অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার ভালো খবরেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দরপতনের চাপ কাটিয়ে টানা দুই দিন পুঁজিবাজারের উত্থান হলো ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারের উত্থানে।
টানা দরপতনের মধ্যে মঙ্গলবার বড় উত্থানের পরদিন পুঁজিবাজারের লেনদেন কী হয়, সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। দিনভর ওঠানামা করে সূচকের অবস্থান ধরে রাখতে পারাটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে।
মঙ্গলবারের মতো অতটা না হলেও বুধবারও বেড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। মোট ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে গত দুই মাসে টানা বাড়তে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১২ টাকার অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার পর দরপতনে সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ২৬ পয়েন্টের বেশি। আইসিবি, বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার মতো বড় মূলধনি কোম্পানিরও দরপতন হয়েছে।
এর ভিড়েও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিন শেষে ৬ পয়েন্ট বৃদ্ধির পেছনে যে ১০টি কোম্পানি প্রধান ভূমিকায় ছিল, তার মধ্যে সাতটিই ব্যাংক খাতের। এই চিত্র সহসা দেখা যায় না পুঁজিবাজারে।
ব্যাংক খাতে ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, সামান্য কমেছে কেবল দুটির দর।
একই অবস্থা বিমা খাতের। গত জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দরপতন হতে থাকা এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৪৬টির শেয়ার দর।
আবার গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোই হারিয়ে ফেলা দর কিছুটা ফিরে পেয়েছে।
এসব ঘটনায় দর সংশোধন শেষ হতে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা আরও বড় হয়েছে।
জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে টানা। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় দর সংশোধন। শুরুতে স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর দর পড়তে থাকে। কিন্তু বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকায় সংশোধনেও সূচক বাড়ে।
কিন্তু সংশোধনের পঞ্চম সপ্তাহে এসে দর হারাতে থাকে বড় মূলধনি কিছু কোম্পানিও। আর ষষ্ঠ সপ্তাহে গত রবি ও সোমবার দুই দিনে ১৯০ পয়েন্ট সূচক পড়ে যাওয়ার পর তৈরি হয় আতঙ্ক।
তবে মঙ্গলবার ১২০ পয়েন্ট সূচকের উত্থান, এক দিনে প্রায় সাড়ে তিন শ কোম্পানির দর বৃদ্ধি, ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হওয়ার ঘটনায় আশাবাদী হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা।
এ অবস্থায় বুধবারের লেনদেনটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এদিন বাজার তার অবস্থান ধরে রাখতে পারলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিড় ধরা আস্থা ফিরবে- এমন বাস্তবতায় লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গেলেও পরে কমে যায়।
আগের দিন ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো দিনের শুরুতেই দর হারিয়ে ফেলে। তৃতীয় প্রান্তিকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। দুটি ভালো খবরের পরেও কোম্পানিটির দর হারিয়ে ফেলাটা ছিল বিস্ময়কর।
আবার বাজার দরপতনের দিকে গেল কি না, এই দুশ্চিন্তা চেপে বসার আগেই ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারগুলো তেজি হয়ে ওঠে।
শেষ পর্যন্ত গ্রামীণফোন, ডাচ্-বাংলা, ব্র্যাক, আইএফআইসি, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ইবিএল, এনআরবিসি, ফরচুন সুজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও সাউথ বাংলা ব্যাংক মিলিয়েই সূচকে যোগ করল ৩২.৮৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, পাওয়ারগ্রিড, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, বিকন ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, তিতাস গ্যাস ও বিএসআরএম স্টিলের শেয়ারের দরপতন সূচক কমিয়েছে ৫১.২৯ পয়েন্ট।
বিনিয়োগ আরও ব্যাংকমুখি
ব্যাংক খাতে কেবল শেয়ারদর বাড়েনি, সেই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লেনদেনও হয়েছে। গত অর্থবছরে সবচেয়ে ভালো লভ্যাংশ দেয়া এই খাতটির কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকেও ভালো আয় করে গতবারের আয়কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এসব ঘটনায় দর সংশোধনের মধ্যেই ঝিমিয়ে থাকা খাতটিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিনিয়োগকারীরা। ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়ছে কোম্পানিগুলোতে।
বুধবার পৌনে তিনশ কোটি টাকার বেশি হাতবদল হয়েছে এই খাতটিতে, যা সামগ্রিক লেনদেনের ১৮.৪৬ শতাংশ।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের ৬.১৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা।
তারপরই আছে এনআরবিসি, যার দর বেড়েছে ৫.৭৯ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৬৯ শতাংশ।
এছাড়া সাউথবাংলা ব্যাংকের দর ৫.৩৬, ইবিএলের দর ৪.৬০, ডাচ্-বাংলার দর ৪.৩৫, ব্র্যাক ব্যাংকের দর ৩.৩৪, ওয়ান ব্যাংকের দর ৩.১৭, ব্র্যাক ব্যাংকের দর ৩.০৭ শতাংশ বেড়েছে।
বিপরীতে শেয়ারদর ১.৯১ শতাংশ কমেছে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।
আগ্রহের আরেক খাত ছিল বিমা
আগের দিন ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছিল ৫০টির দর। পরের দিনও প্রায় একই ধরনের চিত্র। এদিন বেড়েছে ৪৬টির দর।
লেনদেনে বিমা খাতের ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৫টির। লেনদেন হয়েছে মোট ১৭৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫৪ শতাংশ। এছাড়া সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৮১ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৭.৭৫ শতাংশ।
দর পতনের দিকে থাকা কোম্পানিগুলো হলো ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। তবে দর কমার হার খুবই কম।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আাগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বেড়েছে ৩টি কোম্পানির দর, কমেছে ১০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে একটির র।
এই খাতে সবচেয়ে আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড দর হারিয়েছে। শেয়ারদর ১৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৬০ টাকা ৭০ পয়সা।
গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি উত্থান হওয়া কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর রোববার শেয়ারদর এক পর্যায়ে ১৮০ টাকা হয়ে যায়। তবে এরপর ২০ টাকার মতো কমেছে।
দর পতন হলেও লেনদেনে এগিয়ে ছিল কোম্পানিটি। এদিন বেক্সিমকোর ১২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনের চতুর্থ অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন বেড়েছে। ৩০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এসব কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই দর হারিয়েছে। ১৩টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
বস্ত্র খাতের মোট লেনদেনও হয়েছে সমান ১০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ২ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ২৯ টির, অপরিবর্তি ছিল বাকি ৪টির দর।
লেনদেনের পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিও দর হারিয়েছে। এই খাতের ১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৫টিরর দর, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জিবিবি পাওয়ারের দর, ৯.৯১ শতাংশ। এছাড়া মেঘনা পেট্টলিয়ামের শেয়ারদর বেড়েছে ১.৭৯ শতাংশ।
দর পতনের দিক দিয়ে এ খাতের এগিয়ে ছিল বিডি ওয়েল্ডিং, যার শেয়ার দর কমেছে ৫.২০ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে লেনদনে হয়েছে ৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে এ খাতের ১২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৯টির।
আর্থিক খাতে আগের দিন ২২টি কোম্পানির সবগুলোর দর বাড়লেও দ্বিতীয় দিনে এসে দর হারিয়েছে ৯টি। তবে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় এই খাতের দুটি কোম্পানি ছিল। দুটিই লোকসানি এবং সাম্প্রতিক দর সংশোধনে ব্যাপকভাবে দর কমেছে।
কোম্পানি দুটি হলো ফারইস্ট ফাইন্যান্স ও বিআইএফসি। দুটির দরই বেড়েছে ৬০ পয়সা করে। দিনের সর্বোচ্চ দরেই লেনদেন হয়েছে কোম্পানি দুটি।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেনে ২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৯টির।
সিমেন্ট খাতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা থেকে খানিকটা বেড়ে হাতবদল হয়েছে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেনে ৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ৪টির দর কমেছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন আবার ১০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। ১৬টি ফান্ডের ইউনিট দর ১০ পয়সা করে বাড়ার দিন কমেছে ৬টির দর। একটির দর কমেছে ৩০ পয়সা, বাকিগুলোর ১০ পয়সা করেই।
আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১১ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮১ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য