× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Is the government moving away from e commerce law?
google_news print-icon

ই-কমার্স আইন থেকে সরে আসছে সরকার?

ই-কমার্স-আইন-থেকে-সরে-আসছে-সরকার?
বিভিন্ন গ্রুপের বিরূপ মনোভাবের কারণে আগের দৃঢ় অবস্থান থেকে পিছু হটেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিবর্তে ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালনায় দেশে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালায় কিছু সংযোজন-বিয়োজনের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে নতুন আইন তৈরির উদ্যোগ থেকে সরে আসছে সরকার। সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত আইন প্রণয়নের বিষয়ে খোদ সরকারের নীতিনির্ধারণী স্তরেই সিদ্ধান্তহীনতা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া খাতসংশ্লিষ্টদেরও আছে ঘোর বিরোধিতা। আইন করার পক্ষে নন ব্যবসাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরাও। বিভিন্ন গ্রুপের বিরূপ মনোভাবের কারণে আগের দৃঢ় অবস্থান থেকে পিছু হটেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর পরিবর্তে ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালনায় দেশে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালায় কিছু সংযোজন-বিয়োজনের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০১৩, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন ২০১২ এবং কোম্পানি নিবন্ধন আইন (সংশোধন) ২০২০-সহ খাত সম্পৃক্ত আরও কিছু আইন।

একইভাবে ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের বিষয়েও টানাপোড়েন চলছে। কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও এখন বিষয়টি খুব একটা এগোচ্ছে না। এর পরিবর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান ডিজিটাল কমার্স সেল, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স খাতে প্রতারণা রোধ ও খাতটিকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র, আইন, তথ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে ডিজিটাল ই-কমার্স আইন তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ই-কমার্স খাতের সুষ্ঠু পরিচালনায় একটি আলাদা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বা রেগুলেটরি বডি গঠন করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রতারণা বন্ধে এবং প্রতারণা সংঘটিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিজিটাল ই-কমার্স অ্যাক্ট নামে একটি স্বতন্ত্র আইন করা হবে।

পরে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১৬ সদস্যের একটি আইন প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। একই দিনে গঠন করা হয় কারিগরি কমিটি। এ ছাড়া পৃথকভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানেও আরেকটি কমিটি গঠিত হয়।

ইতিমধ্যে সব কটি কমিটির একটি করে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন প্রণয়ন কমিটি আবার তাদের প্রথম বৈঠকে আইনি দিক পর্যালোচনার জন্য ৯ সদস্যের সাবকমিটিও গঠন করে। তাদের এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে পৃথক কোনো আইন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দরকার আছে কি না, এসব কমিটি এখন যার যার অবস্থান থেকে খতিয়ে দেখছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছিল আইন করা হবে যদি আইনের প্রয়োজন হয়। পুরোনো আইন দিয়ে যদি চলে, তাহলে তো আর নতুন আইনের দরকার নেই। আমরা চেক করে দেখছি, যদি পুরোনো আইনের সঙ্গে কোনো কিছু যোগ করতে হয়, সেটি করা যাবে। এই হলো কথা।’

টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘আইন করার জন্য তো আইন নয়। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আইন করব। এখন পুরোনো আইনের ভেরিফিকেশন চলছে। সব রকম কাজ চলছে। যদি মনে হয় এ আইনের সঙ্গে আরও কিছু বিধিনিষেধ দিয়ে যোগ দিলে হবে, তাহলে তো সেটি করাই ভালো।’

ডিজিটাল কমার্স প্রধান ও আইন প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি অনুবিভাগ) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইনি দিকটি দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি হয়েছে। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরও একটি বড় কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো এখন কাজ করছে। যাদের জন্য আইন হবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও তো ফাইনাল হয়নি। এসব আলোচনা ও মতামতের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আমরা আগামী ১২ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দেব। সেখান থেকেই করণীয়-সংক্রান্ত মূল নির্দেশনা আমাদের কাছে আসবে।’

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখন যদি আমাদের বিভিন্ন অংশীজন বলেন, পুরোনো আইন দিয়েই ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা যাবে, তাহলে তো নতুন আইনের দরকার নেই। তবে কোনো কিছুই এখনও ফাইনাল নয়। ১২ নভেম্বরের পর সব জানা যাবে।’

নতুন আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থায় ‌‘না’

গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিন মন্ত্রী (বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি) এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে ই-কমার্সের সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়।

ওই বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ‘ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে আইনের পক্ষপাতী নন তিনি। বিদ্যমান আইন, নীতিমালা ও বিধিমালাতেই খাতটিতে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ই-কমার্স একটি সম্ভাবনাময় খাত। একে কোনো আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে বাধা যাবে না। দেশে কোনো ইনোভেটিভ বা ক্রিয়েটিভ অথবা ডিজিটাল ইকোনমি গড়ে তুলতে গেলে প্রথমেই আইন নয়। প্রথমেই রেগুলেশন নয়, প্রথমেই বাধা নয়।’

পলক আরও দাবি করেন, ‘প্রথমে হবে কৌশলপত্র। তারপর একটি নীতিমালা, তারপর আইন। তবেই দেশটা একটি ডিজিটাল বেইজড ইকোনমির দিকে আগাবে।’

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা এবং এ-বিষয়ক বিশেষজ্ঞরাও নতুন আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। তারা দাবি করেন, দেশে প্রচলিত বিভিন্ন আইনেই ই-কমার্স খাতে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা যায়। তাই ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। এখন সরকারের উচিত প্রচলিত আইন বাস্তবায়নে নজর দেয়ার পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত দায়িত্বশীল বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে নেয়া।

এ বিষয়ে দেশে ব্যবসাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, ‘যখন সংকট হয়, তখন কাউকে না কাউকে দোষ দেয়া হয়। সঙ্গে বলা হয় আইন নেই, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। তখন সরকার সেদিকেই নজর দেয়। আমার বক্তব্য হচ্ছে, আইন করে যদি প্রয়োগ করা না যায়, তাহলে সে আইন দিয়ে কী হবে?’

বলেন বলেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট। প্রচলিত আইনেই ই-কমার্স খাতে সৃষ্ট ঘটনার সমাধান রয়েছে। নতুন আইনের দরকার নেই।’

এ বিষয়ে চালডাল ডটকমের সিইও ওয়াসিম আলিম বলেন, ‘আলাদা আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলে ই-কমার্স খাতের ভবিষ্যৎ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও এ খাত পরিচালনায় আলাদা কোনো সংস্থা নেই।’

বিডি জবসের সিইও ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘ই-কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আরও কার্যকর করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহি করা এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজনে তাদের শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু দেশে নতুন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাই না।’

শপআপের চিফ অফ স্টাফ জিয়াউল হক বলেন, ‘ই-কমার্সকে যদি নজরদারি করা হয়, তাহলে নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না।’

ইলেকট্রনিক কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে সৃষ্ট ঘটনায় দায়িত্বশীল বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিংবা প্রতিযোগিতা কমিশন- এদের সবারই কিছু না কিছু দায় আছে। কারণ এদের প্রত্যেকের মধ্যেই সমন্বয়হীনতা রয়েছে। দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো সৃষ্ট ঘটনার ক্ষেত্রে যার যার কার্যকর রেসপন্স দেখালে নতুন কিছুরই আর প্রয়োজন হয় না।’

আরও পড়ুন:
টাকা ফেরত পাবে গ্রাহক, তবে সময় চায় ইভ্যালির নতুন বোর্ড
ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে আইন নয়: পলক
তিন মাসের মধ্যে নিয়মে আসবে ই-কমার্স খাত
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আরজে নিরব
‘টোয়েন্টিফোর টিকিট নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন পরিচালক সোহেল’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank will provide re financing assistance to BRAC Bank with start up financing

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।

২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯১টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Signature of Strategic Partnership Agreement on Transport sector between Community Bank and SoulShare

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

দেশে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার খাতে স্মার্ট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারির ব্যবহার বাড়াতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও সোলশেয়ার লিমিটেড কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত এবং সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান; সোলশেয়ার-এর ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আনিসা আলী, সিএফএ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই অংশীদারিত্বের ফলে দেশের শত শত বৈদ্যুতিক পরিবহনের গ্যারেজ সহজেই স্মার্ট ব্যাটারি প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যাটারি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রিন এসএমই ঋণ সুবিধা ও সোলশেয়ার -এর উদ্ভাবনী পে-অ্যাজ-ইউ-গো (পিএওয়াইজি) প্রযুক্তি একত্রে উদ্যোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী, নমনীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্যারেজ মালিকরা টেকসই অর্থায়ন সুবিধা পাবেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারি ব্যবহার, দেশের বৈদ্যুতিক পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

এই উদ্যোগকে দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamuna Bank and Apollo Clinic License to Pay World Other Health Services Understanding agreement between JMI Specialized Hospital

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

যমুনা ব্যাংক পিএলসি. এবং অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর যমুনা ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও নূর মোহাম্মদ এবং অ্যাপোলো জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের উপদেষ্টা মসিউর রহমান কামাল উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. আব্দুস সালামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক তাদের সম্মানিত গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সুফলদায়ক করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধাসহ উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shahjalal Islami Bank gave financial assistance to the poor farmers and rickshaw drivers in Comilla

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে ওই অনুদানের চেক প্রদান করেন।

ওই অনুদানের চেক প্রদানকালে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব জনাব মো. আবুল বাশার, ব্যাংকের এসএভিপি মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Bank stands next to ICDDR B for life saving tuberculosis in Sylhet

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bonded Warehouse Licensed

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

মন্তব্য

p
উপরে