জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর– এই চার মাসে বাংলাদেশে ১২ কোটির টাকা ভ্যাট দিয়েছে ফেসবুক। ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাটের হিসাব করলে এই চার মাসে এ দেশে তাদের ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭০ কোটি টাকা।
এ হারে বছরজুড়ে এ দেশে ফেসবুকের ব্যবসা দাঁড়ায় ২১০ কোটি টাকার। তবে এটি রাজস্ব বোর্ডে ফেসবুকের দেয়া প্রত্যক্ষ হিসাব, যা এ দেশে তাদের পূর্ণাঙ্গ ব্যবসার একটি অংশমাত্র। ব্যক্তি পর্যায়ে যাদের ভ্যাট নিবন্ধন নেই এবং যাদের উৎসে ভ্যাট কর্তন হয় না, তাদের সঙ্গে ফেসবুকের সেবা কেনাবেচার হিসাব এটি। এর বাইরে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ফেসবুকের সেবার বিনিময়ে যে অর্থ পরিশোধ করে, তারা সরাসরি উৎসে ভ্যাট কর্তন করে নিজেরা রাজস্ব বোর্ডে জমা দেয়। তাদের হিসাব এতে নেই।
ফেসবুক ছাড়া আরও তিন টেক জায়ান্ট গুগল, মাইক্রোসফট ও আমাজন গত ৫ মাসে ১৩ কোটি ভ্যাট জমা দিয়েছে। সব মিলিয়ে চার টেক জায়ান্টের জমা দেয়া ভ্যাটের পরিমাণ গত ৫ মাসে ২৫ কোটি টাকা।
মহামারি করোনার প্রকোপ কেটে গেলে এই চার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আসবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন কর কর্মকর্তা ও অর্থনীতির গবেষকরা। এটি সরকারের রাজস্ব আদায়ের ইতিবাচক ধারাকে আরও বেগবান করবে বলে তারা মনে করছেন।
ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট ও আমাজন দেশে নিবন্ধিত চারটি অনাবাসী প্রতিষ্ঠান। তাদের এ দেশে অফিস নেই, কিন্তু তারা নানা ধরনের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা বিক্রির ব্যবসা করছে। গত পাঁচ মাসে (মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) এসব প্রতিষ্ঠান সব মিলিয়ে ১৬০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
এগুলো ব্যক্তি পর্যায়ের ছোট ছোট বেচাকেনার চিত্র। ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রিটার্ন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওই চারটি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) নিয়েছে, যা ভ্যাট নিবন্ধন হিসেবে পরিচিত। ওই কমিশনারেটেই প্রতি মাসে ভ্যাট আরোপ হয়। স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে রিটার্ন দেয় ওই প্রতিষ্ঠানগুলো।
এসব প্রতিষ্ঠানের সেবার ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর ধরা হয়েছে।
ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট ও আমাজনের সঙ্গে এ দেশে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন, এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে সেবা বেচাকেনার হিসাবের ওপর ভিত্তি করে এসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাট পরিশোধ করেছে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, এক ব্যক্তি ফেসবুকে বুস্টিং বা অন্য কোনো সেবা গ্রহণ করে ১০ ডলার পরিশোধ করল। কিন্তু ওই ব্যক্তি উৎসে ভ্যাট কর্তনকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নয়। তাই তাদের শনাক্ত করা কঠিন। এমন বেচাকেনার তথ্য এসব অনাবাসী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রিটার্নে থাকে। তাই দৃশ্যত ভ্যাটের পরিমাণ কম। বাস্তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠান এসব অনাবাসী প্রতিষ্ঠানের কাছে সেবার বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করার সময় ভ্যাট কেটে রেখে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ূন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা ভ্যাট পেয়েছি, তাতে আমরা খুশি। তবে আরও কয়েক মাস না গেলে মূল্যায়ন করা যাবে না, তারা সঠিক পরিমাণ ভ্যাট দিচ্ছে কি না। এত বড় বড় বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আইন প্রতিপালন করছে, তা অন্যদের জন্য অনুসরণীয়।’
এই চার প্রতিষ্ঠান থেকে এখন থেকে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের ভ্যাট আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন হুমায়ূন কবির।
২৩ মে বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন গুগল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত তাদের কোম্পানি এশিয়া প্যাসিফিক পিটিই লিমিটেডের নামে এ দেশে প্রথম অনাবাসী হিসেবে ভ্যাট নিবন্ধন নেয়। এই কোম্পানি বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। মে, জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই পাঁচ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়ে তারা ৮ কোটি টাকার মতো ভ্যাট দেয়। সেই হিসাবে এই প্রতিষ্ঠান ওই পাঁচ মাসে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
গত ২৬ মে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস ইনকরপোরেশন একইভাবে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে ভ্যাট নিবন্ধন নেয়। তথ্য সংরক্ষণসহ নানা ধরনের ক্লাউড সেবা দিয়ে থাকে আমাজন ওয়েব সার্ভিস ইনকরপোরেশন। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসেই ভ্যাট রিটার্ন দিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে। এ সময়ে ১৫ কোটি টাকার সেবা বিক্রি করেছে আমাজন।
বিশ্বের অন্যতম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের তিনটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গত ১৩ জুন ভ্যাট নিবন্ধন নেয়। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড, ফেসবুক পেমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড।
সবচেয়ে বড় অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেডের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, এই প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক সেবা দিয়ে থাকে। ফেসবুকের ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই চার মাস ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে। সব মিলিয়ে তারা ১২ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে। প্রায় ৭০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ফেসবুক।
জুলাই মাসে ভ্যাট শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) নেয় মাইক্রোসফট। আগস্ট সেপ্টেম্বর দুই মাসে এই প্রতিষ্ঠঅনটি প্রায় ৪ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে।
অনাবাসী প্রতিষ্ঠানগুলো (যাদের এ দেশে স্থায়ী কার্যালয় নেই) এ দেশে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নিজেদের নানা ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এসব সেবার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসে। এসব সেবা নিয়ে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনো উপায়ে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করে থাকেন। দেশের বাইরে থেকেই মূল্য পরিশোধ করা হলেও তা ভ্যাট রিটার্নে দেখাতে হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আদায়ের একটা ভালো উৎস খুঁজে পেয়েছে এনবিআর। এই চার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা দেশে যত বাড়বে; সরকারের রাজস্ব তত বাড়বে।’
এই চার প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে কী পরিমাণ ভ্যাট সরকার পেতে পারে- এ প্রশ্নের উত্তরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সেটা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। করোনার কারণে অনেক কিছুই স্বাভাবিক ছিল না; তারপরও এই পাঁচ মাসে আশাব্যঞ্জক ভ্যাট পাওয়া গেছে। বছরখানেক গেলে বোঝা যাবে, এদের কাছ থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব পাবে সরকার। তবে এটা বলতে পারি, দিন যত যাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তত বেশি ভ্যাট আসবে।’
সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ে জোয়ার লক্ষ করা যাচ্ছে। অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা রাজস্ব আদায়ের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
করোনার প্রভাবে সৃষ্ট গভীর খাদ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে দেশের রাজস্ব খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায় বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ।
এনবিআরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, মহামারির এই সংকটের সময়েও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সব মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৩৫১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলছেন, ‘আমদানি-রপ্তানিতে গতি এসেছে। চাঙা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আহরণে।’
আরও পড়ুন:টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিস্তা নদীতে ডুবে সোহাগ (১২) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন শনিবার বিকেলে তিস্তা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
প্রাণ হারানো সোহাগ রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশের ভাষ্য, সোহাগ তার ফুফাতো বোনকে নিয়ে টিকটক বানাতে নদীতে গোসল করতে নামে। ওই সময় তার সঙ্গে আরও দুই বন্ধু ছিল। টিকটকের ভিডিও ধারণের সময় সোহাগ পানিতে গোসল করছিল। অন্যরা গোসল করে তীরে ওঠে।
দুই বন্ধু নদীর পাড়ে গিয়ে সোহাগকে খুঁজে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা পর তিস্তা নদী থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে।
রাজারহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিস্তা নদী থেকে সোহাগ নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনার শিরোনামগুলোও ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।
মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইট লিঙ্ক পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমন অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।
ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পর মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান কমানোর চেষ্টার পর এই পরিবর্তন আসছে।
মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের ফলো করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করবে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে, আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে। বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।
কর্নেল ব্রুকস স্কুল অফ পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি বিষয়ক নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না, এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ তারা এ বিষয়ে মূল্যায়ন শুরু করে এবং নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পান। ফলে তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে। অসাবধানতাবশত নিজেরাই যাতে রাজনৈতিক শিরোনাম হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।’
পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।’
অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন যে, এটি আসছে। তবে এটি সংবাদ ব্যবসার জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ।’
মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন, তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে সেখানে ছাড়িয়ে গেছে।
পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এ দুই মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না, এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।
আরও পড়ুন:ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।
স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।
আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।
তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঠিক হয়েছে ফেসবুক। রাত দশটা ৩৫ মিনিটে লগইনের চেষ্টা করলে দেখা যায়, সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম বৃহৎ এ প্লাটফরমটি।
এদিকে রাত সাড়ে নয়টার পর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে দেশের অনেক নাগরিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের আশ্বস্ত করে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই।
‘আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঠিক হয়েছে ফেসবুক। রাত দশটা ৩৫ মিনিটে লগইনের চেষ্টা করলে দেখা যায়, সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম বৃহৎ এ প্লাটফরমটি।
বিস্তারিত আসছে…
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। এমনকি ফেসবুকে সক্রিয় থাকা আইডিগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছে। এক্সের ট্রেন্ডিং ফিডেও ফেসবুক সার্ভার ডাউনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ফেসবুকের পাশাপাশি মেটার আওতাধীন ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
ব্যবহারকারীরা জানান, হঠাৎ করেই তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়ে যায়। পরে তারা লগ ইন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
মেটা কিংবা ফেসবুক তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে দেশের মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ঘুরছিল ২০২৩ সাল থেকেই। এসব তথ্য কেনাবেচার কথাও শোনা গেছে। গ্রাহক-তথ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন একটি ভুয়া ব্যবসা শুরু করেছে একটি চক্র। এসব তথ্যের বিক্রি বাড়াতে সম্প্রতি দেশের প্রতিষ্ঠিত মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুরুর দিকে ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের বিশেষ সফটওয়্যারের (বট) মাধ্যমে কাজটি করা হয়েছে বলে জানা গেলেও পরে এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট খুলেও ভুয়া তথ্যের এই জমজমাট ব্যবসা চলছে। চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের দেয়া বিজ্ঞাপনে বেশ কিছু নামি-দামি ব্যাংকের গ্রাহকের তথ্য রয়েছে বলেও প্রচার চালাচ্ছে। নিত্যনতুন কৌশলে তারা গ্রাহককে ধোঁকা দেয়ার এই ব্যবসা করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বেহাত হওয়ার পর টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার হওয়া নির্দিষ্ট একটি লিংকে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ দিলেই তার অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য বেরিয়ে আসছিল। একইভাবে এখানেও কিছু মানুষের তথ্য বেরিয়ে আসছে।
তবে যে তথ্য এখানে পাওয়া যাচ্ছে তার সত্যতা নিরূপণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে এটাকে ভূঁইফোড় ব্যবসা বলেও আখ্যায়িত করছেন। বেশকিছু ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, মোবাইল নম্বর দিলে আবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা নাম এমন কিছু তথ্য আসছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য যারা অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করছে এবং প্রলোভনে পড়ে যারা কিনছে তারা উভয়েই সমান অপরাধী। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়ায় উভয়েরই জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।
‘কাজেই যারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে এলে শাস্তির সম্মুখীন হবেন। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো এমন তথ্য কিনে কখনোই টাকা পাওয়ার কোনো সুযোগ বাংলাদেশে নেই।’
সূত্র বলছে, গত বছরের জুলাই মাসে প্রথম রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন বিভাগ থেকে ‘লাখ লাখ’ মানুষের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে। তার দুই থেকে তিন মাস পর স্মার্ট কার্ডের তথ্য বেহাতের তথ্য সামনে আসে। এখন এসব তথ্যকেই নতুন মোড়কে মোবাইল ব্যাংকিং এবং প্রচলিত ব্যাংকের গ্রাহক তথ্য হিসেবে হাজির করা হচ্ছে।
তবে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, একেক গ্রুপে একেক রকম তথ্য আসছে। কোথাও গ্রাহকের সঙ্গে সঙ্গে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর আছে বলে বলা হচ্ছে। আবার কোথাও মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মতারিখের উল্লেখ থাকছে। কোথাও কোথাও ছবি থাকার দাবিও করা হচ্ছে।
দেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অক্টাগ্রাম লিমিটেড যারা ইথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান শাহরিয়ার দিচ্ছেন ভয়াবহ তথ্য। তিনি বলেন, ‘মূলত প্রলোভনে পড়েই অনেকে এমন তথ্য কিনে থাকেন। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের একটি যৌথ এনালাইসিসে দেখা যায়- যারা তথ্য চুরি করেছে, তারা তথ্য বিক্রির সময় সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের তথ্যও সংরক্ষণ করে রাখে।
‘যেহেতু ক্রয়কারীর তথ্য ওরা সংরক্ষণ করছে, ফলে ভবিষ্যতে গ্রাহক হ্যাকিং, ব্ল্যাক মেইলসহ নানা জটিলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তখন কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে তারা বলতেও পারবেন না কেন এবং কী কারণে তিনি অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।’
তবে গ্রাহকদের তথ্য এভাবে অবাধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়ানোর দাবি করায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মানুষের নাস্থা তৈরি হওয়া বা অহেতুক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ের এই প্রচারণা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টিতেও এসেছে। তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে আমরা প্রতিনিয়তই তথ্যগত নানা অপপ্রচারের শিকার হই। এবারকার বিষয়ও আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা এটি অবহিত করেছি।’
বর্তমানে যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও ছবি লাগে। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে যে তথ্য ঘুরছে বলে বলা হচ্ছে এসব তথ্য সত্য হলেও এ দিয়ে কিছুই করা যাবে না বলেও মনে করিয়ে দেন ওই প্রযুক্তিবিদ।
তবে তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজ থেকে তথ্য বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনার খবরে এমনিতেই মানুষ এ নিয়ে অস্বস্তিতে আছে। এখন তাদেরকে বিভ্রান্ত করাটা আগের চেয়ে সহজ। ফলে সত্য-মিথ্যা নানা কথা বলে সুযোগ সন্ধানী কেউ কেউ ব্যবসা করে থাকতে পারে।
বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র ডেটাবেজে ১২ কোটির মতো মানুষের তথ্য রয়েছে।
মন্তব্য