৩৫ জন চাষি। আর প্রতি বছর এ জেলায় উৎপাদন হয় গড়ে ৩৫ হাজার ২৪০ টন মাছ। বন্যায় ভেসে যায় সাত হাজার ৩০০ পুকুরের ৭১ কোটি টাকার মাছ।

এবারই স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে এ অঞ্চলের মাছচাষিরা।

শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আমরা এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

‘তারা যদি সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা দেয়, তাহলে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে ৩৮৪
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা
বন্যা: মিয়ানমারে প্রাণহানি বেড়ে ২২৬

মন্তব্য

বাংলাদেশ
By 2050 54 percent of people will live in cities
আলোচনা সভায় বক্তা

দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরে থাকবে ৫৪ শতাংশ মানুষ

দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে শহরে থাকবে ৫৪ শতাংশ মানুষ ঢাকা শহরের বিভিন্ন ভবন। ফাইল ছবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল কবীর বলেন, নগরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বাড়বে। এ নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশে ২০৫০ সালের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবে বলে জানিয়েছেন একটি আলোচনা সভার এক বক্তা।

খুলনায় বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা জানান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল কবীর।

তিনি বলেন, নগরে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরভিত্তিক সেবার ওপর চাপ বাড়বে। এ নগরায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ, বস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, অসমতা ও নিরাপত্তাহীনতার মতো সংকট বাড়তে পারে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের বিকল্প নেই।

আহসানুল আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য জুতসই বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা দরকার। শহরাঞ্চলে গণপরিবহনের জন্য জায়গা কমিয়ে কেবল ব্যক্তিগত যান চলাচলের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, এমন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন নাগরিক সাম্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ।

তিনি বলেন, মানব সভ্যতার শুরু থেকেই নিরাপদ বসতি একটি মৌলিক চাহিদা। নগরের পরিকল্পনা তৈরির সময় ওই স্থানের প্রকৃতি, পরিবেশ ও পানি প্রবাহের প্রাকৃতিক পথের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকের চাহিদা এবং সমস্যার দিকগুলোও মাথায় রাখতে হবে।

হেলাল বলেন, প্রতিটি এলাকার বসতি নির্মাণের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জলবায়ুগত ভিন্নতার কারণে স্থাপনার নির্মাণ উপকরণ ও নকশায় ভিন্নতা আনার দরকার হয়। এ ক্ষেত্রে বিস্তৃত ও গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা থাকতে হবে।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মিছবাহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আইএবি খুলনা কেন্দ্রের আহ্বায়ক গৌরী শংকর রায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আবু জাকির মোর্শেদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের খুলনা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আবির-উল-জব্বার।

আরও পড়ুন:
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিখোঁজ কর্মীকে উদ্ধার
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিক নিহত
উপাচার্য হিসেবে সেনা কর্মকর্তা চান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
ক্ষমতার হাতবদল, চাঁদাবাজি বহাল

মন্তব্য

p
উপরে