বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত উল ইসলাম মনে করেন, দেশে যে অভাবনীয় পরিবর্তনগুলো এসেছে, তার যথেষ্ট প্রচার হয়নি। এই বিষয়ে তথ্য পেলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
বুধবার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ডের পাশাপাশি এবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হতে যাওয়া রোড শো সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করা হয় লন্ডন থেকে, ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সালমান ও শিবলী রুবাইয়াত। আরও ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।
নভেম্বরের শুরুত লন্ডনে হতে যাচ্ছে এই রোড শো। যেখান বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার নানা দিক উপস্থাপন করা হবে। এই শো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের বিনিয়োগের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার বিষয়ে আমাদের প্রবাসীদের কাছে স্পষ্ট ধারণা নেই। এখন আমাদের দেশের বিনিয়োগের যে পরিবেশ তাতে লন্ডনের বিনিয়োগাকরীরাও লাভবান হবেন, আমাদের প্রবাসীরা ও লাভবান হবেন।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের এমন আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্টনারশিপ-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এর অর্থ যারা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবেন তারাও যেন লাভবান হন, বাংলাদেশও যেন লাভবান হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতির যে উন্নতি হয়েছে তাতে বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করে কেউ হতাশ হবে না।’
সালমান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির যে ক্রমবর্ধমান ধারা, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হতে যাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে এখন আমাদের নতুন নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন।
‘আমাদের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ প্রচেষ্টায় বড় বিনিয়োগের বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। আমাদের এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকছে। বিদুতের গাড়ি এখন আমাদের এখানে তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে।
‘অবকাঠামো খাতেও আমাদের বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ এখন সান্টেনেবল ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে আমাদের যে প্রচারণা, তার প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করা, বিনিয়োগ নিয়ে আসা, বিশেষ করে সরকারকে সহযোগিতা করা।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির যে চমকপ্রদ উন্নয়ন হয়েছে তা এখনও সেভাবে প্রচার হয়নি। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা এখনও অনেকের অজানা। সেগুলো বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।
‘পোশাক রপ্তানিতে আমাদের যে উন্নতি, তা অনেক দেশের কাছে বিস্ময়। আমরা ইতোমধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের প্রচার জোরদার করতে হবে।
সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার এখন সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বক্তব্য দেয়ার পর তাকে সমর্থন করেন সালমান রহমানও। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে। এর মানে পুঁজিবাজার সম্প্রসারিত হয়েছে।’
‘মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার এখন একটি ইমেজিং মার্কেটে রূপান্তরিত হচ্ছে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে। অবকাঠামো উন্নয়নেও এখন বন্ড ছাড়া হচ্ছে। মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যাক্তিশ্রেণিসহ সরকারও ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রবাসীসহ বিদেশিরা এসব বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। একই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও বিনিয়োগের বড় জায়গা আছে।‘
মৎস্য শিকারে বিনিয়োগ চায় বিডা
সংবাদ সম্মেলনে সামুদ্রিক অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের এখন একটি সাব সেক্টর। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য নতুন একটি খাত। ব্লু ইকোনোমিক নামে পরিচিত এই সেক্টর এখনও আমাদরে দক্ষতার অভাবে ব্যবহারের বাইরে আছে। আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা থাকলেও ফিশিংয়ে আমাদের অবদান খূবই কম।
‘লন্ডনের ফিশিংয়ে বড় বড় বিনিয়োগ হয়ে থাকে। লন্ডনের বিনিয়োগাকরীরা চাইলে আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে পারে।
‘ব্লু ট্যুরিজম বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন মাত্র যোগ করবে। দর্শনীয় স্থানগুলোর পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারলে এ খাতেও নতুন বিনিয়োগের সুযোগ আছে।’
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য