পরপর দ্বিতীয় দিন ব্যাংক খাতে উত্থান সচরাচর দেখা না গেলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তা-ই দেখা গেল। এক মাসের বেশি সময় ধরে পতনের মধ্যে থাকা বস্ত্র খাতও ঘুরে দাঁড়াল। বেশির ভাগ শেয়ারের দর বাড়ল বিমা খাতেও। আর্থিক খাতেও দিনটি ভালোই গেছে।
তিন বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের কারণে সূচকে ভাটা পড়লেও প্রধানত এই চার খাতে ভর করে পরপর তিন দিন উত্থান হলো পুঁজিবাজারে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন ঢালাও পতনে রূপ নেয়ার পর এই ঘটনাটি বিনিয়োগকারীদের আরও আস্থাশীল করে তুলবে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন রবি ও সোমবার সূচক পড়েছে ১৯০ পয়েন্ট। তবে মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সূচক বাড়ে ১২০ পয়েন্ট। পরের দিন ৬ পয়েন্টের পর তৃতীয় দিন বৃস্পতিবার বাড়ল ৫০ পয়েন্ট। অর্থাৎ তিন দিনে বাড়ল ১৭৬ পয়েন্ট।
এই উত্থানটা খুবই জরুরি ছিল বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসের জন্য। এর কারণ সংশোধনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ সপ্তাহে বাজার ধসের পর্যায়ে চলে যাওয়া, সূচক ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে।
বিনিয়োগকারীরা যে আস্থাশীল হয়ে উঠছেন, তার প্রমাণ লেনদেনেই। আগের দিন ৩৭টি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানি ল্যভাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও শেয়ার কেনাবেচা বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এই লেনদেন গত ১৩ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ।
শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার দর কমে গেছে। শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১২ টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির পরপর দ্বিতীয় দিনের দরপতন হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় আয় কমে যাওয়া ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিজেরও দরপতন হয়েছে। কেবল এই তিনটি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারলেই বড় উত্থান দেখত পুঁজিবাজার।
বস্ত্র খাতের জয় জয়কার
বৃহস্পতিবার লেনদেনে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রথম সারির নয়টির সবকটি ছিল বস্ত্র খাতের। এছাড়া সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত দর বৃদ্ধি পাওয়া ২৮টি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতের ছিল ২১টি।
বস্ত্র খাতের কোম্পানির অর্থবছর শেষ হয় জুনে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও এই সময়ে অপেক্ষা থাকেন এ খাতের ভালো মুনাফার খবরের। আর বিনিয়োগও করেন সেই সময়।
এখন মুনাফার বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার মাধ্যমে শেয়ারের দর বৃদ্ধি এখাতে যারা আগে বিনিয়োগ করেছেন তারা অনেকটাই খুশি।
লেনদেনে হামিদ ফেব্রিক্সের দর বেড়েছে ৬৭.২০ শতাংশ, মালেক স্পিনিংয়ের বেড়েছে ২৩.৭২ শতাংশ। আরগন ডেনিমের ১২.৬৫, তসরিফার ১১.৯৫ এবং এইচআর টেক্সটাইলের ১০.৫৩ শতাংশ।
এ ছাড়া সায়হাম কটনের শেয়ারের দর ১০ শতাংশ, এস্কোয়ার নিটের ৯.৯৬ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৯.৯৪ শতাংশ, সিমটেক্সের ৯.৮৮ শতাংশ, মতিন স্পিনিংয়ের ৯.৮২ শতাংশ, পিডিএলের ৯.৭৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
এদিন এ খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টি, কমেছে কমেছে ১০টির, অপরিবর্তিত ছিল তিনটির।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এদিন সূচক বাড়ানোয় প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতের ছিল দুটি। এগুলো হলো মালেক স্পিনিং ও হামিদ ফেব্রিক্স।
ব্যাংকে টানা দ্বিতীয় দিন দর বৃদ্ধি
পুঁজিবাজারে অবমূল্যায়িত হিসেবেই ধরা হয় এই খাতটিকে। বছর বছর লভ্যাংশ আসে আকর্ষণীয়, কিন্তু শেয়ারদর থাকে তলানিতেই।
এ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের খাতটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠার প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে টানা দুই দিন দল বেঁধে প্রায় সব শেয়ারের দর বাড়তে দেখা গেল, যা পুঁজিবাজারে বিরলই বলা যায়।
গত কয়েক মাসে কোনো কোনো দিন ব্যাংক খাতে ব্যাপক উত্থান দেখা গেলেও দ্বিতীয় দিনই পতন দেখা গেছে। টানা পতনের বৃত্তে থাকা পুঁজিবাজার মঙ্গলবার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর যে আভাস দিয়েছে, তার ছোঁয়া ব্যাংক খাতে লাগে বুধবার। সেদিন ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দর বাড়ে ২৯টির, কমে ২টির।
পরদিন প্রায় একই ধরনের চিত্র দেখা গেল। এবার দাম বেড়েছে ২৮টির, কমেছে তিনটির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
তবে লেনদেন কিছুটা কমেছে। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আজ হয়েছে ২৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ব্যাংকের তালিকায় আছে পূবালী ব্যাংক, যার দর বেড়েছে ৭.৮০ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.১২ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪.৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে সকালে বেড়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত এনআরবিসি দর হারিয়েছে ৪.৬৯ শতাংশ। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৩০ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৪২ শতাংশ।
ব্যাংকের মতো আর্থিক খাতেও দিনটি ভালো গেছে। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৪টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আরেক আলোচিত খাত বিমা খাতেও শেয়ারদর বেড়েছে। ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৩৭টির দর। কমেছে ১৪টির। লেনদেন হয়েছে ১৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন এই খাতে দাম বেড়েছেল ৪৬টি কোম্পনির, কমেছিল ৫টির। লেনদেন ছিল ১৭৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল ব্যাংক খাতের। এগুলো হলো পূবালী, রূপালী, সিটি ও সাউথইস্ট।
বিবিধ খাতের রাজা এখনও বেক্সিমকো
তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতে এখনও রাজত্ব বেক্সিমকো লিমিটেডের। ১৯০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হওয়া এ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের একক লেনদেন হয়েছে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২.১১ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৪ টাকা ১০ পয়সা।
এ খাতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার দর বেড়েছে ৩.০৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা।
লেনদেনে এ খাতের ছয়টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ও ছয়টির।
দিনে সূচক বাড়াতে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এই একটি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ৫৩.৪৭ পয়েন্ট।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬২ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৯ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৫.৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য