টানা দরপতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজার সংশোধন শেষের আভাস দিল। আগের দিন সূচকের যতটা পতন হয়েছিল, তার সমান উত্থান, এক দিনে প্রায় সাড়ে তিন শ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের মনের দুশ্চিন্তা অনেকটাই লাঘব করেছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন পঞ্চম সপ্তাহে এসে টানা পতনে রূপ নেয়। ষষ্ঠ সপ্তাহে গত রবি ও সোম- দুই দিনে আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এই দুই দিনে সূচক কমে ১৯০ পয়েন্ট।
উৎকণ্ঠা নিয়েই মঙ্গলবার শুরু হয় লেনদেন। গত ছয় সপ্তাহের প্রায় নিয়মিত দৃশ্য দেখা দেয় বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত। শুরুর ১০ মিনিটেই ৬৭ পয়েন্ট সূচক বেড়ে গেলেও বেলা পৌনে ১২টায় আগের দিনের চেয়ে সূচক কমে যায় ২৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সে সময় ৯৫ পয়েন্ট হারিয়ে চলছিল লেনদেন।
প্রায় দেড় মাস ধরে এই অবস্থান থেকেই সূচক বড়েছে আরও বেশি। তবে এদিন এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১২০ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। বেলা পৌনে ১২টা থেকে সূচক বাড়ে ১৪৮ পয়েন্ট।
আগের দিন ধসের আশঙ্কায় থাকা পুঁজিবাজারে এক দিনে ৪১টি কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ল এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই। অর্থাৎ হল্টেড প্রাইসে লেনদেন হয়েছে এসব কোম্পানির শেয়ার দর।
এ ছাড়া হল্ডেট প্রাইসের আশপাশে লেনদেন হয়েছে আরও অন্তত ২০টি কোম্পানির শেয়ার।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ করে, ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও ২৮টির দর, আরও ২২টির দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, ২৫টির দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি, আরও ২০টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, আরও ২৯টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৩৯টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
বিপরীতে যে ২২টি কোম্পানি দর হারিয়েছে, তার মধ্যে কেবল একটি কোম্পানিই ৫ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হারানো কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১.৬৫ শতাংশ।
এতদিন সূচকের উত্থান ও পতনে কয়েকটি কোম্পানির অবদান বেশি থাকলেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে। সূচক বাড়তে ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে বাড়িয়েছে ৩৭.৯১ পয়েন্ট। এর মধ্যে কেবল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি ও আইসিবি- এই তিনটি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ২২.২৩ পয়েন্ট।
বাকি সাত কোম্পানি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, তিতাস গ্যাস, জিপিএইচ ইস্পাত, সাইফপাওয়ারটেক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিক হোটেল ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অন্যদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ১.৬৫ শতাংশ কমার কারণেই সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ১৩.৭১ পয়েন্ট।
স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, ইবিএল, ম্যারিকো, বিএসআরএম লিমিটেড ও উত্তরা ব্যাংক মিলিয়ে কমিয়েছে আরও ৬.৮৯ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ১০ কোম্পানির অবদান ২০.৬ পয়েন্ট।
সূচকে উত্থান হলেও কমেছে লেনদেন। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১ হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
১০ খাতের সবাই খুশি
পতনের ভারে যখন বিনিয়োগকারীরা ক্লান্ত তখন একদিনেই হাসির ঝলক দেখালো পুঁজিবাজার। তালিকাভুক্ত ১০ খাতের সব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে মঙ্গলবার।
এর তলানিতে থাকা নন ব্যাংক আর্থিক খাতের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ সময় দর পতনে থাকা এই খাতের ২২টি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে।
কোনো কোম্পানির শেয়ার বিক্রিতে যখন বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ থাকে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার হয় বিক্রেতা শূন্য। তখন তার দর বাড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে ১০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি। মঙ্গলবার আর্থিক খাতের এমন কোম্পানি ছিল ছয়টি।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে বিডি ফিন্যান্সের ৯.৮৪ শতাংশ। তারপরই আছে ইসলামী ফিন্যান্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৩ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.২২ শতাংশ।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিমা খাতের ৫১ কোম্পানির সবকটি শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের, ৯.৯৮ শতাংশ। এছাড়া ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৭.৫৮ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.৮৪ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার তালিকায় আছে সিমেন্ট খাত। এ খাতের লেনদেন হওয়া সাত কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে। এছাড়া সার্ভিস ও আবাসন খাতের চারটি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, সিরামিক খাতের পাঁচটি, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের তিনটি, পাট খাতের তিনটির সবগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে।
এছাড়া বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৫৭টি, প্রকৌশল খাতের ৪২টির মধ্যে ৪১টি, বিদ্যুৎ-জ্বালানির ২৩টির মধ্যে ২২টি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টির মধ্যে ১৮টির শেয়ারদর বেড়েছে।
লেনদেনে এগিয়েছে ব্যাংক
উত্থানে বাজার ব্যাংকের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এ খাতের ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে সাতটির।
লেনদেন হয়েছে মোট ১৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
লেনদেন ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে দুর্বল বা জেড ক্যাটাগরির আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৮.৩২ শতাংশ। শেয়ার দর ৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা।
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দরও ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩.৪২ শতাংশ বেড়েছে। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর ৪০ পয়সা বা ২.৮৩ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর ২.৫৫ শতাংশ, ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.০৭ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের দর পতন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল সিটি ব্যাংক, যার শেয়ার দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১.৪৪ শতাংশ। তারপর আছে ডাচ্-বাংলা, যার শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ১.৩৮ শতাংশ।
বিবিধ খাতের বেক্সিমকোতে আগ্রহ কমেছে
শেয়ারে সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর রোববার বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে যে হুলুস্থল দেখা যায়, তা গত দুই দিনে অনেকটাই কমে এসেছে। রোববার প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা থেকে মঙ্গলবার লেনদেন কমে এসেছে ৮৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়।
বেক্সিমকোতে লেনদেন কমায় বিবিধ খাতে লেনদেন কমেছে। এ খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে একটির। দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি ছিল বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ, যার শেয়ার দর কমেছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা বা দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানি ছিল উসমানিয়া গ্লাস, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ।
সব মিলিয়ে এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১০১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬১ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য