টানা দরপতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজার সংশোধন শেষের আভাস দিল। আগের দিন সূচকের যতটা পতন হয়েছিল, তার সমান উত্থান, এক দিনে প্রায় সাড়ে তিন শ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের মনের দুশ্চিন্তা অনেকটাই লাঘব করেছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন পঞ্চম সপ্তাহে এসে টানা পতনে রূপ নেয়। ষষ্ঠ সপ্তাহে গত রবি ও সোম- দুই দিনে আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এই দুই দিনে সূচক কমে ১৯০ পয়েন্ট।
উৎকণ্ঠা নিয়েই মঙ্গলবার শুরু হয় লেনদেন। গত ছয় সপ্তাহের প্রায় নিয়মিত দৃশ্য দেখা দেয় বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত। শুরুর ১০ মিনিটেই ৬৭ পয়েন্ট সূচক বেড়ে গেলেও বেলা পৌনে ১২টায় আগের দিনের চেয়ে সূচক কমে যায় ২৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সে সময় ৯৫ পয়েন্ট হারিয়ে চলছিল লেনদেন।
প্রায় দেড় মাস ধরে এই অবস্থান থেকেই সূচক বড়েছে আরও বেশি। তবে এদিন এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১২০ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। বেলা পৌনে ১২টা থেকে সূচক বাড়ে ১৪৮ পয়েন্ট।
আগের দিন ধসের আশঙ্কায় থাকা পুঁজিবাজারে এক দিনে ৪১টি কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ল এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই। অর্থাৎ হল্টেড প্রাইসে লেনদেন হয়েছে এসব কোম্পানির শেয়ার দর।
এ ছাড়া হল্ডেট প্রাইসের আশপাশে লেনদেন হয়েছে আরও অন্তত ২০টি কোম্পানির শেয়ার।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ করে, ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও ২৮টির দর, আরও ২২টির দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, ২৫টির দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি, আরও ২০টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, আরও ২৯টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৩৯টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
বিপরীতে যে ২২টি কোম্পানি দর হারিয়েছে, তার মধ্যে কেবল একটি কোম্পানিই ৫ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হারানো কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১.৬৫ শতাংশ।
এতদিন সূচকের উত্থান ও পতনে কয়েকটি কোম্পানির অবদান বেশি থাকলেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে। সূচক বাড়তে ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে বাড়িয়েছে ৩৭.৯১ পয়েন্ট। এর মধ্যে কেবল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি ও আইসিবি- এই তিনটি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ২২.২৩ পয়েন্ট।
বাকি সাত কোম্পানি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, তিতাস গ্যাস, জিপিএইচ ইস্পাত, সাইফপাওয়ারটেক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিক হোটেল ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অন্যদিকে গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ১.৬৫ শতাংশ কমার কারণেই সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ১৩.৭১ পয়েন্ট।
স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, ইবিএল, ম্যারিকো, বিএসআরএম লিমিটেড ও উত্তরা ব্যাংক মিলিয়ে কমিয়েছে আরও ৬.৮৯ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ১০ কোম্পানির অবদান ২০.৬ পয়েন্ট।
সূচকে উত্থান হলেও কমেছে লেনদেন। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ১ হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
১০ খাতের সবাই খুশি
পতনের ভারে যখন বিনিয়োগকারীরা ক্লান্ত তখন একদিনেই হাসির ঝলক দেখালো পুঁজিবাজার। তালিকাভুক্ত ১০ খাতের সব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে মঙ্গলবার।
এর তলানিতে থাকা নন ব্যাংক আর্থিক খাতের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ সময় দর পতনে থাকা এই খাতের ২২টি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে।
কোনো কোম্পানির শেয়ার বিক্রিতে যখন বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ থাকে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার হয় বিক্রেতা শূন্য। তখন তার দর বাড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে ১০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি। মঙ্গলবার আর্থিক খাতের এমন কোম্পানি ছিল ছয়টি।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে বিডি ফিন্যান্সের ৯.৮৪ শতাংশ। তারপরই আছে ইসলামী ফিন্যান্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৩ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.২২ শতাংশ।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিমা খাতের ৫১ কোম্পানির সবকটি শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের, ৯.৯৮ শতাংশ। এছাড়া ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৭.৫৮ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.৮৪ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার তালিকায় আছে সিমেন্ট খাত। এ খাতের লেনদেন হওয়া সাত কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে। এছাড়া সার্ভিস ও আবাসন খাতের চারটি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, সিরামিক খাতের পাঁচটি, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের তিনটি, পাট খাতের তিনটির সবগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে।
এছাড়া বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৫৭টি, প্রকৌশল খাতের ৪২টির মধ্যে ৪১টি, বিদ্যুৎ-জ্বালানির ২৩টির মধ্যে ২২টি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টির মধ্যে ১৮টির শেয়ারদর বেড়েছে।
লেনদেনে এগিয়েছে ব্যাংক
উত্থানে বাজার ব্যাংকের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এ খাতের ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে সাতটির।
লেনদেন হয়েছে মোট ১৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
লেনদেন ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে দুর্বল বা জেড ক্যাটাগরির আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৮.৩২ শতাংশ। শেয়ার দর ৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা।
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দরও ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩.৪২ শতাংশ বেড়েছে। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর ৪০ পয়সা বা ২.৮৩ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর ২.৫৫ শতাংশ, ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.০৭ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের দর পতন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল সিটি ব্যাংক, যার শেয়ার দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১.৪৪ শতাংশ। তারপর আছে ডাচ্-বাংলা, যার শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ১.৩৮ শতাংশ।
বিবিধ খাতের বেক্সিমকোতে আগ্রহ কমেছে
শেয়ারে সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর রোববার বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে যে হুলুস্থল দেখা যায়, তা গত দুই দিনে অনেকটাই কমে এসেছে। রোববার প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা থেকে মঙ্গলবার লেনদেন কমে এসেছে ৮৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়।
বেক্সিমকোতে লেনদেন কমায় বিবিধ খাতে লেনদেন কমেছে। এ খাতের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে একটির। দর পতন হওয়া একমাত্র কোম্পানি ছিল বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ, যার শেয়ার দর কমেছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা বা দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানি ছিল উসমানিয়া গ্লাস, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ।
সব মিলিয়ে এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১০১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬১ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য