মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে শাহ আমানত ফেরিটির ব্যালাস্ট ট্যাংক লিক হওয়ার কারণে হেলে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক দিনোমনি শর্মা জানান, ট্যাংকটি লিক হওয়ায় অতিরিক্ত পানি ঢুকে ফেরিটি কাত হয়ে আংশিক ডুবে যায়।
এই ট্যাংকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারসাম্য রক্ষার জন্য ফেরির নিচের অংশে কিছু চেম্বার থাকে। এগুলোকে ব্যাল্যান্স ট্যাংক বলে। আমরা ধারণা করছি, পানি প্রবেশ করে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ফেরি কাত হয়েছে। তবে এখনও ডিটারমাইন্ড না।’
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ভারসাম্য রক্ষার চেম্বারকে ‘ব্যাল্যান্স ট্যাংক’ বললেও বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে জানান, এটিকে ব্যালাস্ট ট্যাংক বলা হয়। বড় নৌযানে এগুলো ব্যবহার করা হয়।
মেরিন ইনসাইট নামের একটি ওয়েবসাইটে ব্যাল্যাস্ট ট্যাংকের বিষয়ে বলা হয়েছে, জলপথে চলাচলের সময় নৌযানের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যালাস্ট ট্যাংক লাগানো হয়। আগের দিনে বড় নৌযানে ব্যালাস্ট ট্যাংক হিসেবে বালুভর্তি ব্যাগ, পাথর বা লোহার ব্লক ব্যবহার করা হতো। নৌযানে মালামাল লোড-আনলোড করার সময় এই ট্যাংকগুলোও লোড-আনলোড করা হতো।
আধুনিক সময়ের নৌযানে সাধারণত পরিষ্কার পানি বা লবণপানির চেম্বারের ব্যাল্যাস্ট ট্যাংক থাকে। নৌযানের আকৃতি বা পণ্যের পরিমাণের ভিত্তিতে ব্যালাস্ট ট্যাংকের পানি কম-বেশি করা হয়।
ব্লগ ডট স্টেনাইল ডটকম ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্যালাস্ট শব্দটি এসেছে প্রাচীন নরডিক ভাষার শব্দ বারলাস্ট থেকে। ওই ভাষায় বার শব্দের অর্থ ‘খালি’ এবং লাস্ট অর্থ ‘কার্গো’।
মূলত তিন ধরনের ব্যালাস্ট নৌযানে ব্যবহার করা হয়। একটি হালকা, একটি ভারী ও একটিকে বলে পোর্ট ব্যালাস্ট।
নৌযান যখন পুরোপুরি ভর্তি থাকে তখন অতিরিক্ত ব্যালাস্টের প্রয়োজন হয় না। সে সময় ব্যালাস্ট ট্যাংক খালি রাখা হয়। এটাকে বলে লাইট ব্যালাস্ট।
নৌযান পুরোপুরি ভর্তি না থাকলে তখন ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজন হয়। সে সময় ব্যালাস্ট ট্যাংকে পরিমাণমতো তরল ভর্তি করা হয়। এটিকে তখন বলে হেভি ব্যালাস্ট।
পৃথিবীর অনেক বন্দরে লাইট ও হেভি ব্যালাস্টের নৌযান ভিড়তে দেয়া হয় না। এসব বন্দর থেকে নিজস্ব ব্যালাস্ট সরবরাহ করা হয় বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় থাকা নৌযানকে। বন্দর থেকে সরবরাহ করা এসব ব্যালাস্টকে বলা হয় ‘পোর্ট ব্যালাস্ট’।
আরও পড়ুন:পারফ্লুরোঅ্যালকাইল ও পারফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্স (পিএফআইএস) রাসায়নিকটি ফায়ার সার্ভিসের ফোম তৈরিতে ও টেক্সটাইল শিল্পে ব্যাপক ব্যবহার হয়। তবে মানবদেহের জন্য এই রাসায়নিক খুবই ক্ষতিকর।
পিএফআইএস এমন এক রাসায়নিক পদার্থ, যা মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। একে ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ও বলা হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফরেভার কেমিক্যাল এবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বৃষ্টির পানিতেও পাওয়া গেছে।
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে, "আমাদের বায়ুমণ্ডলে এই ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ এত বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে যে নতুন এক নির্দেশিকায় বৃষ্টির পানিকে এখন পান করার ক্ষেত্রে অনিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।"
পিএফএএসের কারণে কোলেস্টেরেল বৃদ্ধি, লিভারের এনজাইমে পরিবর্তন, শিশু জন্মের সময় কম ওজন, শিশুদের দেহে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে সমস্যা ও ক্যানসারও দেখা দিতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, মানবসৃষ্ট পারফ্লুরোঅ্যালকাইল সাম্প্রতিক দশকগুলোতে পানির গতিপথে, মহাসাগরে, ভূগর্ভস্ত পানিতে ও বায়ুমণ্ডলসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। আন্টার্কটিকা থেকে তিব্বত মালভূমি পর্যন্ত এই পদার্থ এখন পাওয়া যাচ্ছে।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটি ও ইটিএইচ জুরিখ ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, বৃষ্টির পানিতে এই বিপজ্জনক রাসায়নিকের মাত্রা নিরাপদ সীমার ওপরে উঠে গেছে।
স্টকহোম ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক ইয়ান কাজিন বলেন, ‘গত ২০ বছরে পানীয় জলে পারফ্লুরোঅ্যালকাইলের নির্দেশিকার মানগুলোর বিস্ময়কর অবনতি ঘটেছে।’
বিশ্বের অনেক মানুষই এখনও বৃষ্টিকে নিরাপদ পানীয় জলের উৎস মনে করে। তবে কাজিনের মতে এখন আর তা নিরাপদ নয়।
এমনিতেই বিশ্বের অনেক দেশেই নিরাপদ পানির সংকট রয়েছে। সেসব দেশে সুপেয় পানির উৎস হিসেবে বৃষ্টির পানিকেই বিবেচনা করা হত। এখন সেই পানিকেও অনিরাপদ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন:প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে একের পর এক চমক দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের জন্য এবার বাজারে এনেছে সিসিটিভি সিস্টেমের বিভিন্ন পণ্য।
‘পিনভিউ’ নামে ওয়ালটনের তৈরি সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্যের মধ্যে রয়েছে আইপি ক্যামেরা, এইচডি ক্যামেরা, এনভিআর এবং এক্সভিআর।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে প্রধান অতিথি থেকে সোমবার পিনভিউ সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্য উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
‘ওয়ালটন পিনভিউ সিসিটিভি সিস্টেম লঞ্চিং সেরিমনি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের সিনিয়র স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার কামরুন নাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও বিএসসিএলের পরিচালক প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী।
এ ছাড়া এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার ও লিয়াকত আলী, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, ইউসুফ আলী ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম, মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, যে সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্য উন্মোচন করা হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে তৈরি। খুব শিগগিরই দেশের বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের উচ্চমানের এই সিসিটিভি সিস্টেমের পণ্যগুলো পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং অন্য অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, পিসিবি, এলিভেটর, ল্যাপটপ-কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রোডাকশন প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন।
তারা এসব পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং দেশীয় হাই-টেক শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি ও রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন:স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ‘কিপ ইট রিয়েল’ থিম নিয়ে শুরু করেছে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্টিভ্যাল-২০২২। আগামী ২৮ আগস্ট উদযাপন করা হবে রিয়েলমির চতুর্থ গ্লোবাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
তরুণদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প মূল্যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের ফোন নিয়ে আসছে রিয়েলমি। ‘কিপ ইট রিয়েল’ মানসিকতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রিয়েলমি তাদের ফ্যান ও কমিউনিটির প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে ক্ষমতায়ন করাই এই ব্রান্ডের প্রধান লক্ষ্য।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যান্ডটি জানায়, গত চার বছরে তাদের অর্জন বেশ সমৃদ্ধ। রিয়েলমির এই পথচলায় ফ্যানদের আকুণ্ঠ সমর্থন অর্জন করেছে। ফ্যানদের এই সমর্থনের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, এ বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে।
আগামী বুধবার রিয়েলমির গ্লোবাল অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট ও কমিউনিটিতে ‘রিয়েল ফ্যান স্টোরি’ শীর্ষক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালু করা হবে। রিয়েলমি বাংলাদেশও এই গ্লোবাল ক্যাম্পেইনের অংশ এবং তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
২৮ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলাকালীন ক্রেতা ও রিয়েলমি ফ্যানরা অফলাইন ও অনলাইনে দুর্দান্ত সব অফার উপভোগ করতে পারবেন। রিয়েলমি ট্রেন্ডি ডিজাইন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারে ডিজাইন লিডার হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন রিয়েলমির ডিজাইন মাস্টার স্মার্টফোন জিটি মাস্টার এডিশন সকল আউটলেটে পাওয়া যাবে ২০০০ টাকা ছাড়ে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ক্রেতারা এই সিরিজের ফোনের সাথে উপহার হিসেবে পাবেন লাইভ স্ট্রিম হোল্ডার। এখানেই শেষ নয়, রিয়েলমি ব্র্যান্ড শপ থেকে যে কোনো মডেলের স্মার্টফোন কিনলে ক্রেতাদের জন্য উপহার হিসেবে থাকছে স্পোর্টস ওয়াটার বোতল।
তা ছাড়া দারাজ শপাম্যানিয়া ক্যাম্পেইন (৮-১৪ আগস্ট) থেকে রিয়েলমি সি সিরিজ, নাম্বার সিরিজ, নারজো সিরিজ ও জিটি সিরিজের যে কোনো স্মার্টফোন কিনলেই ক্রেতারা পাবেন ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক কার্ডের ক্ষেত্রে থাকছে ১২ মাস পর্যন্ত শূন্য শতাংশ সুদে ইএমআই সুবিধা। অফলাইন ক্যাম্পেইনের মতো অনলাইন থেকেও ক্রেতারা জিটি মাস্টার এডিশন ও ৯ প্রো ৫জি সিরিজের স্মার্টফোন কিনলে উপহার হিসেবে পাবেন লাইভ স্ট্রিম হোল্ডার।
আরও পড়ুন:হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) সম্প্রতি ৬০ জন সদ্য গ্র্যাজুয়েটকে ক্লাউড ও ডিজিটাল পাওয়ার টিমে নিয়োগ দিয়েছে। নতুন উদ্যোমে বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও ক্লাউড সেবা দিতে তারা কাজ করবেন।
তরুণদের জন্য আইসিটি খাতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশে সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত নেয় হুয়াওয়ে। নিয়োগের এ প্রক্রিয়া শুরু হয় জুন মাসে এবং প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থী এতে অংশ নেন।
হুয়াওয়ে ক্লাউড টিমে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীদের একজন তানসি ইসলাম। তিনি বলেন, 'বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠাতা হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমি ইতোমধ্যে কিছু কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছি, যার মাধ্যমে আমি এই খাত সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা আমাকে ভবিষ্যতে আইসিটি খাত ও দেশের উন্নয়নে কাজ করতে সহায়তা করবে।'
হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ক্লাউড ও গ্রিন পাওয়ার সল্যুশনের মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। উদ্ভাবনী ক্লাউড ও পাওয়ার সল্যুশনস নিয়ে বাংলাদেশের এই লক্ষ্য পূরণে পাশে থাকবে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও ও শিডিউল লাইভ ভিডিওতে পণ্য বিক্রি বন্ধ হচ্ছে। তবে ফেসবুক লাইভ ও ইভেন্টগুলোতে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা যাবে, কিন্তু লাইভ ভিডিওর প্লেলিস্টে কোনো পণ্যের ট্যাগ দেয়া যাবে না।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার বিজনেস হেল্প সেন্টার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
টিকটকের মতো ছোটো ভিডিওতে জোর দিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক বলছে, গ্রাহকদের কাছে পণ্যকে পৌছাতে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিলস ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন এফ-কমার্স (ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম) উদ্যোক্তারা। রিলসে পণ্য ট্যাগ দেওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে।
ইন্সটাগ্রামে লাইভ শপিং ফিচার চালু থাকবে।
কেউ যদি আগের লাইভ ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করতে চায়, সেক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের ক্রিয়েটর স্টুডিওতে আগের ভিডিওগুলো ডাউনলোডের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর আদাবরের কুইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শিক্ষার্থী নাবিহা খান।
নাবিহা কুইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী। তার প্রজেক্ট ছিল ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নিয়ে।
বিজ্ঞান মেলায় প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। সেখানে নাবিহা খানের নিউক্লিয়ার বিষয়ক জ্ঞান ও উপস্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বিচারক ও উপস্থিত অতিথিরা।
নাবিহা খানের বাবা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান। ছোট বেলা থেকেই নাবিহার বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর গভীর আগ্রহ রয়েছে। এর আগেই সে বিজ্ঞান বিষয়ে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে তার ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎশক্তির উৎস হিসেবে নিউক্লিয়ার শক্তির বিকল্প নেই বলেই এই বিষয়ে প্রকল্প উপস্থাপন করেছে বলে জানায় নাহিবা।
বিজ্ঞান মেলায় নাবিহা খানের প্রকল্পটি প্রথম স্থান জিতে নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার হাবিবা হুদা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর-আদাবর থানা শিক্ষা অফিসার রাজু আহমেদ, অধ্যক্ষ ড. আব্দুল কাইয়ুমসহ অন্যরা।
প্রযুক্তিপণ্যের অন্যতম ব্র্যান্ড গিগাবাইটের নকল ও রিফারবিশড (মেরামত করা) পণ্যে দেশের বাজার সয়লাবের অভিযোগ তুলেছেন খাতটির ব্যবসায়ীরা।
এসব পণ্য বিক্রি করে গিগাবাইটের নামে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। তাই গ্রাহকদের গিগাবাইটের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিসের দেয়া ওয়ারেন্টি দেখে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এমন আহ্বান জানায় গিগাবাইট।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে গিগাবাইট পণ্যের একমাত্র পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিসের বিতরণ ব্যবসা পরিচালক জাফর আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা গিগাবাইটের নকল ও রিফারবিশড পণ্য দেশে আনছেন। সেগুলোতে থাকছে না কোনো ওয়ারেন্টি সেবা, বিক্রি হচ্ছে গাগাবাইটের নামেই। ফলে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা, কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। এটি দেশের ক্রেতাদের জন্য হুমকি। তাই নকল গিগাবাইট পণ্য থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই স্মার্টের স্টিকার ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেখে পণ্য কিনতে হবে।’
গিগাবাইট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান জানান, এখন দেশে আগের মতো গিগাবাইট শুধু গ্রাফিক্স কার্ড ও মাদারবোর্ড আনে না, এর পাশাপাশি মনিটর থেকে শুরু করে অন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটার পণ্যও আনে।
তিনি বলেন, ‘এখন গিগাবাইট বলতে শুধু মাদারবোর্ড আর গ্রাফিক্স কার্ড নয়, আরও অনেক কিছু বোঝেন ক্রেতারা। ফলে এসব পণ্য যখন অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশে আনছেন তখন শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। এসব নকল ও রিফারবিশড পণ্য সম্পর্কে আমরা বিষয়টি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে (বিসিএস) জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও নেব।’
তিনি জানান, এখন দেগশে গিগাবাইটের মাদারবোর্ড ও গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াও বর্তমানে গিগাবাইট ব্রান্ডের ল্যাপটপ, মনিটর, র্যাম, এসএসডি, কেসিং, পাওয়ার সাপ্লাই, কুলার, মাউস, কি-বোর্ডও পাওয়া যাচ্ছে দেশের বাজারে।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন সিরিজের মাদারবোর্ড আনার ঘোষণাও দেয় গিগাবাইট। ইন্টেলের নতুন প্রজন্মের প্রসেসরগুলোর কার্যকারিতা সঠিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ দিতে তাই দেশে গিগাবাইট তাদের ইন্টেল ৬০০ সিরিজের মাদারবোর্ডের বায়োস হালনাগাদ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্মার্ট টেকনোলজিসের চ্যানেল সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আলবেরুনী সুজনসহ অন্যরা।
মন্তব্য