পরপর দ্বিতীয় দিন ব্যাংক খাতে উত্থান সচরাচর দেখা না গেলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তা-ই দেখা গেল। এক মাসের বেশি সময় ধরে পতনের মধ্যে থাকা বস্ত্র খাতও ঘুরে দাঁড়াল। বেশির ভাগ শেয়ারের দর বাড়ল বিমা খাতেও। আর্থিক খাতেও দিনটি ভালোই গেছে।
তিন বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের কারণে সূচকে ভাটা পড়লেও প্রধানত এই চার খাতে ভর করে পরপর তিন দিন উত্থান হলো পুঁজিবাজারে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন ঢালাও পতনে রূপ নেয়ার পর এই ঘটনাটি বিনিয়োগকারীদের আরও আস্থাশীল করে তুলবে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন রবি ও সোমবার সূচক পড়েছে ১৯০ পয়েন্ট। তবে মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সূচক বাড়ে ১২০ পয়েন্ট। পরের দিন ৬ পয়েন্টের পর তৃতীয় দিন বৃস্পতিবার বাড়ল ৫০ পয়েন্ট। অর্থাৎ তিন দিনে বাড়ল ১৭৬ পয়েন্ট।
এই উত্থানটা খুবই জরুরি ছিল বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসের জন্য। এর কারণ সংশোধনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ সপ্তাহে বাজার ধসের পর্যায়ে চলে যাওয়া, সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে।
বিনিয়োগকারীরা যে আস্থাশীল হয়ে উঠছেন, তার প্রমাণ লেনদেনেই। আগের দিন ৩৭টি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানি ল্যভাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও শেয়ার কেনাবেচা বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এই লেনদেন গত ১৩ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ।
শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার দর কমে গেছে। শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১২ টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির পরপর দ্বিতীয় দিনের দরপতন হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় আয় কমে যাওয়া ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিজেরও দরপতন হয়েছে। কেবল এই তিনটি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারলেই বড় উত্থান দেখত পুঁজিবাজার।
বস্ত্র খাতের জয় জয়কার
বৃহস্পতিবার লেনদেনে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রথম সারির নয়টির সবকটি ছিল বস্ত্র খাতের। এছাড়া সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত দর বৃদ্ধি পাওয়া ২৮টি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতের ছিল ২১টি।
বস্ত্র খাতের কোম্পানির অর্থবছর শেষ হয় জুনে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও এই সময়ে অপেক্ষা থাকেন এ খাতের ভালো মুনাফার খবরের। আর বিনিয়োগও করেন সেই সময়।
এখন মুনাফার বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার মাধ্যমে শেয়ারের দর বৃদ্ধি এখাতে যারা আগে বিনিয়োগ করেছেন তারা অনেকটাই খুশি।
লেনদেনে হামিদ ফেব্রিক্সের দর বেড়েছে ৬৭.২০ শতাংশ, মালেক স্পিনিংয়ের বেড়েছে ২৩.৭২ শতাংশ। আরগন ডেনিমের ১২.৬৫, তসরিফার ১১.৯৫ এবং এইচআর টেক্সটাইলের ১০.৫৩ শতাংশ।
এ ছাড়া সায়হাম কটনের শেয়ারের দর ১০ শতাংশ, এস্কোয়ার নিটের ৯.৯৬ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৯.৯৪ শতাংশ, সিমটেক্সের ৯.৮৮ শতাংশ, মতিন স্পিনিংয়ের ৯.৮২ শতাংশ, পিডিএলের ৯.৭৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
এদিন এ খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টি, কমেছে কমেছে ১০টির, অপরিবর্তিত ছিল তিনটির।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এদিন সূচক বাড়ানোয় প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতের ছিল দুটি। এগুলো হলো মালেক স্পিনিং ও হামিদ ফেব্রিক্স।
ব্যাংকে টানা দ্বিতীয় দিন দর বৃদ্ধি
পুঁজিবাজারে অবমূল্যায়িত হিসেবেই ধরা হয় এই খাতটিকে। বছর বছর লভ্যাংশ আসে আকর্ষণীয়, কিন্তু শেয়ারদর থাকে তলানিতেই।
এ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের খাতটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠার প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে টানা দুই দিন দল বেঁধে প্রায় সব শেয়ারের দর বাড়তে দেখা গেল, যা পুঁজিবাজারে বিরলই বলা যায়।
গত কয়েক মাসে কোনো কোনো দিন ব্যাংক খাতে ব্যাপক উত্থান দেখা গেলেও দ্বিতীয় দিনই পতন দেখা গেছে। টানা পতনের বৃত্তে থাকা পুঁজিবাজার মঙ্গলবার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর যে আভাস দিয়েছে, তার ছোঁয়া ব্যাংক খাতে লাগে বুধবার। সেদিন ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দর বাড়ে ২৯টির, কমে ২টির।
পরদিন প্রায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেল। এবার দাম বেড়েছে ২৮টির, কমেছে তিনটির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
তবে লেনদেন কিছুটা কমেছে। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আজ হয়েছে ২৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকের তালিকায় আছে পূবালী ব্যাংক, যার দর বেড়েছে ৭.৮০ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.১২ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪.৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে সকালে বেড়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত এনআরবিসি দর হারিয়েছে ৪.৬৯ শতাংশ। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৩০ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৪২ শতাংশ।
ব্যাংকের মতো আর্থিক খাতেও দিনটি ভালো গেছে। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৪টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আরেক আলোচিত খাত বিমা খাতেও শেয়ারদর বেড়েছে। ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৩৭টির দর। কমেছে ১৪টির। লেনদেন হয়েছে ১৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে দাম বেড়েছেল ৪৬টি কোম্পনির, কমেছিল ৫টির। লেনদেন ছিল ১৭৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল ব্যাংক খাতের। এগুলো হলো পূবালী, রূপালী, সিটি ও সাউথইস্ট।
বিবিধ খাতের রাজা এখনও বেক্সিমকো
তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতে এখনও রাজত্ব বেক্সিমকো লিমিটেডের। ১৯০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হওয়া এ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের একক লেনদেন হয়েছে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২.১১ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৪ টাকা ১০ পয়সা।
এ খাতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.০৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা।
লেনদেনে এ খাতের ছয়টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ও ছয়টির।
দিনে সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এই একটি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৫৩.৪৭ পয়েন্ট।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬২ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৫.৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য