এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণায় বিনিয়োগকারীরা খুব একটা স্বস্তিতে এমন বলার সুযোগ নেই। কারণ, বেশিরভাগ কোম্পানির লভ্যাংশ এসেছে একেবারেই নামমাত্র।
বুধবার ১৩টি কোম্পানির লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণার পর বৃহস্পতিবারও বেশ কিছু কোম্পানি লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানি শেয়ার প্রতি ১০ থেকে ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশার কারণ হয়েছে।
দেশের পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশের ভিত্তিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেগুলো লভ্যাংশ দেয় না, সেগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে, যেগুলো ১ থেকে ৯ শতাংশ লভ্যাংশ লভ্যাংশ দেয়, সেগুলোকে ‘বি’ ক্যাটাগরিকে এবং যেগুলো ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করে, সেগুলোকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়।
এর মধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার পর তৃতীয় দিনে বিক্রি করা যায়, ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার পর বিক্রি করা যায় চতুর্থ দিনে। আর জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে ঋণ পাওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাতে বেশিরভাগই বি ক্যাটাগরিতে পড়তে যাচ্ছে।
তবে লোকসান দিয়েও কিছু কোম্পানি তাও অল্প হলেও লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একটি কোম্পানি চার বছর পর মুনাফায় ফিরে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ওটিসি ফেরত একটি কোম্পানি আয় করেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর ভিড়ে এসিআই, এসিআই ফর্মুলেশন, মতিন স্পিনিং, আরামিট লিমিটেড, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের মতো কোম্পানিগুলো আকর্ষণীয় মুনাফা করে বেশ ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
আগামী দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। ফলে এই লভ্যাংশের প্রভাব পড়বে রোববার।
লভ্যাংশ নেই যাদের
জাহিন টেক্স
টানা তৃতীয় বছর বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ না দেয়ার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কোম্পানিটি। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি ৩ টাকা ১ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর লোকসান ছিল ৩ টাকা ৭৭ পয়সা।
ফাইন ফুড
২০১৬ সাল থেকে শেয়ার প্রতি ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবার লোকসানে যাওয়ার পর নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি ১১.৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর মুনাফা ছিল ১৮ পয়সা।
আজিজ পাইপ
প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে পড়ে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮২ পয়সা৷ গত বছর শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ২৬ পয়সা।
খান ব্রাদার্স
আগের বছর লোকসানে থাকার পরও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিবিধ খাতের কোম্পানি খান ব্রাদার্স এবারও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ৯ পয়সা। ওই বছর ২ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
ইয়াকিন পলিমার
মুনাফা থেকে লোকসানিতে পরিণত হওয়া এই কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি গত বছরের জুলাই থেকে চলতি জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ পয়সা।
অলটেক্ম ইন্ডাস্ট্রিজ
লোকসানি এই কোম্পানিটি এবারও বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১০ টাকা ৩১ পয়সা।
আইএসএন
এই কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ার পর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৮ পয়সা।
আরামিট সিমেন্ট
২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো মুনাফা করতে পারলেও এবারও বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানি অরামিট।
লভ্যাংশ না পেলেও শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা আয় করতে পারাটাই এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পেতে পারেন। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর লোকসান দিয়েছিল কোম্পানিটি।
মুন্নু ফেব্রিক্স
ওটিসি ফেরত এই কোম্পানিটি মুনাফা করেও লভ্যাশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১১ পয়সা।
১ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ
ফার কেমিক্যাল
এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরকে ১ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি পাওয়া যাবে ১০ পয়সা করে।
কোম্পানিটি আগের বছর মুনাফা থেকে এবার লোকসানিতে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩৩ পয়সা।
ন্যাশনাল ফিডমিল
গত এক বছরে শেয়ারমূল্যে উত্থানের প্রভাব পড়েনি লভ্যাংশে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ১০০ শেয়ারে লভ্যাংশ দেয়া হবে ১টি শেয়ার।
কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১৮ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ১৬ পয়সা। তবে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ারে আয় ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা, অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা করে।
গোল্ডেন হার্ভেস্ট
খাদ্য খাতের কোম্পানিটি ৩ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারে ৩০ পয়সা চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে ২ শতাংশ অর্থাৎ ২০ পয়সা দেয়া হয় অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ। সব মিলিয়ে লভ্যাংশ ৫০ পয়সা। কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ৭২ পয়সা। গত বছর শেয়ারে লোকসান ছিল ৮৫ পয়সা।
প্যাসিফিক ডেনিম
কোম্পানিটির আয় কমে অর্ধেক যাওয়ার পর লভ্যাংশও কমিয়েছে। আগের বছর ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা নগদ এবং ১ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ১০০টি শেয়ারে একটি শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত পিডিএলের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৯ পয়সা।
অলিম্পিক একসেসোরিজ
টানা দ্বিতীয় বছর লোকসান দিল কোম্পানিটি। আগের বছর লভ্যাংশ না দিলেও এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেয়া হবে ১০ পয়সা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমাতে পেরেছে। এই সময়ে লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৫২ পয়সা।
মোজাফফর হোসেন স্পিনিং
তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত মুনাফায় থাকলেও বাজে চতুর্থ প্রান্তিকের কারণে অর্থবছর শেষে লোকসান হলো মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের।
তবে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরকে পুরোপুরি হতাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৩ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৩০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা।
বিডি অটোকার
কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরকে এবার ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি পাওয়া যাবে ৪০ পয়সা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৪ পয়সা।
সিমটেক্স
বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটির ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি পাওয়া যাবে ৪০ পয়সা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৯২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫৬ পয়সা।
এডভেন্ট ফার্মা
আয় খুব একটা কমেনি কোম্পানিটির। তবে লভ্যাংশ কমিয়ে অর্ধেক করেছে কোম্পানিটি।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ শেয়ারে ২০ পয়সা দেয়া হবে নগদ আর ২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে দুটি শেয়ার দেয়া হবে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল
আগের বছরের তুলনায় আয় কিছুটা বাড়িয়ে গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেয়া হবে ৫০ পয়সা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৫ পয়সা।
ইনফরমেশন টেকনোলজি
কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় আয় বাড়লেও লভ্যাংশ কমিয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ার প্রতি আয় ৩৮ পয়সা বাড়লেও লভ্যাংশ দিয়েছে ৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা।
আগের বছর কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশও দিয়েছিল।
এস কে ট্রিমস
এই কোম্পানিটিও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ৫০ পয়সা করে। আগের বছর কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল।
কোম্পানিটির আয় কমেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৮২ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টস
বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটিও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ৫০ পয়সা করে।
কোম্পানিটির আয় কমেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৪২ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং
লোকসান থেকে বেরিয়ে এসে কোম্পানিটি এবার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পেরেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ৫০ পয়সা।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি আয় করেছে ২৩ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫ টাকা ৬৯ পয়সা ।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
এই কোম্পানিটি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা দেয়া হবে নগদ, আর প্রতি ২০০ শেয়ারে ৫টি দেয়া হবে বোনাস।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও এবার লোকসান দিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৫ পয়সা।
৫ শতাংশের বেশি
ইন্দোবাংলা ফার্মা
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৪ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাওয়া যাবে ৪০ পয়সা করে। সঙ্গে প্রতি ১০০ শেয়ারে মিলবে ৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির আয় কমেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
১০ শতাংশ লভ্যাংশ
সায়হাম টেক্সটাইল
লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফিরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতেক কোম্পানি সায়হাম টেক্সটাইল। অর্থাৎ শেয়ারধারীরা শেয়ারপ্রতি একটাকা করে পাবেন।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত সায়হামের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি লোকসান দেয় ৮৬ পয়সা।
শাসা ডেনিম
এই কোম্পানিটিও লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার প্রতি এক টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ লভ্যাংশ এসেছে ১০ শতাংশ নগদ।
কোম্পানিটির আয় আগের বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ২ টাকা ৫ পয়সা।
এমএল ডায়িং
এই কোম্পানিটিও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ শেয়ারধারীরা শেয়ারপ্রতি একটাকা করে পাবেন।
তবে কোম্পানিটির আয় লভ্যাংশের চেয়ে কম হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় ছিল ৮৭ পয়সা।
সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট
এই কোম্পানিটিও এবার ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টানা পাবেন।
এই কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ৮৪ পয়সা।
মুন্নু সিরামিক
এই কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি এক টাকা করে পাবেন।
কোম্পানিটি আয় বাড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯০ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ৫০ পয়সা।
বারাকা পাওয়ার
বিদ্যুৎ খাতের এই কোম্পানিটি এবার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ১ টাকা করে।
কোম্পানিটি আয় বাড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ২ টাকা ৫৮ পয়সা।
মুন্নু অ্যাগ্রো
আলোচিত এই কোম্পানিটিও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি আয় করেছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১ টাকা ৯৩ পয়সা।
বিডিকম
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ দেয়া হবে নগদ, অর্থাৎ শেয়ারে ৫০ পয়সা। আর প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে দেয়া হবে ৫টি শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ১ টাকা ৯ পয়সা।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং
এই কোম্পানিটি ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ২০ পয়সা করে। আর প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে দেয়া হবে ৮টি শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ৫২ পয়সা।
আমরা টেকনোলজি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে শেয়ার পাবে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা।
আমরা নেটওয়ার্ক
কোম্পানিটির আয় কমে যাওয়ার পর ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০টি শেয়ারে দেয়া হবে লভ্যাংশ হিসেবে।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২ টাকা ১৪ পয়সা যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ১৯ পয়সা।
১০ শতাংশের বেশি-২০ শতাংশের কম
ইফাদ অটো
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি এবার ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ১ টাকা ১০ পয়সা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬.৪৭ টাকা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৯৩ পয়সা।
জিবিবি পাওয়ার
বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি জিবিবি পাওয়ার বৃহস্পতিবার তার শেয়ারধারীদের শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১৫ পয়সা বা সাড়ে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিনিয়োগাকরীদের মধ্যে এ খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি বাড়তি আগ্রহের কারণে শেয়ার দরে বেশ উল্লম্ফন হয়েছিল গত এক বছরে। কিন্ত সে অনুযায়ী লভ্যাংশের প্রভাব দেখা যায়নি।
আগের বছর কোম্পানিটির লভ্যাংশ দিয়েছিল ১০ শতাংশ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারে আয় বেড়েছে ৩৬ পয়সা।
অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন
কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপিছু পাবেন ৫০ পয়সা করে। পাশাপাশি প্রতি ১০০টি শেয়ারে ৭টি পাওয়া যাবে বোনাস শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত পিডিএলের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় ছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮৬ পয়সা।
কেপিসিএল
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিটি এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া যাবে ১ টাকা ২৫ পয়সা। তবে এই লভ্যাংশ কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন, উদ্যোক্তা পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ পাবেন না।
কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮৭ টাকা ৩ টাকা ৪০ পয়সা। চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৬৫ পয়সা।
নিউলাইন টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটিও বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া যাবে ১ টাকা ২৫ পয়সা।
কোম্পানিটি আয় বাড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত পিডিএলের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় ছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮ পয়সা।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার
নতুন তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের এই কোম্পানিটিও কেপিসিএলের মতোই সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেয়া হবে ১ টাকা ২৫ পয়সা।
কোম্পানিটির আয় হয়েছে চমকপ্রদ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত পিডিএলের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তাদের আয় বেড়েছে।
২০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ
কুইনসাউথ টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ২০ শতাংশ। এর অর্ধেক নগদ এবং অর্ধেক বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা করে। আর প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে দেয়া হবে ১০টি শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ৯৬ পয়সা।
অ্যাপেক্স ফুড
কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ২ টাকা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল শেয়ারে ১ টাকা ৮৮ পয়সা।
অ্যাপেক্স স্পিনিং
বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটিও এবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ২ টাকা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল শেয়ারে ১ টাকা ৪৮ পয়সা।
জেনেক্স ইনফোসিস
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে পাবেন এক টাকা। সঙ্গে প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে পাওয়া যাবে একটি শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৩ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা।
রংপুর ফাউন্ড্রি
আগের চার বছরের ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটি এবারও ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ২ টাকা ৩০ পয়সা করে।
কোম্পানিটি এবার আয় বাড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৬৮ পয়সা আয় করতে পেরেছে। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৩ টাকা ১১ পয়সা।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
এই কোম্পানিটি মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস।
অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা একেকটি শেয়ারের বিপরীতে পাবেন ২ টাকা। সঙ্গে প্রতি ২০টি শেয়ারে পাওয়া যাবে একটি শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ৪ টাকা ৪৬ পয়সা।
৩০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ
জিপিএইচ ইস্পাত
এই কোম্পানিটির লভ্যাংশ এসেছে ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ, বাকিটা বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ২ টাকা করে। সঙ্গে প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি পাওয়া যাবে বোনাস হিসেবে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি আয় করেছে ৪ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৬৯ পয়সা।
এএমসিএল প্রাণ
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেয়া হবে ৩ টাকা ২০ পয়সা। ২০১৫ সাল থেকেই একই হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি।
কোম্পানির আয় কিছুটা কমেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৩৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এসিআই ফরমুলেশন
এই কোম্পানিটি সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবে ৩ টাকা করে। সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস হিসেবে প্রতি ২০টি শেয়ারে পাবে একটি শেয়ার।
কোম্পানিটি আয় বাড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা।
মতিন স্পিনিং
কোম্পানিটি এবার বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা, অর্থাৎ ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির আয় বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়ে গেছে। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৬ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হছিল ২ টাকা ১৬ পয়সা।
আরামিট ইন্ডাস্ট্রিজ
এই কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা একেকটি শেয়ারের বিপরীতে পাবেন ৫ টাকা।
কোম্পানিটি এবার আয় অনেক বাড়াতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে৭ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটি আয় করে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ ২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এবার ৫৪ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারে ৫ টাকা ৪০ পয়সা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। আগের বছর নগদ ৫২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।
কোম্পানিটি গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১০ টাকা ১৩ পয়সা।
এসিআই
কোম্পানিটি মোট ৮০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৫০ পয়সা, সঙ্গে ১৫ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে পাওয়া যাবে ১৫টি শেয়ার।
গত কয়েক বছর ধরে চাপে থাকা কোম্পানিটি তাদের আয়ে চমক দেখিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৩৬ টাকা ২৫ পয়সা আয় করেছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২৭ টাকা ২৪ পয়সা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য