বস্ত্র খাতের কোম্পানি হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ার নিয়ে হুলুস্থল দেখা গেল পুঁজিবাজারে। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার পর মূল্যবৃদ্ধির সীমা না থাকার দিনে শেয়ারদর এক লাফে দুই বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে গেছে।
আগের দিন শেয়ারের দর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। আর বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে দাম দাঁড়ায় ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। দাম বেড়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৬৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
কোম্পানিটির লভ্যাংশ আহামরি কিছু আসেনি। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে জন্য শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
তবে এই লভ্যাংশ এসেছে অপ্রত্যাশিত আর এই বিষয়টি বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করেছে।
কোম্পানিটি গত মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। চতুর্থ প্রান্তিকেও মুনাফায় ফিরতে পারেনি, উল্টো এই সময়ে লোকসান দিয়েছে আরও ৪৫ পয়সা, সব মিলিয়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। তবে উদ্যোক্তা পরিচালকরা নিজেদের জন্য লভ্যাংশ না রেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আগের দিনের দরের সঙ্গে এক টাকা যোগ করে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায় শুরু হয় লেনদেন। এরপর দেখা দেয় অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি। এক পর্যায়ে শেয়ারদর বেড়ে ৩১ টাকায় উঠে যায়। দিন শেষে সেখান থেকৈ ৪০ পয়সা কমে শেষ হয় লেনদেন।
শতকরা ১০ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে আরও চারটি কোম্পানির। শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাশ দেয়ার খবরে মালেক স্পিনিংয়ের দর এক দিনেই বেড়েছে ২৩.৭২ শতাংশ। শেয়ারদর ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৮ টাকা।
৭১ পয়সা মুনাফা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের খবরে আপ্লুত হয়েছে একই আরগন ডেনিমের বিনিয়োগকারীরাও। ১২.৬৬ শেয়ার দর বেড়েছে কোম্পানিটির। শেয়ার দর ২২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ২৫ টাকা ৪০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা তোসরিফার শেয়ার দর বেড়েছে ১১.৯৫ শতাংশ। শেয়ারমূল্য ১৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের সর্বোচ্চ দর অবশ্য ছিল ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের খবরে এইচআর টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে ১০.৫৩ শতাংশ। শেয়ারদর ৬২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে উঠে এসেছ ৬৯.৩০ টাকায়। দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ৭২ টাকা ৮০ পয়সা।
সে তুলনায় শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা সায়হাম কটনের দাম কম বেড়েছে। ১০ শতাংশ বেড়ে শেয়ারদর ১৮ টাকা থেকে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ২০ টাকা ২০ পয়সা।
লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণায় দর হারিয়েছে যেগুলো
কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দেয়া ওয়াইম্যাক্স ১১.৮৯ শতাংশ, খুলনা পেপারের দর ১০.২৩ শতাংশ, স্টাইল ক্রাফটের দর ৯.৭৫ শতাংশ, সাভার রিফ্রাকটরিজের দর ৭.৪৭ শতাংশ, মেঘনা পেটের দর ৫.৪৫ শতাংশ, মেঘনা মিল্কের কর ৪.৫২ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের দর ৩.৩৩ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের দর ২.৫৩ শতাংশ, রেনউইক যগেশ্বরের দর ২.৩৫ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের দর ১.৫৯ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের দর ১.৮৫ শতাংশ কমেছে এবং ওসমানিয়া গ্লাসের শেয়ার দর কমেছে ০.৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়া আর এন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ১.৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
৬ বছরে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দরপতন
জ্বালানি খাতের দুই কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্তির বছরে ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পর এবার সবচেয়ে বেশি ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব পছন্দ করেনি ইউনাইটেড পাওয়ারের বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৫.৯৬ শতাংশ। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩০১ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ২৮৩ টাকা ৭০ পয়সা।
পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া শাহজিবাজার পাওয়ার এবার শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৮০ পয়সা ও ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব করেছে।
এই খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২.৬১ শতাংশ। ১১১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২০ পয়সা।
শেয়ার প্রতি বড় অঙ্কের লোকসান দিয়েও সিভিও পেট্রোক্যামেকেল এবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাবও পছন্দ করেনি বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারদর ৫.২৪ শতাংম কমে ২১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২০২ টাকা ৪০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য