পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানি মঙ্গলবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
এদিন মোট ১৪টি কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার কথা থাকলেও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি বা কেপিসিএল অনিবার্য কারণে তা দুই দিনের জন্য স্থগিত করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার তারা লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাকি ১৩ কোম্পানির মধ্যে নিউজবাংলা ১১ কোম্পানির লভ্যাংশের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে একটি ল্যাবরেটরিজ, সেটি বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারে দেবে আড়াই টাকা করে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দেবে কপারটেক, যেটি বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে দেবে।
এসব কোম্পানির মধ্যে তিনটি প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এগুলো এ বছরই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
সবগুলো কোম্পানিই নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্তও জানিয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে দুটি লোকসান দেয়ার পরও লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
একমি ল্যাবরেটরিজ
কোম্পানিটি গত বছরের মতোই এবারও ২৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ৫৭ পয়সা বা ৮.৩২ শতাংশ।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট
গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট ২০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৫৫ পয়সা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল
ওভার দ্য কাউন্টারে (ওটিসি) থাকার সময় টানা চার বছর লভ্যাংশ দেয়া তজিমউদ্দিন টেক্সটাইল মূল মার্কেটে ফেরার বছরও শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ শেয়ারধারীরা শেয়ারপ্রতি ২ টাকা পাবেন লভ্যাংশ হিসেবে।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা।
আফতাব অটোমোবাইল
শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৪ পয়সা লোকসান করেও বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করল এই কোম্পানিটি।
এবার শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক নগদ এবং অর্ধেক বোনাস। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা এবং প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে বোনাস শেয়ার পাওয়া যাবে।
নাভানা সিএনজি
জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্যও ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে অর্ধেক নগদ এবং অর্ধেক বোনাস।
অর্থাৎ এবার বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি পাবেন ৫০ পয়সা করে। সঙ্গে প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি দেয়া হবে বোনাস হিসেবে।
এই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করে ২২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯০ পয়সা।
ন্যাশনাল টি
টানা দ্বিতীয় বছর বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল টি।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৩১ টাকা ৭১ পয়সা লোকসান দিয়েছে। তারপরও রিজার্ভ থেকে শেয়ার প্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের বছর ৫৫ টাকা ৭১ পয়সা লোকসান করে কোম্পানিটি ৫০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়।
এডিএন টেলিকম
শেয়ারধারীদেরকে এবার ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা পাবে এক টাকা করে। আগের বছর শেয়ার প্রতি দেড় টাকা, অর্থাৎ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত এডিএন শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ২ টাকা ৮৬ পয়সা।
কপারটেক
আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কপারটেক।
তবে লভ্যাংশ বাড়ালেও তা খুব একটা আকর্ষণীয় হয়নি। আগের বছর শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবার ৫০ পয়সা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত অর্থবছরে এই আয় ছিল ৩৫ পয়সা।
নতুন তিন কোম্পানি
চলতি বছর তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানিও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড
বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৪ টাকা করে শেয়ার বিক্রি করা প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ২১ পয়সা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে শেয়ার সংখ্যা কম থাকার সময় এই আয় ছিল ৩ টাকা ৪৩ পয়সা।
এনার্জিপ্যাক
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১ টাকা করে শেয়ার বিক্রি করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকৌশল খাতের কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার তালিকাভুক্তির বছরে সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা করে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে শেয়ার সংখ্যা কম থাকার সময় এই আয় ছিল ২ টাকা ৮৩ পয়সা।
ই-জেনারেশন
এই কোম্পানিটিো তালিকাভুক্ত হয়েছে চলতি বছর। তারা বিনিয়োগকারীদেরকে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য